দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে যশোর-১ (শার্শা) আসনে কে পাচ্ছেন আওয়ামীলীগের দলীয় টিকিট তা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। এবার নৌকার প্রার্থী কি অচেনা প্রার্থী হবেন নাকি দলীয় পদে থাকা ও রাজপথে থাকা লড়াই সংগ্রামে অংশ নেয়া নেতারা হবেন।
আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির পরপরই এ আসন জুড়ে
চলছে এমন আলোচনা ও সমালোচনা। ইতিমধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেতে যশোর-১ আসনের একাদীক
প্রার্থী ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে প্রার্থীদের
আমলনামা নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন অনেক প্রার্থী।
দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল
ঘোষণার পরপরই যশোর-১ আসনে নড়েচড়ে বসেন আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। শনিবার
থেকে আওয়ামীলীগের দলীয় ফরম বিক্রির ঘোষণার সাথে সাথে প্রার্থীরা দৌঁড়ঝাপ শুরু
করেন।
সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রার্থীরা নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকার ২৩
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আশেপাশের হোটেলে অবস্থান
করছেন। নিজের পক্ষে দলীয় টিকিট পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মনোনয়ন বোর্ডের
বিভিন্ন নেতার সাথে সংযোগ স্থাপন করছেন বলেও শোনা যাচ্ছে। প্রাথমিক বাছাইয়ে স্ব-স্ব
প্রার্থীর নাম যাতে থাকে সেই চেষ্টাও করছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
দলীয় ও বিভিন্ন প্রার্থীর সমর্থক সূত্র জানায়,বর্তমান সংসদ সদস্য
আলহাজ্ব শেখ আফিল উদ্দীন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র
আশরাফুল আলম লিটন, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক নবী নেওয়াজ মোঃ
মুজিবুদ্দৌলা সরদার কনক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নাজমুল হাসান দলীয় মনোনয়ন ফরম
ক্রয় করেছেন।
একাধিক সূত্র জানায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে
আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রায় এক বছর ধরে শার্শা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন
ও পৌরসভার গ্রাম, পাড়া, মহলা ও হাটবাজারে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। এবার
নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল ছিল অনেকটা ভিন্ন। তারা সরকারের উন্নয়নের কর্মকান্ড তুলে
ধরার পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে পুনরায় নৌকায় ভোট দেবার আহবান জানিয়ে গণসংযোগ
করেন। জনগণের নিকট বিতরণ করেছেন লিফলেট। গণসংযোগের ধরনও ছিল ভিন্ন। বিগত সময়
গণসংযোগ হলে পূর্ব থেকে জানানো হতো। সেখানে কর্মী সমার্থকরা জড়ো হতেন। এসবের মধ্যে
আরো কিছু যুক্ত হয়েছে বলে অনেকে জানান।
প্রার্থীরা ভোটারের কর্মস্থল মাঠ, হোটেল, রেস্তোরা এমনকী চায়ের
দোকানে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে গণসংযোগ করেন। নিজেরাই কথা বলেন ভোটারের সাথে আর সেই
কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারও করেন। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই উন্নয়নের
বার্তা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও উন্নয়নের পক্ষে থাকার আহŸান করেন
সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
দলীয় সূত্র জানায়, সম্ভাব্য প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ
নেতৃবৃন্দ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় নেতৃবৃন্দদের আশ্বাসে গণসংযোগ ও নির্বাচনী
কার্যক্রমে মাঠে ছিলেন। তারই অংশ হিসেবে গণসংযোগের ছবি, স্মার্ট কার্যক্রমের
ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন প্রমাণ নিয়ে দলীয় টিকিটের জন্য দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন প্রার্থীরা।
যদিও আগেভাগেই বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য, দলীয়ভাবে গোপনীয় তথ্য ও প্রার্থীর আমলনামা
দলীয় সভানেত্রীর হস্তগত হয়েছে। সেই আমলনামার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায়
যার জনসমর্থন আছে, ক্লিন ইমেজে যে এগিয়ে থাকবেন তাকেই দলীয় টিকিট দেয়া হবে বলে
আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ সূত্র জানিয়েছে। তবে কেউ কেউ নিজের আমলনামা নিয়ে শংকিতও
রয়েছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্ট আসনের কয়েকজন প্রবীণ ভোটাররা জানান, শেখ আফিল উদ্দিন এলকার জন্য কাজ করেছে তবে বড় ফ্যাক্টরি তৈরি করেছেন প্রায় ৮ হাজার লোকের কর্মসংস্থান তৈরি কাজ করেছেন মসজিদ মাদ্রাসা রাস্তাঘাটের কাজ করেছেন ওখানে জনগণের সাথে যার সম্পর্ক আছে। দলীয় কর্মকান্ডে যার অবদান রয়েছে তাকে প্রার্থী করলে ভোটারদের মাঝে স্বস্তি আসবে। কয়েকজন নতুন ভোটার জানান, প্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। উন্নয়নের সাথে প্রযুক্তির সম্পর্ক বিদ্যমান। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে তেমন প্রার্থী তারা আশা করেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।