নির্বাচনকে সামনে রেখে কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন। চারদিকে সাজসাজ রব।নিরাপত্তার চাদরে যেমন ঢাকা হয়েছে, তেমনি মানুষের মধ্যে রয়েছে উচ্ছ্বসিত কৌতুহল। রাজনৈতিক অঙ্গন খুবই সরগরম। কক্সবাজার চারটি সংসদীয় আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্তত ৪২ জন নেতা দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। এদের মধ্যে চার জন বর্তমান সাংসদ, কেন্দ্রীয় নেতা, জেলা উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ রয়েছেন। তাই এবারের প্রধানমন্ত্রীর আগমন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে জেলা জুড়ে।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যাপক জনসংযোগ, শোডাউন পাল্টা শোডাউন, ব্যানার, ফেষ্টুন, মতবিনিময় সভা, শেখ হাসিনার ব্যাপক উন্নয়ন,সাহসিকতা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সফলতা নিয়ে কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষায় জারিসারি ভাটিয়ালি গানের আসর চলছে গ্রাম থেকে শহরে। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শেখহাসিনার মাতারবাড়ি জনসভা১০ লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।এক কথায় জনসমুদ্রে পরিনত হবে এ জনসভা।শেখ হাসিনার এবারের কক্সবাজার আগমন অন্য যেকোনো সময়ের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, মাত্র ক' দিন পরেই জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।সে অর্থে এ সফরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে ভোট ও চাইতে পারেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জেলা জুড়ে নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে।
এর আগে ২০২২ সালের ৭ই ডিসেম্বর ২৯ প্রকল্পের উদ্বোধনের এগারো মাসের মাথায় আগামী ১১ নভেম্বর কক্সবাজার সফর আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন সকালে রেল মন্ত্রণালয়ের অধিনে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা চান্দেরপাড়া এলাকায় নির্মিত আইকনিক রেলস্টেশনের উদ্বোধন করবেন তিনি। পরে সুধিজনের সাথে মতবিনিময়ে করে বিকেলে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এ সময় রেললাইন প্রকল্পসহ ১৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আইকনিক রেললাইন স্টেশন ও রেল লাইন ছাড়া ১৩টি প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য এবং ৩টি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য ফলক স্থাপন করা হয়েছে। যারমধ্যে উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর যোগ্য প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০৭২১.৯৭১৪ কোটি টাকা।তার মধ্যে উদ্বোধনযোগ্য প্রকল্পের ব্যয় ৫২৮৭৮.২৩০১ কোটি টাকা।ভিক্তি প্রস্তর যোগ্য প্রকল্প সমূহের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৮৪৪.৭২১৩ কোটি টাকা।
যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে:
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৫৯.৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন কক্সবাজার বিমানবন্দরে উন্নয়ন প্রকল্প এর আওতায় বাঁকখালী নদীর কস্তুরা ঘাটে ৫৯৫ মি.দীর্ঘ পিসি বক্স গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ৪.৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ঠান্ডা চৌকিদারপাড়া ৬০ মিটার আর সি সি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চকরিয়া পৌরসভা বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণ প্রকল্প,
৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ) ডিজাইন ও স্থাপনকরণ প্রকল্প। ৩.০৮০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় কক্সবাজার সদর উপজেলা জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ প্রকল্প, মহেশখালীতে ২.৩৮৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে ইউনুসখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ২.৮৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে উখিয়ায় রত্না পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যাললয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ২.৭৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন নির্মাণ, ৫১,৮৫৪.৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে মহেশখালীতে মাতারবাড়ি ২৬০০ মেগাওয়াট আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, ৬৪৭.১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কুতুবদিয়ায় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়া দ্বীপকে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তকরণ প্রকল্প, ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন (১ম পর্যায়) (৩য় সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ডিপোজিট ওয়ার্ক হিসেব বাংলাদেশ পানি উন্নয় বোর্ড (বাপাউবো) ২১২ এরক ভূমি ভরাট , ৪.৭৭৪ কিমি ¯েøাপ প্রেটেকশন বাঁধ নির্মাণ, এপ্রোচ রোড়সহ ২টি ব্রিজ ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প এবং ২৫.৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে রামুতে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।
যেসব প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন:
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে টেকনাফে মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার রিসিলেন্ট শেল্টার কাম আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭.০৯ কোটি টাকা। রামুর জোয়ারিনালা ইউপি-মোহসিনা বাজার ভায়া নন্দাখালী সড়কে ১৮৪ মিটার দীর্ঘ আর্চ ও আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্প। এটির প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩.৪৯ কোটি টাকা। ১৭৭৭৭.১৬১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মহেশখালী মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প এবং ১৬.৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কাব স্কাউটিং সস্প্রসারণ (৪র্থ পর্যায়) প্রকল্পের ভিত্তি করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের ভিক্তি প্রস্তর ও স্থাপন করবেন। সেদিন ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেনার জেটি এবং ১৮ দশমিক ৫ মিটার ড্রফটশ (জাহাজের নীচের অংশ)৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি বহুমূখী জেটি এবং একটি কন্টেনার ইয়ার্ডসহ বন্দরের অন্যান্য সুবিধার নির্মাণ কাজ শুরু হবে।এর ফলে আট হাজার থেকে ১০ হাজার কন্টেইনার জাহাজ সরাসরি জেটিতে প্রবেশ করতে পারবে।
সিপিজিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন,আনুষ্ঠানিক ভাবে কোম্পানিটি ইতোমধ্যেই মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেলটি সিপিএ চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেলের কাছে হস্তান্তর করেছে।মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের জন্য চ্যানেলের প্রস্থ ১০০ মিটার থেকে বাড়িয়ে ৩৫০ মিটার করা হয়েছে।
এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, কক্সবাজার
কক্সবাজার রেল লাইন আইকনিক স্টেশন প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।