ইনসাইড বাংলাদেশ

ভিসা নিষেধাজ্ঞা: শেখ হাসিনার হাতেই ‘ট্রাম্পকার্ড’

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ, বিরোধী দলের নেতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসন ওপর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যখন এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেখার পর তাৎক্ষণিকভাবে তিনি যে প্রতিক্রিয়া দেন তা ছিল সাহসী এবং দীপ্ত। তিনি এই ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে পাত্তা দেননি। বরং নির্বাচনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তাই দিয়েছেন। ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে তিনি অভয় দিয়েছেন। 

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যতই সাহসী হোক না কেন আওয়ামী লীগের মধ্যে ভিসা নীতি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণে কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে এবং এই অবস্থান সরকারের বিরুদ্ধে। তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে দেবে কিনা তা নিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতার মধ্যে সংশয় রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা এখনো প্রকাশ্যে বলছেন, ভিসা নীতি সরকারের পক্ষেই আছে। বিশেষ করে যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে অর্থাৎ বিএনপির জন্য ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে। কিন্তু এই কথা আওয়ামী লীগের কর্মীরা খুব একটা আমলে নিতে চাইছেন না। তবে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন, ভিসা নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অবস্থান দিয়েছেন সেটি সঠিক এবং তার কাছে একাধিক অস্ত্র রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এই ট্রাম্পকার্ডগুলো ব্যবহার করে সংকট সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে পারবেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রধানমন্ত্রী কেন ভিসা নীতি নিয়ে ভীত নন এবং তিনি কেন এটিকে আমলে নিচ্ছেন না এর ব্যাখ্যা হিসেবে কূটনীতিকরা একাধিক কারণ বলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে-

১. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দরকার: প্রধানমন্ত্রী জানেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি চায়। এটি আসলে বাংলাদেশের নির্বাচনের ইস্যু নয়। এটি আসলে দেনা পাওনার ইস্যু এবং এই দেনা পাওনার ইস্যুটা প্রধানমন্ত্রী যদি নির্বাচনের আগে ফয়সালা করতে পারেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা চাচ্ছে তার কতটুকু বাংলাদেশ দেবে। এই দর কষাকষির যদি সমাধান হয় তাহলে পরে নির্বাচন নিয়ে আর কোন অনিশ্চয়তা থাকবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপও কমে যাবে।

২. বিএনপিকে নির্বাচনে আনা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলছে এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশের কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার ক্ষেত্রে একাধিক ট্রাম্পকার্ড আছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিনিময়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে পারে এমন গুঞ্জন বাজারে রয়েছে। এছাড়া তারেক জিয়া যেহেতু একজন দুর্বৃত্ত, দুর্নীতিবাজ এবং আর্থিক বিষয়কে প্রাধান্য দেন এই জন্য তার সাথে যেকোনো সময় সরকারের সমঝোতা করা সম্ভব বলেও কেউ কেউ মনে করছেন। এর আগেও তারেক জিয়া সরকারের সঙ্গে একটা সমঝোতায় আসার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়ে ছিলেন। যে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেননি। কাজেই নির্বাচনের আগে এই অস্ত্রটিও প্রধানমন্ত্রী প্রয়োগ করতে পারেন।

৩. নির্বাচন করে ফেলা: অতীতে বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে যে, নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নানা রকম শর্ত দিয়েছে, নানা রকম অজুহাত দেখিয়েছে, অনেক বিষয় নিয়ে নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়েছে কিন্তু নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। সর্বশেষ কম্বোডিয়া এবং নাইজেরিয়া তার বড় প্রমাণ। 

এই দেশগুলোতে নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে অবস্থান ছিল নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে অবস্থা নমনীয় হতে শুরু করেছে। দেশগুলোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবার সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে। নির্বাচন যদি শেষ পর্যন্ত যেকোনো মূল্যে সরকার করে ফেলতে পারে তাহলেই আস্তে আস্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারা সম্ভব বলে কূটনীতিকরা মনে করছেন। আর এটি সরকারের বা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সবচেয়ে বড় ট্রাম্পকার্ড। তিনি মনে করছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে নির্বাচন করে ফেলতে হবে। আর নির্বাচন যদি করা যায় তাহলে পরেই সব সমস্যার সমাধান হবে।

ভিসা নিষেধাজ্ঞা   শেখ হাসিনা   শেখ হাসিনার ট্রাম্পকার্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইসি সচিবকে বদলি

প্রকাশ: ০৯:৫৩ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে বদলি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, জাহাঙগীর আলমকে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব করা হয়েছে। অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। উল্লেখ্য যে, আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নয়: প্রশাসনের শীর্ষ দুই পদে কারা আসছে?- এই শিরোনামে গত ১৮ মে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলা ইনসাইডার। যেখানে জাহাংগীর আলম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন মর্মে প্রতিবেদনে উল্লেখ্য করা হয়।


মো. জাহাংগীর আলম ২০২২ সালের ২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব পদে যোগদান করেন। এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ওই বছরের ২৭ অক্টোবর তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়।

সচিব হওয়ার আগে মো. জাহাংগীর আলম জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পৃথক একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, কমিশন সচিবালয়ের সচিব করা হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিমকে। আর এ জন্য অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব হিসেবে পদন্নতি পেয়েছেন শফিউল আজিম। 
 
আগামী ৩০ মে থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। 

ইসি সচিব   মো. জাহাংগীর আলম   স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   জননিরাপত্তা বিভাগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তারুণ্যের জয়যাত্রা: বাংলাদেশের স্মার্ট লাইভস্টোক (ভিডিও)

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বায়নের এ যুগে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে পৃথিবী। এক দেশ থেকে আরেক দেশে নানা প্রয়োজনে ছুঁটছে মানুষ। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের অনেক তরুণ তরুণী উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। কেউ কেউ শিক্ষা জীবন শেষে দেশে ফিরলেও খাপ খাওয়াতে না পেরে ভুগছে হতাশায়। অনেকেই আবার উচ্চশিক্ষা থেকে থেকে যাচ্ছে বিদেশে। ফলে একদিকে যেমন মেধাবী শিক্ষার্থীদের হারাচ্ছি আমরা, অন্যদিকে তারাও দেশকে দিতে পারছেন না শিক্ষার ফসল।

উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান আলভিন আলী শাহীন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইউনিভার্সিটি লা ভার্ন থেকে ম্যানেজমেন্ট এবং ফিন্যান্সে ব্যাচেলর ডিগ্রি চলাকালীন সময়েই তার ভাবনায় আসে দেশে ফিরে নিজে একজন খামারি হবেন। স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় গিয়ে অনেকেই নিজের শেকড় ও দেশকে ভুলে গিয়ে সেখানে থিতু হবার পরিকল্পনা করলেও নিজের লালন করা স্বপ্ন পূরণে অবিচল ছিলেন শাহীন। স্নাতক শেষ করে দেশে ফিরে এখন পুরোদস্তুর একজন সফল খামারি হয়ে উঠেছেন আলভিন আলী শাহীন। নিজের জ্ঞান ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলেছেন “মেঘডুবি” নামের একটি স্মার্ট ও আধুনিক গরুর খামার। 

বাংলা ইনসাইডারের সাথে আলাপকালে শাহীন বলেন, আমি দেশের বাইরে থাকতেই দেখেছি এই খাতে অনেক কিছু করার আছে। আলাদা একটা সম্ভাবনায়ময় খাত বলতে পারেন এটিকে। আমাদের দেশে একটা সময় ইসলামপুরের কাপড় ব্যবসায়ীদের মানুষ কাপড়ওয়ালা বলে ডাকত। কিন্তু আপনি দেখেন এই ইন্ডাস্ট্রিটি আজ দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ আমাদের দেশের অর্থনীতিকে পাল্টে দিয়েছে। ভবিষ্যতে প্রাণিসম্পদ খাত সেখানে দাঁড়াবে বলে আমার কাছে মনে হয়। দেশে এসে আমার বন্ধুরা আমাকে খামারি বলে ডাকে। কিন্তু আমি এটা বেশ উপভোগ করি।

আলভিন আলী শাহীন, পরিচালক, মেঘডুবি এগ্রো
আলভিন আলী শাহীন আরও জানান যে, আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এবারও আমাদের খামারে প্রায় ১১০০ পশু প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। প্রতিবছর রোজার পরপরই আমাদের কোরবানির গরু বিক্রি শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি অনলাইনেও আমরা গরু বিক্রির ব্যবস্থা করি। কোরবানির সময়ে অনলাইনে ৬০ হাজার থেকে এক লাখ ১০ হাজার এই মূল্যের গরুর চাহিদা বেশি থাকে। আমরা আমাদের খামারে সর্বনিম্ন ৬০ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১০ লাখ পর্যন্ত দামের গরু বিক্রি করে থাকি।

বিদেশে ডিগ্রি নিয়ে দেশে এসে কেন খামারি হলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে আলভিন আলী শাহীন বলেন, আমাদের দেশে এখনও অনেক খামারি আছেন যারা এই খাতে লাভ-লোকসান না বুঝে ব্যবসা করতে আসেন। অথচ এটি একটি সম্ভাবনাময় খাত। আমাদের মতো শিক্ষিত মানুষেরা যদি কাজ এই খাত নিয়ে কাজ না করি তাহলে তো দেশ উপকৃত হবে না। আমি দেশের বাইরে পড়াশুনা করেছি বটে কিন্তু আমার কাছে দেশের চাওয়া আছে। দেশের প্রতি আমার একটা দায়িত্বরোধ আছে। আমি উচ্চ শিক্ষিত হয়েছি এবং এর ফল শুধু আমার পরিবার ভোগ করবে সেটা আমার কাছে ঠিক মনে হয়নি। দেশেরও প্রত্যাশা আছে আমার কাছে। সেজন্য আমি  বিদেশে থাকিনি। দেশে এসেছি।

শাহীনের মতো আরও অনেক তরুণের হাত ধরেই প্রাণিসম্পদ খাত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, কুটির শিল্পের মতো গড়ে ওঠা এই খাতটি এখন শিল্পে রুপ নিয়েছে। ভারত ও মিয়ানমার নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টায় চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাত। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ এখন গরু পালন করছে। কোরবানিতে পশু বিক্রয়ের মাধ্যমে বছরের বৃহৎ অংশ জুড়ে পরিবারিক অর্থনীতি সমৃদ্ধশালী হচ্ছে। স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে গরু ও ছাগল উৎপাদনে। দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি কর্মসংস্থান হচ্ছে গ্রামীণ জনপদের হাজার হাজার নারী পুরুষের। কয়েক বছর আগেও কোরবানিতে পশুর চাহিদার বড় অংশ মিটতো প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত এবং মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি করে। বর্তমানে সে চিত্র আর নেই। 


প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, দেশে এবার প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭ টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ৭১৬টি গরু ও মহিষ, ৭৬ লাখ ১৭ হাজার ৮০১টি ছাগল-ভেড়া, এক হাজার ৮৫০টি অন্যান্য প্রজাতির প্রাণী প্রস্তুত আছে। দেশের চাহিদা কোটি ৭ লাখ দুই হাজার ৩৯৪টি। অর্থাৎ কোনরকম সংশয়, সংকট বা আশঙ্কায় থাকতে হয় না দেশের মানুষদের। অথচ কয়েক বছর আগেও চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। কিন্তু বর্তমান সরকারের সাহসী ও যুগোপযোগী নানা পদক্ষেপের কারণে গবাদি পশু উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। উল্লেখ্য যে, গরু-মোটাতাজাকরণে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে আড়াই শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হয় খামারিদের। ওই সুবিধা পেয়ে সারাদেশে অসংখ্য শিক্ষিত তরুণ গরুর খামার গড়ে তুলতে শুরু করেন, যার সুফল পাচ্ছে দেশ।

সম্প্রতি রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও পরিবহন নিশ্চিতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান জানান, এবার কোনবানির জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। খামারিদের নানা ধরনের পরামর্শ ও কোরবানির পশুর স্বাস্থ্যগত সেবা দেওয়া হয়। মাঠ পর্যায়ে মনিটরিংয়ের জন্যও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা নেমে পড়েছেন। কেউ যাতে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণে ওষুধ ব্যবহার না করেন, সে বিষয়েও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। 

গবাদি পশু উৎপাদনে বাংলাদেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বেসরকারি খাতকে সাথে নিয়ে একযোগে প্রাণিসম্পদের বিকাশ। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ক্ষুদ্র খামারিদের নিয়ে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন, তাদের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন সহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে একটি সম্ভাবনাময় খাত হয়ে উঠেছে প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাতে সম্ভাবনা থাকায় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসায় নামছেন নতুন নতুন খামারি। এক দশকে ১৪২ শতাংশের বেশি গবাদিপশুর উৎপাদন বেড়েছে। অনেকে গৃহস্থ থেকে এখন পুরোপুরি খামারিতে পরিণত হয়েছেন। যুক্ত হচ্ছেন উচ্চ শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্প্রতি সারাদেশে গরু-ছাগলের চাষ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে যেসব এনজিও কাজ করছে, তাদের অধিকাংশ এখন ঋণ দিচ্ছে গরু পালনে। এ খাতে বিনিয়োগ করছে ব্যাংকগুলোও। এতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গরু ও ছাগল পালন বৃদ্ধির পাশাপাশি চামড়াশিল্পেও রপ্তারি আয় বাড়ছে।

বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ইমরান হোসেন বলেন, দেশি গরুর চাহিদা বাড়ায় শিক্ষিত তরুণ ও প্রবাসীরা গবাদিপশুর খামারে বিনিয়োগ করছেন। গরু আমদানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে এ খাতে বিনিয়োগ আরও বাড়বে। কোরবানির হাটে ক্রেতারা দেশি গরু খোঁজেন হন্য হয়ে। তারা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে মোটা করা বিদেশি গরু কিনতে চান না। তাই বর্তমানে দেশী গরুর চাহিদা বাড়ায় স্বস্তিতে আছেন আমাদের দেশী গরুর খামারিরা। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান।
প্রাণিসম্পদ খাতে শিক্ষিত তরুণদের উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, যারা একদম ছোট পর্যায়ে শুরু করার চিন্তা ভাবনা করে আমরা তাদেরকে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার একটা পরিকল্পিত প্রস্তাব চিন্তা ভাবনা করছি। এটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলার বিষয়টি নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। ধরুন, একজন মানুষের দুটি গাভীর দাম ৫ লাখ টাকা। সেক্ষেত্রে যদি তার নিজস্ব একটা পুঁজি থাকে এবং বাড়তি পুঁজি যদি লোনভিত্তিক হয় তাহলে তার একটা মনস্ততাত্ত্বিক সাহস বা আগ্রহ সেটা বাড়বে। এছাড়া আমাদের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। যেটা বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে চলছে। সেক্ষেত্রে যারা নিজেরা খামার করতে চায় তাদের জন্য ৬০:৪০ এই অনুপাতে একটা সহযোগিতা আছে। কোন কোন ক্ষেত্রে সেটা অনুদান হিসেবেও দেওয়া হয়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এটা লোন আকারে দেওয়া হয়। সুতরাং যারা এই ব্যাপারে উৎসাহী হবে এবং আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসবে তাদের জন্য এই সুযোগগুলো আছে। 

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে নানা উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী আছে এবং একদমেই যাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উপার্জন করার বিকল্প কোন ব্যবস্থা নাই সেক্ষেত্রে আমরা একটা সাহায্য তাদের দিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে কিছু ছাগল বা বকনা বাছুর আমরা দিয়ে থাকি।

সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তরুণরা দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে আজ সম্ভাবনা ছড়াচ্ছে। শাহীনদের মতো উচ্চশিক্ষিত তরুণরা একদিকে যেমন উন্নত ও নতুন নতুন প্রযুক্তির সমন্বয়ে গড়ে তুলছে স্মার্ট ও আধুনিক খামার, তেমনি অনেক বেকার যুবক দরকারি প্রশিক্ষণ, জ্ঞান এবং প্রয়োজনীয় ঋণ নিয়ে নিজেরাই শুরু করছে আধুনিক ও স্মার্ট খামার। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের এই খাত, স্মার্ট লাইভস্টোকের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।  




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে সাবেক এমপি জাফরের ভরাডুবি

প্রকাশ: ০৮:০৫ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিততে পারেননি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম।  তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনে (চকরিয়া-পেকুয়া) আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। এলাকায় নিজের অবস্থান ধরে রাখতে তিনি আবারও উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভরাডুবি হয় তার।

দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইরফান উদ্দিন।

এতে দেখা যায়, দোয়াত-কলম মার্কার ফজলুল করিম সাঈদী ৫৬ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে সাবেক সংসদ সদস্য ঘোড়া মার্কার প্রার্থী জাফর আলম পেয়েছেন ৫২ হাজার ২৫২ ভোট।


উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্যক্তির দুর্নীতির দায় নেবে না সরকার

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিয়েছে। পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতির মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন। এই নিষেধাজ্ঞার পর জেনারেল আজিজ আহমেদ তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

তিনি বলেছেন যে, তিনি বিজিপির মহাপরিচালক থাকা অবস্থায় বা সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় তার ভাইদেরকে ব্যবসা পাইয়ে দেওয়ার জন্য কোনরকম অবৈধ কর্মতৎপরতা করেননি। এই বিষয়টি তিনি চ্যালেঞ্জ করেছেন। তবে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আজিজ আহমেদের এই বিষয়ে তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছে‌। সরকার আজিজ আহমেদ বা অন্য কোন দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযুক্তদের দায় নেবে না। 

আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির এক অনুষ্ঠানে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজিজ আহমেদের বিষয়টি তাদেরকে আগে থেকেই অবহিত করেছিল। সরকার বিষয়টি জানতো এবং সরকারের এ ব্যাপারে যে কোনও অবস্থান নেই তাও মার্কিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সুস্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।

একইভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজ সাংবাদিকদের বলেছেন যে, আজিজ আহমেদের বিষয়টি ব্যক্তিগত। এটির সাথে সরকার বা রাষ্ট্রের কোন সম্পর্ক নেই। সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে সিদ্ধান্ত, সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই গ্রহণ করেছে এবং এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। 

শুধুমাত্র আজিজ আহমেদ নয়, যারা চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, বিদেশে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান চলছে বা দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে তাদের ব্যাপারে সরকার এখন নির্লিপ্ত থাকবে। এসব ব্যাপারে সরকার কোনও পক্ষপাতিত্ব করবে না বা সরকার এই সমস্ত অভিযুক্তদের কোনও দায় দায়িত্ব গ্রহণ করবে না। 

সাম্প্রতিক সময়ে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধেও বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।বেনজীর আহমেদ ইতোমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন। র‌্যাবের মহাপরিচালক থাকা অবস্থায় একটি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কারণে ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা মাথায় নিয়ে তিনি জাতিসংঘে একটি পুলিশ সম্মেলনে যোগদান করেছেন। বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুরে কিছু বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু সেই সমস্ত বক্তব্য কোনোটাই তার দুর্নীতিকে খাটো করে না। বরং এই সমস্ত বক্তব্যের মাধ্যমে এক ধরনের কৈফত এবং স্বীকৃতি রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। 

এ রকম একটি বাস্তবতায় আদালতের নির্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশন বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধেও এখন তদন্ত করছে। এই তদন্ত যেন নিরপেক্ষ এবং নির্মমভাবে হয়। সে ব্যাপারেও সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দুর্নীতির ব্যাপারে একেবারেই শুন্য সহিষ্ণু নীতিতে অবস্থান করছেন। দেশে-বিদেশে যারা দুর্নীতি করবে তাদের যদি আইনানুযায়ী বিচার করা হয়, সেসব বিচারে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না এবং এটাতে সরকারেরও কোন দায়-দায়িত্ব নেই।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আজিজ আহমেদ বা বেনজির আহমেদের মত যে সমস্ত ব্যক্তিরা দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত, যাদের বিদেশে সম্পদ আছে এই বিষয় গুলো সরকারও তার নিজস্ব উদ্যোগে তদন্ত করে দেখছে। এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের অনেকেই মনে করেন, যে অভিযোগ গুলো তোলা হয়েছে এবং যে সমস্ত অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, তা পুরোপুরি ভাবে মিথ্যা নয়। সরকার এই দায়-দায়িত্ব নিয়ে বিতর্কিত হতে চায় না।

বেনজীর আহমেদ   আজিজ আহমেদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ধাপে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে: সিইসি

প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ২১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল ভোটে অংশ নেয়নি, তাই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম হলেও নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে সংকট চলছে সেটা সমাধান হওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন সিইসি। এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ভোটার উপস্থিতির হার ৩০ শতাংশের ওপর হতে পারে জানিয়ে সিইসি বলেন, আপনারা ভোটের নির্ভুল তথ্য আগামীকাল (বুধবার) পাবেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রশাসন খুব তৎপর ছিল। এবার প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য ছিল।

ভোটের অনিয়মের বিষয়ে সিইসি বলেন, কোথাও কোথাও মিডিয়ার কিছু কর্মী আহত হওয়ার খবর আমরা শুনেছি। বিভিন্ন অনিয়মে যখন তারা সাহস করে ছবি তুলতে গিয়েছেন তখন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। তবে সঠিক তথ্য এখনো পাইনি। আর বিচ্ছিন্ন হাতাহাতির কারণে ৩৩ জনের মতো আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, সোমবার রাতে একটি ঘটনায় একজনের হাত কেটেছে। সেটা বেশ গুরুতর আঘাত। সেটা আমি স্বচক্ষে দেখেছি। তবে আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুব তৎপর ছিল। যেখানে অনিয়ম বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেখানে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট আটক করা হয়েছে ২৫ জনকে। অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার কারণে ১০ জনকে তাৎক্ষণিকভাবে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ভোটকেন্দ্রে একজন সাধারণ ভোটার এবং একজন আনসার সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তাদের এই মৃত্যু ভোটকেন্দ্রের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে নয়। আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

সিইসি আরও বলেন, দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিন পদে এক হাজার ৮২৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ নির্বাচনে ১৫৬টি উপজেলায় ১৩ হাজার ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০ হাজার কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   সিইসি   কাজী হাবিবুল আউয়াল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন