ইনসাইড বাংলাদেশ

আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্ডারওয়ার্ল্ড

প্রকাশ: ০৯:৪২ এএম, ১২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্ডারওয়ার্ল্ড। রাজনীতির মাঠ অস্থির করতে আগ্নেয়াস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে পেশাদার সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা। কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নড়াচড়া শুরু হয়েছে অপরাধজগতে। বিদেশে বসে কলকাঠি নাড়ছে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। টপ টেররদের অনেকেই বেশির ভাগ মামলায় জামিন নিয়েছে। ইতোমধ্যেই তাদের কয়েকজন সহযোগী জামিনে বের হয়েছে। বিদেশ থেকেও দেশে আসতে শুরু করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

সূত্র জানায়, ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর ১৩ জন দেশের বাইরে এবং ছয়জন কারাগারে অবস্থান করে মাঠ পর্যায়ে সহযোগীদের নানা দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। তাদের মধ্যে আছে পিচ্চি হেলাল, টিটন, ফ্রিডম সোহেল ও কিলার আব্বাস। খোরশেদ আলম ওরফে রাশু ২১ সেপ্টেম্বর জেল থেকে ছাড়া পেলেও ২৭ সেপ্টেম্বর ফের অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মশিউর রহমান কচি, সুব্রত বাইন, আমিন রসুল সাগর, ইমাম হোসেন, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, মোল্লা মাসুদ, শামীম আহমেদ, হারিস আহমেদ, তানভিরুল ইসলাম জয়, জাব্বার মুন্না, জাফর আহমেদ, জিসান, কামরুল হাসান হান্নান ওরফে ছোট হান্নান দেশের বাইরে অবস্থান করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে সহযোগীদের উদ্বুদ্ধ করছেন।

২০০৩ সালে মালিবাগের একটি হোটেলে ডিবি পুলিশের দুই সদস্যকে হত্যা করে জিসান বাহিনী। এরপর দুবাইয়ে আত্মগোপনে যায় জিসান। সেখান থেকেই সে এখন বেশ তৎপর। সুইডেন আসলাম ২৭ বছর ধরে আছেন কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে। ১৭ মামলার একটি ছাড়া বাকিগুলোয় জামিন পেয়েছেন তিনি। ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল প্রায় ২০ বছর ধরে কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে ডজনখানেক মামলা থাকলেও বেশির ভাগ মামলায় জামিন পেয়েছেন। মিরপুর ও কাফরুল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস ২২ বছর ধরে কারাগারে আটক আছেন। তার বিরুদ্ধে থাকা ১১টি মামলার ১০টিতেই জামিন পেয়েছেন। শীর্ষ পর্যায়ের সন্ত্রাসী ঈদুল প্রায় ১৫ বছর ধরে কাশিমপুর কারাগারে। তার বিরুদ্ধে আটটি মামলা থাকলেও দুটি ছাড়া সবকটিতে জামিন পেয়েছেন। ফ্রিডম সোহেলের বিরুদ্ধে থাকা ১১টি মামলার মধ্যে ৯টিতেই জামিন হয়েছে। সন্ত্রাসী লম্বু সেলিম একটি মামলা ছাড়া সবকটিতেই জামিনে আছেন।

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে পেশাদার অপরাধীরা যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র প্রবেশ করাচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডেও অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে অস্ত্র পাঠাচ্ছে ভারতে পলাতকরা। অত্যাধুনিক ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সারা দেশে। কতিপয় রাজনীতিবিদ ও ছাত্রসংগঠনের নেতাদের হাতেও পৌঁছে গেছে এই অস্ত্র। এমনকি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের কাছে চলে যাচ্ছে অবৈধ অস্ত্র। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে অর্ধশতাধিক পিস্তল উদ্ধার করেছে। গত অক্টোবর টেকনাফের উনচিপ্রাং ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তিনটি ওয়ান শুটারগান ও ১৪৬ রাউন্ড গুলিসহ তিন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে এপিবিএন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশপরগনা জেলার মিসিমপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অস্ত্র পাচার চেষ্টার সময় ১৭ সেপ্টেম্বর এক চোরাকারবারিকে পিস্তল, গুলিসহ গ্রেফতার করে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ২৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফের একটি বসতঘর থেকে তিনটি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল, একটি বিদেশি পিস্তল, ১৪১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, তিনটি ম্যাগাজিনসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ২৩ সেপ্টেম্বর যশোরের সীমান্তবর্তী শার্শা বাগআঁচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, তিনটি রিভলবার, ম্যাগাজিন, ১৯ রাউন্ড গুলিসহ এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। গত মাসে পাহাড়ি অঞ্চল মৌলভীবাজারের কুলাউরায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ ‘ইমাম মাহদুদের কাফেলা’ নামক জঙ্গি সংগঠনের ১০ জনকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। ৭ অক্টোবর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি বিদেশি পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলিসহ আনসার আল ইসলামের নায়েবে আমিরসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকা থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে বাড্ডা থানা পুলিশ।

গোপীবাগ-মতিঝিলের আতঙ্ক হিসাবে পরিচিত নাসির উদ্দিন ২৩ বছর পর ইতালি থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছে। আন্ডারগ্রাউন্ড সন্ত্রাসীদের কাছে সে ‘গোপীবাগের বস’ হিসাবে পরিচিত। খিলগাঁও এলাকায় নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রকাশ ও বিকাশ দায়িত্ব দিয়েছেন বোঁচা সাইফুলকে। ধলপুর, সায়েদাবাদ, গোলাপবাগ এলাকায় ভয়ংকর হয়ে উঠছে সজীব আহমেদ নামের এক নব্য সন্ত্রাসী।

সম্প্রতি শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সেকেন্ড ইন কমান্ড তারেক সাঈদ মামুন জামিন পান। এরপর আন্ডারওয়ার্ল্ডে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দেয়। এরই জেরে ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে তেজগাঁও শিল্প এলাকার বিজি প্রেসের সামনের রাস্তায় তার প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হয়। এতে ভুবন চন্দ্র শীল নামে একজন আইনজীবী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

র‌্যাব জানায়, ফোর মার্ডার মামলায় সাড়ে তিন বছর কারাগারে থাকার পর গত জুনে জামিনে মুক্তি পায় সিরিয়াল কিলার সাগর আলী। এর তিন মাস পর ৩০ সেপ্টেম্বর আশুলিয়ায় একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা করে সে। র‌্যাবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কারাগারে থাকা অবস্থায় প্রভাবশালী এক ব্যক্তির সঙ্গে সাগরের পরিচয় হয়। ওই ব্যক্তি তার এক প্রতিপক্ষকে খুনের প্রস্তাব দেন সাগরকে। এই শর্তে রাজি হওয়ার পর সাগরের জামিনে সহায়তা করেন ওই ব্যক্তি।

আন্ডারওয়ার্ল্ডের তৎপরতা এবং অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, যেসব সন্ত্রাসী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা চালাবে, তাদের সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। নির্বাচন সামনে রেখে উগ্রবাদীদের বিভিন্ন গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠলে তাদেরও প্রতিহত করা হবে বলে তিনি জানান।

র‌্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, কিছু ব্যক্তি বা মহল মনে করে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের জনসমর্থনের পাশাপাশি পেশিশক্তির প্রয়োজন আছে। তারা সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অস্ত্রের ব্যবহারের চেষ্টা করে থাকতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছেন। নির্বাচনের আগে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জামিনের বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব পরিচালক বলেন, সম্প্রতি যারা জামিন পেয়েছেন, তাদের ওপরও আমাদের নজরদারি আছে।

 


সক্রিয়   আন্ডারওয়ার্ল্ড   রাজনীতির মাঠ   অস্থির   পিস্তল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কত দিনে

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গত ১৭ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে যে সহিংসতা এবং তাণ্ডব চলে তার প্রেক্ষিতে সরকারকে সরকারকে বেশ কিছু কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সারাদেশে সেনা মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কয়েক দিনের জন্য মোবাইলের ফোর জি সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।  ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল চার দিন।  সবকিছু মিলিয়ে সরকারকে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।

বেশ কিছু শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে এই সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। আস্তে আস্তে জনজীবনে এখন স্বস্থি ফিরে আসতে শুরু করেছে।  গত সপ্তাহ থেকে যে কারফিউ ছিল তা ধাপে ধাপে কমিয়ে ফেলা হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এবং আজ ভোর ৬ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। কারফিউ কতদিন থাকবে এবং জনজীবন কত দিনে স্বাভাবিক হয়ে ফিরে আসবে- এটি এখন মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।  এই সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আমাদের শিক্ষা খাত। ‍বিশেষ করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার মাঝপথে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।  যারা এইচএসসি পাস করেছিল তাদের কলেজে ভর্তি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার ফলে সেশনজটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।  সবকিছু মিলিয়ে শিক্ষাঙ্গনে একটা জটিল পরিসিস্থির তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত ক্লাসে ফিরে যেতে চায়।

এই সংকটে অর্থনীতিও বড় ধাক্কা খেয়েছে।  এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ ৭৭ হাজার কোটি টাকা বলে মনে করছেন  অর্থনীতিবিদরা। এই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেওয়া হবে সেটিও এখন একটি বড় প্রশ্ন এবং এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য অর্থনীতিতে যে গতি আনা যাবে তা আনতে হবে।  সেই বাস্তবতা বাংলাদেশের আছে কিনা তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

সবকিছু মিলিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলে মনে করছেন  যে ক্ষয়ক্ষতি এবং বিভীষিকা হয়েছে সেখান থেকে ঘুড়ে দাঁড়াতে হলে বাংলাদেশকে দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে হবে।  স্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পুনরায় জীবনযাত্রা শুরু করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে  সবকিছুর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কবে এবং কীভাবে স্বাভাবিক হবে? এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয় নি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে।  কিন্তু কবে এবং কিভাবে সেই সম্পর্কে তিনি কিছু বলেন নি। বিভিন্ন সূত্র থেকে বর্তমানে জানা যাচ্ছে যে সহিংসতা এবং তাণ্ডব হয়েছিল  তাদের মূল হোতা এবং তাণ্ডবকারীদের অনেকে এখনও ‘গা ঢাকা’ দিয়ে আছে। সরকার গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছে।  এখনও শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের একাংশ দাবি করছে , তারা চার দফা, আট দফা  ইত্যাদি না মানা হলে আবার আন্দোলন করবে।  কাজেই এই পরিস্থিতি সরকারকে সামাল দিতে হবে।  যারা এই নাশকতা এবং সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।  পাশাপাশি যে সমস্ত ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেই সমস্ত ঘটনাগুলোর নির্মোহ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন।  এই তদন্ত নিশ্চিত করার পর পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হবে বলে  অনেকে মনে করছেন।


পরিস্থিতি   স্বাভাবিক   হবে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আল জাজিরাকে যা বললেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:৫৩ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। 

সাক্ষাতকারে মোহাম্মদ আরাফাত বলেছেন, চরমপন্থি ও সন্ত্রাসীসহ তৃতীয়পক্ষ বিক্ষোভে উসকানি দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা ছাত্রদের সন্ত্রাসী বা অরাজকতা সৃষ্টিকারী বলছি না। তৃতীয় পক্ষ যারা এই আন্দোলনে ঢুকে এ সব কিছু শুরু করেছে।’

আরাফাত আরও বলেন, ‘আমরা উত্তেজনা কমানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু লোক আগুনে ঘি ঢালার চেষ্টা করছে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে যাতে তারা ফায়দা লুটতে পারে এবং সরকার পতন ঘটাতে পারে।’

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা সরকার এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি। তিনি বলেন, নিহত, হতাহত ও আহতের ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ জনগণ, পুলিশ, বিক্ষোভকারী বা সরকারের সমর্থকদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করতে চাই না।

তথ্যমন্ত্রী জানান, একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিটি পুরো ঘটনা তদন্ত করবে। যাতে এই ঘটনায় যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনা যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আরাফাত বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) শুধু জনগণকে রক্ষা করছেন।’ 

কোটা আন্দোলন   আল জাজিরা   তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ এ আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদেশে কারা, কেন বিক্ষোভ করেছেন জানতে চিঠি দিল সরকার

প্রকাশ: ১২:৪১ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারা, কেন এসব বিক্ষোভ করেছেন তা জানতে বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে চিঠি দিয়েছে সরকার। 

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘কোথাও কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে, এমন খবর আমরা জেনেছি। তাই বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোয় চিঠি পাঠিয়েছি। আমরা জানতে চেয়েছি কারা, কী বিষয়ে বিক্ষোভ করছে। এ নিয়ে মিশনগুলো যে দেশে কাজ করে, সেখানকার সরকারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের জানাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এত দিন আমরা আমাদের মিশনগুলোর মাধ্যমে এখানকার পরিস্থিতি তাদের অবহিত করেছি যাতে তারা তাদের দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত গুজব ও অসত্য তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়। এবার আমরা তাদের সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।’

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাধ্যমেও পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন এসেছে। সে প্রতিবেদনের পাল্টা হিসেবে আমাদের বক্তব্য যাতে তুলে ধরে, সেটি চিঠিতে বলা হয়েছে।’

কোটা আন্দোলন   বিক্ষোভ   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভাইরাল হওয়া নিজের ছবি নিয়ে কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস

প্রকাশ: ১২:৩১ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমের কয়েকটি ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ সমস্ত ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। তবে এ সব নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন সারজিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সারজিস বলেছেন, আপনারা যারা কিছু না জেনে ২-৩টা ছবি দেখে মন মতো অনেক কিছু বলে ফেলছেন, আপনাদের সাথে ক্ষমতাসীন দলের অন্ধ ভক্তদের কোনো পার্থক্য নেই। ক্ষমতায় আসলে আপনিও তাদের মতো হবেন তাতে সন্দেহ নেই। বরং নিজের বিবেকবোধকে কাজে লাগান, দলান্ধ না হয়ে ব্যক্তিত্ব আর কাজ দিয়ে যাচাই করুন।




কোটা আন্দোলন   সারজিস আলম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক আটক

প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ও জিজ্ঞাসাবাদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তারা এখন ডিবি কার্যালয়ে আছেন।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ এবং আবু বাকের মজুমদারকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন   কোটা আন্দোলন   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   ডিবি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন