ইনসাইড বাংলাদেশ

সহে না মানবতার অবমাননা


Thumbnail

১ অক্টোবর ২০০১। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর আগে জুলাই মাসে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশে ক্ষমতা হস্তান্তর হয় শান্তিপূর্ণ ভাবে। কিন্তু ১ অক্টোবরের নির্বাচনে ফলাফল ঘোষনার সাথে সাথে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা তান্ডব শুরু করে, শুরু হয় সন্ত্রাস, নারকীয়তার বিভৎস উৎসব। ঐ সময়কার ঘটনা উঠে এসেছে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘সহে না মানবতার অবমাননা’ শীর্ষক লেখায়। পাঠকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে আজ ৬ অক্টোবর লেখাটি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হলো-


সরকার গঠন করার পর আমরা যেটা লক্ষ করলাম দেশের মানুষের জন্য সুষ্ঠু কোনো কর্মপরিকল্পনা নেই। পাঁচ বছর মেয়াদি যে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নেওয়া হয় তাও নেই। স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনায় দেশ পরিচালিত হতো। এমন কি কোনো নীতিমালা তেমন নেই যার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা। দেশ ও জাতির উন্নত সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য দিক-নির্দেশনা।

আমাদের সরকারের সময়ে সব থেকে উল্লেখযোগ্য হলো নারী উন্নয়ন নীতিমালা, যা ১৯৯৭ সালের ৮ মার্চ গ্রহণ করি। নারী ও শিশু উন্নয়নে কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করে নারী ক্ষমতায়নে কাজ শুরু করি।

আমরা পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করি। বাংলাদেশের মানুষের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য এই সর্বপ্রথম একটা শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করি বা সর্বমহলে সাদরে গৃহীত হয়। একই সঙ্গে যুগান্তকারী স্বাস্থ্যনীতি গ্রহণ করি। কৃষিনীতি, বীজনীতি, শিল্পনীতি, বাণিজ্যনীতি, শ্রমনীতিসহ সরকারি কর্মকাণ্ড ঢেলে সাজানোর এক বিরাট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ। এর ফলে কাজের গতি বৃদ্ধি পায়।

১৯৯৬-০১ এ সময়টা বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিকাশের যুগ। অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করলে বলা যায় বাংলাদেশের স্বর্ণযুগ।

বিএনপি আমলে ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। ১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছরে বিএনপি আমলের ১ কোটি ৯১ লাখ মেট্রিক টন থেকে ২০০০-০১ সালে খাদ্যশস্য উৎপাদন প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয় এবং আমাদের ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় ২৬ লাখ টন খাদ্যের উদ্বৃত্ত ভাণ্ডার রেখে যাই। দেশ প্রথমবারের মতো খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়।

১৯৯৬ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায় তখন দেশের ব্যাংকগুলোতে গচ্ছিত টাকার পরিমাণ ছিল মাত্র ৮০০ কোটি টাকা। যার কলমানির রেট ছিল ২২ শতাংশ। আমরা যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করি তখন দেশের ব্যাংকগুলোতে ৫ হাজার কোটি টাকার উপর রেখে এসেছি। এ সময়ে কলমানির হার ছিল ৬ থেকে ৭ শতাংশ।

আমরা ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭৯ মেট্রিক টন সারের একটি নির্ভরযোগ্য মজুদ রেখে এসেছি। এখন ৫ লাখ মেট্রিক টন সার আমদানি প্রক্রিয়া চলছে।

গত ২৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলেই ১৯৯৭-এর ঘূর্ণিঝড়- জলোচ্ছ্বাস, ১৯৯৮ সালের শতাব্দীর দীর্ঘস্থায়ী ভয়াবহ বন্যা, ২০০০ সালে দেশের  দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আকস্মিক বন্যা প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক মন্দার অভিঘাত সত্ত্বেও আমাদের সরকারের সময়ে সর্বোচ্চ ৬.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। পক্ষান্তরে বিএনপি শাসনামলের পাঁচ বছরে প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৪.৫ শতাংশ। সাধারণত প্রবৃদ্ধির হার বাড়লে মুদ্রাস্ফীতির হারও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ আমলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ছিল, জিনিসপত্রের দাম বাড়ে নি এবং জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে স্থিতিশীল ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে আমরা যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করি তখন মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল মাত্র ১.৫৯ শতাংশ। পক্ষান্তরে ১৯৯৬ সালে বিএনপির ক্ষমতা ত্যাগের সময় মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ( প্রবৃদ্ধির হার ৪.৬% ৬.৬৫ শতাংশ)। অপরদিকে আওয়ামী লীগ আমলে রপ্তানি আয় বিএনপি আমলের দ্বিগুণ অর্থাৎ ১৫ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৩৮ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। অর্থনীতির অন্যান্য প্রতিটি খাতেই এই অগ্রগতির হার ছিল বিএনপি শাসনামলের চাইতে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।

মানব দারিদ্র্যসূচক ১৯৯৫-৯৭ থেকে ২০০১-এ ৪১.৬ শতাংশ থেকে ৩২ শতাংশে নেমে আসে। গড় আয়ু ১৯৯৫-৯৬ সালে ৫৮.৭ বছর, ২০০০ সালে তা ৬২ বছরে বৃদ্ধি পায়। জনপ্রতি (খাদ্য) ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ২০০১ কিলো ক্যালরি থেকে ২৩০০ কিলো ক্যালরিতে।

বিদ্যুৎ উৎপাদন বিএনপি আমলের ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে ৪০০০ মেগাওয়াটে উন্নীতকরণ। বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীর প্রায় ১৫ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীতকরণ। ১৪ হাজার নতুন গ্রাম ও প্রায় ২৫ লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আরও ৩৪ হাজার গ্রামে বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ১৫ হাজার কিলোমিটার নতুন পাকা এবং ৩৬ হাজার কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাসহ মোট ৫১ হাজার কিলোমিটার নতুন রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধু সেতুসহ ১৯ হাজার ছোট বড় সেতু, বেইলি ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল।

১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ সমাপ্ত হয়। আরও ৮ হাজার নির্মাণাধীন ছিল। মোট ১৮ হাজার কমিউনিটি নির্মিত হলে জনগণের দোরগোড়ায়, স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যেত।

আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘকাল সংগ্রাম করেছি এবং আওয়ামী লীগ তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনো সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা থেকে বিচ্যুত হয় নি। স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে আমরা সবরকম ত্যাগ স্বীকার করেছি। এখনও আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা শক্তিশালী করার সংগ্রামে অটল রয়েছি। আমরা সংসদকে সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু করেছিলাম। সংসদীয় কমিটিতে মন্ত্রীর পরিবর্তে সংসদ সদস্যকে চেয়ারম্যান করি। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নোত্তর পর্ব চালু করি।

মাথাপিছু আয় ২৬০ মার্কিন ডলার থেকে ৩৮৬ ডলারে বৃদ্ধি পায়।

১৫ বছরের বেশি বয়স্কদের সাক্ষরতার হার ১৯৯৫ সালে ছিল ৪৭.৩ শতাংশ, ২০০০ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৬৫.৫ শতাংশে দাঁড়ায়।

একটি সমাজের সার্বিক অবস্থার মৌলিক পরিস্থিতির পরিচয় পাওয়া যায় শিশু মৃত্যুর হার থেকে। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে এই হার ৬৭ থেকে ৫৭-তে নেমে আসে।

নারীর ক্ষমতায়ন নীতিমালা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি। হাইকোর্ট, জজকোর্ট, বেসামরিক উচ্চপদে মহিলাদের পদোন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিকরণ, সশস্ত্র বাহিনীতে নারীদের অন্তর্ভুক্তি, মাতৃকালীন ছুটি চার মাস বৃদ্ধি করা, ডে-কেয়ার সেন্টার, কর্মজীবী মহিলাদের জন্য বিআরটিসি বাস এবং ট্যাক্সিক্যাব চালু করা হয়। গার্মেন্টস মেয়ে শ্রমিকদের জন্য ডরমেটরি নির্মাণ, কর্মজীবী মেয়েদের হোস্টেল নির্মাণ করা হয়। নারীর অধিকার, মর্যাদা ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আওয়ামী সরকারই প্রথম ‘সন্তানের পরিচিতি’ প্রদানের ক্ষেত্রে পিতার নামের পাশাপাশি মাতার নাম ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। মাতৃকালীন ছুটি চার মাস করা হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্র পরিচালনা ও উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের সম্পৃক্ত করার জন্য বিচারপতি, সচিব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার পদে এবং সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নিয়মিত কমিশন পদে মহিলা কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় সংরক্ষিত মহিলা আসনে আমরা সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছি। ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, নারী নির্যাতন ও পাচার রোধে আমরা কঠোর আইন পাস করেছি।

আওয়ামী লীগ আমলে জাতীয় সঞ্চয়ের হার ২০.১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৩.৭৮ শতাংশে, সরকারি বিনিয়োগের হার ১৯.৯৯ শতাংশ থেকে ২০.০৬ শতাংশে, বেসরকারি বিনিয়োগ ১৩.৫৮ শতাংশ থেকে ১.৭২ শতাংশে, রাজস্ব আয় ১৫ হাজার ৫১২ কোটি টাকা থেকে ২৪ হাজার ১৭৩ কোটি টাকায়, রাজস্ব বোয় ১১ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা থেকে ২০ হাজার কোটি ৬৬২ টাকায় এবং উন্নয়ন ব্যয় ১০ হাজার ০১৬ কোটি টাকা থেকে ১৮ হাজার ২০০ কোটি টাকায় বৃদ্ধি পায়। ৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থ উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ করেছি। ছোট বড় মাঝারি ১ লাখ ২২ হাজার ৮০০টি নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন করা হয়েছে। আমরা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পরপরই জিএসপি সংক্রান্ত জটিলতা সমস্যার সমাধান করেছি। ১৯৯৮-এর ভয়াল বন্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং তখন আমাদের সরকার দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে রেলপথ, ফেরি Chartered Flight এবং সামরিক বিমানের মাধ্যমে মাল পরিবহনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে রপ্তানিকে সচল রেখেছি।

২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে সকল মহৎ ত্যাগের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে যুগ যুগ ধরে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, স্বাধীনতা।

মহান ২১ ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে প্রতিবছর পালিত হচ্ছে।

আমাদের সরকারের সময় দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা বিকাশের পদক্ষেপ গ্রহণ করি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত প্রযুক্তি টাস্কফোর্স, কম্পিউটার সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভেতরে নিয়ে আসা, অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে সংযোগ, ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কাজ শুরু করা, ৫০০টি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে কারিগরি কোর্স প্রবর্তন, ২০০টি কলেজে ব্যবসা ব্যবস্থাপনা কোর্স প্রবর্তন, ৫টি মহিলাসহ ২৩টি নতুন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ, ২০টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ৫১টি ডিআইপি ও ৬টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট  আধুনিকায়ন, ১৩টি ভিআইপি ও ১২টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কলেজ নির্মাণ আমাদের সময়ে উল্লেখযোগ্য কাজ। বাংলাদেশে প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও দুটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি। ন্যাশনাল হারবোরিয়াম, বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করি।

দেশ পরিচালনায় অনুসরণ করেছি জাতীয় ঐকমত্যের নীতি। দলীয় ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি না করে আমরা নির্দলীয় জাতীয় ব্যক্তিত্ব বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত করেছি। জাপা, জাসদ, বিএনপি সংসদ সদস্যদের মন্ত্রিসভায় নিয়েছি।

আওয়ামী লীগ ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানি শাসকদের প্রবর্তিত দেশবাসীকে বিভক্তকারী মানবাধিকার বিরোধী বৈষম্যমূলক আইন রহিত করে নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করেছে।

ঢাকাসহ সারাদেশে দলীয় পরিচয় নির্বিশেষে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমাদের দলের অনেককেও গ্রেফতার করা হয়। দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

৪ লক্ষাধিক লোক বয়স্ক ভাতা পাচ্ছে। আমাদের সরকারই দেশে প্রথমবারের মতো এ কর্মসূচি চালু করেছে। ২ লক্ষাধিক বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা ভাতা পাচ্ছেন। আমরাই এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। একটি বাড়ি একটি খামার ও আমরা আদর্শ গ্রাম প্রকল্প, খাস জমি বিতরণ, ঘরে ফেরা কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ মানুষের বাসস্থান ও জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

খেলাধুলায় বাঙালি জাতিকে সম্মানের আসনে বসিয়েছি আমরা। ক্রিকেটে টেস্ট মর্যাদা পেয়েছি আমরা। আমাদের সময়ে সংবাদপত্র পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করেছে। বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও চালু হয়েছে। এসময়ও ষড়যন্ত্র চলেছে। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চলেছে। সব মোকাবিলা করেও দেশকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলাম। আমরা সরকার পরিচালনায় মেয়াদ পূর্ণ করে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করি।

(সূত্র: শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-২।। পৃষ্টা:৩৩-৩৬)



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিল মারা ব্যালটসহ ইউপি চেয়ারম্যানের ফেসবুকে পোস্ট

প্রকাশ: ১১:৩৬ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোপন কক্ষে সিল মারা ব্যালটের সঙ্গে ছবি তুলেছেন আশরাফুল ইসলাম নামে এক ইউপি চেয়ারম্যান। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেছেন।

এছাড়াও বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর আইডির পোস্টসহ বিভিন্ন আইডিতে কমেন্ট করেছেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্টটি সরিয়ে নেন।

জানা গেছে, আশরাফুল ইসলাম তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, এছাড়াও তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। বুধবার (৮ মে) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের মাঝিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম আচরণবিধি অমান্য করে মোবাইল নিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। পরে ভোট দেওয়ার গোপন বুথে গিয়ে ব্যালটে সিল মেরে সেখানেই ব্যালটসহ ছবি (সেলফি) তুলেন তিনি। বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, তিনি সিল মারা ব্যালট এক হাতে ধরে আরেক হাতে সেলফিটি তুলেছেন এবং সেই ছবি আপলোড দিয়ে লেখেন ‘ভালোবাসা নেতার পেছনে যায় না, যায় ভালোবাসার পেছনে।’

এর আগেও এই জনপ্রতিনিধি গত ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে সিল মারা ব্যালটের ছবি তুলে সামাজিকে যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন।  এ বিষয়ে শালবাহান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ভোট কেন্দ্রে গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ছবি তোলা বেআইনি ও কোনো ভোটার মোবাইল ফোন নিয়ে ভোটকক্ষে প্রবেশ ও তা ব্যবহার করা যাবে না। তবে ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রিজাইটিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা থাকা অবস্থায় একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কীভাবে এমন আইন ভঙ্গ হলো এ বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে স্থানীয় মানুষেদের মাঝে। একজন ভোটার কর্তৃক এরূপ কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এবং উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য একটি অপরাধ।

এদিকে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বি জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বশীল পদে থাকা অবস্থায় তিনি যে কাজটি করেছেন সেটি ঠিক নয়। বিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দেখবেন। তবে, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি উপজেলা নির্বাচন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।


সিল   ব্যালট   ইউপি   চেয়ারম্যান   ফেসবুক   পোস্ট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১১:০৬ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১০ মে) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর তার সম্মানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করে।

এরপর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে সড়কপথে গোপালগঞ্জ আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়াকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করবেন।

পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। বিকেলে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে আসবেন তিনি।


টুঙ্গিপাড়া. বঙ্গবন্ধু. প্রধানমন্ত্রী   শ্রদ্ধা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রবাসীদের সুখবর দিল মালয়েশিয়া হাইকমিশন

প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালয়েশিয়ার প্রবাসীদের সুখবর দিল হাইকমিশন। দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য পেনাং জোহরবারু প্রদেশে পোস্ট অফিসের পাশাপাশি দিন হাতে হাতে পাসপোর্ট ডেলিভারি দেবে হাইকমিশন। সম্প্রতি পাসপোর্ট ভিসা কাউন্সেলর মিয়া মোহাম্মদ কিয়ামউদ্দিন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৮ ১৯ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পেনাং জর্জ টাউনের বাংলাদেশ অনারারি কনস্যুলেট অফিস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এই জন্য আগামী ১৫ মে মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

সেই সঙ্গে আগামী ২৫ ২৬ মে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জহুর বারুর অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউস থেকে সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা। এই জন্য আগামী ২২ মে মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

যেসব পাসপোর্ট আবেদনকারীর তথ্য অনলাইনে থাকবে শুধু তারাই সরাসরি উপস্থিত হয়ে হাতে হাতে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে পারবেন। ছাড়াও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণের সার্ভিসটিও যথারীতি চালু থাকবে। নির্ধারিত স্থান থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য https://appointment.bdhckl.gov.bd/other ঠিকানায় গিয়ে অনলাইনে অ্যাপয়েনমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য ডাকযোগ সেবাটি চালু থাকবে।

 

 


প্রবাসী   সুখবর   মালয়েশিয়া   হাইকমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: গজারিয়ায় সংঘর্ষ, মামলায় ২শ আসামি

প্রকাশ: ০৮:৪০ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালটপেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা, অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও দুইশো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।  

গজারিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এসআই জাহিদ বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দেড়শো থেকে দুইশো জনকে আসামি করে গজারিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন। গতকাল বিকেলে মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।  

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় দুপুর দেড়টার দিকে কেন্দ্র দখলে নিয়ে একাধিক ব্যালটপেপারে সিল মারেন আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের সমর্থকরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যালটে মারার সিল লুট করে নিয়ে যান তারা।

পরে ওই কেন্দ্রে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার। বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে আবার ভোটগ্রহণ শুরু করা হলে কেন্দ্রের বাইরে থাকা দেড়শো থেকে দুইশো কর্মী সমর্থক জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ বদিউজ্জামানের ওপর হামলা করেন। ভাঙচুর করা হয় তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি। হামলা ঠেকাতে গিয়ে ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হন পুলিশের দুই সদস্য সাদ্দাম (২৪) ও সোহাগ (২৫)। 

ঘটনা শুনে কেন্দ্রের ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে এলে তাদের ওপর ইট-পাটকেল, লাঠি-সোটা, হাতবোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আবার কেন্দ্রের দখল নেয়ার চেষ্টা করেন ওই কর্মী-সমর্থকরা। এসব ঘটনার উসকানি ও নেতৃত্ব দেন হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু।  

পুলিশ বারবার তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার এজাহারে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শো থেকে দুইশো জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাসুম (২৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


উপজেলা নির্বাচন   সংঘর্ষ   মামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাইলট অসীম জাওয়াদ মানিকগঞ্জে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন

প্রকাশ: ০৮:৩৫ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট অসীম জাওয়াদকে মানিকগঞ্জে দাফন করা হবে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাতে নিহতের পারিবারিক সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।

নিহত বৈমানিক অসীম মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে। তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। নিহত পাইলট মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী কন্যা আইজা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন। একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর শোনে কান্না থামছে না মা নিলুফা খানমের। ছেলে হারিয়ে বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। ছেলের এমন মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেও দুজন আহত হন।

পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা বিএনএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিমানের উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক অসীম জাওয়াদ বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

১৯৯২ সালের ২০ মার্চ আসীম জাওয়াদ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি  এবং এইচএসসি পাস করেন। ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ১ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি (পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন।

চাকরিকালীন তিনি দেশ-বিদেশে পেশাগত বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে তা সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে এভিয়েশন ইন্সট্রাক্টর্স পোস্টগ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। এছাড়া তিনি চীন থেকে ফাইটার পাইলটস ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স, ভারত থেকে অপারেশনাল ট্রেনিং ইন এভিয়েশন মেডিসিন ফর ফাইটার পাইলটস কোর্স, বেসিক এয়ার স্টাফ কোর্স ও কোয়ালিফায়েড ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর্স কোর্স সম্পন্ন করেন।

তিনি পেশাদারি দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মফিজ ট্রফি’, ‘বিমানবাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমানবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ ছাড়া ভারতীয় বিমানবাহিনীতে কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ইন্ডিয়ান এয়ার অর্জন করেন।

 


পাইলট   অসীম   মানিকগঞ্জ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন