ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ বঙ্গবন্ধুর জোলিও কুরি পুরস্কার পাওয়ার দিন

প্রকাশ: ০৯:২৩ এএম, ১০ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশ স্বাধীর হওয়ার পর আজ ১০অক্টোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিতে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানপান শান্তি পদক জোলিও কুরি পুরস্কার। বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় ১৪০টি দেশের প্রায় ২০০ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সবাই একমত হয়েছিলেন, সারা জীবনের দর্শন আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়কত্বের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করার। সে বিবেচনায় বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদকপ্রাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। আর পরের বছর ২৩ মে এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র। সেই অনুষ্ঠানে রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু।’ স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার সেটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ।

বাংলায় এই পদকের নাম ‘জুলিও কুরি’ বলা হলেও এর ফরাসি উচ্চারণ ‘জোলিও ক্যুরি’। ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী জঁ ফ্রেডেরিক জোলিও ক্যুরি ১৯৫৮ সালে মৃত্যুবরণ করলে বিশ্বশান্তি পরিষদ তাদের শান্তি পদকের নাম ১৯৫৯ সাল থেকে রাখে ‘জোলিও ক্যুরি’। ফ্রেডেরিকের মূল নাম ছিল জঁ ফ্রেডেরিক জোলিও। ফ্রেডেরিকের স্ত্রী ইরেন ক্যুরি। তিনিও বিজ্ঞানী। বিয়ের পর ফ্রেডেরিক ও ইরেন উভয়ে উভয়ের পদবি গ্রহণ করেন এবং একজনের নাম হয় জঁ ফ্রেডেরিক জোলিও ক্যুরি এবং অন্যজনের নাম ইরেন জোলিও ক্যুরি। পরে যৌথভাবে তাঁরা নোবেল পুরস্কারও লাভ করেন।

 দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রেডেরিক জোলিও ক্যুরি শুধু বিজ্ঞানী হিসেবেই কাজ করেননি, তিনি গেরিলা বাহিনীতে যোগ দিয়ে এবং তাদের জন্য হাতিয়ার তৈরি করেও অবদান রাখেন। তাঁর অবদানের কারণেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরিসমাপ্তি সহজতর হয়। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য এই যুদ্ধ পরিসমাপ্তি ছিল খুবই জরুরি। তিনি নিজে বিশ্বশান্তি পরিষদের সভাপতিও ছিলেন। বঙ্গবন্ধু এই পদকপ্রাপ্তির আগে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো, ভিয়েতনামের সংগ্রামী নেতা হো চি মিন, চিলির গণ-আন্দোলনের নেতা সালভেদর আলেন্দে, ফিলিস্তিনের জনদরদি নেতা ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ এই পদকপ্রাপ্ত হয়েছেন। মূলত, সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এবং মানবতার ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তাঁরা এই পদকে ভূষিত হয়ে আসছিলেন ১৯৫০ সাল থেকে।


বঙ্গবন্ধু   জোলিও কুরি   পুরস্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ শতভাগ ফেল করা ৪ মাদ্রাসাকে শোকজ

প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

শনিবার (১৮ মে') উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম শামছুল হক এসব মাদ্রাসার সুপারদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

 

নোটিশে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার সুপারকে ২৬ মে দুপুর ২টায় শিক্ষা অফিসে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় তার প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী কেন পাস করেনি তার লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

মাদ্রাসাগুলো হলো, বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা, এলংজানী দাখিল মাদ্রাসা, হাজী আহমেদ আলী দাখিল মাদ্রাসা ও বড় কোয়ালিবেড় দাখিল মাদ্রাসা।

 

এ বছর বগুড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৫ জন, এলংজানী মাদ্রাসা থেকে ১২ জন, হাজী আহমেদ আলী মাদ্রাসা থেকে ১৪ জন এবং বড় কোয়ালিবেড় মাদ্রাসা থেকে ১২ জন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু এদের কেউই পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি।

 

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম শামছুল হক জানান, উল্লিখিত মাদ্রাসার সুপারগণ সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

এদিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া মাদ্রাসার সুপারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাদের মাদ্রাসার অবস্থান। এসব এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক চেষ্টা করেও শ্রেণিকক্ষে আনা যায় না। অনেক শিক্ষার্থীই মাদ্রাসায় আসে না। লেখাপড়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের কোনো আগ্রহ নেই। ফলে পরীক্ষার ফলাফলে এমন বিপর্যয় হয়েছে।'


মাদ্রাসা   শতভাগ ফেল   এসএসসি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সৌদিতে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:১৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবে হজ করতে যাওয়া আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। শনিবারে মৃত্যুবরণ করা ওই হজযাত্রীর নাম- মো. মোস্তফা, বয়স ৮৯ বছর। 

রোববার (১৯ মে) হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী মারা যান। গত ১৫ মে মদিনায় তার মৃত্যু হয়। এটি এবার হজে যাওয়া প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু। আসাদুজ্জামানের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামে।

হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত সৌদি আরব পৌঁছেছেন ২৮ হাজার ৭৬০ জন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৩ হাজার ৭৪৭ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ২৫ হাজার ১৩ জন। মোট ৭২টি ফ্লাইটে তারা সৌদি আরব পৌঁছান। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান ২৮টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ২৬টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।


সৌদি আরব   বাংলাদেশ   হজযাত্রী   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ

প্রকাশ: ০১:০৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত পুর্বিবেচনার করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক।

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ডিএমটিসিএল আয়োজিত ঢাকা মেট্রোরেলের ব্রান্ডিং সেমিনারে তিনি কথা বলেন। এর আগে জুলাই থেকে মেট্রোরেলে ভাড়ার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেই এনবিআর।

এম এন সিদ্দিক বলেন, ‘এর আগে মেট্রো রেলে ভ্যাট বসানো হয়েছিল। তখন তা জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। এখন সেটা আবার জুলাই থেকে কার্যকরের কথা বলা হচ্ছে। যদি ভ্যাট দিতে হয় তাহলে এটি যাত্রীর দিতে হবে। তাই এটি রিভিউ করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেল চালু করার পর থেকে পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম তিনবার বেড়েছে। কিন্তু মেট্রো রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। এখন ভ্যাট যুক্ত হলে ভ্যাটের টাকা যাত্রীদের দিতে হবে, মেট্রোরেলের পক্ষে সেটি বহন করা সম্ভব না। ফলে মেট্রোরেলের ভাড়ার পরিমাণ বেড়ে যাবে।

সেমিনার উপস্থিত ছিলেন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগের সচিব বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ঢাকা উওর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি প্রমুখ।


মেট্রোরেল   ভ্যাট   পুর্নবিবেচনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শিল্পখাতকে পরিবেশবান্ধব করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের শিল্পখাতকে পরিবেশবান্ধব করতে চাই। শিল্পখাত একান্তভাবে পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত। যারা যেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন, যেন শিল্পের বর্জ্য নদীতে না পড়ে। আমাদের পানি যেন কোনোরকম দূষিত না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশ ভৌগোলিক সীমারেখায় অত্যন্ত ছোট, কিন্তু জনসংখ্যার দিক থেকে বড়। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের পরিবেশ এবং সবকিছু পরিকল্পিতভাবে হওয়া উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া উচিত। শিল্প আমাদের গড়ে তুলতে হবে। শিল্প বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অবশ্যই সকলকে করতে হবে। সামান্য একটু কেমিক্যালের পয়সা বাঁচাতে গিয়ে দেশের সর্বনাশ এবং নিজের সর্বনাশ করবেন না।

রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ শিল্প বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক . মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ 


শিল্পখাত   পরিবেশবান্ধব   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নওগাঁয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ক্রয়-বিক্রয়ের মহোৎসব!

প্রকাশ: ১২:৪৪ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারি বাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের ডাকাহার চৌধুরী পুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লিখিত অভিযোগ করেন কালিগ্রাম মুনসিপুর গ্রামের মৃত তহির উদ্দীন মোল্লার ছেলে রফিকুল ইসলাম।

বিগত ২০২১-২২ অর্থ বছরে জেলার রানীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের ডাকাহার চৌধুরী পুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে কয়েক দফায় ৫৯ টি ঘর নির্মাণ করেন উপজেলা প্রশাসন। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘর ভূমি গৃহহীনদের মুজিব বর্ষের উপহার হিসেবে নির্মাণ করলেও এই প্রকল্পের অধিকাংশ ঘরই অনৈতিকভাবে বরাদ্দ পেয়েছেন যাদের জমি বাড়ি আছে সেই সব ব্যক্তিরা। বরাদ্দ প্রাপ্তদের নিজের জমি বাড়ি থাকায় সেখানে বসবাস না করে উদ্বোধনের কিছুদিন পর হতে শুরু হয় ঘর ক্রয়-বিক্রয়। এই ক্রয়-বিক্রয়ে অনেকে যারা বৈধ উপায়ে ঘর পায়নি তারা নিরুপায় হয়ে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ঘর ক্রয় করে বসবাস করছে। আবার অনেকে অল্প দামে ঘর কিনে রাখছে বেশী দামে বিক্রয়ের আশায়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ন প্রকল্পে নং ঘর বিক্রয় করেন মোঃ বেনো হোসেন, ক্রয় করেন আজিজার। ৩৫ নং ঘর মোঃ ফেকরুল ডাকাহার গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে ইউনুছ আলীর কাছে বিক্রয় করেন এবং একই ঘর ইউনুছ আলী আবারও বিক্রয় করেন দুলালের নিকট। ৩৭ নং ঘর আলম বিক্রয় করেন শরিফুলের কাছে।

ডাকাহার গ্রামের ছলিম উদ্দীনের নিজস্ব জমি থাকার পরও বাপ-ছেলে ২টি ঘর বরাদ্দ পেয়েছে, এছাড়াও তারা ২টি ঘর বিক্রয়ের জন্য ক্রয় করে রেখেছে। রহমান কবিরাজ ওই গ্রামের মধ্যে তার ছাঁদ দেওয়া পাঁকা বাড়ি আছে, তবু ২টি ঘর কিনে রেখেছে।

আশ্রয়নের সহ-সভাপতি ডাবওয়ালা হাচিন আলীর গ্রামের মধ্যে জমি বাড়ি থাকার পরও তার মা হাসিনা বেগমের নামে ১টি ঘর, নিজের নামে ১টি ঘর স্ত্রীর নামে ১টি ঘর সহ মোট ৩টি ঘর বরাদ্দ নিয়ে রেখেছেন। মায়ের ঘর বিক্রির জন্য আগ্রহী ক্রেতাদের নিকট দামাদামী চলছে।

এই আশ্রয়নের সকল ঘর বিক্রয়ের মূল হোতা হাচিন আলী বলে জানান স্থানীয়রা। এই প্রকল্পে ৫৯টি ঘরের মধ্যে ২০টি ঘর ব্যাতিত সকলই ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এতে বঙ্গবন্ধু কন্যার মুজিব বর্ষের মূল উদ্দেশ্য চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তারা।

অভিযোগকারী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি ঘর ভূমিহীনরা পায় না। যাদের ঘর আছে তারা পায়, তাই প্রশাসনের কাছে আমার দাবী সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত ভূমিহীনদের ঘর গুলো দেওয়া হউক।’

উপকারভোগী নারগিস এর থেকে ৩০ নং বাড়ি ক্রয় করেন আশরাফুল, যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কোন বাড়ি পাইনি তবে নারগিস আমাকে বসবাসের জন্য বাড়িটি থাকতে দিয়েছে।’ ক্রয় করেছেন কিনা প্রশ্নে বলেন, ‘কাগজ করে নিয়েছি তবে কোন টাকা দেয়নি।’

অসহায় ভূমিহীন সেফালী বেগম বলেন, ‘মারা গেলে মাটি দেওয়ার মত জায়গাও আমার নেই, ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলাম, ধরার কোন লোক নেই, তাই সরকারি ঘর আমাকে দেওয়া হয়নি।’

ব্যাপারে একডালা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল আলীম (আপেল) জানান, ‘মুজিব বর্ষের ঘর গুলো নিয়ে আমি সহ চেয়ারম্যান সাহেব অনেক চেষ্টা করেও বিক্রয় করা থেকে আটকানো যাচ্ছে না। তাই প্রশাসনের কাছে আমার দাবী তদন্ত করে প্রকৃত ভূমিহীনদের ঘর গুলো দেওয়া হউক।’

একডালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান আলী বলেন, ‘মুজিব বর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহার ভূমিহীনদের ঘরগুলো বিক্রয় হচ্ছে। আমি আইনশৃংখলা মাসিক মিটিংএ এবিষয়ে একাধিক বার বলার পরও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ তদন্তের দাবী করছি। এই আশ্রয়নের কমিটির কয়েকজন নেতা এর সঙ্গে জড়িত।’

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুম জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছি ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’


আশ্রয়ণ প্রকল্প   ঘর বিক্রি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন