ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ অবস্থা কি?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৭ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার আজ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে শেখ হাসিনাকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করার কোনো বার্তা মার্কিন প্রশাসন দেয়নি। এটি মিথ্যা এবং অসঙ্গতিপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ম্যাথিউ মিলার এই বক্তব্য রাখেন। এর মধ্য দিয়ে একটি বড় রাজনৈতিক গুজবের অবসান হল। গত কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন তথাকথিত সুশীল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বরাত দিয়ে এবং মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতারের সফরের উদ্ধৃতি দিয়ে এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। এর ফলে স্পষ্ট হল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে এতটা জোরালোভাবে হস্তক্ষেপ করতে আগ্রহী নয়। বরং তারা মনে করছে যে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া কিভাবে হয়? কতদূর এগোয়? এবং রাজনৈতিক দলগুলো শেষ মুহূর্তে সমঝোতা আসতে পারে কিনা? সেটির ওপর তারা নজর রাখছে। বিশেষ করে আগামীকাল আওয়ামী লীগ-বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের যে সমাবেশ রয়েছে সেই সমাবেশের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃষ্টি রাখছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না। বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের ওপর নজর রাখবে এবং এই নজরদারির মাধ্যমে তারা একটি রাজনৈতিক সমঝোতার চেষ্টা করবে। বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস যেভাবে সক্রিয় এবং সরব ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের ব্যাপার নিয়ে অতটা সরব এবং সক্রিয় নন। এর একটি বড় কারণ হলো সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু। ফিলিস্তিনিদের সাথে ইসরায়েলের নতুন করে যুদ্ধের ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ এখন ইসরায়েল ইস্যুতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। বাংলাদেশের নির্বাচন, মানবাধিকার ইত্যাদি এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার ইস্যু নয় কৌশলগত কারণে। তাই বাংলাদেশের নির্বাচন কিভাবে হয় বা নির্বাচনে কারা কারা অংশগ্রহণ করে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে চায়। তারপর তারা বাংলাদেশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চায়। 

বিভিন্ন মহল মনে করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তো বাংলাদেশে একটি অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা আনতে চায়। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত সেরকম কোনো পরিকল্পনায় নেই। বরং তারা মনে করছে যে রাজনৈতিক দলগুলো যদি সহনশীল অবস্থায় আসছে, তারা যদি একটু সমঝোতার চেষ্টা করে তাহলে এখনও রাজনীতিতে একটি সমঝোতার সুযোগ আছে। আর এই সুযোগের ফলে সকল পক্ষের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। তবে বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে চায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যে নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করবে এবং জনগণের যে ভোটাধিকার সেই ভোটাধিকারের মাধ্যমে সবচেয়ে পছন্দের ব্যক্তি নির্বাচিত হবেন। 

দ্বিতীয়ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেন সহিংসতা এবং সংঘাত দানা বেঁধে না ওঠে সেটি নিশ্চিত করতে চায়। 

তৃতীয়ত, বাংলাদেশের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদার গণতান্ত্রিক চর্চা, মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং সুশাসন চায়। 

এই সমস্ত বিষয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খারই অংশ। কিন্তু বাংলাদেশের ওপর কদিন আগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে কঠোর নজরদারি রাখছিল সেই অবস্থান থেকে এখন কিছুটা হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষ্ক্রিয় হয়েছে বলেই মনে করছেন বিভিন্ন মহল। কারণ বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের চেয়েও যুক্তরাষ্ট্রের সামনে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   বাংলাদেশের নির্বাচন   আফরিন আখতার   পিটার ডি হাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে ট্রাকচাপায় বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাক ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কাশেম শিকদার (৪০), তার ভাই নাজমুল শিকদার (৩৭) ও তার ছেলে মোরসালিন (৮)।

নিহতদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কোয়ালদিয়া গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বাকি।

তিনি বলেন, শনিবার ভাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেলে করে বাবা-ছেলে ও তার ভাই ফরিদপুর যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদীতে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মোরসালিনের মৃত্যু হয়। পরে আহত কাশেম ও নাজমুলকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।


ফরিদপুর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কর্মদক্ষ যুবসমাজের বিকল্প নেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে যুগোপযোগী ও কর্মদক্ষ যুবসমাজের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সম্ভাবনাময় সময় পার করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যাগত এই সুবিধার সঠিক ব্যবহার করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার (১১ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘ইয়ুথ লিডারশিপ স্কিলস্ ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, এমডিজি, এসডিজিসহ, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ইত্যাদি প্রমাণ করে সরকার যুবসমাজ ও দেশের নাগরিকদের নিয়ে নিয়ে দূরদর্শী পরিকল্পনা করছে।

মন্ত্রী মার্কেট ইকোনমি নিয়ে বলেন, আমাদের পণ্য ও সেবার মান বিশ্বমানের হতে হবে। তাহলেই এই মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পারব। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের বাস্তবায়িত করতে হলে নিজেরদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলাটা একান্তই অপরিহার্য।

ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়ন এক অবারিত সুযোগের দুয়ার খুলে দিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সাবমেরিন ক্যাবলের ফলে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া। এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা তরুণ ও জনসাধারণের জন্য নানা রকমের সম্ভাবনা ও আয়ের মাধ্যম সৃষ্টি করছে। যুবসমাজ ফ্রিল্যান্সিংসহ রিমোট জবের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। যা অর্থনীতিকে করছে বেগবান।

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ একটি বহুমাত্রিক ধারণা। সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতাভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে আসলে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে পারব।

একশনিস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. শারিন শাহাজাহান নাওমির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ।


স্থানীয় সরকারমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

একমাসেই ৬৫৮ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৬৩২

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) জানিয়েছে, ঈদুল ফিতরের মাস এপ্রিলে সারা দেশে ৬৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর এসব দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গেছেন ৬৩২ জন। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন ৮৬৬ জন মানুষ।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার সই করা সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। বিআরটিএ’র বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারা দেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

দেশে দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে রয়েছে..

ঢাকা বিভাগে ১০৮টি দুর্ঘটনায় ১১৫ জন নিহত এবং ১৫৭ জন আহত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৫টি দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত এবং ২২৭ জন আহত হয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগে ১০০টি দুর্ঘটনায় ৯৩ জন নিহত এবং ১১২ জন আহত হয়েছেন।

খুলনা বিভাগে ৯৮টি দুর্ঘটনায় ৮৭ জন নিহত এবং ৯৫ জন আহত হয়েছেন।

বরিশাল বিভাগে ৪৫টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

সিলেট বিভাগে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

রংপুর বিভাগে ৬৮টি দুর্ঘটনায় ৬৫ জন নিহত এবং ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগে ৭০টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহত হয়েছেন।

এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ৪১টি, বাস/মিনিবাস ১৫৭টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ১৭০টি, পিকআপ ৫০টি, মাইক্রোবাস ২৮টি, অ্যাম্বুলেন্স ১২টি, মোটরসাইকেল ২৫২টি, ভ্যান ২১টি, ট্রাক্টর ১৭টি, ইজিবাইক ৩৪টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৩১টি, অটোরিকশা ৬৮টি ও অন্যান্য যান ১৭৫টিসহ সর্বমোট ১০৫৬টি যানবাহন রয়েছে।

এসবের মধ্যে মোটরকার দুর্ঘটনায়/জিপ ২৬ জন, বাস/মিনিবাস দুর্ঘটনায় ৬৭ জন, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৬২ জন, পিকাপ দুর্ঘটনায় ৩০ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ২০ জন, অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ১৩ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯১ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ১৮ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ৯ জন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ৩০ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ১৭ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৪৫ জন ও অন্যান্য যান দুর্ঘটনায় ১০৪ জনসহ সর্বমোট ৬৩২ জন নিহত হয়।

এর আগে, গত ২১ এপ্রিল বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার জানিয়েছিলেন, ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের ১৭ দিনে (৪ থেকে ২০ এপ্রিল) সারা দেশে ২৬৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত ও ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে গড়ে প্রতিদিন ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।


সড়ক দুর্ঘটনা   বিআরটিএ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, নিহত হচ্ছে। সড়কে খালি হচ্ছে হাজারো মায়ের কোল। এসব দুর্ঘটনার সমস্যা সমাধানে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। এখন পর্যন্ত যতটা দেখছি সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ সচেতনতার অভাব। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

শনিবার সকালে শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর ১০ম মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষ চালকের হাতে যাতে স্টিয়ারিং থাকে আমরা সেই ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিষয়ে খেয়াল রাখছি। চালকদের প্রশিক্ষণের অভাবও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকের মোবাইল ব্যবহার, অপরিকল্পিত ভঙ্গুর সড়ক, ওভার ক্রসিং, অতিরিক্ত গতি, ওভার ব্রিজের স্বল্পতা, ট্রাফিক আইন অমান্য করা, ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতিও আমরা মাঝেমধ্যে দেখি।

মন্ত্রী বলেন, আইনে গাড়িচালক, হেলপার, মালিক এবং বিভিন্ন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি সবার দায়িত্ব যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যে যেই দায়িত্বে থাকবে তার গাফিলতি হলে কি ধরনের শাস্তি হবে তার সবকিছুই আইনে পরিষ্কার করা হয়েছে। আমরা চাই দুর্ঘটনা কম হোক, দুর্ঘটনায় আর যেন কেউ মৃত্যুবরণ না করে। পৃথিবীর সব দেশে দুর্ঘটনা ঘটে, মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে যাতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে সেজন্যই কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’। এ বিষয়ে সরকার ২২ অক্টোবর নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করে। যা দেশে গুরুত্ব সহকারে পালিত হচ্ছে।

নিজের সড়ক দুর্ঘটনার স্মৃতি স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, রোড এক্সিডেন্টে আমার সব আশা স্তম্ভিত হয়েছিল। মহান আল্লাহ আমার এক রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং এই রাজনীতির রাস্তা ওপেন করে দিয়েছিলেন। সেই জন্য বোধহয় আমি আজকে এ জায়গায় আসতে পেরেছি।

সমাবেশে নিসচার চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আসাদুজ্জামান খান কামাল   সড়ক দুর্ঘটনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জামালপুরে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, আসামী পলাতক


Thumbnail

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বাউশী বাঙ্গালী পাড়া থেকে একটি পিস্তল, ২টি গুলি ও ১টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ। শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় সরিষাবাড়ী থানা পুলিশের টহলরত একটি দল অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করে। দুপুরে সরিষাবাড়ী থানার এসআই মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে রুকন (৩৭) কে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেছে।  

 

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান এর দিকনির্দেশনায় এস আই মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে পৌর এলাকার বাউশী বাঙ্গালী পাড়া রুকনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ গুলি, ম্যাগাজিনসহ ওই একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রুকন পালিয়ে যান। রুকন বাউশী বাঙ্গালী পাড়া মোতালেব এর ছেলে। ফলে অস্ত্র উদ্ধার হলেও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।  

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান জানান, রুকনের বাড়ীর আলমারির মধ্যে থেকে অস্ত্র ও গুলি এবং ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। সেখানে তিনি এসব লুকিয়ে রেখেছিলেন। রুকনকে গ্রেপ্তারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। 


আগ্নেয়াস্ত্র   গুলি   পিস্তল   ম্যাগাজিন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন