লক্ষ্মীপুরে হাঁটতে বের হয়ে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন শেফালি বেগম (৪৩) নামে এক গৃহবধূ। রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর আগে বুধবার (১০ অক্টোবর) ভোরে লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রামে হাঁটতে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা ও সদর
মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসময় তারা শেফালির পরিবারের লোক-জনের সাথে কথা বলেন।
নিখোঁজ শেফালি লাহারকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদখালী
গ্রামের নাজিম উদ্দিন সর্দার বাড়ির মফিজুল ইসলামের স্ত্রী
শেফালির স্বামী মফিজুল ইসলাম ও মেয়ে তানিয়া আক্তার জানান, শেফালি
ডায়াবেটিসের রোগী। প্রতিদিন ভোরে তিনি নামাজ পড়ে হাঁটতে বের হতেন। বুধবার ভোরেও
তিনি নামাজের পর হাঁটতে যান। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। একইদিন রাতে সদর মডেল
থানায় মফিজুল ইসলাম একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন।
তানিয়া আক্তার বলেন, আমার মাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। গত ৫
দিন ধরে তিনি বাড়ি ফেরেননি।
শেফালির ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, শেফালিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না
শুনে আমি এসেছি। অনেকদিন হয়েছে আমাদের বাড়ি যায়নি। কারো সঙ্গে
দ্বন্দ্ব ছিল তাও শুনিনি।
শেফালির স্বামী মফিজুল ইসলাম বলেন শেফালির খোজে বিভিন্ন স্থানে
মাইকিং করে ও খুঁজে পাইনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা বলেন, শেফালি নামে একজন নারী নিখোঁজ রয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।