সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার ছুটিতে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত বেড়েছে। চারদিনের ছুটিতে
পরিবার পরিজন নিয়ে পূজা উপভোগ ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণে ভারতে ছুটছেন যাত্রীরা।
অনেকে আবার ভারত থেকে বাংলাদেশে আসছেন। এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, ভ্রমণ কর ও
প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল চার্জ দিন দিন বাড়লেও সেবার মান একদম বাড়েনি। পাশাপাশি
রয়েছে দালালের হয়রানি ও প্রতারণা। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সেবা বাড়াতে জায়গা
অধিগ্রহণসহ নানান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে বন্দর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বেনাপোল
স্থলবন্দর জুড়ে ভারতমুখী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। লম্বা ছুটিতে কেউ
যাচ্ছেন পরিবার নিয়ে পূজা উদযাপনে, কেউ আবার চিকিৎসা আবার কেউ যাচ্ছে ব্যবসায়িক
কাজে।
যাত্রীরা জানায়, বিগত কয়েক বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে নানা বিধিনিষেধ থাকায়
পাসপোর্টধারীরা তাদের ইচ্ছেমত ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারেনি। এখন
নিষেধাজ্ঞা না থাকায় ভারত ভ্রমণে আর কোনো সমস্যা নেই। এবার পূজায় বাংলাদেশে ছুটির
সময় কম থাকলেও ভারতে টানা ৪ দিন সরকারি ছুটি থাকছে। দুই দেশ মিলে ২০ অক্টোবর থেকে
২৪ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৫ দিন ছুটি পড়েছে। লম্বা ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে পূজা
উপভোগ, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ আবার কেউ চিকিৎসা ও ব্যবসায়িক কাজে ছুটছেন ভারতে।
বাংলাদেশে অনেক দর্শনীয় স্থান থাকায় ভারত থেকেও আসছেন বিপুল পরিমাণ যাত্রী।
যাত্রীদের অভিযোগ, ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশ সরকারকে শিশুদের জন্য ৫৫২ টাকা ও বড়দের
১০৫২ টাকা ভ্রমণ কর এবং ভারত সরকারকে ভিসা ফি বাবদ ৮৪০ টাকা প্রদান করলে সে হিসাবে
সেবার মান বাড়েনি। বন্দরে যাত্রী ছাউনি না থাকায় ঠান্ডা-রোদ ও ঝড়-বৃষ্টি মধ্যে সড়কের
ওপর লাইন ধরে দাড়াতে হয় যাত্রীদের। এতে নারী, শিশু ও বয়স্করা বেশি ভোগান্তিতে
পড়ছে।
ভারতগামী যাত্রী শিপ্রা রানি বলেন, ‘পূজায় ভারতে যাচ্ছি। তবে
ভারত ভ্রমণে ভোগান্তির শেষ নেই। ভোর সাড়ে ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত লাইনে
দাঁড়িয়েও ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারেনি। এছাড়া দালালদের দৌরাত্ম্য খুব বেশি। এখনই এসব
সমস্যার সমাধান করে যাত্রীসেবা বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে।’
ভারত থেকে আসা যাত্রী গৌতম প্রামাণিক বলেন, ‘বাংলাদেশে এসেছি পূজা উৎযাপন ও
স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে। সময় পেলে দর্শনীয় স্থানগুলোও ঘুরবো।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের আর্মড ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক সঞ্জীব কুমার
বাড়ৈ জানান, যাত্রী চাপ বাড়ায় কিছুটা বিশৃঙ্খলা ঘটছে। তবে কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া
যাত্রী পারাপারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম জানান, স্বাভাবিক সময়ে এ পথে
যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীর সংখ্যা ৪ হাজার হলেও বর্তমানে পূজার কারণে এ
সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণে দাঁড়িয়েছে। আর যাত্রী সেবা বাড়াতে জায়গা অধিগ্রহণসহ নানান
কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান,
পূজা উপলক্ষে যাত্রী চাপ বেড়েছে। সে চিন্তা মাথায় নিয়ে অতিরিক্ত ডেস্ক এবং
অফিসার বাড়ানো হয়েছে। যাতে যাত্রীদের কোন ভোগান্তি না হয়। ভারতে অফিসার এবং
ডেস্ক বাড়ালে যাত্রীরা ভালোভাবে পার হতে পারতো।
মন্তব্য করুন
মাদারীপুরে পুলিশে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে
তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে সেই দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১১ মে) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও জেলা পুলিশের এক প্রেস
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন)
মনিরুজ্জামান ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার
রবিদাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে পুলিশে নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণ করে
তানজিলা আক্তার ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই কনস্টেবল। এ ঘটনায় শুক্রবার (১০ মে) ও শনিবার
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে তাদের সাময়িক
বরখাস্ত করা হয়।
জানা গেছে, রতন দাস একটি দোকানে কাজ করতেন। সেখানেই পুলিশ সদস্য
তানজিলা আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে পুলিশ নিয়োগের সময় তানজিলা আক্তার পুলিশে চাকরির
প্রলোভন দেখিয়ে রতনের কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেয়। বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা আক্তার
নিজের স্বাক্ষর যুক্ত কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেকও প্রদান করে। এদিকে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার
রেজাল্ট দিলে চাকরি না হওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী রতন দাস। উপায় না পেয়ে অভিযোগ
করেন পুলিশ সুপার বরাবর।
চাকরিপ্রত্যাশী রতন দাস বলেন, ‘আমাকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে
১৪ লাখ টাকা নিয়েছে তানজিলা আক্তার নামে এক পুলিশ। কিন্তু সে চাকরি দিতে পারেনি। আমার
দেওয়া সেই টাকা দিয়ে তানজিলার স্বামী ফরিদপুরের ভাঙ্গাতে ব্যবসা শুরু করছে। টাকা ফেরত
চাইলে সে বিভিন্ন রকমের তালবাহানা শুরু করে। বিভিন্ন অজুহাতে সে আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে
না। এ ঘুষ নেওয়ার সঙ্গে শহিদুল নামে এক পুলিশও জড়ি ‘।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশের
পর সিনিয়র স্যারদের নির্দেশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে’।
টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ সদস্য তানজিলা আক্তার একটি দোকানে এক হাজার টাকার কয়েকটি
বান্ডিল গুনে নিচ্ছেন। দোকানটি মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে। সেই দোকানেই
টাকা লেনদেন হয়েছে। গত বছরের ১ মার্চ রতন দাসের কাছ থেকে পুলিশ কনস্টেবল তানজিলা আক্তার
ও শহিদুল টাকা গ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি গ্রামে ফসলী জমি থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় বখাটে সুমন। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আশপাশের বসতঘর, ধ্বংস হচ্ছে ফসলী জমি। এনিয়ে একাধিকবার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা বালু উত্তোলনে বাধা দিলেও বখাটে সুমন জোর করে বালু উত্তোলন করছে। পরে ভুক্তভোগী প্রবাসী আহসান উল্লাহর পরিবার লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন।
অভিযুক্ত সুমন চাঁদখালী আলি মাঝি বাড়ির জয়নাল আবেদিনের ছেলে। ভুক্তভোগী প্রবাসী আহসান উল্লাহ একই বাড়ির শফি উল্ল্যাহর ছেলে।
প্রবাসী আহসান উল্লাহ’র পরিবার জানায়, ফসলী জমি থেকে বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় বখাটে সুমন ও তার স্বজনরা তাদের চলাচলের কাঠের সেতুটি কুড়াল ও দা দিয়ে কুপিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। এসময় স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চড়া হয় ওই বখাটে সুমন ও তার পরিবার। তাদের ভয়ে পুরো এলাকার বাসিন্দারা এখন আতঙ্কিত। এঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন প্রবাসী ও তার পরিবার।
এদিকে অভিযুক্ত সুমনের ড্রেজার মেশিনটি ফসলী জমির পাশে পাইপসহ দেখা গেলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন পর এ ইউনিয়নে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে আমি নির্বাচিত হয়েছি। এ ইউনিয়নে অবৈধ কোন কাজ যেমন হতে দিবো না, তেমনি কোন ধরনের অন্যায় বরদাশত করা হবে না। ড্রেজার বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে ও ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।
মন্তব্য করুন
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রাজশাহীতে ডাবল লাইন করার প্রস্তাব এসেছে। ডাবল লাইন তো আর একদিনে হবে না। আমরা কাজ শুরু করেছি। সমস্ত লাইনগুলোর মধ্যে যেখানে সিঙ্গেল গেজ রয়েছে সেখানে ডাবল গেজ করার চেষ্টা করছি। কাজ শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।
শনিবার (১১ মে) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
রেলপথমন্ত্রী
বলেন, আপনাদের সুবিধার্থে রেলপথে আম পরিবহনের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যাতে করে সবচেয়ে কম খরচে আপনাদের আম পৌঁছানো যায় এবং আমের গুণাগুণ ঠিক থাকে।
তিনি
আরও বলেন, আম পরিবহনে আমরা ডাক বিভাগকে কাজে লাগাতে পারি। তবে আমার মনে হয়- বর্তমান
পর্যায়ে এই যে কুরিয়ার সার্ভিসগুলো আছে, এদের সঙ্গে আমরা একটা কন্ট্রাকে আসতে পারি।
আমরা তাদের সঙ্গে বসে আপনাদের সুবিধার্থে একটা আলোচনা করব। আপনারা বলেছেন যাত্রীবাহী
ট্রেনের সঙ্গে লাগেজ ভ্যান লাগানোর জন্য। আগে তো প্রত্যেকটি যাত্রীবাহী কোচের সঙ্গে
লাগেজ ভ্যান ছিল। অন্যান্য যে শস্যগুলো রয়েছে সেগুলো আমরা কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে
পরিবহন করব। আমরা ঈদের সময় গবাদিপশু পরিবহনের ব্যবস্থা করি।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, কোনো অসুস্থ রোগীর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে সে কিন্তু আর বাঁচে না। আমরা এখন অসুস্থ ধরে নেন। সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের টেনে তুলছেন। তিনি রেলকে ভালোবাসেন। এই পরিবহনটা খুবই সস্তা পরিবহন। সেটা যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে বলেন আর পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বলেন। নতুন নতুন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রাবন্দর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। যা আটটা জেলাকে কানেক্ট করবে। সমস্যা থাকবে, সমস্যার সমাধানের জন্য আপনারা পরামর্শ দেবেন। কিন্তু আমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।
সেমিনারে জানানো হয়, আগামী ১০ জুন ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু হবে। এবার পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যাবে রাজশাহী অঞ্চলের আম। যাত্রা পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, আব্দুলপুর, ঈশ্বরদী, পোড়াদহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও ভাঙ্গা স্টেশনসহ মোট ১৫টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’। বাংলাদেশ রেলওয়ে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু করে ২০২০ সালে।
সেমিনারে
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে বিভাগের জেলা
প্রশাসকগণ ছাড়াও আম ব্যবসায়ী, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ
উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরের
ভাঙ্গায় ট্রাক ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১১ মে)
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কাশেম শিকদার (৪০), তার ভাই নাজমুল
শিকদার (৩৭) ও তার ছেলে মোরসালিন (৮)।
নিহতদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কোয়ালদিয়া গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাকি।
তিনি বলেন, শনিবার ভাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেলে করে বাবা-ছেলে ও তার ভাই ফরিদপুর যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদীতে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মোরসালিনের মৃত্যু হয়। পরে আহত কাশেম ও নাজমুলকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।
মন্তব্য করুন
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন,
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে যুগোপযোগী ও কর্মদক্ষ যুবসমাজের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক
ডিভিডেন্ডের সম্ভাবনাময় সময় পার করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যাগত এই সুবিধার সঠিক
ব্যবহার করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (১১ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ
কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘ইয়ুথ লিডারশিপ স্কিলস্ ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায়
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এমডিজি, এসডিজিসহ, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ইত্যাদি প্রমাণ
করে সরকার যুবসমাজ ও দেশের নাগরিকদের নিয়ে নিয়ে দূরদর্শী পরিকল্পনা করছে।
মন্ত্রী মার্কেট ইকোনমি নিয়ে বলেন, আমাদের পণ্য ও সেবার মান বিশ্বমানের
হতে হবে। তাহলেই এই মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা
করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পারব। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করে ২০৪১ সালের মধ্যে
স্মার্ট বাংলাদেশের বাস্তবায়িত করতে হলে নিজেরদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলাটা একান্তই
অপরিহার্য।
ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন এক অবারিত সুযোগের দুয়ার খুলে দিয়েছে
জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবলের ফলে
গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া। এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা তরুণ ও জনসাধারণের
জন্য নানা রকমের সম্ভাবনা ও আয়ের মাধ্যম সৃষ্টি করছে। যুবসমাজ ফ্রিল্যান্সিংসহ রিমোট
জবের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। যা অর্থনীতিকে করছে বেগবান।
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই জানিয়ে
মন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ একটি বহুমাত্রিক ধারণা। সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই
নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতাভিত্তিক সমাজ গঠনে
এগিয়ে আসলে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন
করতে পারব।
একশনিস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. শারিন শাহাজাহান নাওমির সভাপতিত্বে
আলোচনা সভায় সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের
চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি গ্রামে ফসলী জমি থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে স্থানীয় বখাটে সুমন। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আশপাশের বসতঘর, ধ্বংস হচ্ছে ফসলী জমি। এনিয়ে একাধিকবার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা বালু উত্তোলনে বাধা দিলেও বখাটে সুমন জোর করে বালু উত্তোলন করছে। পরে ভুক্তভোগী প্রবাসী আহসান উল্লাহর পরিবার লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন।
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রাজশাহীতে ডাবল লাইন করার প্রস্তাব এসেছে। ডাবল লাইন তো আর একদিনে হবে না। আমরা কাজ শুরু করেছি। সমস্ত লাইনগুলোর মধ্যে যেখানে সিঙ্গেল গেজ রয়েছে সেখানে ডাবল গেজ করার চেষ্টা করছি। কাজ শুরু হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। শনিবার (১১ মে) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।