রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) রসায়ন বিভাগের সিনিয়রদের বিরুদ্ধে মেসে ডেকে জুনিয়রদের র্যাগ
দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। জানতে পেরে অভিনব কায়দায় অভিযুক্তদের আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রশাসন। গত শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ
ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক জানান, মেসে ডেকে র্যাগিংয়ের
অভিযোগে রসায়ন বিভাগের ৭ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে
দেয়া হয়েছে। অভিযোগ তদন্তে বিভাগকে জানানো হয়েছে।
জানা
গেছে, রসায়ন বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীরা একই বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থীদের
বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে ধারাবাহিকভাবে র্যাগ দিয়ে আসছিল। এ ঘটনা কোন এক জুনিয়র বিভাগের
শিক্ষককে জানায়। পরে ঘটনাটি ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলমে জানতে পারেন। তিনি
বিভাগের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের থেকে জানতে পারেন আজও তাদের সন্ধ্যা ৭টায় সিনিয়ররা নগরীর
মির্জাপুরে স্যামা মেসে ডেকেছেন। তখন তিনি সহকারী প্রক্টর ড. জহুরুল আনিসকে আগেই মেসের
সামনে পাঠান। মেসে জুনিয়রদের নিয়ে ঘরের জানালা-দরজা বন্ধ করে যখন সিনিয়রা বসেছিল তখন
ছাত্র উপদেষ্টা সেখানে যান এবং সিনিয়র সাতজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে নিয়ে
আসেন ছাত্র উপদেষ্টা। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ
ব্যাপারে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ছোট একটা রুমে প্রায় ৩০ জন জানালা-দরজা
বন্ধ করে বসেছিল। সিনিয়র সবাই বেডে এবং জুনিয়রা ফ্লোরে বসা। সবার ফোন নিয়ে একপাশে রেখেছে।
এভাবে নাকি তারা জুনিয়রদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। কয়েকদফায় ২০/৩০ জনে ভাগ করে জুনিয়রদের
ডেকে বিভিন্ন মেসে বসত তারা। তখন রুমে ডেকে কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে বলত ও একজনকে মেয়ে
সাজিয়ে তাকে প্রপোজ করাসহ বিভিন্নভাবে মানসিক চাপ দিত বলে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের
জন্য বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানতে
চাইলে অভিযুক্তরা জানান, জুনিয়ররা নোট নিতে বিভিন্ন সময় অনলাইনে জানাত। দেখা করতে চাইত।
তাই তাদের সঙ্গে আমরা বসেছি। আশেপাশেই থাকে বলে তাদের মেসে ডাকা হয়েছে। আগেও অনেকের
সঙ্গে বসা হয়েছে। পরে নাস্তা খাইয়ে রুমে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তাদের শারীরিক কোন নির্যাতন
করা হয়নি।
এ
ব্যাপারে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসান আহমদ জানান, প্রশাসন বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছে।
দাপ্তরিক কোন নির্দেশনা পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেস র্যাগিং অভিনব কায়দায় অভিযুক্ত ধরল রাবি প্রশাসন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।