সর্বজনীন
পেনশনের বিষয়ে সারাদেশে আরও জোরালো প্রচারের
নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার
(৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এনইসি সভাকক্ষে
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ
নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী
একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভাশেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসনের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
চলতি
বছরের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন
পেনশন স্কিম চালু করে সরকার।
পেনশন স্কিম চালুর পর গত ২১
অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চাঁদা পরিশোধকারীর
সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। আর
তাদের জমা দেওয়া চাঁদার
পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১২ কোটি
টাকা। সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধনের পর প্রথমদিনেই অর্থাৎ
১৭ আগস্ট নিবন্ধন সম্পন্ন করে ১ হাজার
৭০০ জন চাঁদা পরিশোধ
করেন। তারা প্রায় ৯০
লাখ টাকা চাঁদা জমা
দেন।
প্রথম
এক সপ্তাহে চাঁদা পরিশোধ করেন ৮ হাজার
৫৫১ জন এবং তাদের
জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ছিল ৪ কোটি
৩৯ লাখ ২৫ হাজার
টাকা। আর প্রথম এক
মাস শেষে চাঁদা পরিশোধকারীর
সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ হাজার ৯৯৯
জন এবং তাদের জমা
দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ছিল ৭ কোটি
৭২ লাখ ৪৭ হাজার
৫০০ টাকা।
দুই
মাস চারদিনের মাথায় অর্থাৎ ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা
পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশনে চাঁদা পরিশোধকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৯১১
জন। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার
পরিমাণ ১২ কোটি ৪৩
লাখ ১১ হাজার টাকা।
অর্থাৎ প্রথম মাসে প্রায় ১৩
হাজার জন চাঁদা পরিশোধ
করলেও দ্বিতীয় মাসে চাঁদা দিয়েছেন
দুই হাজারের মতো মানুষ।
নিবন্ধন
করে চাঁদা পরিশোধকারীর হার কিছুটা কমলেও
শুরুর মতো এখনো বেসরকারি
প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা চাঁদা পরিশোধে এগিয়ে রয়েছে। তাদের জন্য চালু করা
প্রগতি স্কিমে নিবন্ধন করে ২১ অক্টোবর
পর্যন্ত চাঁদা পরিশোধ করেন ৬ হাজার
৭০৮ জন। তাদের জমা
দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ৬ কোটি ৬২
লাখ ৬১ হাজার ৫০০
টাকা। অর্থাৎ সর্বজনীন পেনশনে এখন পর্যন্ত যে
চাঁদা জমা পড়েছে তার
৫৩ দশমিক ৩০ শতাংশ জমা
দিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা।
চাঁদা
দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা
স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি যেমন- কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি পেশার ব্যক্তিরা। তাদের জন্য চালু করা
হয়েছে সুরক্ষা স্কিম। এ স্কিম গ্রহণ
করে চাঁদা পরিশোধ করেছেন ৬ হাজার ৭৪
জন। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার
পরিমাণ ৪ কোটি ২৮
লাখ ২৭ হাজার ৫০০
টাকা।
যাদের
বর্তমান আয়সীমা বাৎসরিক সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা,
তাদের জন্য চালু হয়েছে
সমতা স্কিম। এ স্কিমে চাঁদা
দিয়েছেন এক হাজার ৬৮১
জন। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার
পরিমাণ ৩৭ লাখ ৩২
হাজার টাকা। এ স্কিমের মাসিক
চাঁদার হার এক হাজার
টাকা। এর মধ্যে স্কিম
গ্রহণকারী চাঁদা দেবেন ৫০০ টাকা এবং
বাকি ৫০০ টাকা দেবে
সরকার।
সর্বজনীন
স্কিম গ্রহণকারী প্রবাসীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও এরই
মধ্যে তারা এক কোটি
টাকার ওপরে জমা দিয়েছেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য চালু করা
হয়েছে প্রবাস স্কিম। এ স্কিম গ্রহণ
করে এরই মধ্যে চাঁদা
দিয়েছেন ৪৪৮ জন। তাদের
জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ এক কোটি ১৪
লাখ ৯০ হাজার টাকা।
সর্বজনীন পেনশন জোরালো প্রচার প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।