অধিকার
আদায়ের সংগ্রামে বাঙালি জাতি কখনও ছাড় দেয়নি। অন্যায় অবিচারের কাছে মাথা নত
করেনি। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ যার
সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে জাতিকে
মুক্তি দিয়েছিলেন আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাড়ে তিন বছর জাতি পেয়েছিল গণতন্ত্রের স্বাদ।
১৯৭৫সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর হত্যা করা হয়েছিল গণতন্ত্রকেও।
সামরিক জান্তার জাতাকলে দীর্ঘ সময় গণতন্ত্র হয়েছিল নিস্পেষিত। সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার
আন্দোলনে ১০ নভেম্বর একটি
অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৮৭ সালের এই দিন যুবলীগ
নেতা নূর হোসেন জীবন্ত পোস্টার
হয়ে জাতিকে বুঝিয়ে দিয়েছেন কীভাবে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার করতে হয়।
আজকের
এই দিনে হাজারো প্রতিবাদী যুবকের সঙ্গে জীবন্ত পোস্টার হয়ে রাজপথে নেমে
এসেছিল যুবলীগ নেতা নূর হোসেন। তাঁর বুকে-পিঠে
উৎকীর্ণ ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তি
পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ এই জ্বলন্ত
স্লোগান। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অকুতোভয় সেই যুবকের অগ্নিঝরা
স্লোগান সহ্য হয়নি তৎকালীন
স্বৈরশাসকের। স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী সেই দিন নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তাঁর
বুক ঝাঁঝরা করে দেয়। নূর হোসেনের রক্ত থেকে জন্ম হয় লাখ লাখ প্রতিবাদি যুবক।
তারা নেমে আসে রাজপথে। সারা বাংলার রাজপথ হয়ে উঠে প্রকম্পিত।
স্বৈরশাসক
এইচ এম এরশাদ ১৯৮২ সালে একটি সেনা অভ্যুত্থ্যান এর মধ্য দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৭
সালের ১০ই নভেম্বর এরশাদের পতনের লক্ষ্যে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা করে আওয়ামীলীগ
সহ অন্যান্য বিরোধী দল গুলো। তাঁদের একমাত্র দাবি ছিল নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা। অবরোধ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকায় একটি মিছিলে
নূর হোসেন অংশ নেন এবং প্রতিবাদ হিসেবে বুকে পিঠে সাদা রঙে লিখিয়ে নেন: "স্বৈরাচার
নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক" । মিছিল টি ঢাকা জিপিওর সামনে জিরো পয়েন্টের
কাছাকাছি আসলে স্বৈরশাসকের মদদপুষ্ট পুলিশ বাহিনীর গুলিতে নূর হোসেনসহ মোট তিনজন আন্দোলনকারী
নিহত হন। নিহত অপর দুই ব্যক্তি হলেন যুবলীগ নেতা নুরুল হুদা বাবুল এবং আমিনুল
হুদা টিটু।
এই
হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ বিরোধী দলগুলো ১১ ও ১২ নভেম্বর সারা দেশে সকাল সন্ধ্যা
হরতাল ঘোষণা করে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ফলে স্বৈরাচার
বিরোধী আন্দোলন আরো ত্বরান্বিত হয়। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর
জেনারেল এরশাদ পদত্যাগ করেন। এর মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত
হয়। এরশাদ পদত্যাগ করলে বাংলাদেশে দুটি হ্যাঁ-না ভোটের মধ্য দিয়ে নির্বাচনকালীন
তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী-শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু হয়। এর এক বছর পর
সরকার এর পক্ষ থেকে নূর হোসেন এর মৃত্যুর দিনটি সরকারিভাবে উদযাপনের উদ্যোগ গৃহীত হয়।
দিনটিকে প্রথমে ঐতিহাসিক ১০ই নভেম্বর দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হলেও আওয়ামী লীগ এটিকে
“শহীদ নূর হোসেন দিবস” করার জন্য সমর্থন প্রদান করে এবং এই নামটি এখন পর্যন্ত বহাল
রয়েছে। ১৯৯৬ সালে এরশাদ, নূর হোসেনের মৃত্যুর জন্য জাতীয় সংসদে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা
প্রার্থনা করেন। যদিও তার দল জাতীয় পার্টি এখনো ১০ নভেম্বর গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন
করে।
নূর
হোসেনের পৈতৃক বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা
যুদ্ধের পর তাঁর পরিবার
স্থান পরিবর্তন করে ঢাকার বনগ্রাম
রোডে আসে। পিতা মুজিবুর
রহমান ছিলেন পেশায় অটোরিকশা চালক। তাঁর মায়ের নাম
মরিয়ম বিবি। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারণে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর নূর হোসেন
পড়াশোনা বন্ধ করে গাড়ির
ড্রাইভার হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। নূর হোসেন আওয়ামী
লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত
ছিলেন। তিনি ঢাকা জেলা
আওয়ামী মটর চালক লীগের
বনগ্রাম শাখার প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
দিবসটি
পালন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিস্তারিত
কর্মসূচি নিয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকালে
রাজধানীর গুলিস্তানস্থ শহীদ নূর হোসেন
স্কয়ারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং তার বিদেহী
আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত
হবে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন ১০ নভেম্বর
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন
মন্তব্য করুন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে
বিদেশি
মদের
চালান
সহ
আমির
হোসেন
নামে
এক
পেশাদার
মাদক
কারবারিকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৯ মে) বিকেলে ওই মদের চালান ও মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাহিরপুর
থানার
ওসি
মোহাম্মদ
নাজিম
উদ্দিন
জানান,
‘থানার
বাদাঘাট
পুলিশ
তদন্ত
কেন্দ্রের
ইনচার্জ
এসআই
নাজমুল
ইসলাম
সঙ্গীয়
অফিসার্স
সহ
পুলিশের
একটি
টিম
নিয়ে
উপজেলার
লাউড়গড়
গ্রামের
আমির
হোসেনের
বসত
ঘরের
শয়ন
কক্ষ
থেকে
বস্তা
ভর্তি
বিভিন্ন
ব্র্যান্ডের
২২
বোতল
বিদেশি
মদ
জব্দ
করেন।
এ সময় মাদক
কারবারে
জড়িত
থাকায়
বসতবাড়ির
মালিক
পেশাদার
মাদক
কারবারি
আমির
হোসেনকে
গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন
মন্তব্য করুন