বরিশালের
মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাসির হাট এলাকায় জয়ন্তী নদী থেকে প্রয়াত অভিনেতা এ টি এম
শামসুজ্জামানের ছেলে এ টি এম
খালেকুজ্জামান কুশলের (৪৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে মুলাদী থানায় নিয়ে আসা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল
কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।
এটিএম খালেকুজ্জামান (৪৬) ঢাকার সূত্রাপুর থানার ধীরেন্দ্রনাথ লেন এলাকায় বসবাস করতেন। গত ২৪ অক্টোবর খুলনায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে মুলাদী থানা পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয়দের ধারণা, এটিএম খালেকুজ্জামান লঞ্চযোগে কোথাও যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনাবশত লঞ্চ থেকে পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
মুলাদী থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান বলেন, অর্ধগলিত লাশটি ভাসতে দেখে এলাকাবাসী থানায় খবর দেন। সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। লাশের সঙ্গে পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। সেখানে ঢাকার সুত্রাপুর থানার দেবেন্দ্র নাথ দাস লেনের ৪৬নং বাসার ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। পিতার নাম এ টি এম শামসুজ্জামান লেখা রয়েছে। পরে সূত্রাপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে লাশটি অভিনেতা শামসুজ্জামানের ছেলের।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, এটিএম খালেকুজ্জামান কোনো কাজ করতেন না এবং পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না তার। গত ২৪ অক্টোবর সকালে খুলনায় আত্মীয়বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন খালেকুজ্জামান। এরপর তার মা কিংবা পরিবারের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। ২৬ অক্টোবর খালেকুজ্জামানের মা মোবাইল ফোনে তাকে কল দেন কিন্তু তিনি কলটি কেটে দিয়েছিলেন। এরপর থেকে মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
ওসি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ৪ থেকে ৫ দিন লাশ নদীতে ভাসছিল। এ কারণে লাশে পচন ধরেছে। পচনের কারণে শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন আছে কি না বোঝা যাচ্ছে না। তার পরনে শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট ছিল।খবর পাওয়ার পর তার পরিবারের সদস্যরা মুলাদীতে রওনা হয়েছেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।