ইনসাইড বাংলাদেশ

নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত শাইখ সিরাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:২৭ পিএম, ২৬ মার্চ, ২০১৮


Thumbnail

১৯৮৪ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান মাটি ও মানুষের উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন কৃষিবিদ রেজাউল করিম। একই বছরের শেষে অনুষ্ঠানটিতে উপস্থাপক হিসেবে যোগ দেন শাইখ সিরাজ। শুরু থেকে অনুষ্ঠানটি দর্শকপ্রিয় হয়, পায় নানা পুরষ্কার। কিন্তু পুরো অনুষ্ঠানের অর্জনকে নিজের কৃতিত্ব বলে জাহির করে নানা রকম ব্যক্তিগত সুবিধা নেন শাইখ সিরাজ। এমন অভিযোগ করেন রেজাউল করিম।

রেজাউল করিম বলেন, যেটি অনুষ্ঠানের অর্জন সেটি ব্যক্তিগত ভাবে হাইজ্যাক করা হয়েছে। মৎস্য মেলায় পদক পেয়েছে মাটি ও মানুষ সেটি গ্রহণ করেছেন শাইখ সিরাজ, কৃষি মেলায় পদক পেয়েছে মাটি ও মানুষ সেটি গ্রহণ করেছেন শাইখ সিরাজ। তাতে হয়েছে কি মাটি ও মানুষের কৃতিত্ব চাঁপা পড়ে গেছে ব্যক্তির কৃতিত্ব বড় হয়ে উঠেছে।

এই কৃষিবিদ আরও বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার মাটি ও মানুষ অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানের খাল কাটা কর্মসূচীর প্রশংসায় ব্যস্ত ছিলেন শাইখ সিরাজ। এভাবেই তোষামোদি করে ১৯৯৫ সালে বাগিয়ে নেন একুশে পদক।

রেজাউল করিম প্রশ্ন তোলেন, একুশে পদক কে পায়? একজন সংস্কৃতি কর্মী পায়, একুশে পদক একজন সাহিত্যিক পায়, একজন শিক্ষক পায়। কৃষি সাংবাদিকতা ক্যাটাগরিতে কেউ একুশে পদক পায় এটি কিন্তু এযাবৎ কালে আর হয়নি। ওই একটি মাত্র হয়েছিল। তাতে বোঝা যায় এটির পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব, ব্যক্তিগত সম্পর্ক এগুলি কাজ করেছে। তার মানে ব্যক্তিগত সম্পর্ক দিয়ে যদি পদক আনতে হয়ে তবে সে পদকের মূল্য কতখানি?

চলতি বছর স্বাধীনতা পদকের প্রাথমিক তালিকায় না থাকলেও চূড়ান্ত তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে সমর্থ হন শাইখ সিরাজ। অবশ্য এ নিয়ে শাইখ সিরাজ বলেন ভিন্ন কথা। পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকার তো সরকার। রাষ্ট্র সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়। কখনো এক সরকার আসে আরেক সরকার যায়। এভাবেই তো হয় জিনিসগুলো। এখন জনগণ তার কাজের জন্যে রাষ্ট্র তাকে পুরস্কৃত করে। সেই জায়গা থেকে প্রশ্নটি আপনি করেছেন আমি উভয়ের কাছেই হয়তোবা কাজটির জন্য সবার কাছে সমাদৃত, সেটা হয়তো একটা বড় কারণ হতে পারত।

ডিবিসি নিউজ প্রধান সম্পাদক মঞ্জরুল ইসলাম একটি টকশোতে এ বিষয়ে বলেন, শাইখ সিরাজ সাহেবকে তিনটি কারণে অভিনন্দন জানাতে চাই। প্রথমে হচ্ছে তিনি একটি পুরষ্কার পেয়েছেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার। দ্বিতীয় হচ্ছে একটি ক্যাটাগরি প্রবর্তন করে পুরস্কার পাবার সৌভাগ্যবান ব্যক্তি তিনি। অর্থাৎ ক্যাটাগরি কৃষি সাংবাদিকতা বলে বাংলাদেশের কিছু ছিল না স্বাধীনতা পুরস্কারে সেটি। আর তৃতীয় হচ্ছে অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব এটি আমরাও রিপোর্ট করেছি বাংলাদেশের ৪৭ বছরের ইতিহাসে দেখা যায় একটি সরকারের ক্ষেত্রেও যাঁকে রিকগনাইজ করা হয় পড়ে তাদের এক ধরণের নীতি আদর্শ মতের কাছাকাছি মানুষকে পরবর্তী সরকারের কাছে উনি পুরষ্কার পান এরকম নজিরবিহীন। শাইখ সিরাজ অনন্য সাধারণ দৃষ্টান্ত। ১৯৯৪ সালে তিনি একুশে পদক পেয়েছিলেন। এবং সেই সময় ড. এমাজুদ্দিন স্যার সহ অনেকেই পেয়েছিলেন। তাদের ব্যক্তিগত পরিচয় আমরা জানি। এবং অনেক বছর পরে প্রথম বার কিন্তু যেমনটি আপনাদের প্রতিবেদনে এসেছে তেমনটি আমরাও কিন্তু রিপোর্ট করেছি। এবার ১৮ জনের মধ্যে ১৬টি পদক ঘোষণা করা হয়েছে। এবং তাঁর পরে দুজনের নাম ঘোষণা এটাও কিন্তু একটু ব্যতিক্রমী এটি কাইন্ড অফ আমাদের ওই গ্রেস দিয়ে পাশ করানো কিংবা পড়ে রেজাল্ট ঘোষণা করার মতো ব্যাপার কিনা এই কারণে আমাদের কাছে একটু চোখে ঠেকেছে। এবং আমরা রিপোর্টটি করেছি। বাংলাদেশের পরপর দুই জন প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার নেওয়া এটা কিন্তু সৌভাগ্যবান ব্যক্তিরই ব্যাপার। মোজাম্মেল বাবু একটি অনুষ্ঠানে বলছিলেন ২০০৬ সালে যখন আমরা সৎ ও যোগ্য প্রার্থী আন্দোলন নামে যারা সক্রিয় চিলেন আমাদের পেশাজীবী মানুষের মধ্যে তাদের মধ্যে কিন্তু শাইখ সিরাজ সাংবাদিক হিসেবে একজন প্রথিতযশা ও অগ্রগণ্য মানুষ ছিলেন। যখন মাইনাস টু ফরমুলা দিয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা নেবার নাম আসছিল সেখানেও অনার নাম সামনের দিকে আসছিল। অর্থাৎ তাঁর মানে তিনি সেইরকম সর্বজন গ্রাহ্য মানুষ জাকে আওয়ামীলীগের লোকজন পছন্দ করে, বিএনপির লোকজন পছন্দ করে, আওয়ামীলীগ-বিএনপির দুই নেত্রীকে মাইনাস করতে চায় এইরকম লোকজনও পছন্দ করে। এরকম বিরল ব্যক্তিত্বের মানুষ নিশ্চয়ই বাংলাদেশের কম। কিন্তু একটি তথ্য আমি দিতে চাই যেটা শাইখ সিরাজ ভাই বলেছেন যে সকলের কাছে সমাদৃত হতেই পারেন। কিন্তু ব্যতিক্রমী ঘটনা হলো উনি আমাদের এটিসিও এর নেতা ছিলেন, আমরা জানি কতগুলো প্রতিষ্ঠান যেমন এফবিসিসিআই এটিসিও তে সাধারণত যারা দায়িত্বে থাকেন সেই সময় সরকারের অন্তত মতের অথবা আদর্শের কাছাকাছি মানুষগুলো না থাকলে সংগঠনগুলো পরিচালনা কঠিন হয়। শাইখ সিরাজ কিছু দিন আগেও বিনপির আমলে এটিসিও’ র মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন। যেটার প্রধান আহ্বায়ক ছিলেন জনাব মোসাদ্দেক হোসেন ফালু। আওয়ামী লীগ শাসনামল শুরু হবার পর অনেকদিন এটিসিও নিষ্ক্রিয় ছিল। এখন এটিসিও র সদস্যরা বসে মিটিং করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করেছে। আজকে নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছে জনাব সালমান রহমান এবং সিনিয়র সভাপতি হচ্ছে জনাব মোজাম্মেল বাবু আরেকে জন সহ সভাপতি হচ্ছে জনাব আরিফ সাহেব দেশ টিভির। ফলে এই বাস্তবতায় আমরা জানি বাংলাদেশের সরকার কি ভাবে চলে। অর্থাৎ কতগুলো প্রতিষ্ঠানকে চলার ক্ষেত্রে মানুষের বিশ্বাস ভাজন আস্থার কাছাকাছি মানুষগুলো থাকে। এই কারণেই পুরষ্কার বিতরণের এই জায়গাটা নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এত আলোচনা। এই ১৮ জনের মদ্যে সেখানে কিন্তু আরও একজন বিশেষ পুরষ্কার পেয়েছেন। বীর উত্তম এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ। ওনার মুক্তিযুদ্ধের অবদানের কথা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলে নাই। তাকে যখন সামনের সারিতে দেখি আমাদের গর্বে বুক ভরে যায়। কারণ তিনি জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। সেই জায়গায় অন্যদের নামটা যখন পাশাপাশি আসে তখন মনে প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক।


বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অবশেষে ঢাকায় স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

একমাস তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মেঘের দেখা মেলে। অবশেষে রাত ৯টার দিকে সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বিদ্যুতও চমকানোর সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর ক্রমে বাড়তে থাকে বৃষ্টির তীব্রতা। অবশ্য ১৫ মিনিট পর বৃষ্টি অনেকটা থেমেও যায়। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। স্বস্তির বৃষ্টি দেখে অনেকেই উচ্ছ্বাসে ভিজতে নেমে যান। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় শীতল অনুভব হচ্ছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর-পশ্চিত বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

স্বস্তির বৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

এবার উপজেলায় ওবায়দুল কাদেরের ভাই-ভাগ্নের মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশ: ১০:২৫ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২ মে) তারা মনোনয়ন দাখিল করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।

চেয়রাম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, আমেরিকা প্রবাসী ওমর আলী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রশীদ মঞ্জু, মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মামুন হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার, ফাতেমা বেগম, রেহানা আক্তার। 

এ উপজেলায় আওয়ামী লীগ ব্যতীত অন্যকোন রাজনৈতিক দলের কেউ প্রার্থী হয়নি।

৪র্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ২ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ মে, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৯ মে।

উপজেলা নির্বাচন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মুক্তি পাচ্ছেন মামুনুল হক

প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতেই মুক্তি পাচ্ছেন।

তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন এমন খবরে সেখানে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।

এর আগে গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। 

বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’

এদিকে, গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ ছাড়া গত ৫ ফেব্রুয়ারিতে আরও দুই মামলায় জামিন পান তিনি। তার আগে ২০২৩ সালের ৩ মে পাঁচ মামলায় হাইকোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন পান মামুনুল হক। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে সব মিলিয়ে বর্তমানে অন্তত ১১টি মামলায় জামিনে আছে হেফাজতের এ নেতা।

হেফাজতে ইসলাম   মাওলানা মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশে হচ্ছে উন্মুক্ত কারাগার

প্রকাশ: ০৯:৫৭ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশেও উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কমিউনিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রোগ্রামের (সিআরপি) আদলে এই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় ১৬০ একর জমি বন্দোবস্ত পাওয়া গেছে। সেখানে শিগগিরই উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশে বর্তমান সরকারের বিগত তিন মেয়াদে ৮৩ হাজার ৫৭৭টি পদ বাড়ানো হয়েছে। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব পদে জনবল নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ও অভিযান পরিচালনার জন্য এবং বাংলাদেশ পুলিশকে ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরের জন্য দুটি অত্যাধুনিক হ্যালিকপ্টার সংযোজনের কার্যক্রম চলমান আছে।

পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী আগ্নেয়াস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। আগে ব্যবহৃত পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলের পরিবর্তে বর্তমানে ৭ পয়েন্ট ৬২ মিলিমিটার রাইফেল ব্যবহৃত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ৭ পয়েন্ট ৬২ অথবা ৯ এমএম পিস্তল ছাড়াও ৯ এমএম এসএমজি, পয়েন্ট ৪৫ ইঞ্চি এসএমজি, ১২ বোর শটগান, ৩৮ মিলিমিটার টিয়ারগ্যাস, গ্যাস গান/লঞ্চারসহ প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতোমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) অত্যাধুনিক অস্ত্র, যানবাহন, আকাশযান ও জলযান দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে।

উন্মুক্ত কারাগার   স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী   আসাদুজ্জামান খান কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

টানা খরতাপ থেকে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির আশায় রাজশাহীতে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১ মে) থেকে প্রতীকী এই বিয়ের আয়োজন করা হয় রাজশাহীর পবা উপজেলার ভুগরইল পশ্চিম আদিবাসীপাড়ায়। এ গ্রামের বাসিন্দারা সাঁওতাল। তবে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী। সাঁওতালি রীতিনীতি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যাঙের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

গ্রামের একমাত্র চার্চের শিক্ষক অঞ্জলী বিশ্বাসসহ কয়েকজন ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেন। এ জন্য বুধবার বিকেলে তারা গ্রামের এক শুকনো পুকুরপাড় থেকে একটি ছেলে ব্যাঙ ও একটি মেয়ে ব্যাঙ ধরে আনেন। তারপর সন্ধ্যায় গ্রামের চার্চে সাজানো ছাতনাতলায় বর ও কনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়।

এই বিয়েতে বরের নাম রাখা হয় শিমুল। আর কনের নাম মেঘলা বিশ্বাস। গায়ে হলুদের পর কনেকে রাখা হয়েছিল গ্রামের আলফন্স বিশ্বাসের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রামের নারী ও শিশু-কিশোরীরা নেচে-গেয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। এরপর সবাই লাইন ধরে গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ নারীদের আশীর্বাদ নিয়ে বরযাত্রী হিসেবে বর নিয়ে রওনা দেয়। সঙ্গে যান বরের প্রতীকী বাবা সৈকত বিশ্বাস আর প্রতীকী মা ভাবনা বিশ্বাস নামের দুই শিশু।

আলফন্স বিশ্বাসের বাড়ি গেলে বরের বাবা-মায়ের পা ধুইয়ে দেওয়া হয় পানি দিয়ে। তারপর সবাই বাড়িতে কনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কনে সাজানো শেষ হলে অঞ্জলী বিশ্বাস পুরোহিত সেজে বর-কনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এরপর বর শিমুলের হাত দিয়ে কনে মেঘলার মাথায় সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়। খাওয়া-দাওয়ার পর শেষ হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। পরে বর-কনেকে একটি পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিয়ের আয়োজক অঞ্জলী বিশ্বাস বলেন, ‘টানা খরায় পথঘাট পুড়ে যাচ্ছে। সব ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। পশুপাখি ও অন্যান্য প্রাণি কষ্ট পাচ্ছে পানির অভাবে। আমরা বিশ্বাস করি ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হবে। তাই আমাদের সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী দুই কোলা ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হলো।’

বৃষ্টি   ব্যাঙের বিয়ে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন