সাধারণ
মানুষের নেতা শেরে বাংলা আবুল
কাশেম (এ কে) ফজলুল
হকের ১৫১তম জন্মবার্ষিকী আজ। শেরে বাংলা
বা বাংলার বাঘ। বঙ্গবন্ধু, হোসেন
সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানীসহ বড় বড় রাজনীতিবিদদের
কাছে তার পরিচিতি ছিল
হক সাহেব নামে।
এই মহান নেতার জন্ম
বরিশালে ১৮৭৩ সালের আজকের
দিনে। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রখর
মেধাবী। ইংরেজি-গণিত-আইনসহ নানা
বিষয়ে নেন শিক্ষা। কর্মক্ষেত্রে
প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনেও তিনি সুনাম অর্জন
করেন।
সাধারণ
মানুষের নেতা হিসাবে, তাদের
দুঃখ দূর্দশায় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।
বিশ শতাব্দির শুরুর দিকে, বাঙালী মুসলিমরা শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে থাকলেও, তিনিই সরব হয়ে ওঠেন।
রাখেন অগ্রণী ভূমিকা।
মুসলিম
লীগ গঠনেও তিনি অনন্য ভূমিকা
রেখেছেন। ১৯১৬ সালে নিখিল
ভারত মুসলিম লীগের সভাপতিও হন। প্রজা সম্মেলেনে
তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তার
কল্যাণেই বাংলার কৃষকরা মুক্তি পায় জমিদারের রোষানল
থেকে। শুধু তাই না,
নিজেই নিখিল বঙ্গ কৃষক সমিতি
নামে একটি দল গঠন
করেছিলেন।
অবিভক্ত
বাংলার প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায়, কৃষকদের
কথা চিন্ত করে, ঋণ সালিশি
আইনসহ কয়েকটি আইন পাস করেন,
কৃষকের দুঃখ মোচনে। ব্রিটিশ
রাজের ফর্মুলা অনুযায়ী, দুই বাঙলার বিভক্তিতে
ভেঙে যায় শেরে বাংলার
হৃদয়। তিনি চাননি বাংলার
বিভক্তি।
দেশভাগের
পর কিছু সময়, রাজনীতি
থেকে সরে এসে, আইন
পেশায় বেশি নিয়োজিত হন।
তাতেও মন থিতু হয়নি।
ভাষা আন্দোলণের পরই সরব রাজনীতির
মাঠে। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট
নির্বাচনে জয়ের মধ্যে দিয়ে
হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
১৯৬২
সালে ১৭ই এপ্রিল না
ফেরার দেশে পাড়ি জমান
বাংলার বাঘ, দুঃখী মানুষের
নেতা, কৃষকের নেতা, এ-কে ফজলুল
হক।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নতুন সরকার বাজেট ঘোষণা জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন