যাত্রীর অভাবে দূরপাল্লার বিভিন্ন গন্তব্যের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যস্ততা নেই বিভিন্ন বাস কোম্পানির কর্মীদের। অবসরের এই সময় নিজেদের মধ্যে ক্রিকেট খেলে সময় পার করছেন তাঁরা।আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। ওই সময় বাস টার্মিনালটি থেকে দূরপাল্লার কোনো গন্তব্যের উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি।
বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা তৃতীয় দফার অবরোধ শুরু হয়েছে আজ। ৪৮ ঘণ্টার এ অবরোধ চলবে কাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
সরেজমিন দেখা যায়, গাবতলী বাস টার্মিনালের ভেতরে সামনের অংশের রাস্তায় দুই প্রান্তে পরিবহনকর্মীদের দুটি দল ক্রিকেট খেলছেন। প্রতি দলে আছেন ১০ থেকে ১২ জন করে কর্মী। এক পাশের কর্মীরা ফলের ঝুড়িকে (প্লাস্টিকের ক্যারেট) স্টাম্প বানিয়েছেন। আরেকটি অংশে প্লাস্টিকের টুলকে স্টাম্প বানিয়ে খেলা চলছে।
হানিফ পরিবহনের কর্মী সিয়াম হোসেন জানান, ‘সকাল থেকে কাউন্টার
খুলে বসে আছি। কোনো
যাত্রী নেই। যাত্রী ছাড়া
তো বাস ছাড়বে না।
আর যাত্রী না থাকলে আমাদের
কোনো কাজ নাই, ব্যস্ততাও
নাই।’
অবরোধের
কারণে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে
দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে
যায়নি বলে জানিয়েছেন পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। যাত্রীর অভাবে টিকিট বিক্রির কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখতে দেখা
গেছে। কোনো কোনো কাউন্টার
খোলা থাকলেও কর্মীরা অলস বসে ছিলেন।
অবসর পেয়ে কোনো কোনো
কাউন্টারের কর্মীরা আবার ধোয়ামোছার কাজ
করছিলেন।
কুষ্টিয়া-মেহেরপুরগামী এসবি সুপার ডিলাক্স
পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার জিল্লুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, সকাল ৬টা ৪৫
থেকে তাঁদের বাস ছাড়া শুরু
হয়। সকাল সাড়ে ১০টার
মধ্যে তাঁদের ১১টি গাড়ি ছাড়ার
কথা, কিন্তু যাত্রী না থাকায় একটি
গাড়িও ছাড়া হয়নি।
তিনি
আরও বলেন, ‘ভোর থেকেই কাউন্টার
খুলে বসে আছি। এখনো
একজন যাত্রীও টিকিটের জন্য আসেনি। আর
যাত্রী ছাড়া তো বাস
চালানো সম্ভব না।’
গাবতলী যাত্রীর অভাব দূরপাল্লার গাড়ী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।