ইনসাইড বাংলাদেশ

আইনী জটিলতায় ১১ বছর চার রোহিঙ্গা লাশ চমেক মর্গে, লাশের ভাড়া বকেয়া ১৩ কোটি টাকা


Thumbnail

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের ডিপফ্রিজে ১১ বছর ধরে পড়ে আছে চার রোহিঙ্গার মরদেহ। দৈনিক ২ হাজার টাকা করে চার রোহিঙ্গা মরদেহের বকেয়া ভাড়া দাঁড়িয়েছে গত ৭ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত  ১৩ কোটি টাকার ও বেশী।দিন যতই যাচ্ছে বকেয়া ভাড়ার টাকা ও বাড়ছে।চলতি বছর শেষ হলে প্রত্যক লাশের ভাড়া ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা যোগ হবে।যার পরিমাণ ৩০ লাখ টাকা বাড়তি যোগ হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ কর্তৃপক্ষ। 

তাই চার রোহিঙ্গা শরণার্থীর মৃতদেহ নিয়ে বিপাকে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।  দুই জনের মৃতদেহ ১১ বছর, একজনের নয় এবং একজনের মৃতদেহ পাঁচ বছর ধরে সংরক্ষিত রয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) মর্গের ডিপফ্রিজে।

চার শরণার্থীর মৃতদেহ সংরক্ষণে বকেয়া জমেছে ১৩ কোটি টাকারও বেশি। বকেয়া টাকা পরিশোধ করে মৃতদেহগুলো নিয়ে যাবার অনুরোধ জানিয়ে চমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে নগর পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বেশ কয়েকবার। এর মধ্যে পাঁচলাইশ থানার ওসি পরিবর্তন হয়েছে অন্তত পাঁচজন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১২ সালে দুটি, ২০১৪ সালে একটি ও ২০১৭ সালের একটিসহ মোট চারজন রোহিঙ্গা শরণার্থীর মৃতদেহ দীর্ঘদিন ধরে চমেক হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষিত আছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ায় বর্তমানে মৃতদেহগুলো আকৃতিগতভাবে নষ্ট হওয়ার শেষ পর্যায়ে। চারটি মৃতদেহ যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিএমপি কমিশনারকে চিঠি দেয় চমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ। ২০১২ সালের ২৬ অক্টোবর চমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ থেকে বকেয়া পাওনা চেয়ে পাঁচলাইশ থানার ওসির কাছে প্রথম চিঠি দেয়া হয়। সেই সময় দুই লাশের ডিপফ্রিজ ভাড়া বকেয়া ছিল এক লাখ ৪২ হাজার টাকা। চিঠিতে বলা হয়েছে দুটি লাশের প্রতিদিন ডিপফ্রিজ ভাড়া দুই হাজার টাকা বাড়বে। এরমধ্যে ডিপফ্রিজে জমা হয়েছে রোহিঙ্গা সাইথাং থো ও হাফেজ সিরাজের মৃতদেহ।

ফরেনসিক বিভাগের দেয়া চিঠির তথ্য অনুযায়ী দশ বছরের অধিক সময় ধরে মর্গে পড়ে থাকা চার মৃতদেহের মধ্যে ২০১২ সালের ১৩ জুন থেকে ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত কালা হোসেনের মৃতদেহের ভাড়া বকেয়া পড়েছে তিন কোটি ৭৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। একইভাবে ২০১২ সালের ১৭ জুন থেকে ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত তৈয়বের মৃতদেহের বকেয়া ভাড়া তিন কোটি ৭৯ লাখ ৫০ হাজার, ২০১৪ সালের ২৩ মে ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সাইথাং থো এর মৃতদেহের বকেয়া ভাড়া তিন কোটি আট লক্ষ ৯০ হাজার ও ২০১৭ সালের ১৪ মে থেকে ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত হাফেজ সিরাজের মৃতদেহের ভাড়া বকেয়া হয়েছে এক কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার। চলতি বছর পূর্ণ হলে প্রত্যেক মৃতদেহের মর্গের বকেয়া ভাড়ায় আরো সাত লাখ ৩০ হাজার করে আরো প্রায় ৩০ লাখ টাকা বকেয়া বাড়বে।

পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেভাবে নির্দেশনা দেবেন সেভাবে কাজ করা হবে।

 ২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় মিয়ানমারে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় রোহিঙ্গা নাগরিক আবু তৈয়ব (২০) ও কালা হোসেন (৫০) নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা হয়। আহত দুইজনকে জরুরি চিকিৎসা নিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠায় কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ। চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১২ সালের ১৭ জুন আবু তৈয়ব ও ১২ জুন কালা হোসেন মারা যায়। নিয়ম অনুযায়ী পাঁচলাইশ থানা পুলিশ দুই জনের মৃতদেহ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। ময়নাতদন্তের পর প্রায় সাড়ে দশ বছর ধরে দুইজনের মৃতদেহ চমেক হাসপতাল মর্গের ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষিত রয়েছে। একইভাবে ২০১৪ সালের ২৩ মে থেকে এবং ২০১৭ সালের ১৪ মে থেকে আরো দুই রোহিঙ্গা সাইথাং থো ও হাফেজ সিরাজের মৃতদেহ সংরক্ষিত আছে চমেকের ডিপ ফ্রিজে।

এদিকে ২০১২ সালের ২৬ আগস্ট ডিপফ্রিজে দুই রোহিঙ্গার মৃতদেহ সংরক্ষণ বাবদ এক লাখ ৪২ হাজার টাকা বিল দাবি করে পাঁচলাইশ ওসির কাছে একটি চিঠি পাঠায় চমেক হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ। ফরেনসিক বিভাগ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, দুটি মৃতদেহ ডিপফ্রিজে সংরক্ষণ বাবদ প্রতিদিন দুই হাজার টাকা করে বকেয়া বিল বাড়ছে। এরপর থেকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ, চমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ, কক্সবাজার মডেল থানা, নগর বিশেষ শাখার মধ্যে চিঠি চালাচালি হয় দফায় দফায়। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে বাংলাদেশস্থ মিয়ানমার দূতাবাস পর্যন্ত গড়ায়। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দুইজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার ও টেকনাফ থানায় মামলা রয়েছে।

২০১২ সালের ২৬ জুলাই নগর পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে একটি চিঠি পাঠানো হয় কক্সবাজার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে। বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার সেলিম মো. জাহাঙ্গীর স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে সংগঠিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা নাগরিক আবু তৈয়ব ও কালা হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে মারা যায়।

দুইজনের মৃতদেহ মিয়ানমারে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতবাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হয়। উত্তরে মিয়ানমার দূতাবাস জানান, নিহতরা মিয়ানমারের নাগরিক নয়। কারণ তাদের কাছে মিয়ানমারের জাতীয় পরিচয়পত্র, রেজিস্ট্রেশন কার্ড নেই। তাদের ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে মিয়ানমার দূতাবাস।




মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজধানীতে বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি

প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীতে শুরু হয়েছে বজ্রসহ বৃষ্টি। সঙ্গে শিলা। আজ রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।

শনিবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়। পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর কমে যেতে পারে তাপপ্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। 

রাজধানী   শিলা-বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বন্ধ বিমানবন্দর চালুর পরিকল্পনা আপাতত নেই: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:৪৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান জানিয়েছেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালুর পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।

রোববার (৫ মে) বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আজমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান।
 
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক, সাতটি অভ্যন্তরীণ ও পাঁচটি স্টল বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু রয়েছে। এসব বিমানবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্ধ থাকা বিমানবন্দরগুলো চালু করার পরিকল্পনা সরকার তথা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আপাতত নেই। তবে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন, যাত্রী চাহিদা এবং এয়ারলাইনসগুলোর আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে বন্ধ বিমানবন্দরগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

বিমানবন্দর   বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গেল কোথায়: সংসদে চুন্নু

প্রকাশ: ০৯:৩৪ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

লোডশেডিং নিয়ে সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি রয়েছে। তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ প্রশ্ন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এই মুহূর্তে সারাদেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। তার মধ্যে দুটি সমস্যায় মানুষ খুব আক্রান্ত। একটি হলো বিদ্যুৎ। এই মৌসুমে সারাদেশে গ্রামে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আর সরকার বলেছে ২৮ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটির কথা, তাহলে এই বিদ্যুৎ গেল কোথায়? বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে আমার এলাকার মানুষ দাওয়াত দিয়েছে, লোডশেডিং হয় কিনা দেখার জন্য।

তিনি আরও বলেন, যে সব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ভাড়ায়, তাদের সক্ষমতার ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরেও বসে আছে এবং ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থেকে ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগের পার্লামেন্টে আমি বলেছিলাম, আমার এলাকায় প্রায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজকে চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই সশরীরে উনি আমার এলাকায় একটু যাবেন, যে কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

চুন্নু বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

লোডশেডিং   মুজিবুল হক চুন্নু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

লক্ষ্মীপুরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে সংখ্যালঘুর জমি দখল, ঘর নির্মাণ


Thumbnail

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে রাতের অন্ধকারে হামলা চালিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি টিনসেট ঘর স্থাপন করেছে তাজল ইসলাম নামে এক ভূমি পরিমাপক। 

রোববার (৫ মে) ভোর রাতে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের করুনানগর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলেও যথা সময়ে পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। 

বিকেলে ভূক্তভোগী টিংকু রানী দাস, বিপন রানী দাস, শোভন দাস ও অনিক চন্দ্র দাসসহ কয়েকজন এ অভিযোগ করেন। তারা জানায়, লোক মারফত তারা জানতে পারেন তাজল ইসলাম বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলবেন। এতে শনিবার (৪ মে) দিবাগত সারারাত তারা পাহারারত ছিলেন। কেউই ঘুমাননি। রোববার ফজরের আযান দিলে তারা ঘুমাতে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে তাজল ইসলাম প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষকে নিয়ে এসে বিরোধীয় জমিতে থাকা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে। ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সবাই এসে বাধা দিলে তাজল ইসলামসহ তার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে তাদের (ভূক্তভোগী) ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। সেখান থেকে বিষয়টি কমলনগর থানাকে জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছতে ২ ঘণ্টা সময় লাগিয়েছে। এর মধ্যে অন্যত্র তৈরিকৃত একটি নতুন ঘর এনে তাজল ইসলামরা বিরোধীয় জমিতে স্থাপন করে। এসময় টিংকু, বিপন, শোভন ও অনিকসহ কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আনা হয়। 

ভূক্তভোগীরা আরও জানায়, পুলিশ এসে ঘর দেখে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলে। যদি পুলিশ সময়মতো আসতো তাহলে তাজল ইসলামরা ঘর স্থাপন করার সুযোগ পেতো না। আদালতে মামলা চলমান থাকলেও হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপনের ঘটনায় তাজল ইসলামের বিচার চেয়েছেন ভূক্তভোগীরা।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিলন মন্ডল বলেন, ডালিম কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি তাজল ইসলামের কাছে জমি বিক্রি করে। ডালিম ও তাজলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক রাম কৃষ্ণ দাসসহ ভূক্তভোগীরা অগ্রক্রয় অধিকার আইনে রামগতি সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন। মামলাটি এখনো চলমান। এরমধ্যে তাজল ইসলাম হামলা চালিয়ে ঘর স্থাপন করে আইন অমান্য করেছে। আমরা তার বিচার দাবি করছি। 

তবে অভিযুক্ত তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তিনি রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা। 

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশও পাঠানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। কেউ আটকও নেই। জায়গা জমি নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ক্রেতা তার জমি দখল করতে এসেছে। এটি উভয়পক্ষ বসে মীমাংসা করতে পারতো।

লক্ষ্মীপুর   সংখ্যালঘু   জমি দখল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহে কী করতে হবে, জানিয়ে জাতীয় নির্দেশিকা প্রকাশ

প্রকাশ: ০৮:২১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, স্ট্রোক, মুখের ভেতর শুকিয়ে যাওয়া, অ্যাজমা, মাংসপেশিতে খিঁচুনি, চামড়ায় ফুসকুড়ি, কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের গরমে বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শ্রমজীবী মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষার জন্য কী কী করতে হবে, তা জানিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় গাইডলাইন বা নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে সরকার।

রোববার (৫ মে) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত তাপমাত্রাজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ক জাতীয় গাইডলাইনের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, তীব্র গরমে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। যারা একটু শারীরিকভাবে কম সামর্থ্যবান, যাদের ডায়াবেটিস, হার্ট-ডিজিস বা বিভিন্ন অসুখ রয়েছে, তারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই বইয়ে নির্দেশিত গাইডলাইন লিফলেট আকারে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে সব সরকারি হাসপাতালে এই গাইডলাইন প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নগর পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখি গ্রামের চেয়ে ঢাকা শহরে তাপমাত্রা অনেক বেশি। এর কারণ আমরা ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে শহরের গাছপালা সব কেটে সাবাড় করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর হয়তো আমরা খুব প্রভাব ফেলতে পারি না। কিন্তু নগর পরিকল্পনার সময় যদি এসব বিষয় আমরা মাথায় রাখি, তাহলে অনেকাংশেই পরিত্রাণ সম্ভব।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ এমা ব্রিগহাম প্রমুখ।

তাপপ্রবাহ   জাতীয় নির্দেশিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন