নির্বাচন কমিশন স্বাধীন এবং স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছে স্বাধীনতা। আর সেই স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানিয়ে এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির এই ঔদার্য, সংবিধানের প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতার প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি নির্বাচন কমিশনের সকল সদস্যকে মুগ্ধ করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা এ নিয়ে আলোচনা করছেন।
গত ৯ নভেম্বর মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের অন্য সদস্যরা। সাধারণত রেওয়াজ হল এই সময় নির্বাচন কমিশনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য কয়েকটি তারিখ বলেন এবং নির্বাচন কমিশন তাদের কমিশনের সভায় এই তারিখগুলির মধ্য থেকে একটি তারিখ বাছাই করে নেয়। অতীতের সবগুলো নির্বাচনে একইরকম ভাবে তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। গত ৯ নভেম্বর যখন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা সাক্ষাৎ করতে যান, তখনও প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাষ্ট্রপতিকে বলেন, তার পছন্দের কোন তারিখ আছে কি না বা তিনি এই ব্যাপারে কোন পরামর্শ দিতে চান কিনা? সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের অভিভাবক এবং প্রথম ব্যক্তি। কাজই তার ইচ্ছা অনিচ্ছা গুরুত্বপূর্ণ বলে নির্বাচন কমিশনের এই ধরনের একটি রীতি দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত ছিল। কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতি সেই রীতি ভাঙলেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি তাদেরকে জানালেন যে, কমিশন একটি সাংবিধানিক ভাবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনের তারিখ কীভাবে নির্ধারিত হবে সেটি কমিশনের বৈঠকে হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশন তাদের নির্ধারিত বৈঠকে বসে এই তারিখ চূড়ান্ত করবেন বলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের বলেছে যে, আমার কিছু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে একটি নতুন সরকার গঠনসহ নতুন নির্বাচনের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তিনি বলেছেন যে, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে আমি প্রত্যাশা করব যে, আপনারা যে তারিখ নির্ধারণ করবেন এই ২৯ জানুয়ারি মাথায় রেখেই করবেন। আমরা যেন কোনও সাংবিধানিক সংকটে না পরি।
নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল বিভিন্ন সূত্র বলছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির এই দিকনির্দেশনায় তারা মুগ্ধ হয়েছেন। এর আগে কখনোই কোনো রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার ব্যাপারে এতটা উদারতা দেখেননি।
নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট একজন বলেছেন যে, এর ফলে নির্বাচন কমিশন যে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং তাদের কাজের ব্যাপারে যে কেউ হস্তক্ষেপ করছে না, এটি আরেকবার প্রতিষ্ঠিত হল। শুধু তাই নয়, যারা নির্বাচন কমিশনের স্বাতন্ত্র্য এবং ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাদের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থিত থাকল।
একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, এর ফলে আমরা আরও সাহসের সঙ্গে এবং স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারব। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি আসলে সকলের জন্য একটি অনন্য নজির স্থাপন করলেন। এরফলে আমাদের জন্য নির্বাচন পরিচালনার কাজটি অনেকটাই সহজ হয়ে গেল। কারণ মহামান্য রাষ্ট্রপতি যেখানে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন, সেখানে আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আর কোন পিছুটান থাকল না।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড খুশী কবির
মন্তব্য করুন
সুশীল ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বদিউল আলম মজুমদার আদিলুর রহমান খান
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও একমত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (১৫ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, “গাজায় শান্তি স্থাপন করার বিষয়টি আমরা আলোচনা করেছি। তিনি (ডোনাল্ড লু) বলেছেন, ইউএস অত্যন্ত টায়ারডলেসলি (অক্লান্তভাবে) কাজ করছে যাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তিনি আমাকে যেটুকু বলেছেন- ‘তারা আশাবাদী’।”
‘আমরা বলেছি, গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, নিরীহ নারী ও শিশুকে হত্যা করা হচ্ছে। ৩৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু’, যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এটি আসলে মেনে নেয়া যায় না। আমি বলেছি, টেলিভিশনে যখন এগুলো দেখি, তখন টেলিভিশন দেখা কন্টিনিউ করতে পারি না। সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনিও একমত যে, সেখানে শান্তি স্থাপন করা দরকার। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য টায়ারলেসলি কাজ করছেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একইসাথে গত ৫৩ বছরের আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে ডোনাল্ড লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।’
‘আমাদের আলোচনা সেই লক্ষ্যেই হয়েছে। একক দেশ হিসেবে আমাদের রফতানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আমি ডোনাল্ড লু’কে অনুরোধ জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও কিছু বিনিয়োগ তারা এরইমধ্যে করেছে।’
হাসান মাহমুদ ডোনাল্ড লু ফিলিস্তিন গাজা
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকায় যেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঢাকার মধ্যে অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ওবায়দুল কাদের অটোরিকশা
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের চাকরির বাজারের প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়ার জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি। চাকরিপ্রত্যাশীদের মতে সরকারি চাকরির মত পেশাগত নিরাপত্তা আর কোথাও নেই। আর সেজন্যই অনেক দেশে বেশি বয়সে সরকারি চাকরির আবেদনের সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশে এর সীমাবদ্ধতা ৩০ বছরে রয়েছে। সরকারি চাকরির কোন কোন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতার দরকার হয়। সেই দক্ষতা অর্জনের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া চাকরির আবেদনের বয়স যতই থাকুক না কেন, পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ অনির্দিষ্ট হয় না। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ বা ৭ বার সিভিল সার্ভিসের জন্য আবেদন করতে পারেন। আমাদের দেশেও যেকোন যুক্তিতে বয়স বাড়াতে গেলে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে কমলা ভাসিন অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজাদ ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্ডিয়া এবং আই পার্টনার-ইন্ডিয়া যৌথভাবে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে। জেন্ডার সমতা নিয়ে কর্মরত দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী যে কেউ এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারেন। আগামী ৭ জুনের মধ্যে এই আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশে সুশীল সমাজের কিছু প্রতিনিধি আছেন যাদেরকে মনে করা হয় তারা মার্কিনপন্থী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখে তারা গর্ব অনুভব করেন। কথায় কথায় মার্কিন দূতাবাসে যান। সেখানে প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্নভোজ, নৈশভোজে মিলিত হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা বলে তারা তার চেয়ে তিন ধাপ গলা উঁচিয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ নিয়ে তাদের কোন ভালবাসা নেই, প্রেম নেই, আগ্রহ নাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবং নীতি বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করাই যেন তাদের প্রধান লক্ষ্য। এই সমস্ত সুশীলদেরকে বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মাইক্রোফোন।