আজ সেই কলংকিত ১০অক্টোবর। ২০০১সালের এই দিনে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করে ৬০সদস্যের বিশাল মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। আর সেই মন্ত্রিসভায় স্থান পায় স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার ও আলশামসরা।
দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ আর ৩০ লাখ মা- বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি আমাদের স্বাধীনতা। পেয়েছি লাল সবুজ পতাকার স্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাধীনতা অর্জনের তিন দশক পর ২০০১ সালে ১০ অক্টোবর আমাদের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মন্ত্রিসভায় চিহ্নিত রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের অর্ন্তভূক্ত করার মধ্য মহান সংসদ ও সংবিধানকে চরম অবমাননা করা হয়েছিল সেদিন। চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, রাজকারদের গাড়িতে তুলে দেয়া হলো রক্তমূল্যে কেনা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
রাজাকার ও জঙ্গীদের সঙ্গী করেই ২০০১ সালে কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলো বিএনপি। শরিক দল হিসেবে তারা বেছে নিয়েছিলো ’৭১ এর চিহ্নিত দেশবিরোধী শক্তি, রাজাকারদের দল জামায়াতকে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেসকল চিহ্নিত রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বন্দী করে বিচারের আওতায় এনেছিলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই তাদের মুক্ত করেন। পাশাপাশি রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়।জন্মের শুরু থেকেই দেশবিরোধী ও পাকিপ্রেমীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া বিএনপি তাই জামায়াতকে সঙ্গী করেই দেশব্যাপী প্রচারণা চালাতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের জন্য বড় এক আঘাত। যে নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদী আজীবন বাংলাদেশের বিরোধীতা করে এসেছে, পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে এসেছে নির্দ্বিধায়, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে রাঙানো তাদের সেই হাতেই তুলে দেয়া হলো স্বাধীন বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব। শপথ গ্রহণের দিন রাজাকারদের সেই পৈশাচিক হাসি যেন মর্টার শেল হয়ে বিঁধেছিল দেশপ্রেমিক জনতার বুকে। লাখো মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যেরা সেদিন নীরবে অশ্রু ফেলেছেন।
১ অক্টোবর ২০০১ সালে বাংলাদেশের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনের পর গঠিত হয় বিএনপি জামায়াত জোট সরকার। বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর ২৮ জন মন্ত্রী, ২৮ জন প্রতিমন্ত্রী এবং ৪ জন উপমন্ত্রী শপথ নেন।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল বিভীষিকাময় পরিস্থিতির কারণে চিন্হিত হয়ে থাকবে সব সময়। ক্ষমতাসীন দল চাইলে একটি দেশকে কতটা নারকীয় পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে তার নিদর্শন বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের এই শাসননামল।
কলন্কিত ১০অক্টোবর খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নতুন সরকার বাজেট ঘোষণা জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন