‘মা তোমার সন্তানকে রক্ত দিতে নিষেধ করো না’ স্লোগানে ‘নওগাঁ ব্লাড সার্কেল’ এর ষষ্ঠ বর্ষপূতি ও স্বেচ্ছাসেবীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দিনব্যাপী নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রক্তদান সচেতনতায় আলোচনা ও সচেতনায় এক মিলন মেলায় পরিনত হয়। পরে নওগাঁ ব্লাড সার্কেল এর সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন- নওগাঁ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক রেশমা পারভিন, নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইলিয়াস তুহিন রেজা, অ্যাডভোকেট আব্দুল মুয়ীদ, সাংবাদিক আব্বাস আলী, ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোমেনা খাতুন তিতলি, নওগাঁ জেলা শাখা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ লাল সহ অন্যরা।
জানা গেছে- নওগাঁ ব্লাড সার্কেল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ২০১৭ সালে ২ অক্টোবর সৈয়ব আহমেদ সিয়াম এবং আবু ইউসুফ এর হাত ধরে এ সংগঠনের পথচলা শুরু হয়। যেখানে রক্তসংগ্রহ সহ সমাজের বিভিন্ন সেবা ও সচেতনতামুল কর্মকান্ড করে থাকে। মানুষ মানুষের জন্য। মানুষের বিপদে, মানবসমাজের প্রয়োজনে এগিয়ে আসার তাড়নায় সংঘবদ্ধ হয় অনেকেই। নওগাঁ ব্লাড সার্কেল তরুণদের এমনই একটি সামাজিক সংগঠন।
গত ছয় বছরে ৪ হাজার ৭৭৬ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া ব্লাড গ্রুপিং ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেই করা হয়েছে ২৮ টি। থ্যালাসেমিয়া হেল্প সেন্টার থেকে প্রতি মাসে ২২ জন রোগীকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তিনটি ব্যাচে ৬০ জন নিয়ে কুরআন শিক্ষা আসর চালু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুইটি ব্যাচ সম্পূর্ন হয়েছে। একটি চালু রয়েছে। শীতবস্ত্র, ঈদ সামগ্রি ও খাবার বিতরণ, দূর্যোগে ত্রাণ বিতরণ, বৃক্ষরোপণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান সহ জরুরী মুহূর্তে স্বেচ্ছাসেবী সরবরাহ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় নওগাঁর পরীক্ষার্থীদের তথ্য সহায়তা দিয়ে পাশে থাকা হয়।
বৈষিক মহামারিতে জরুরী ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও চারটি সিলিন্ডার ক্রয় করে বিনামূল্যে অক্সিজেন সিলিন্ডার সেবা দিয়েছে এ সংগঠন। ১ হাজার ৫০০ অধিক রক্তদাতার ডাটাবেজ, ৬০০ অধিক নিবন্ধিত সদস্য এবং ৭০ সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক বিকাশে দারুন প্রশংসা কুড়িয়েছে নওগাঁ ব্লাড সার্কেল নামে এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। রক্তদানকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘নওগাঁ ব্লাড সার্কেল’।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।