সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলাম বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। বিয়ের দাবিতে যুবলীগ নেতার বাড়িতে নির্যাতিত ওই তরুণী অনশনে বসেছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আলী আসলামের উপজেলার সিংরাবাড়ী গ্রামের শাহ আলীর ছেলে। অভিযোগকারী তরুণী কাজিপুর উপজেলার চরগিরিশ ইউনিয়নের ভেটুয়া জগন্নাথ গ্রামের বাসিন্দা। সুষ্ঠু বিচার চেয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন নির্যাতিত ওই তরুণী।
লিখিত
অভিযোগে ওই তরুনী উল্লেখ
করেছেন, যুবলীগ নেতা আসলাম প্রায়
এক বছর আগে থেকে
চাকরি দেওয়ার কথা বলে তাকে
কৌশলে ধর্ষণ করে আসছেন। বিষয়টি
বাড়িতে জানাতে চাইলে আসলাম বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি
দিয়ে সময় নেন। এরপর
বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন স্থানে
নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক
গড়েন তিনি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সম্প্রতি বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সুর পাল্টে সুকৌশলে তাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি প্রচার করার হুমকি দিয়ে দেন ওই যুবলীগ নেতা। বিয়ের বিষয়ে আরও চাপ দিলে তাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও আসলাম আমার পরিবারের লোকজনের মোবাইলে পাঠিয়ে দেন। আপত্তিকর ভিডিও দেখে আমাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে পরিবার। এছাড়াও তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ওই তরুনী।
পারিবারিক, সামাজিক ও জীবননাশের আশঙ্কায় প্রশাসন, পুলিশ ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে বিচার ও নিরাপত্তার জন্য দাবি করেছেন তিনি। এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আসলামের মুঠোফোনে ফোন দিলে বন্ধ সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কাজিপুর
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দত্ত গণমাধ্যমকে জানান, তরুণীর
পক্ষ থেকে কোনও লিখিত
অভিযোগ দেয়া হয়নি এবং
অনশন করছে এমন তথ্যও
আমার কাছে নেই।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাপদাহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।
প্রথম দুই দফা ভোটের যে হার, তাতে বিজেপির মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিজেপির নেতারা ভোটে যে ভূমিধস বিজয় আশা করছিলেন সেটি হবে না। ভারতের কোন কোন গণমাধ্যমগুলো ভোটের ফলাফলে নাটকীয় ঘটনা ঘটারও ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে ২০০৪ সালের নির্বাচনে যেভাবে কংগ্রেস অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল সেরকম কোন ঘটনা ঘটতেও পারে বলে মনে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অবশ্য এখনও আরও পাঁচ দফা ভোট বাকি আছে এবং বিজেপি আশা করছে যে, পরবর্তী ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে এবং বিজেপি তাদের জয়ের ধারা অক্ষুণ্ণ রাখবে। নরেন্দ্র মোদি ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে দেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছেন।
ভারতের নির্বাচনের ফলাফল কী হবে তা বোঝা যাবে আগামী ৪ জুন। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে ভোটের হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি জোটের যে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারণা করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবতা নাও পেতে পারে। আর এ কারণেই মোদী যদি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন, তাহলে সেটি হবে ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বড় ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এটি হবে ভারতের নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক।
এখন যখন ভারতের নির্বাচনে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই বা অনিশ্চয়তার ফলাফলের শঙ্কা জেগেছে তখন প্রশ্ন উঠছে যে, বিজেপি যদি এই নির্বাচনে পরাজিত হয় তাহলে বাংলাদেশে কী হবে? গত দুটি নির্বাচনে ভারতের বিজেপি সরকার বাংলাদেশকে নিরঙ্কুশভাবে সমর্থন দিয়েছে। ২০১৮ এবং ২০২৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি সরকার।
বিশেষ করে ২০২৪ এর নির্বাচনে ভারতীয় সরকারের পরিপূর্ণ সমর্থন ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করত এবং এই নির্বাচনকে অস্বীকৃতি জানাত বলেও অনেকে মনে করেন। মার্কিন মনোভাব পাল্টানোর ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে শুরু করে জাতীয় পার্টি প্রত্যেকেই বলছে যে, ভারত বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখেছে। যদিও এরকম অভিযোগকে আওয়ামী লীগ অস্বীকার করে এবং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, জনগণের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি আওয়ামী লীগ বা বিজেপি কেউই অস্বীকার করে না।
এখন প্রশ্ন হল, যদি বিজেপি পরাজিত হয়, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সমীকরণ কী হবে? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বর্তমান সরকারের জন্য সমীকরণের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ সরকারের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান দল কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দিয়েছে।
অনেকে মনে করেন যে, এখন ভারতে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য রাখা হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্যে একটা ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি নরেন্দ্র মোদি তাহলে এই অবস্থানের পরিবর্তন হবে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও বিকশিত হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভারত লোকসভা নির্বাচন মল্লিকার্জুন খাড়গে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাত ধাপে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের ভোট হয় ১৯ এপ্রিল এবং সেখানে ১০২টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল ৮৯টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ দফায় ভোট হবে ৭ মে। সেখানে ৯৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে এবং সপ্তম দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুন। আর ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।