ইনসাইড বাংলাদেশ

আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্ডারওয়ার্ল্ড

প্রকাশ: ০৯:৪২ এএম, ১২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে আন্ডারওয়ার্ল্ড। রাজনীতির মাঠ অস্থির করতে আগ্নেয়াস্ত্রের মজুত বাড়াচ্ছে পেশাদার সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা। কারাবন্দি শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নড়াচড়া শুরু হয়েছে অপরাধজগতে। বিদেশে বসে কলকাঠি নাড়ছে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। টপ টেররদের অনেকেই বেশির ভাগ মামলায় জামিন নিয়েছে। ইতোমধ্যেই তাদের কয়েকজন সহযোগী জামিনে বের হয়েছে। বিদেশ থেকেও দেশে আসতে শুরু করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

সূত্র জানায়, ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর ১৩ জন দেশের বাইরে এবং ছয়জন কারাগারে অবস্থান করে মাঠ পর্যায়ে সহযোগীদের নানা দিকনির্দেশনা দিচ্ছে। তাদের মধ্যে আছে পিচ্চি হেলাল, টিটন, ফ্রিডম সোহেল ও কিলার আব্বাস। খোরশেদ আলম ওরফে রাশু ২১ সেপ্টেম্বর জেল থেকে ছাড়া পেলেও ২৭ সেপ্টেম্বর ফের অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মশিউর রহমান কচি, সুব্রত বাইন, আমিন রসুল সাগর, ইমাম হোসেন, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, মোল্লা মাসুদ, শামীম আহমেদ, হারিস আহমেদ, তানভিরুল ইসলাম জয়, জাব্বার মুন্না, জাফর আহমেদ, জিসান, কামরুল হাসান হান্নান ওরফে ছোট হান্নান দেশের বাইরে অবস্থান করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে সহযোগীদের উদ্বুদ্ধ করছেন।

২০০৩ সালে মালিবাগের একটি হোটেলে ডিবি পুলিশের দুই সদস্যকে হত্যা করে জিসান বাহিনী। এরপর দুবাইয়ে আত্মগোপনে যায় জিসান। সেখান থেকেই সে এখন বেশ তৎপর। সুইডেন আসলাম ২৭ বছর ধরে আছেন কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে। ১৭ মামলার একটি ছাড়া বাকিগুলোয় জামিন পেয়েছেন তিনি। ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল প্রায় ২০ বছর ধরে কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে ডজনখানেক মামলা থাকলেও বেশির ভাগ মামলায় জামিন পেয়েছেন। মিরপুর ও কাফরুল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাস ২২ বছর ধরে কারাগারে আটক আছেন। তার বিরুদ্ধে থাকা ১১টি মামলার ১০টিতেই জামিন পেয়েছেন। শীর্ষ পর্যায়ের সন্ত্রাসী ঈদুল প্রায় ১৫ বছর ধরে কাশিমপুর কারাগারে। তার বিরুদ্ধে আটটি মামলা থাকলেও দুটি ছাড়া সবকটিতে জামিন পেয়েছেন। ফ্রিডম সোহেলের বিরুদ্ধে থাকা ১১টি মামলার মধ্যে ৯টিতেই জামিন হয়েছে। সন্ত্রাসী লম্বু সেলিম একটি মামলা ছাড়া সবকটিতেই জামিনে আছেন।

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে পেশাদার অপরাধীরা যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র প্রবেশ করাচ্ছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ডেও অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে অস্ত্র পাঠাচ্ছে ভারতে পলাতকরা। অত্যাধুনিক ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সারা দেশে। কতিপয় রাজনীতিবিদ ও ছাত্রসংগঠনের নেতাদের হাতেও পৌঁছে গেছে এই অস্ত্র। এমনকি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের কাছে চলে যাচ্ছে অবৈধ অস্ত্র। জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে অর্ধশতাধিক পিস্তল উদ্ধার করেছে। গত অক্টোবর টেকনাফের উনচিপ্রাং ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তিনটি ওয়ান শুটারগান ও ১৪৬ রাউন্ড গুলিসহ তিন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে এপিবিএন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশপরগনা জেলার মিসিমপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অস্ত্র পাচার চেষ্টার সময় ১৭ সেপ্টেম্বর এক চোরাকারবারিকে পিস্তল, গুলিসহ গ্রেফতার করে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। ২৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফের একটি বসতঘর থেকে তিনটি বিদেশি নাইন এমএম পিস্তল, একটি বিদেশি পিস্তল, ১৪১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, তিনটি ম্যাগাজিনসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ২৩ সেপ্টেম্বর যশোরের সীমান্তবর্তী শার্শা বাগআঁচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, তিনটি রিভলবার, ম্যাগাজিন, ১৯ রাউন্ড গুলিসহ এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। গত মাসে পাহাড়ি অঞ্চল মৌলভীবাজারের কুলাউরায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদসহ ‘ইমাম মাহদুদের কাফেলা’ নামক জঙ্গি সংগঠনের ১০ জনকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। ৭ অক্টোবর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুটি বিদেশি পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলিসহ আনসার আল ইসলামের নায়েবে আমিরসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি। ২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকা থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে বাড্ডা থানা পুলিশ।

গোপীবাগ-মতিঝিলের আতঙ্ক হিসাবে পরিচিত নাসির উদ্দিন ২৩ বছর পর ইতালি থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছে। আন্ডারগ্রাউন্ড সন্ত্রাসীদের কাছে সে ‘গোপীবাগের বস’ হিসাবে পরিচিত। খিলগাঁও এলাকায় নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রকাশ ও বিকাশ দায়িত্ব দিয়েছেন বোঁচা সাইফুলকে। ধলপুর, সায়েদাবাদ, গোলাপবাগ এলাকায় ভয়ংকর হয়ে উঠছে সজীব আহমেদ নামের এক নব্য সন্ত্রাসী।

সম্প্রতি শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সেকেন্ড ইন কমান্ড তারেক সাঈদ মামুন জামিন পান। এরপর আন্ডারওয়ার্ল্ডে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দেয়। এরই জেরে ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে তেজগাঁও শিল্প এলাকার বিজি প্রেসের সামনের রাস্তায় তার প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হয়। এতে ভুবন চন্দ্র শীল নামে একজন আইনজীবী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

র‌্যাব জানায়, ফোর মার্ডার মামলায় সাড়ে তিন বছর কারাগারে থাকার পর গত জুনে জামিনে মুক্তি পায় সিরিয়াল কিলার সাগর আলী। এর তিন মাস পর ৩০ সেপ্টেম্বর আশুলিয়ায় একই পরিবারের তিনজনকে হত্যা করে সে। র‌্যাবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কারাগারে থাকা অবস্থায় প্রভাবশালী এক ব্যক্তির সঙ্গে সাগরের পরিচয় হয়। ওই ব্যক্তি তার এক প্রতিপক্ষকে খুনের প্রস্তাব দেন সাগরকে। এই শর্তে রাজি হওয়ার পর সাগরের জামিনে সহায়তা করেন ওই ব্যক্তি।

আন্ডারওয়ার্ল্ডের তৎপরতা এবং অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানির বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, যেসব সন্ত্রাসী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা চালাবে, তাদের সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। নির্বাচন সামনে রেখে উগ্রবাদীদের বিভিন্ন গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠলে তাদেরও প্রতিহত করা হবে বলে তিনি জানান।

র‌্যাব লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, কিছু ব্যক্তি বা মহল মনে করে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের জনসমর্থনের পাশাপাশি পেশিশক্তির প্রয়োজন আছে। তারা সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে অস্ত্রের ব্যবহারের চেষ্টা করে থাকতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছেন। নির্বাচনের আগে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের জামিনের বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাব পরিচালক বলেন, সম্প্রতি যারা জামিন পেয়েছেন, তাদের ওপরও আমাদের নজরদারি আছে।

 


সক্রিয়   আন্ডারওয়ার্ল্ড   রাজনীতির মাঠ   অস্থির   পিস্তল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের দুই জেলায় ভূমিকম্প

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে।

ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ক্লাস চলার সময় ছিঁড়ে পড়ল সিলিং ফ্যান, শিক্ষার্থী জখম

প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুর পৌর শহরের একটি বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে সিলিং ফ্যান পড়ে সুমাইয়া আক্তার মীম নামের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পৌর শহরের রশিদপুর এলাকার ইজ্জাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সুমাইয়া আক্তার মীমকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

আহত মীম পৌরসভার বগাবাইদ গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। আহত সুমাইয়া আক্তার মীম সেই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। 

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, সকাল ১০টা থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। দশম শ্রেণির ক্লাসরুমে তৃতীয় ঘণ্টার ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে দ্বিতীয় তলার শ্রেণি কক্ষের একটি ফ্যান ভেঙে সুমাইয়ার ওপর পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থী মুখের ওপরের ঠোঁট কেটে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। গত বছরও ওই বিদ্যালয়ে ফ্যান পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল বলে জানান তারা।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে গেলে ছবি ও ভিডিও নিতে বাধা প্রদান করে বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। আর এ বিষয়ে কোনো বক্তব্যও দিতে চাননি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুজ্জামান। এ সময় তিনি শুধু বলেন, বক্তব্য কী দেব বলেন, ফ্যান পড়ে গেছে এই আর কি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হালিমা খাতুন বলেন, আমি বিষয়টি অবগত না। তবে খবর নিচ্ছি। জেলার সাতটি উপজেলায় সব স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

জামালপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোমবার ৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান তাপদাহের কারণে দেশের পাঁচ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল (সোমবার) বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল (২৯ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে।

তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের স্কুল-কলেজ-মাদরাসা খোলা রাখতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়া পরবর্তী সময়ে এ পাঁচ জেলায় কিংবা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, এমন অন্যান্য জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত সোমবার জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপদাহ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও বড় হচ্ছে মন্ত্রিসভা

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুই দফায় ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা আরও বড় হতে পারে বলে সরকারের ভেতরে গুঞ্জন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর বাজেট অধিবেশনের আগেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে আসতে পারে বলে সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এই মন্ত্রিসভা অপূর্ণ ছিল, সেটি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর ১ মার্চ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়। তবে সে দফায় কোন পূর্ণমন্ত্রী দেওয়া হয়নি। বরং ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ২০১৮ সালেও মন্ত্রিসভা ছিল ৪৭ সদস্যের। এবারের মন্ত্রিসভা আওয়ামী লীগের গত তিন বারের মন্ত্রিসভায় চেয়ে আকারে সবচেয়ে ছোট। আর এই কারণেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি বিভিন্নভাবে আলোচিত হয়।  

সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা আরও বড় করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এছাড়া মন্ত্রিসভায় কয়েকটি দপ্তর পরিবর্তনের বিষয়টিও এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া, পানি সম্পদ মন্ত্রণালেয়ও পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়ার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। 

এ ছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার পরিবর্তে অন্য কোন অর্থনীতিবিদ বা অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিজিএমইএ-এর অনুরোধ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সামনের দিনগুলোতে শ্রম আইন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষি করতে হতে পারে এই বিবেচনা থেকে বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে সরকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। যিনি আইনে দক্ষ বিশেষ করে শ্রম আইনে দক্ষ কাউকে যেন এই মন্ত্রণালেয়র দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার সদস্যদের ইতোমধ্যে ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে গত ২১ এপ্রিল। এর মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের ভালো-মন্দ নানান রকম হিসেব নিকেশ প্রধানমন্ত্রী করেছেন। তবে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরকে এখনই বিচার করার সময় হয়নি বলেই সরকারের নীতি নির্ধারক মহল মনে করছেন। তবে টানা দুই থেকে তিনবার যারা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে দু’একজনকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে। এদের মধ্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এদের মধ্যে এক বা একাধিক জনকে পূণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, জুনাইদ আহমেদ পলক ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগের 'গুড বুকে' চলে গেছেন। বিশেষ করে তার শ্যালককে তিনি প্রার্থী থেকে প্রত্যাহার করার ফলে তিনি সরকারের আরও বেশি আস্থাভাজন এবং প্রিয়ভাজনে পরিণত হয়েছেন। তবে মন্ত্রিসভার রদবদল কখন, কীভাবে হবে এবং কতজন নতুন মন্ত্রী হবেন এ বিষয় সম্পর্কে কেউই কিছু বলতে পারেননি। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, এটি একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যখন বিবেচনা করবেন তখনই তিনি এই রদবদল করবেন।

মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতে মোদি হারলে বাংলাদেশে কী হবে?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।

প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।

ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।

এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।

বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।

এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।

অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   মল্লিকার্জুন খাড়গে   নরেন্দ্র মোদি   বাংলাদেশ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন