ইনসাইড বাংলাদেশ

সহে না মানবতার অবমাননা


Thumbnail

১ অক্টোবর ২০০১। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর আগে জুলাই মাসে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশে ক্ষমতা হস্তান্তর হয় শান্তিপূর্ণ ভাবে। কিন্তু ১ অক্টোবরের নির্বাচনে ফলাফল ঘোষনার সাথে সাথে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডাররা তান্ডব শুরু করে, শুরু হয় সন্ত্রাস, নারকীয়তার বিভৎস উৎসব। ঐ সময়কার ঘটনা উঠে এসেছে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘সহে না মানবতার অবমাননা’ শীর্ষক লেখায়। পাঠকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে আজ ৭ অক্টোবর লেখাটি ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হলো-

 

১ অক্টোবর ২০০১ নির্বাচন ষড়যন্ত্রের চরম খেলা হলো। কিভাবে নির্বাচনে অতি চালাকির সঙ্গে কারচুপি করা হয়েছিল তা গবেষণায় ভোট জালিয়াতির ১৭টি ভিন্ন ভিন্ন পন্থা চিহ্নিত করা হয়েছে—

১. টাকার বিনিময়ে ভোট ক্রয় ।

২. নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্র দখল ও ব্যালট বাক্স ভরে ফেলা।

৩. ডামি প্রার্থী দিয়ে তার এজেন্টকে নিজের পক্ষে ব্যবহার।

৪. বিশেষ (দলের সমর্থক বা নীরব কর্মী) ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ, যে ভোটকে প্রভাবিত করবে এবং সুযোগমতো ব্যালট বাক্স ভরবে।

৫. প্রকৃত ভোটারকে ভোটদানে বিরত রাখা। দুর্বলকে হুমকি দিয়ে অথবা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে ভোটদান প্রক্রিয়া ধীর করে দেওয়া।

৬. আইনরক্ষাকারী বাহিনীকে প্রভাবিত করে প্রতিপক্ষের কর্মী-নেতাদের আটক, অপদস্থ করা এবং প্রতিপক্ষ এলাকায় ঘন ঘন টহল দিয়ে প্রতিপক্ষ ভোটার ও সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা।

৭. একজন প্রার্থীর হাতে ভুল ভোটার তালিকা ধরিয়ে দিয়ে ভোটকেন্দ্রে অন্য ভোটার তালিকা ব্যবহার করা।

৮. পোলিং ও প্রিজাইডিং অফিসারদের হাত করে ব্যালট বাক্স ভরা।

৯. নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ব্যালট বাক্স আগে থেকে ভর্তি করে রাখা বা ব্যালট বাক্স ঠিকমতো সিলগালা না করা যাতে পরে ব্যালট ভর্তি করা যায়।

১০. সমস্যার দোহাই দিয়ে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে অন্য প্রার্থীদের না জানিয়ে আবার ভোট গ্রহণ শুরু, অথবা পিটিয়ে ভোটার বের করে দেওয়ার মতো সংকটময় পরিস্থিতিতেও ভোট গ্রহণ বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানানো।

১১. অনেকভাবেই ভোট গণনায় কারচুপি করা যায়।

      ক. প্রার্থীর ভোট বদল করে দেওয়া।

      খ. ব্যালট পেপার বান্ডিল করার সময় বৈষম্যের মাধ্যমে।

      গ. ব্যালট বক্স হারিয়ে ফেলে।

      ঘ. ট্যালি গড়াপেটার মাধ্যমে।

১২. জেলা সদরে যাওয়ার সময় ভোট বাক্স জালিয়াতি বা গায়েব কথা।

১৩. ভোট গণনা ও ফল ঘোষণার পর কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল ঘোষণা।

১৪. ভুল ফল ঘোষণা বা পছন্দের দল এগিয়ে থাকা আসনগুলোর ফল ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন কমিশনের জনমতকে প্রভাবিত করা।

১৫. প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো এবং তা নির্দিষ্ট পার্টির প্রার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া। যাতে করে সুযোগমতো ওই প্রার্থী ব্যালট বাক্স ভরতে পারে। অথবা এমনভাবে ব্যালট পেপার ছাপানো যাতে করে যাকে হারানো হবে তার পক্ষের ভোটগুলো বাতিল হয়ে যায়।

১৬. এমন পরিমাণ জাল ভোট প্রদান যাতে কেন্দ্রে মোট ভোটারের ভোট বেশি হয়ে যায়। প্রতি ঘণ্টায় সম্ভাব্যের চেয়ে বেশি ভোট প্রদান অনেক কেন্দ্রেই ঘটে। যেমন : ঘণ্টায় এক বুথে ৮০ ভোটের বেশি ভোট। কিন্তু আমাদের অনেক কেন্দ্রে ভোট প্রদানের হার ঘণ্টায় এক শ/দু শও হয়ে থাকে।

১৭. প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে যাতায়তের সহজ সুবিধা নেই, সেখানে শতকরা ৯০ ভাগের বেশি ভোট গ্রহণ ডাহা জালিয়াতির পর্যায়ে পড়ে। (গ্রন্থ কারচুপির নির্বাচন : অবৈধ সরকার)

নির্বাচনের কয়েকদিন পূর্ব থেকে এবং নির্বাচনের দিনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর চারদলীয় জোট সন্ত্রাসী, সশস্ত্রবাহিনী, পুলিশ, বিডিআর কর্তৃক হয়রানি, গ্রেফতার, নির্যাতন, ভোটারদের ভোট দিতে না দেওয়া – এটা কি নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন? এতকিছুর পরও আওয়ামী লীগ ৪১% ভোট পেয়েছে। ১৯৯১ সালে ৩৪% ভোট পেয়ে ১০৩ সিট, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ৩৮% ভোট পেয়ে ১৪৬টি আসন পেয়েছিল আর এবার ৪১% ভোট পেয়ে ৬২টি আসন পাওয়া। কি অস্বাভাবিক নয়? জোট ৪৬% ভোট পেয়ে ২১৫টি আসন পায়। মাত্র ৫% ভোটের ব্যবধানে এত বড় আসনের ব্যবধান কি সম্ভব?

শুধু কারচুপি করেই তো শেষ হয় নি। আওয়ামী লীগকে শেষ করে দিতে হবে। এবারে নির্বাচনের রেজাল্ট দখল করতে ভুল করে নি। রেজাল্ট দখল করেছে তারপর শুরু করেছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা। গ্রামের পর গ্রাম আক্রমণ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘরছাড়া করে দেওয়া। শিশু কন্যাও রেহাই পায় নি এদের হাত থেকে। বিএনপি ও জামায়াত শিবির ক্যাডাররা সমগ্র বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনের পর থেকে। হাত, পা, চোখ তুলে নষ্ট করে দেওয়া, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, লুটপাট করা। প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারী, সশস্ত্রবাহিনী অর্থাৎ সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীর অফিসার, পুলিশ কর্মকর্তা, চাকরি হারাচ্ছে। সাংবাদিকরা খবর লিখে নিহত ও আক্রান্ত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারছে না। প্রতি পদে পদে সৃষ্টি করেছে। দেশ পরিচালনা না করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করাটাই যেন এই সরকারের সব থেকে বড় কাজ। প্রায় ৪৫ হাজার সন্ত্রাসীর মামলা তুলে নিয়ে মুক্ত করে দিয়েছে। সন্ত্রাসী সমাজবিরোধীদের আনন্দের সীমা নেই বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসায়। খুলনার কুখ্যাত এক সন্ত্রাসী জামিন পেয়েই প্রথম স্লোগান দিয়েছে খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ বলে। তার মন্তব্য খুবই লক্ষণীয় যে, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় না এলে সে জামিন পেত না, তার ফাঁসি হতো। এবার অনেকগুলো নৃশংস হত্যা মামলার আসামি ও ফাঁসির রায় হয়েছে তারপরও সে স্বপ্ন দেখে এবার হয়তো মুক্তি পাবে।

জাতির পিতার হত্যাকারী, শিশু, নারী হত্যাকারী, যারা আত্মস্বীকৃত, হত্যাকারী এবং জাতীয় চার নেতা হত্যাকারী তাদেরও রক্ষার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে এ সরকার। ১৫ আগস্ট যারা শাহাদাতবরণকারী হলেন— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল, পারভীন জামাল, শেখ আবু নাসের, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, আরজু মণি, বেবী সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত, সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু। কর্নেল জামিল, কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা, সরকারি কর্মচারী, কাজের লোকজনসহ অনেক মানুষকে হত্যা করেছে। ৩ নভেম্বর নিহত জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, এম. মনসুর আলী ও কামরুজ্জামানকে হত্যা করেছে।

একের পর এক ঘটনা ঘটছে, হত্যাকাণ্ড ঘটছে অথচ হত্যাকারী—অপরাধী সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে।

 

 (সূত্র: শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-২।। পৃষ্টা:৩৭-৩৯)


মানবতা   অবমাননা   শেখ হাসিনা   অক্টোবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় ৩টি ইটভাটায় ৯ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ: ০৬:০২ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করার দায়ে ইটভাটাকে জরিমানা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমী

অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনা করার দায়ে পাবনার তিনটি ইটভাটাকে লাখ টাকা জরিমানা করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।  সময় ইটভাটা তিনটি ইটভাটার কিলন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেওয়া হয়।

সোমবার (৬ই মে) দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার চর আশুতোষপুর এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে মেসার্স কেআরবি ব্রিকস, মেসার্স এআরবি ব্রিকস এবং মেসার্স  আরএবি ব্রিকসকে লাখ টাকা করে মোট লাখ টাকা জরিমানা ধার্য তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

পরিবেশ অধিদপ্তর পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসাইন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।

এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, পাবনা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক আব্দুল মমিন। সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসাইন, র‌্যাব-১২, সিপিসি-, পাবনার কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান। সময় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে  চলমান এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।


ইটভাটা   অবৈধ   বন্ধ   জরিমানা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভোটের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী বুধবার (৮ মে)। এ উপলক্ষে এদিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

সোমবার (৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ৬ মে তারিখের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক আগামী ৮ মে রংপুর বিভাগের ১৯টি, রাজশাহী বিভাগের ২৩টি, খুলনা বিভাগের ১৭টি, বরিশাল বিভাগের ৫টি, ঢাকা বিভাগের ২৯টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ৯টি, সিলেট বিভাগের ১১টি ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২৮টি উপজেলায় পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয়সহ সব শাখা বা উপশাখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা অনুযায়ী ১৪১টি উপজেলা পরিষদের (সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী) সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ৮ মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলো।

ভোটের দিন   সাধারণ ছুটি   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ৭৫ ভাগ শেষ সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ

প্রকাশ: ০৫:৪৮ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর তীরে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের প্রথম দিকে কেন্দ্রটি থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানী উৎপাদন বাড়াতে বাংলাদেশ ও চীন যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

 

প্রকল্প কর্মকর্তারা বলেন, সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে যমুনা নদীর তীরে ২১৪ একর জমিতে বসানো হয়েছে ২৭ হাজার পিলার। এই পিলারের উপর বসানো হচ্ছে শক্তিশালী সোলার প্যানেল। ৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা খরচের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি। এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। জ্বালানী আমদানীর উপর চাপ কমাতে দেশে মোট ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ হচ্ছে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে যমুনা নদীর তীরে।

 

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২৭ হাজার পিলারে দেড় লাখ সোলার প্যানেল উৎপাদন হবে ৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। চরের জমিতে করা যাবে মৌসুমি আবাদও।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে পতিত চরের জমিতে সারিবদ্ধ ও সুউচ্চ ২৭ হাজার পিলার বসানো হয়েছে। আর এসব পিলারের উপর বসানো হয়েছে দেড় লক্ষাধিক সোলার প্যানেল। সোলার প্যানেলের নিচের জমিও সম্পূর্ণ কৃষিবান্ধব। এই জমিতে করা যাবে মৌসুমি ফসলের আবাদ। বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি (বিসিআরইসিএল) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।'

 

প্রকল্প ব্যয় ৮৭ দশমিক ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (চুক্তিকালীন ডলারের বিনিময় হার ১০৫ টাকা হিসাবে প্রায় ৯২১ কোটি টাকা) । যৌথ অর্থায়নে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৫০ শতাংশ মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি। আর বাকি অর্ধেক মালিকানা চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি)

 

চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) এর ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মারুফ হোসেন বলেন, ‘প্রকল্পের ৭৫ ভাগের উপরে কাজ শেষ হয়েছে। আমরা আশাবাদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো। ইতিমধ্যে ২৭ হাজার পিলার স্থাপন করা হয়েছে। পিলারের উপরে সোলার প্যানেল বসানোর কাজও শেষের দিকে। ভবন গুলোর কাজও ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। আমাদের প্লান আছে জুনের প্রথম সপ্তাহে উৎপাদনে যাবো।’

 

বাংলাদেশী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাম এন্টার প্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। দিন রাত শ্রমিকরা কাজ করছেন। কন্ট্রোল বিল্ডিং, অফিসার ডরমিটরি, রেস্টহাউস, নিরাপত্তা ভবনসহ অন্যান্য কাজও শেষ পর্যায়ে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ব্যতিক্রম। কেন্দ্রটিতে উঁচু পিলারের ওপর সোলার প্যানেল বসানোর কারনে নিচে বিভিন্ন মৌসুমি শাকসবজি চাষ করা হবে। এতে বিদ্যুৎ ও উৎপাদন হবে আবার ফসলের চাষাবাদ করা যাবে।'


সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র   বিদ্যুৎ উৎপাদন   জাতীয় গ্রীড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কক্সবাজারে গোসলে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৪:৩৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

কক্সবাজারের রামু উপজেলায় পাহাড়ি ছড়ায় গোস করতে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের চেইন্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এঘটনায় মৃতরা হলো, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার ফজল আহমদের ছেলে আব্দুর শুক্কুর (১২) এবং একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সালাহ উদ্দিন খোকা (১০)

দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চেইন্দা ইউপি সদস্য জাফর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যাওয়া পাহাড়ি ছড়ার বিভিন্নস্থানে সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমেছিল। সকালে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার একটি পাহাড়ি ছড়ায় জমে থাকা পানিতে স্থানীয় কয়েকটি শিশু গোসলে করতে নামে। এক পর্যায়ে শিশু ছড়ার পানিতে ডুবে যায়। পরে ঘটনাস্থলে থাকা অন্য শিশুদের চিৎকারে স্থানীয়রা জনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।

রামু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, দক্ষিণ মিঠাছড়িতে পাহাড়ি ছড়ায় গোসলে নেমে দুই শিশুর মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শিশুদের মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতেই আছে।


কক্সবাজার   রামু   পাহাড়ি ছড়া   শিশু মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলে দুর্নীতি বিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৪:১৯ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

''রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ'' এই স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নাগরপুর এর আয়োজনে নয়ানখান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (৬ মে) এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

 

নাগরপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সুজায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে এ দুর্নীতিবিরোধী এ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা মোঃ গোলাম মাসুম প্রধান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইল মোঃ নুর আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাদির আহম্মদ।

 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদুন নাহার ভূইয়া, সদস্য জাহানারা আক্তার, মোঃ সালাউদ্দিন। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কামরুল হাসান, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নুরুল হুদা। এছাড়াও ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা নাগরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি এস এম আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বাবু।  

উল্লেখ্য, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত রাউন্ডে নয়ানখান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও শহীদ শামছুল হক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিচারকগণ শহীদ শামছুল হক পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়কে ঘোষণা করেন।


বিতর্ক প্রতিযোগিতা   দুর্নীতি বিরোধী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন