গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পিতাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় পুত্রসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত ৮টায় কোটালীপাড়া থানা পুলিশ পৌর মার্কেট এলাকা থেকে পুত্র উজ্জল দাস (৩২)সহ ৪জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ী উজ্জল দাস পৌরসভার ডহরপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী বিমল
দাস (৬০) এর একমাত্র পুত্র। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন, পশ্চিম কয়খা গ্রামের রিয়াজুল
খন্দকারের ছেলে ফিরোজ খন্দকার (২৭), একই গ্রামের নিখিল দাসের ছেলে সুজন দাস (২৫) ও
সোহরাব হাওলাদারের ছেলে রমজান হাওলাদার(২৪)।
জানাগেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে উজ্জল দাস ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে
দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার পিতা ব্যবসায়ী বিমল দাসকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার
চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় বিমল দাস গুরুতর আহত হয়। এরপর বিমল দাসের ভাই কালা চাঁদ
দাসের অভিযোগে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনা তদন্তে মাঠে নামে। তদন্তের এক পর্যায়ে
বিমল দাসকে হত্যা চেষ্টার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উজ্জল দাসের নাম জানতে পারে
পুলিশ। পরবর্তীতে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ উজ্জল দাস ও তার সহযোগিদের গ্রেফতারে মাঠে
নামে।
বুধবার রাতে বিমল দাসকে দ্বিতীয় দফায় হত্যা চেষ্টার পরিকল্পনা করার
সময় পৌর মার্কেট এলাকা থেকে উজ্জল দাসহ ৪জনকে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ গ্রেফতার
করে।
মামলার বাদী কালা চাঁদ দাস বলেন, আমার ভাই বিমল দাস তার ব্যবসায়ীক
প্রয়োজনে কিছু জায়গা বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই জমি বিক্রির কথা শুনে উজ্জল
দাস তার পিতা বিমল দাসের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালায়। এ
ঘটনায় আমি বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা করেছি। পুলিশ ইতোমধ্যে উজ্জল
দাসসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছেন।
ব্যবসায়ী বিমল দাস বলেন, গত মাসের ১৮ তারিখ রাতে কিছু সন্ত্রাসী
আমার উপর হামলা করেছিল। এ ঘটনায় আমি ৩ দিন খুলনা সিটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তবে
কারা আমার উপর হামলা চালিয়েছিল তা আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে আমার ভাই কালা চাঁদ
দাস বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ তদন্ত করে কয়েকজন
আসামীকে গ্রেফতার করেছে বলে আমি শুনেছি।
কোটালীপাড়া থানার এস,আই মামুনুর রশীদ বলেন, ব্যবসায়ী বিমল দাস হত্যা চেষ্টার ঘটনায় তার ভাই কালা চাঁদ দাস (৪৩) বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আমরা ইতোমধ্যে এই মামলার প্রধান আসামী উজ্জল দাসসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আগামী ৮ মে ১ম
ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই লক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন
কমিশন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা
গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১২টার সময়
উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস)
এবং খাদিজা আক্তার আঁখি(পদ্মফুল) এই দুই প্রার্থী একই সঙ্গে প্রাচারণা চলাকালে মুখোমুখি
হয়ে যায়। পরে দুই প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে যায় পরিস্থিতি গোলাটে
হওয়ার মুহূর্তে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এই ঘটনায় জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ
বশির আহমেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচারণা কালে প্রচারণা কাজে বাঁধা প্রদান
করেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায় যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি
১৮ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। এক্ষণে, আপনার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে
লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
শোকজের বিষয়ে জানতে মেহেরুন নেছা উত্তরা
(কলস)কে মুটোফোনে কল দিলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া আরেক
প্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি (পদ্মফুল)কে কল দেওয়া হলে রিসিভ করা হয়নি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হেফাজতে ইসলাম মাওলানা মামুনুল হক
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।