ইনসাইড বাংলাদেশ

‘হুমকিতে’ সেন্টমার্টিন, আইন অমান্য করে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ভবন


Thumbnail

দেশের একমাত্র প্রবাল পাথরের দ্বীপ সেন্টমার্টিন। এ দ্বীপের পরিবেশ প্রতিবেশ রক্ষায় আর কোন বহুতল ভবন ও স্থাপনা নির্মাণ না করতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন।পরিবেশ বিরোধী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পর্যটক সীমিত করতে সংশ্লিষ্ট জাহাজ মালিক ও ট্যুর অপারেটর এসোশিয়েসন (টুয়াক) কে  কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন। তা সত্বে ও একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে।যা দ্বীপের অস্ত্বিত্ব ঠিকিয়ে রাখা নিয়ে দেখা দিয়েছে শংকা।

 

পর্যটকের আনাগোনা কম থাকায় অনেকটাই সুনসান দ্বীপের এদিক সেদিকে এখন দেখা মিলেছে ভিন্ন দৃশ্যের। আরও বেশি পর্যটকের থাকার আয়োজনের জন্য চলছে নির্মাণ কাজের তোড়জোড়; নিয়ম না মেনেই যেগুলো করা হচ্ছে বলে উঠেছে অভিযোগ। কিছুটা কম কোলাহলের এসময়ে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটি ঘুরে দেখা গেছে, নতুন করে বেশ কয়েকটি হোটেল, রিসোর্ট ও ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে প্রায় সবখানেই। বাইরে থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই সেখানে নির্মাণের কর্মযজ্ঞ চলছে। নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষ এসব স্থাপনার চারদিক টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে কাজ করছেন, যাতে লোকজন সেখানে ঢুকতে না পারে।

 

সাগরের মাঝে একটুকরো দ্বীপ তা ও আবার বাংলাদেশ মায়ানমারের সীমানা প্রচীর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এ দ্বীপ সাগর গর্ভে তলিয়ে গেলে ল্যান্ড বাউন্ডারি ও সমুদ্র সীমা নিয়ে দেখা দিতে পারে বিরোধ। নয়নাভিরাম এ দ্বীপ সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ছোট্ট এ দ্বীপের গলাচিপা এলাকায় নির্মাণ কাজ চলছে বেশি। পাশাপাশি ডেইল পাড়া, দক্ষিণপাড়া, পূর্বপাড়া ও উত্তর সি বিচ এলাকায় নতুন ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি পুরনো রিসোর্ট বা হোটেল চত্বরে নতুন ভবন নির্মাণের কাজও চলছে। কোনটিতে আবার নতুন ঘর বানানো হচ্ছে।

 

নির্মাণ নিয়ে যত অভিযোগ, ইট-পাথর দিয়ে নতুন এসব স্থাপনা ‘অবৈধভাবেই’ গড়ে তোলা হচ্ছে। আগে থেকেই অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনার সংখ্যা প্রায় ২০০টি বলে সেখানকার পরিবেশ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যে বলা হয়েছে। অথচ আইন অনুযায়ী, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পুরনোগুলো উচ্ছেদ করার কথা; কিন্তু সেটা তো দূরের কথা, প্রতিদিন সেখানে বাড়ছে অবৈধ স্থাপনা। ইট-কাঠের জঞ্জালে প্রতিদিন মারাত্মক  হুমকিতে পড়ছে দেশের একমাত্র এ প্রবাল দ্বীপের পরিবেশ-প্রতিবেশ।

 

এসব বিষয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অবস্থানরত পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফাইজুল কবির বলেন, “গত বছর (২০২২) পর্যন্ত দ্বীপে অবৈধভাবে নির্মিত রিসোর্টের সংখ্যা ছিল ১৯২টি। এরপর আরও নতুন করে স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। “আমরা সেগুলোর তালিকা করছি। নতুন ১৪টি পাকা ও আধাপাকা রিসোর্ট মালিককে নোটিস দিয়ে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।” এরই মধ্যে অনেক স্থাপনার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

 

গত রোববার জেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভাতেও সেন্ট মার্টিনের অবৈধ স্থাপনার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তখন এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ দ্রুত অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। এ ব্যাপারে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, “জেলা প্রশাসনের সভায় সেন্ট মার্টিনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তালিকাও হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও পরিবশে অধিদপ্তর দ্রুতই অভিযানে নামবে।”

 

উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পরিবেশবাদীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার বিভিন্ন রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ মূলত পর্যটন মৌসুম বন্ধের সময়কালে তাদের স্থাপনাগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু করে। যাতে কারও নজরে না আসে। একতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

 

তারা বলছেন, টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনে নির্মাণ সামগ্রী নেওয়া নিষিদ্ধ। সরকারি কাজের জন্য নিতে হলেও উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। তবে কিছু অসাধু ও প্রভাবশালী গোষ্ঠী রাতের আঁধারে এসব নির্মাণ সামগ্রী দ্বীপে নিয়ে যায় নিয়মিত।

 

কয়েকজন এমন অভিযোগও করেন, সরকারি কাজের কথা বলেও অনেক সময় এগুলো পরিবহন করে নিয়ে গিয়ে রিসোর্ট নির্মাণকারীদের কাছে বিক্রি করা হয়। প্রশাসন এসব স্থাপনা উচ্ছেদের কথা বললেও ‘অজ্ঞাত কারণে’ তা আর হয় না। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমার সীমান্তের অদূরে সাগরের বুকে ৮ দশমিক ৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার।

 

এ দ্বীপ সামুদ্রিক কাছিমের প্রজনন ক্ষেত্র। এখানে এককালে ৬৮ প্রজাতির প্রবাল, ১৫১ প্রজাতির শৈবাল, ১৯১ প্রজাতির মোলাস্ট বা কড়ি জাতীয় প্রাণী, ৪০ প্রজাতির কাঁকড়া, ২৩৪ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, পাঁচ প্রজাতির ডলফিন, চার প্রজাতির উভচর প্রাণী, ২৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ১২০ প্রজাতির পাখি, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ১৭৫ প্রজাতির উদ্ভিদ, দুই প্রজাতির বাদুড়সহ নানা প্রজাতির প্রাণীর বসবাস ছিল। কালের ধারায় এসব প্রজাতির অনেকগুলো এখন বিলুপ্তির পথে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেও ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এসব জীববৈচিত্র্য। এই জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৯৯৯ সালে সেন্ট মার্টিনের ৫৯০ হেক্টর এলাকাকে ‘পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করেছিল সরকার।

 

এ অবস্থার মধ্যেই একমাত্র এ প্রবাল দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষণে প্রতি বছরই সেখানে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। পর্যটক টানতে রিসোর্টগুলোও আধুনিক ইট-কাঠের ভবন ও স্থাপনা নির্মাণ করছে। ফলে পরিবেশ প্রতিদিন হুমকির মধ্যে পড়ছে। প্রতিবছর সাধারণত অক্টোবরের শুরু থেকে এ নৌ-পথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়। পর্যটকরা এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত ভ্রমণে যেতে পারেন। পরে বর্ষা মৌসুমে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠলে নিরাপত্তা বিবেচনায় এ পথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ বন্ধের সময়টুকুতে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়ে বলে জানান  স্থানীয়রা। সরজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা যায়, দ্বীপের বেশ কিছু জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু এর ধারে কাছে ভেড়ার কোনো উপায় নেই। কড়া নিরাপত্তা। অনেক ক্ষেত্রে কাজের জায়গায় শুধু শ্রমিকদের দেখা যায়, যারা এ নিয়ে কোনো কথা বলতে চান না।

 

কয়েকজন শ্রমিক জানালেন, তারা মালিকের কাজ করছেন। দিনমজুরি নিচ্ছেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। মালিক কে, সেটিও জানেন না কিংবা বলতে চান না। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দ্বীপের জেটির দক্ষিণ পাশে বোটে নামে ইট, বালু, সিমেন্ট, কংকিটসহ স্থাপনা তৈরির মালামাল। পরে সেগুলো নির্মাণস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। সবাই দেখলে-জানলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না।

 

দ্বীপের দক্ষিণ পাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ড ‘লুইপাস ইকো রিসোর্টে’ বেশ কয়েকটি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানকার ভবনগুলো রক্ষার জন্য সমুদ্র সৈকতে ইট, সিমেন্ট, লোহা আর বালু দিয়ে রক্ষাবাঁধ তৈরি করা হয়েছে। কিছুটা দূরের কোনা পাড়ায় ‘সমুদ্র কুটির রিসোর্টের’ পাশে একটি ভিআইপি কটেজ নির্মাণের কাজ চলছে। এক বাউন্ডারিতে সাতটি কটেজ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। রিসোর্টটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করেন মো. আবছার নামে এক যুবক। তিনি জানান, রিসোর্টটির মালিক ঢাকার এক ব্যবসায়ী, কিন্তু নাম বলতে রাজি না তিনি।

 

সেন্টমাটিনের ডেইল পাড়ার উত্তর সীবিচে ‘হোটেল রয়েল বিচে’ তৃতীয় তলার কাজ চলছে। কয়েকবার চেষ্টা করেও এটির কারও সঙ্গে কথা বলা যায়নি। পরে তাদের ফেইসবুক পেইজ থেকে বুধবার সকালে যোগাযোগের নম্বর নিয়ে কল করা হলে একজন সেটি ধরেন। কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় শোনার সঙ্গে সঙ্গে ফোন কেটে দেন। পরে আবার ফোন দিলেও কেউ সাড়া দেয়নি।


কক্সবাজার   হুমকি   সেন্টমার্টিন   জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের দুই জেলায় ভূমিকম্প

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে।

ভূমিকম্প  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ক্লাস চলার সময় ছিঁড়ে পড়ল সিলিং ফ্যান, শিক্ষার্থী জখম

প্রকাশ: ০৯:১৫ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুর পৌর শহরের একটি বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে সিলিং ফ্যান পড়ে সুমাইয়া আক্তার মীম নামের এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পৌর শহরের রশিদপুর এলাকার ইজ্জাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সুমাইয়া আক্তার মীমকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

আহত মীম পৌরসভার বগাবাইদ গ্রামের ফেরদৌসের মেয়ে। আহত সুমাইয়া আক্তার মীম সেই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। 

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, সকাল ১০টা থেকে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। দশম শ্রেণির ক্লাসরুমে তৃতীয় ঘণ্টার ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরে দ্বিতীয় তলার শ্রেণি কক্ষের একটি ফ্যান ভেঙে সুমাইয়ার ওপর পড়ে যায়। এতে শিক্ষার্থী মুখের ওপরের ঠোঁট কেটে গিয়ে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। গত বছরও ওই বিদ্যালয়ে ফ্যান পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল বলে জানান তারা।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে গেলে ছবি ও ভিডিও নিতে বাধা প্রদান করে বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। আর এ বিষয়ে কোনো বক্তব্যও দিতে চাননি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. আনিসুজ্জামান। এ সময় তিনি শুধু বলেন, বক্তব্য কী দেব বলেন, ফ্যান পড়ে গেছে এই আর কি।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হালিমা খাতুন বলেন, আমি বিষয়টি অবগত না। তবে খবর নিচ্ছি। জেলার সাতটি উপজেলায় সব স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন হওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

জামালপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোমবার ৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চলমান তাপদাহের কারণে দেশের পাঁচ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল (সোমবার) বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল (২৯ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে।

তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ চাইলে তাদের স্কুল-কলেজ-মাদরাসা খোলা রাখতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়া পরবর্তী সময়ে এ পাঁচ জেলায় কিংবা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, এমন অন্যান্য জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত সোমবার জানিয়ে দেওয়া হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   তাপদাহ   শিক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আরও বড় হচ্ছে মন্ত্রিসভা

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

দুই দফায় ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা আরও বড় হতে পারে বলে সরকারের ভেতরে গুঞ্জন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর বাজেট অধিবেশনের আগেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে আসতে পারে বলে সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে। সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এই মন্ত্রিসভা অপূর্ণ ছিল, সেটি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর ১ মার্চ মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করা হয়। তবে সে দফায় কোন পূর্ণমন্ত্রী দেওয়া হয়নি। বরং ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে ৪৪ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। ২০১৮ সালেও মন্ত্রিসভা ছিল ৪৭ সদস্যের। এবারের মন্ত্রিসভা আওয়ামী লীগের গত তিন বারের মন্ত্রিসভায় চেয়ে আকারে সবচেয়ে ছোট। আর এই কারণেই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি বিভিন্নভাবে আলোচিত হয়।  

সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা আরও বড় করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। এছাড়া মন্ত্রিসভায় কয়েকটি দপ্তর পরিবর্তনের বিষয়টিও এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনার বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। বিশেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া, পানি সম্পদ মন্ত্রণালেয়ও পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়ার বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে। 

এ ছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তার পরিবর্তে অন্য কোন অর্থনীতিবিদ বা অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিজিএমইএ-এর অনুরোধ রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। সামনের দিনগুলোতে শ্রম আইন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষি করতে হতে পারে এই বিবেচনা থেকে বিজিএমইএ-এর পক্ষ থেকে সরকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। যিনি আইনে দক্ষ বিশেষ করে শ্রম আইনে দক্ষ কাউকে যেন এই মন্ত্রণালেয়র দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার সদস্যদের ইতোমধ্যে ১০০ দিন পেরিয়ে গেছে গত ২১ এপ্রিল। এর মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের ভালো-মন্দ নানান রকম হিসেব নিকেশ প্রধানমন্ত্রী করেছেন। তবে মন্ত্রিসভার সদস্যদেরকে এখনই বিচার করার সময় হয়নি বলেই সরকারের নীতি নির্ধারক মহল মনে করছেন। তবে টানা দুই থেকে তিনবার যারা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে দু’একজনকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে। এদের মধ্যে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এদের মধ্যে এক বা একাধিক জনকে পূণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, জুনাইদ আহমেদ পলক ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগের 'গুড বুকে' চলে গেছেন। বিশেষ করে তার শ্যালককে তিনি প্রার্থী থেকে প্রত্যাহার করার ফলে তিনি সরকারের আরও বেশি আস্থাভাজন এবং প্রিয়ভাজনে পরিণত হয়েছেন। তবে মন্ত্রিসভার রদবদল কখন, কীভাবে হবে এবং কতজন নতুন মন্ত্রী হবেন এ বিষয় সম্পর্কে কেউই কিছু বলতে পারেননি। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, এটি একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যখন বিবেচনা করবেন তখনই তিনি এই রদবদল করবেন।

মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতে মোদি হারলে বাংলাদেশে কী হবে?

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।

প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।

ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।

এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।

বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।

এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।

অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   মল্লিকার্জুন খাড়গে   নরেন্দ্র মোদি   বাংলাদেশ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন