ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কৌশল

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০২ নভেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

কদিন আগেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তা নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। বিশেষ করে নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে যারা বাধা হবে তাদের জন্য ভিসা নীতির খড়গ ঝুলিয়ে দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। 

নতুন ভিসা নীতি কার্যকর হয়েছে এমন ঘোষণা দিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর জানানো হয়েছিল যে, কয়েকজনের ভিসা ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করেছিল যে বিএনপি হয়তো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবে এবং শেষ পর্যন্ত দেশকে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন চাপ সহায়ক হবে। কিন্তু সবকিছু ভুণ্ডুল করে দিয়েছে বিএনপি। বিএনপির আত্মঘাতী তৎপরতার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হতবাক হয়ে গেছে। ঘটনার পর মার্কিন দূতাবাস অনেকটাই নীরব। 

অন্যান্য সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভাবে ঘটনার নিন্দা জানায় বা বিএনপির পাশে দাঁড়ায় এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তেমন দেখা যায়নি। অবশ্য পুলিশ কনস্টেবলকে যেভাবে নির্মম হত্যা করা হয়েছে সেই ঘটনার ব্যাপারেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন নিন্দা জানায়নি। তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর পুলিশের ওপর হামলাসহ সহিংসতার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে ভিসা নীতির আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

কিন্তু এই সমস্ত পরিস্থিতির পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে বলেই কূটনৈতিক সূত্রের খবর পাওয়া গেছে। কিছু কিছু কর্মকাণ্ডে তা দৃশ্যমানও হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছুদিন আগেও বলেছিল যে, বাংলাদেশের নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক। সেজন্য সংলাপ দরকার তবে যুক্তরাষ্ট্র সংলাপে মধ্যস্থতা করবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল যখন এসেছিল, তখনও তাঁরা একই রকম বক্তব্য দিয়েছিলেন।

কিন্তু ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন সংলাপের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এই সংলাপে যেন সরকার রাজি হয় সেজন্য বিভিন্ন মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলেও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের ব্যাপারে একটি পরিবর্তিত কৌশল গ্রহণ করেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কৌশলের প্রথম ধাপ হল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে একটি সংলাপে বা সমঝোতা হবে।

এই সমঝোতার মধ্যে দিয়ে উভয় পক্ষ তাদের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসবে। অর্থাৎ বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসবে। আওয়ামীলীগ যে ভাবে সরকার আছে সেভাবেই নির্বাচন হবে, এই অবস্থান থেকে সরে এসে একটি নির্বাচনকালীন সরকার বা ঐক্যমতের নির্বাচনকালীন সরকারের মতো কোনও একটি সহনশীল জায়গায় আসবে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন করবে।

প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরপেক্ষ থাকবে। এরকম একটি পরিস্থিতির মাধ্যমে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাপ দেবে। এই রকম একটি চাপ যদি বিএনপি পায়, শেষ পর্যন্ত বিএনপি অংশগ্রহণ করবে এবং বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে নির্বাচন পর্যন্ত পুরো সময় কঠোর মনিটরিং এবং পর্যবেক্ষণ করবে। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে কোনও রকম অনিয়ম হচ্ছে কি না, কোনও রকম বিশৃঙ্খলা হচ্ছে কি না কিংবা কেউ কোনও কারচুপির চেষ্টা করছেন কি না তা কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হবে।

এই সময়ে যদি হয় দেখা যায়, সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনও অনিয়ম করছে, কোনও কারচুপি করছে বা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে তাহলে সেক্ষেত্রে ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন মনে করে যে আগামী নির্বাচনে অর্থপূর্ণ করার জন্য বিএনপিকে নির্বাচনে আনা দরকার। আর সেটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় ছাড়াই হতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র ইঙ্গিত দিচ্ছে ৷ ফলে এখন বিএনপির জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে তারা কী বলে নির্বাচনে আসবে? কদিন আগেও যখন দলটি বলেছিল, এক দফা আন্দোলন এবং সরকারের পতন ছাড়া তারা ঘরে ফিরবে না সেখানে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে বিএনপির কি অস্তিত্ব থাকবে?


বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   পিটার হাস   বিএনপি   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নিয়ন্ত্রণে এসেছে কারওয়ান বাজারের আগুন

প্রকাশ: ১১:১০ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লা ভিঞ্চি হোটেলের পাশে কাঁচাবাজারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। 

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ৬টি ইউনিটের চেষ্টায় ১০টা ৩৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি। 


কারওয়ান বাজার   আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে লরির ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশুসহ দু’জনের

প্রকাশ: ১০:৫৬ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় সড়কের পার্শ্ববর্তী পুকুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরি পড়ে যায়। এসময় ফুটপাতে থাকা অন্তত ৬ জন লরির ধাক্কায় পুকুরে তলিয়ে যায়। এঘটনায় বছর বয়সী এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়।

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে বাটারফ্লাই মোড়ে প্রজাপতি পার্কের পাশে ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নিহত শিশুর পরিচয় এখনও জানা যায় যায়নি। এছাড়া আসাদুজ্জামান সানি (১৯) নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সানির মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৪ জন। তারা হলেন, ইমরান (৮), নুরুল আমিন (২১), তাসপিয়া (২০) ও নুসরাত (৩৫) ।

জানা গেছে, একটি রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িটি প্রজাপতি পার্কের পাশে মোড় নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় ফুটপাতে থাকা ছয়জনকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িটিসহ পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার করে পাঁচজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় হতাহতরা বেশিরভাগই একই পরিবারের। তারা পার্শ্ববর্তী নেভালে বেড়ানোর জন্য গিয়েছিলেন।

কেইপিজেড ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার মামুনুর রশীদ জানান, ‘দুর্ঘটনার পর আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে শিশুটির মরদেহ স্থানীয়রা উদ্ধার করেছেন।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক নুরুল আলম আশেক বলেন, ‘পতেঙ্গা দুর্ঘটনায় জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন।’


লরি   নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে   পুকুরে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কারওয়ান বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লা ভিঞ্চি হোটেলের পাশে কাঁচাবাজারে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

তিনি বলেন, রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি। 


কারওয়ান বাজার   আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি হজ মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবারের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে একজন হজযাত্রী মারা গেছেন। মৃত হজযাত্রী হলেন মোঃ আসাদুজ্জামান। তার পাসপোর্ট নম্বর -১৩৫৬১০৩৪।

শনিবার (১৮ মে) ভোররাত ৩টার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

হজযাত্রীদের মধ্যে যারা সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২৩ হাজার ৩৬৪ জন হজযাত্রী। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার হজফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৬৮টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাজার ৫৬২ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।


হজযাত্রী   সৌদি আরব   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জুনে আরও বড় হচ্ছে মন্ত্রিসভা?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। আগামী বাজেটের আগে কিংবা পরে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে এমন গুঞ্জন হচ্ছে আওয়ামী লীগ মহলে। বিভিন্ন সূত্র গুলো বলছেন, মন্ত্রিসভায় আরও নতুন মুখ আসতে পারে। দু একজন মন্ত্রীর দপ্তর পরিবর্তনের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে বলে দায়িত্বশীল একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জন্য কতগুলো ইস্যু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে এসেছে। এরকম বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করতে পারেন বলে আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১১ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। পয়লা মার্চ ৭ জন নতুন প্রতিমন্ত্রীকে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা হয়। এখন মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৪৪ জন। সামনের দিনগুলোতে মন্ত্রিসভা আরও বড় হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ভুল ধারণা করছে। বিশেষ করে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের ব্যাপারে সরকার নতুন করে গুরুত্ব দিতে চায় বলেই মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের বিষয়টি সামনে এসেছে বলে জানা গেছে।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় এখনও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন একজন প্রতিমন্ত্রী এবং তরুণ এই প্রতিমন্ত্রীর হাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ন্যস্ত করার ফলে সংকটের সমাধান হয়নি। বরং জিনিসপত্রের দাম নিয়ে মানুষের দুর্বিষহ অবস্থা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় সরকার এখানে একজন পূর্ণমন্ত্রী দিতে পারেন এমন আলোচনা ছিল। এর আগেও মন্ত্রিসভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব অবসরে গেছেন এবং নতুন সচিবকে সেখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীকে আনা হবে। 

অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তনের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে। সেখানে একজন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া হচ্ছে। একজন প্রতিমন্ত্রী আছেন বটে। তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একজন অর্থনীতিবিদ বা অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সরকার ভাবছে বলে জানা গেছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে শ্রমনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের শ্রম নীতির বিষয়টিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এটি নিয়ে সামনে বড় ধরনের সমঝোতা এবং সংলাপে বাংলাদেশকে যেতে হবে বলে অনেকেই মনে করেন। এই বাস্তবতায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের একজন পূর্ণমন্ত্রী দেওয়ার বিষয়টিও সরকারি মহলে আলাপ আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ আলী আরাফাত পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। গত কয়েক মাসে তার পারফরম্যান্স অত্যন্ত ইতিবাচক বলেই সরকারের নীতি নির্ধারক মহল মনে করছে। এ ছাড়াও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে থাকা জুনাইদ আহমেদ পলক এবং নসরুল হামিদের পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে কেউ কেউ দাবি করেছেন। 

বিভিন্ন মহল বলছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীকে দেওয়া হতে পারে। আবার অনেকে মনে করছেন, একজন ঝানু রাজনীতিবিদকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার রদবদল বা মন্ত্রিসভায় কাউকে অন্তভুর্ক্ত করা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যখন যাকে যোগ্য বিবেচনা করবেন সেই বিবেচনা অনুযায়ী যে কাউকে মন্ত্রিসভায় অন্তভুর্ক্ত করতে পারেন। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন এখনও মন্ত্রিসভা অপূর্ণাঙ্গ। তাই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ যে কোন সময় হতে পারে বলে অনেকের ধারণা।

মন্ত্রিসভা   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন