রাজধানীর কাকরাইলের একটি ভবন থেকে বিএনপির প্রায় দুইশ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ।
শুক্রবার (২৭
অক্টোবর) দিবাগত
রাত সাড়ে ১২টার দিকে
কাকরাইলের ওই নির্মাণাধীন ভবন
থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে।
ঢাকা
মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন,
বিএনপির ওই নেতা–কর্মীরা
মহাসমাবেশ ঘিরে নাশকতার উদ্দেশ্যে
ওই ভবনে অবস্থান করছিলেন।
তাঁদের কাছ থেকে বিপুল
পরিমাণ লাঠিসোঁটা, ককটেল ও হাতবোমা উদ্ধার
করা হয়েছে। ডিবি পুলিশ অভিযানে
গেলে তাদের ওপর একাধিক ককটেল
নিক্ষেপ করেন তাঁরা।
ডিবি
প্রধান দাবি করেন, আটক
বিএনপি নেতা–কর্মীদের কয়েকজনকে
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা কার্যালয়ে
নেওয়া হয়েছে। অন্যদের রমনা থানায় রাখা
হয়েছে।
ঢাকা
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন,
রাজধানীর এ রকম আরও
কয়েকটি পরিত্যক্ত ভবনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছেন বলে জানতে পেরেছেন
তাঁরা। সেসব জায়গায়ও অভিযান
চালানো হবে।
অভিযানের
সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের দুটি ভ্যান দেখা
যায়। পরে আটকদের সারিবদ্ধভাবে
সেই ভ্যানে ওঠানো হয়। অভিযানে ডিবি
পুলিশের তিন বিভাগের ডিসিসহ
পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ
নিয়ে জানা গেছে, জমজম
গ্রুপের মালিক মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। নির্মাণাধীন
ভবনটি তাঁরই। তিনি কুমিল্লা থেকে
বিএনপির এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী।
শনিবারের
মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যা
থেকেই নয়াপল্টনে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের
সামনে জড়ো হতে শুরু
করেন নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যা
গড়াতেই স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে
পুরো এলাকা। বিএনপি কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ
হয়ে যায়। সেখানে প্রচুর
পুলিশ মোতায়েন থাকলেও কোনো উত্তেজনা চোখে
পড়েনি।
ডিএমপির
একটি সূত্র জানিয়েছে, রাতে শুধু পল্টন
এলাকাতেই ৫ হাজার পুলিশ
মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।