দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে চাঁদপুর-২ আসনের প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর)
চাঁদপুর জেলার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী
জজ আদালতের বিচারক সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে তাকে
শোকজ করা হয়েছে।
আগামী
৬ ডিসেম্বরের মধ্য সশরীরে বা
প্রতিনিধির মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা
প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মায়াকে।
শোকজের
চিঠিতে বলা হয়, আপনি
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা
দেওয়ার পর থেকে একই
আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সমর্থক ও আশ্রয়কৃত সন্ত্রাসী
বাহিনী নানাভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও এলাকার সাধারণ
মানুষের বাড়িতে হামলা করে বাড়িঘর ভাঙচুর,
মারধর করে শারীরিকভাবে আহত
করে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করে।
সেখানে
আরও বলা হয়, তারা
হুমকি প্রদান করে যে, যারাই
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে তাদের
বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে
হবে। তিনি আরও অভিযোগ
করেন, গত ১ ডিসেম্বর
শুক্রবার বিকালে প্রতিপক্ষ কলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোবান সরকার সুবা চাঁদপুরে ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী
বাহিনী নিয়ে মোটরসাইকেল মহড়া
দেয় এবং প্রার্থীর বাড়িতে
প্রকাশ্য হুমকি প্রদান করেন।
যারা
স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করবে তাদের চোখ
তুলে ফেলবেন, ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে
দেবেন বলে হুমকি দেন।
হুমকির একটি ভিডিও ক্লিপ
মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়, সেখানে
প্রকাশ্য হুমকির বিষয়টি সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। ফলশ্রুতিতে বর্তমানে
এলাকার মানুষ আতঙ্কিত অবস্থায় জীবনযাপন করছেন। আপনার এসব কার্য দ্বারা
আপনি সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক
দল ও প্রার্থীর আচরণ
বিধিমালা ২০০৮ এর ৭(গ) বিধি লঙ্ঘন
করেছেন।
এমতাবস্থায়,
চাঁদপুরের আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে বা উপযুক্ত
কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ
১৯৭২-এর ৯১-এ(৫) (এ) অনুচ্ছেদের
ক্ষমতাবলে আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন