গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম দিন ডা. শহীদ মিলন দিবস। সম্পূর্ণ নাম ডাক্তার শামসুল আলম খান মিলন। তাকে উৎসর্গ করেই প্রতিবছর ২৭ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
১৯৯০
সালের এই দিনে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিএসসি এলাকায় তৎকালীন স্বৈরশাসকের গুপ্তবাহিনীর গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন ডা. শামসুল আলম
খান মিলন। তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে
ডা. মিলনের আত্মত্যাগ নতুন গতি সঞ্চারিত করে। সেদিনই দেশে জরুরি আইন ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু জরুরি আইন, কারফিউ উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে বারবার রাজপথে নেমে আসে।
অবশেষে স্বৈরশাসকের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়।
১৯৫৭ সালের
২১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন শামসুল আলম
খান। কিশোর বয়স থেকেই তিনি ছিলেন
সমাজসচেতন, স্বাধীন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও দৃঢ় চরিত্রের একজন সংগ্রামী মানুষ। নিজেকে
উন্নীত করেছিলেন দেশের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ পরিবর্তনপ্রত্যাশী একজন সংগ্রামী যুবকরূপে।
১৯৮২ সালে মজিদ খান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন, ১৯৮৪ সালে সামরিক শাসনের
অবসান ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ছাত্র গণ-আন্দোলন এবং ১৯৮৬ ও ’৮৭-এর আন্দোলনেও
তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু, ১৯৯০-এ তার জীবনাবসান ঘটে। জাতি তার অবদান স্মরণ
করতেই প্রতিবছর ২৭ নভেম্বর তার নামে উৎসর্গ করে।
ডা. মিলন দিবস
উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক
সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ ছাড়াও রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন
।
রাষ্ট্রপতি
মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, ‘আমি শহীদ ডা. মিলনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে
আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রকামী
মানুষ ডা. মিলনসহ সব বীর শহীদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পেশাজীবী
নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর
শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
এ উপলক্ষে আগামীকাল সকাল ৯টায় ঢাকা
মেডিকেল কলেজ চত্বরে ডা.
শামসুল আলম খান মিলনের
সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ
মোনাজাতের কর্মসূচি পালন করবে।
শহীদ
ডা. মিলন দিবসে জাসদের
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সকাল ৭টা ৩০
মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন
ঢাকা মেডিকেল কলেজের গেইটে জমায়েত হয়ে সকাল ৮টায়
মেডিকেল কলেজে ডা. মিলনের সমাধিতে
এবং ৮টা ৩০ মিনিটে
টিএসসি সংলগ্ন ডা. মিলন সৌধে
পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন
এবং জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির
উদ্যোগে বিকাল ৩টায় তাহের মিলনায়তনে
আলোচনা সভা।
দলের
জেলা ও কমিটিসমূহ শহীদ
ডাক্তার মিলন দিবস উপলক্ষ্যে
শহীদ ডা. মিলনের প্রতিকৃতিতে
মাল্যদান ও আলোচনা সভার
কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস-এর কর্মসূচি পালনের জন্য সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই ভাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বরাবরের মত যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য সকল জেলা/মহানগর ও উপজেলা কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শহীদ ডা. মিলন স্বৈরাচার বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
জনপ্রশাসন মন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সরকারি চাকরি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন।
রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে। এ মৌসুমে বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝড় হয়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের খুবই আশঙ্কা রযেছে। নানা কারণে বজ্রপাত বেড়ে গেছে। সেটা হচ্ছে ক্লাইমেট চেঞ্জ হওয়ার কারণে হতে পারে, ওজন স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণেও হতে পারে। আবার বৃক্ষ, পাহাড় ও পরিবেশ বিভিন্ন কারণে বিনষ্ট হওয়ার কারণেও হতে পারে।
বজ্রপাত থেকে বাঁচার কৌশল উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীব্যাপীই এই কৌশল অনুসরণ করা হয়। সেটা হলো বিদ্যুৎ চমকাতে দেখার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যদি বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার দিকে আসছে বা সেটার দ্বারা আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আর যদি দেখেন বিদ্যুৎ চমকানোর ৩০ সেকেন্ড পর শব্দটা পেয়েছেন তাহলে বুঝবেন সেটা আপনার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। সে সময় যদি নিরাপদ আশ্রয়ে না থাকেন তাহলে এক আঙুলের ওপর ভর করে বসে পড়তে হবে। এবং সেটা দ্বারা অনেক ক্ষয়ক্ষতি কমতে পারে। মানুষকে এটা বেশি বেশি করে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বজ্রপাতের সময় যেন মানুষ ঘর থেকে বের না হয়। যদি বাইরে থাকে তবে গাছ বা বিদ্যুতের খুঁটির কাছে যেন না থাকে।
চলমান দাবদাহের বিষয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার রাজশাহী ও খুলনায় দাবদাহ চলমান থাকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগীয় অঞ্চলে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ঢাকার তাপপ্রবাহ মৃদু থেকে মৃদু হয়ে সোমবার থেকে দাবদাহ পুরোপুরি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা, তবে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য বা বিস্তর এলাকার জন্য হবে না।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
মন্তব্য করুন
বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কৌশল জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন। রোববার(৫ মে) আবহাওয়ার সব শেষ খবর জানাতে আগারগাঁওয়ে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। বজ্রপাতে প্রাণহানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে বজ্রপাত অনেক বেড়ে গেছে। বজ্রপাত এখন যে অবস্থায় গেছে। সে জন্য সরকার একে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই বজ্রপাতে শুধু মানুষ নয়, অনেক পশুপাখিও প্রাণ হারাচ্ছে।