ইনসাইড বাংলাদেশ

আমার বাড়ী পুড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী

প্রকাশ: ০৮:০১ এএম, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail আব্দুল মালেক উকিল


ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে স্বাধীন হয় আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ। পৃথিবীর বুকে সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ নামক একটি ভূখন্ড। বাংলাইনসাইডার এই বিজয়ের মাসে ধারাবাহিক ভাবে ‘প্রথম পর্বে’ ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র পঞ্চদশ খন্ড’ থেকে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে-

নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ কার্যকরী কমিটির পার্লামেন্টারী বিরোধী সদস্য হিসেবে ১৯৬৬ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারী লাহোরের গুলবাগে নিখিল পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আমি সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতিত্ব করি এবং ঐ অধিবেশনেই বঙ্গবন্ধু মুজিব তাঁর ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেন। ঐ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, তাজউদ্দিন, অধ্যাপক ইউসুফসহ আরও ছয়জন উপস্থিত ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ঐ ছয় দফাকে অনেকেই সমর্থন করেছিলেন।

১৯৭১ সালের ১লা মার্চ থেকেই আমরা একই সাথে ঢাকায় দিনের পর দিন আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির বৈঠক ও ৬ দফার ভিত্তিতে একটি শাসনতন্ত্র রচনার কার্যে নিয়োজিত ছিলাম। ১৫ই মার্চ ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তানে আসার পূর্ব পর্যন্ত, বিশেষ করে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পূর্ব পর্যন্ত আমাদের জরুরী অধিবেশন কখনও কখনও সারা রাত্রি ধরে চলতো। কিন্তু ২৪ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু হঠাৎ আমাদেরকে অবিলম্বে ঢাকা ত্যাগ করার নির্দেশ দেন।

বঙ্গবন্ধু ২৫শে মার্চের রাতে অয়ারলেস মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন। কিছুক্ষণ পরেই সমবেত জনতা সর্বোচ্চ কণ্ঠে জয়বাংলা ধ্বনি দিয়ে আকাশ বাতাস মুখরিত করে তোলে এবং আমার নেতৃত্বে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলে সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করে। এর মিছিলের শ্লোগান ছিল 'ইয়াহিয়ার ঘোষণা মানি না। বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর" ইত্যাদি ইত্যাদি। যুদ্ধ সর্বাত্মক জায়গায় ছড়িয়ে পরে। নোয়াখালীর সর্বস্তরের জনগণ পুলিশ, ই, পি, আর, আনসারসহ ১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত সম্পূর্ণ নোয়াখালী জেলা হানাদারমুক্ত রাখে।

১৭ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন করার পরই আমি কিছু নগদ টাকা ও দুই ট্রাক ত্রাণ সামগ্রী যথা রেইন কোট, কিটস ইত্যাদি নিয়ে আগরতলায় এসে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিতরণ করি। জনাব জহুর আহমদ চৌধুরীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৬৩ জন এমপি এ, এম এন এ-র উপস্থিতিতে আমার সভাপতিত্বে পূর্বাঞ্চলীয় সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ইতিপূর্বে এ পদ নিয়ে খুব দলাদলি ও দ্বন্দ্ব ছিল। ইতিমধ্যে আমি নিজের কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রী আনয়ন ও পরিবারের স্ত্রী, মাতা, ৫ মেয়ে ও ২ ছেলে সকলের খোঁজ-খবর নেয়া এবং নোয়াখালী জেলার সংগ্রাম পরিষদের সভাপতির দায়দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ২৪শে এপ্রিল বেলুনিয়া হয়ে নোয়াখালী প্রবেশ করি।

খবর পেলাম আমার গ্রামের বাড়ী (রাজাপুর), শ্বশুরবাড়ী (আবদুল্লাহপুর) এবং দুই বোনের বাড়ী (যথাক্রমে করিমপুর এ বারইপুর) হানাদাররা আক্রমণ করেছে। আমার মাইজদীর পাকা দ্বিতল বাড়ী অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার শ্বশুরবাড়ীতে সৌভাগ্যবশতঃ আমার স্ত্রী ও বড় দুই মেয়ে সেদিন উপস্থিত ছিল না। ঐদিনই সন্ধ্যা রাতে তারা অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলো। ছোট দুই মেয়ে লিলি ও মায়া (১০ কসের, ৭ কলের) সহ বাড়ীর সময় স্ত্রী-পুরুষকে বন্দী করে বাহির বাড়ীতে উঠিয়ে নেয় এবং সমান্ত পুরুষকে ট্রামে করে মাইজদী ক্যাম্পে নিয়ে আসে। দীর্ঘ ৪ মাস কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে রেখে তাদের উপর নির্যাতন করে, এবং গায়ের চামড়া পুড়িয়ে দেয়। ৪ জনকে গুলি করে হত্যা করে। ভাগ্যক্রমে আমার বড় ছেলে গোলাম মহিউদ্দিন (লাতু) পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণে বেঁচে কচুরীপানার নীচে দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। একটি প্রতিনিধি দলকে নেপালে যাওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি সরকারী নির্দেশ দেন। অপর দুই সদস্য ছিলেন শ্রী সুবোধ মিত্র ও আব্দুল মমিন তালুকদার এম, এন, এ। আমরা নেপাল যাওয়ার পূর্বে দিল্লীস্থ পাকিস্তান হাইকমিশন হতে যে দুইজন ডিপ্লোমেট কে, এম সাহাবুদ্দিন এবং জনাব আমজাদুল হক ডিফেক্ট করেছিলেন তাঁদের সাথে যোগাযোগ রেখে প্রায় দু'সপ্তাহ দিল্লীতে অবস্থান করি।

এরপর আমরা নেপাল যাই। নেপাল তখন ছিল পাকিস্তানের খুব ঘনিষ্ঠ ও সহযোগী রাষ্ট্র। সৌভাগ্যের বিষয় এই সময় কাঠমুণ্ডুতে তিনজন পাকিস্তানী কূটনীতিকের মধ্যে দুজনই ছিলেন বাঙ্গালী। জনাব মোস্তাফিজুর রহমান সি, এস, পি এবং জনাব মোখলেছউদ্দিন সি, এস, পি ছিলেন। সচিবালয়ের একজন প্রবীণ লোক ছিলেন তিনিও ছিলেন ভোলার অধিবাসী। এই সফরে আমরা নেপালের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী ঋষিকেশ সাহা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী থাপা ও অন্যান্য বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাঁরা সকলেই "বাংলাদেশ সহায়ক সমিতি" নাম দিয়ে বাস্তুহারাদের সাহায্য এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে জোরালো সমর্থন দেন।

নোয়াখালী জেলা হানাদারমুক্ত হবার ও আমাদের প্রশাসনিক দায়িত্বে নেয়ার পরে কোন স্থানে কোন হত্যাকাণ্ড বা লুটতরাজ অথবা রাহাজানি হয়নি। এমনকি ইতিপূর্বে যুদ্ধ চলার সময়েও মুক্তিযোদ্ধারা যাকে হত্যা করেছিলো তাদেরও কোন মালামাল বা ঘরবাড়ী লুটপাট করেনি। আমি মুজিব বাহীনি, মুক্তিবাহিনী এবং শ্রমিক সংগঠনের বিভিন্ন বাহিনীকে নোয়াখালী জেলা স্কুল, হরিনারায়ণপুর স্কুলও অন্যান্য স্থানে অন্তপরসহ পান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানের নির্দেশ দেই।

লেখক: আব্দুল মালেক উকিল

(প্রয়াত আবদুল মালেক উকিল ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা এবং পরবর্তীতে জাতীয় সংসদের স্পীকার)


১৯৭১   পাকিস্তান   হানাদার   মুক্তিযুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াতে গেলেন প্রধান শিক্ষক!

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail চাটমোহর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। শনিবার দুপুরে তোলা ছবি

সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে স্কুল ছুটি দিয়ে কর্মচারীর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনার চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেএম আব্দুর রবের বিরুদ্ধে।

 

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলে কর্মরত (নৈশ প্রহরী) উপজেলার গুনাইগাছা গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমানের বাড়িতে স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে সকল কর্মচারীদের নিয়ে তিনি দাওয়াত খেতে যান প্রধান শিক্ষক।

 

এভাবে স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন শিক্ষার্থী, অভিভাবক থেকে শুরু করে এলাকার সচেতন মানুষ।

 

দুপুর ২টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের প্রধান গেট বন্ধ। ভেতরে নতুন ভবন নির্মাণ কাজের জন্য কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক অবস্থান করছেন। যে সময় শিক্ষার্থীদের ক্লাস হওয়ার কথা সেই সময় স্কুলে নেই কোনো শিক্ষার্থী। প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে শুরু করে প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ ছিল তালাবদ্ধ। চলতি পথে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকালের কয়েকটা ক্লাস হওয়ার পরেই দুপুর ১টার আগে স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়।

 

জানা গেছে, চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী আতাউর রহমান এবার স্ব-স্ত্রীক হজে যাবেন। এ জন্য শনিবার নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সকালে কয়েকটা ক্লাস নেওয়ার পরেই তড়িঘড়ি করে দাওয়াতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক কে এম আব্দুর রবের নির্দেশে স্কুল ছুটি দেওয়া হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নিজেই সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে দাওয়াত খেতে যান। ক্লাস বাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষকের এমন স্বেচ্ছাচারিতা এবং ছুটি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা।

 

কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, এমনিতেই নানা কারণে বছরের বেশিরভাগ সময় স্কুল ছুটি থাকে। বাচ্চাদের পড়াশোনা ঠিক মতো হয় না। তারপর এভাবে ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ায় বেশ কয়েকটা ক্লাস করতে পারলো না শিক্ষার্থীরা। আর হুট করে ছুটি দেওয়ায় অনেক অভিভাবকই তাদের সন্তানদের নিতে আসতে পারেননি। এতে বিপাকে পড়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থী। এটা কোনো প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাজ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তারা।

 

জানতে চাইলে চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে এম আব্দুর রব বলেন, 'আমার এক স্টাফ হজে যাবে, সে জন্য দাওয়াত খেতে এসেছি। আসলে প্রতিষ্ঠানের কোনো স্টাফের দাওয়াত খেতে এভাবেই যাওয়া হয়। বরাবরই তাই হয়ে আসছে।'

 

স্কুল বন্ধ করে এভাবে যাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আসলে মেয়েরা তো দুষ্টু। স্কুল চালু রাখা ঠিক হবে না। তাই ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে আসা হয়েছে।'

 

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মগরেব আলী বলেন, 'স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালীম বলেন, 'বিষয়টি আমি জানি না। এখানে আমার কিছু বলার নেই। প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে আপনি কথা বলেন।'


স্কুল বন্ধ   দাওয়াত   প্রধান শিক্ষক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পাবনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৯:২৬ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রী (১৩) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) রাতে পাবনার সুজানগর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। সে রাইপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ মে) রাত পৌনে নয়টার দিকে পড়াশোনা শেষ করে বাথরুমে যাচ্ছিল ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী সময় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একই এলাকার উমেদ আলী মৃধার ছেলে বখাটে বারেক মৃধা, তার বন্ধু ইমন সাজিদ তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পাশের নির্মাণাধীন একটি ভবনে

সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল সাব্বির তুহিন নামের আরো দুইজন বখাটে। তাদের মধ্যে প্রথমে বারেক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে অন্য একজন ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বখাটেরা। পরে তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালেরে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেন স্বজনরা।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগীর নানী থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার সাথে যারা জড়িত আছে, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।'


ধর্ষণ   স্কুল ছাত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

যমজ বোনকে হাতুড়িপেটা করল চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি

প্রকাশ: ০৮:৪৪ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে যমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামিন পায়েল।

শনিবার (১৮ মে) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার উথুলি খামারপাড়া গ্রামে ঘটনা ঘটে। আহত যমজ দুই বোন হলেন মিম (২০) লাম (২০) ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত দুই মেয়ের বাবা রেজাউল করিম রিজু।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ঘটনার সময় বাড়ির পাশে কদম গাছের ডাল কাটছিলেন ছাত্রলীগ নেতা পায়েল। সময় প্রতিবেশী রেজাউল করিমের মেয়ে লাম তাকে অনুরোধ করেন গাছ কাটার সময় তাদের কলা গাছ যেন নষ্ট না হয়। নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা পায়েল হাতুড়ি দিয়ে লামকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সময় তার যমজ বোন মিম এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে পায়েল তার বাবা-মা মিলে লাঠি দিয়ে যমজ দুই বোনকে বেধরক মারধর করে। সময় তাদের চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন এলাকাবাসী এসে তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

অভিযুক্ত চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামিন পায়েল বলেন, আমার মায়ের সঙ্গে ওরা দুই বোন মারামারি করেছে। আমি সেখানে ঠেকাতে গিয়েছিলাম।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


যমজ   বোন   হাতুড়িপেটা   চাটমোহর   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঢাকার সংসদ ভবন এলাকায় এক শিক্ষার্থী খুন

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাস্তা পার হওয়া নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের  জেরে ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত মেহেদী হাসান (১৮) সদ্য এসএসসি পাশ করেছেন।

জানা যায়, মামার সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের শোভাযাত্রায় এসেছিলেন। যাত্রা শেষ করে ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ হারায় মেহেদী।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবনের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন। এদিকে নিহতের মামা চয়ন  ভাগ্নে হত্যার বিচার চেয়েছেন।

শেরে বাংলা নগর থানার ওসি আব্দুল আহাদ বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


স্বেচ্ছাসেবক   লীগ   শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না: ফরিদপুর জেলা প্রশাসক

প্রকাশ: ১০:৪৫ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, ‘একটি ব্যালটের বিপরীতে একটি বুলেট ব্যবহার করা হবে। বুলেট থাকতে ব্যালটে কেউ হাত দিতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘কেউ ভোট কাটতে একটা ব্যালটে হাত দিতে চাইলে তার জন্য একটি বুলেট খরচ করা হবে। তাই যারা এই পরিকল্পনায় আছে তারা ভুলে যান, এবার অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে সদরপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপ উপলক্ষে প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মো. সৈয়দ মোরাদ আলীর সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মোর্শেদ আলম, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহম্মদ, সদরপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।


জেলা প্রশাসক   কামরুল আহসান তালুকদার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন