ইনসাইড বাংলাদেশ

তাজউদ্দিনের সাথে ব্যর্থ আলোচনার পর যেভাবে সম্ভব স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখি

প্রকাশ: ০৮:০০ এএম, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে স্বাধীন হয় আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ। পৃথিবীর বুকে সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ নামক একটি ভূখন্ড। বাংলাইনসাইডার এই বিজয়ের মাসে ধারাবাহিক ভাবে ‘ষষ্ঠ পর্বে’ ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র পঞ্চদশ খন্ড’ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী জাফর আহমদের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে-

১৯৭১ সালে প্রকাশ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) ও কৃষক সমিতি এবং আমাদের সরাসরি নেতৃত্বে পরিচালিত বাংলা শ্রমিক ফেডারেশন ও পূর্ব বাংলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের সাথে জড়িত ছিলাম। আমি ছিলাম বাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি। আমাদের মূল সংগঠন ছিল 'কমিউনিষ্ট বিপ্লবীদের পূর্ব বাংলা সমন্বয় কমিটি'। স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ১৯৬৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী আমরা এই গোপন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করি।

১৯৭০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী ঢাকার পল্টন ময়দানে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ) আয়োজিত এক সভায় অতিথি বক্তা হিসেবে আমরা এই কর্মসূচীর ভিত্তিতে রচিত ১১ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করি। এই অভিযোগে পাকিস্তানের সামরিক আইনের অধীনে আমাকে এবং রাশেদ খান মেননকে সাত বৎসরের সশ্রম কারদণ্ড ও সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের আদেশ দেয়া হয়, মোস্তফা জামাল হায়দার ও মাহবুব উল্লাহকে দেয়া হয় এক বৎসরের কারাদণ্ডাদেশ। আমরা আত্মগোপনে চলে যাই, অবশ্য মাহবুব উল্লাহ পরবর্তীকালে গ্রেফতার হন।

১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আমরা বিরোধিতা করি। এর কারণ আমরা তখন রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানে আর বিশ্বাস করতাম না, তদুপরি লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবননাশী নভেম্বরের জলোচ্ছ্বাস এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকদের ক্ষমার অযোগ্য উপেক্ষায় আমরা ছিলাম বিক্ষুব্ধ। অন্যদিকে ইয়াহিয়া ঘোষিত 'লীগাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডারে'র অধীনে নির্বাচন এবং এতে বিজয় পূর্ব বাংলার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করতাম না। তাই আমরা নির্বাচন বর্জনের আহবান জানাই এবং পাশাপাশি শ্লোগান তুলে ধরি। 'শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা অস্ত্র ধরো, পূর্ব বাংলা স্বাধীন করো'।

'৭১-এর মার্চে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলে আমাদের তৎপরতা বেড়ে যায়। ৭ই মার্চ প্রচারিত এক প্রচারপত্রে আমাদের আহবান ছিল, 'আঘাত হানো, সশস্ত্র বিপ্লব শুরু করো, জনতার স্বাধীন পূর্ব বাংলা কায়েম করো'।

আমাদের (বাংলা শ্রমিক ফেডারেশন) উদ্যোগে ২৫ মার্চ বিকেলে পল্টন ময়দানে আয়োজিত জনসভায় সভাপতির ভাষণে আমি স্বাধীনতা সংগ্রামের ১৩ দফা কর্মসূচী তুলে ধরি। এই সভায় আমরা বলেছিলাম, আলোচনা ব্যর্থ হতে বাধ্য, আর তাই সারাদেশে অবিলম্বে গেরিলা বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে হবে। এটাই ছিল তৎকালীন 'পূর্ব পাকিস্তানের' পল্টন ময়দানের শেষ জনসভা। সভাশেষে এক প্রকাণ্ড মিছিলযোগে আমরা শহীদ মিনারে যাই এবং সেখানে শপথ গ্রহণ করি।

২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী তাদের পৈশাচিক হত্যাকান্ড শুরু করলে আমি আশ্রয় নেই এ দেশের প্রগতিশীল সিনেমা আন্দোলনের পথিকৃত শহীদ জহির রায়হানের বাসায়। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাকে তিনদিন আশ্রয় দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, জহির রায়হানের গাড়িটিও আমাদের দিয়েছিলেন ঢাকার বাইরে যাওয়ার জন্য। এই গাড়ী নিয়েই আমরা ঢাকা জেলার শিবপুর চলে যাই।

২৫ বা ২৬ এপ্রিল আমি পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা দেবেন সিকদারের আগরতলা থেকে লেখা একটি চিঠি পাই। এতে জানানো হয়েছিলো যে, ৩০ এপ্রিল ভারতের জলপাইগুড়িতে মাওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে বামপন্থীদের এক নীতিনির্ধারণী সভা হবে, আমি যেন অন্য সকলকে জানিয়ে নিজেও চলে আসি।

পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হয় কলকাতায়, কিন্তু মাওলানা ভাসানী উপস্থিত চছিলেন না। তার লেখা একটি চিঠি পড়ে শোনানো হয় যাতে তিনি লিখেছিলেন যে, বাইরে বেরানার ব্যাপারে তার অসুবিধা আছে, তিনি ভালো আছেন।

মওলানা ভাসানী আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে বলেছিলেন, তাঁর নির্দেশ ছিল আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতার সংগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য। চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন যে গণচীনসহ কয়েকটি রাষ্ট্রের প্রধানদের নিকট তিনি টেলিগ্রাম পাঠিয়েছেন সমর্থন চেয়ে। মওলানা ভাসানীর এই চিঠিটি এসেছিল ভারতের একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের মাধ্যমে। এ প্রসংগে বলা দরকার যে কাগজে-কলমে না হলেও পরোক্ষভাবে সুকৌশলে মওলানা ভাসানীকে বন্দী দশায় রাখা হয়েছিল।

কলকাতায় এ সভায় সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুরের কৃষক নেতা শ্রবরোদা ভূষণ চক্রবর্তী। বিস্তারিত আলোচনা শেষে মওলানা ভাসানীকে সভাপতি করে 'জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম সমন্বয় কমিটি' গঠন করা হয়। কমিটিতে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন দেবেন সিকদার (পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি), নাসিম আলী (বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি) অমল সেন (কমিউনিষ্ট সংহতি কেন্দ্র), ডাঃ সাইফ-উদ-দাহার (কমিউনিষ্ট কর্মী সংঘ) এবং আনি (কমিউনিষ্ট বিপ্লবীদের পূর্ব বাংলা সমন্বয় কমিটি)। সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের প্রতি ঐক্যবদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রামের আহবান জানানো হয় এবং এ ব্যাপারে যোগাযোগের দায়িত্ব লাভ করি আমরা।

দেশে ফেরার পথে জুনের মাঝামাঝি আগরতলায় আমাকে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' আটক করে নিয়ে যায় শিলং-এর একটি ডাক বাংলোয়। সেখানে আমাকে সাত দিন রাখা হয়। ঘটনাটিকে আমি গ্রেফতার বলবো না, কেননা, কোন খারাপ আচরণ আমার সাথে করা হয়নি। কিন্তু সাত দিনব্যাপী অবিরাম প্রশ্নের মাধ্যমে আমাকে ব্যতিব্যস্ত রাখা হয়। আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'-এর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান মিঃ সুব্রামনিয়াম। তিনি অবশ্য সমগ্র ব্যাপারটিকে 'নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা' হিসাবে বোঝাতে চেয়েছিলেন।

অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের সাথে ব্যর্থ আলোচনার পর আমরা নিজেদের উদ্যোগে যেখানে যতটুকু শক্তি নিয়ে যেভাবে সম্ভব স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখি। মুজিব নগর সরকারকে আমরা অস্বীকার করিনি, কিন্তু তাই বলে প্রত্যক্ষ কোনো যোগাযোগও রাখিনি, সহযোগিতাও পাইনি। সরকার সম্পর্কে আমাদের প্রশ্ন ছিল, সমালোচনা ছিল, কেননা তারা আওয়ামী লীগের বাইরে বিশেষ করে বামপন্থীদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ প্রশ্নে অযৌক্তিক সংকীর্ণ নীতি গ্রহণ করেছিলেন। এই নীতি আমাদের হতাশ করেছিল। এজন্যেই আমরা নিজেদের উদ্যোগে লড়াই চালিয়েছিলাম।

স্বাধীনতাযুদ্ধকালে আমাদের সংগঠনের নীতি ছিল দুটিঃ

১। যেখানে সম্ভব বেংগল রেজিমেন্ট, ই পি আর এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত সরকারী মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়ে তাদের নির্দেশ মান্য করে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা এবং

(২) কোথাও তেমন বাহিনী না থাকলে, কিংবা দলীয় সংকীর্ণতার কারণে যোগদান সম্ভব না হলে আলাদাভাবে 'গেরিলা ফৌজ' গঠন করে যুদ্ধ পরিচালনা করা। উল্লেখ্য যে, আমাদের সংগঠনের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর নাম ছিলো 'গেরিলা ফৌজ'। এর পঠন প্রণালী ছিল-পাঁচ থেকে সাতজন নিয়ে একটি গ্রুপ, কয়েকটি গ্রুপ নিয়ে একটি স্কোয়াড এবং কয়েকটি স্কোয়াড নিয়ে গঠিত হতো এক একটি আঞ্চলিক ইউনিট। এ ব্যাপারে আমাদের নির্দেশ ২৫ মার্চের জনসভাতেই ঘোষণা করা হয়েছিল।।

আগেই বলেছি। কেবল সেই সব অঞ্চলেই গেরিলা ফৌজ গঠিত হয়েছিল যেখানে সরকারী মুক্তিবাহিনী (বেংগল রেজিমেন্ট, ইপিআরসহ) ছিল না কিংবা থাকলেও সংকীর্ণতার কারণে আমাদের কর্মীরা ওতে যোগ দিয়ে পারেনি। দেশের অন্য সকল এলাকায় কর্মীরা মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়ে অধিনায়কের নির্দেশে যুদ্ধ করেছেন-কোনো প্রকার দলীয় বিভেদাত্মক কার্যকলাপ তারা চালাননি। সেই প্রেক্ষিতে যুদ্ধশেষে হিসেব অনুযায়ী সারা দেশে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আমাদের সংগঠনের কর্মীদের সংখ্যা সব মিলিয়ে ছিল প্রায় ত্রিশ হাজার।

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, যুদ্ধকালে জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম সমন্বয় কমিটির পক্ষে সরাসরি নেতৃত্ব বা যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব ছিল না, ফলে যেখানে কমিটির যে সংগঠন বেশী শক্তিশালী ছিলে সেখানে অন্য সংগঠনের সদস্যরা তার অধীনে মিলিতভাবে যুদ্ধ করতো। সংগঠন হিসেবে শামাদের কমিউনিষ্ট বিতধারার রাতো পেপারে নিজেদের মধ্যে মোটামুটি নিয়মিত যোগাযোগ সংগঠন হিসেবে আমাদের জমি উদাগাযোগ কর ইবির নির্দেশানুযায়ী কর্মীরা যুদ্ধে অংযোগ বন্ধন করতে পারতো।

কলকাতার একটি মোটেলে আমার সাথে আলোচনা হয় মুজিব বাহিনীর দুই নেতা এবং আমার এককালীন বন্ধু ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শেখ ফজলুল হক মনি ও সিরাজুল আলম খানের। মুজিব বাহিনী গঠনের কারণ জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা আসছিলেন। আমরা নিশ্চিত নই যে মুজিব বেঁচে আছেন কিনা, কিংবা তিনি জীবিত অবস্থায় ফিরে আসবেন কিনা। যদি না আসেন তাহলে যে শূন্যতার সৃষ্টি হবে তার জন্যেই মুজিব বাহিনী-যাতে (পরিহাসচ্ছলে) তোমরা কিংবা সামরিক বাহিনীর কোনো বাঙালী অফিসার সে শূন্যতার সুযোগ নিতে না পারে। তাঁদের বক্তব্যে বোঝা আসছিলো যে তাঁরা বেংগল রেজিমেন্টের কোনো কোনো কমান্ডার সম্পর্কে যথেষ্ট সংশয় এবং আশংকায়

 

ভারতসহ বিদেশে অবস্থানরত বাঙালী প্রগতিশীলরাও আমাদের নানাভাবে সাহায্য করেছিলেন। বিশেষ করে বৃটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাঙালীয়া এ ব্যাপারে ছিলেন বিশির ভূমিকায়।


তাজউদ্দিন   মওলানা ভাসানী   ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাফসানের বাবা-মায়ের নামে আড়াই কোটি টাকা ঋণের মামলা

প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বিলাসবহুল এক গাড়ি উপহার দিয়ে বাবা-মাকে চমকে দিয়েছেন রাফসান দ্য ছোটভাই খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসান। এবার রাফসানের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের টাকা ঋণ পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে।

রাফসানের (রাফসান দ্য ছোট ভাই) বাবা মো. জাকারিয়া এবং তার মা কাজী নুরুন্নেছা সেহেলি ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়। পরে তারা জামিন নিলেও সম্পত্তি নিলামের আদেশ হয়। কিন্তু সেই আদেশ হাইকোর্টে রিট করে আটকে দিয়েছেন বলে জানা যায়।

বিপুল অর্থের ঋণ পরিশোধ না করার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন সাইয়েদ আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি।

পোস্টের কমেন্টে তিনি রাফসানের বাবা ও মায়ের ঋণ নেয়ার, সম্পত্তি নিলাম হওয়ার এবং রিট পিটিশনের ডকুমেন্টও সংযুক্ত করেছেন তিনি।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর   ইফতেখার রাফসান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অসুস্থ হয়ে আদালতের বেঞ্চে শুয়ে পড়লেন বাবুল

প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামে মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় তিনি আদালতের বেঞ্চে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। এদিকে সাক্ষী না আসায় সোমবার কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়। 

চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলছে। 

আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহমেদ জানান, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বাবুল আক্তারকে সকাল ১০টার দিকে ফেনী কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বেঞ্চে শুয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট করেন। সুস্থবোধ করলে তাকে কারাগারে ফেরত নেওয়া পাঠানো হয়। সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আগামী ১৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন করা হন মাহমুদা খানম মিতু। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পিবিআই সাতজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এখনও পর্যন্ত এ মামলায় ৪৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার   মিতু হত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রকাশ্যে ভোট দেয়ায় এমপি মল্লিককে তলব করেছে ইসি

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ায় বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিককে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (১৩ মে) তাকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।

গত ৮ মে অনুষ্ঠিত বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে নির্বাচনি অপরাধ করেছেন তিনি। এ জন্য আগামী বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় তাকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হতে বলেছে ইসি।

চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন গত ৮ মে আপনি ৪৭নং মঙ্গলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন। যার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়) ছবিসহ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুসারে শাস্তিযোগ্য নির্বাচনি অপরাধ। ওই অপরাধ সংঘটনের কারণে আপনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও পদ্ধতিগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্পিকারের কাছে কেন পত্র দেয়া হবে না, সে বিষয়ে আগামী বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনাকে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

প্রকাশ্যে ভোট   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র গেলেন সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৮:৩৯ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ইন্দো-প্যাসিফিক স্থলবাহিনীবিষয়ক সম্মেলন ও প্রদর্শনীতে অংশ নিতে সোমবার (১৩ মে) যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন।

সফরকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে আগামী ১৪-১৬ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় দ্যা ল্যান্ড ফোরসেস প্যাসিফিক (এলএএনপিএসি) সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করবেন।

সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া'র বাহিনী প্রধানসহ বিভিন্ন দেশ হতে আগত সেনাবাহিনী প্রধানগণ ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এ সিম্পোজিয়ামের লক্ষ্য হলো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থল বাহিনীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করা, পেশাদার সম্পর্ক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।

সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া'র বাহিনী প্রধানসহ বিভিন্ন দেশ হতে আগত সেনাবাহিনী প্রধানগণ ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।

সিম্পোজিয়াম শেষে সেনাবাহিনী প্রধান আগামী ১৯ মে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।

সরকারি সফর   যুক্তরাষ্ট্র   সেনাপ্রধান   এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ০৭:০৭ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক এক মাস পর কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় এসে পৌঁছেছে। 

সোমবার (১৩ মে) বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে এসে পৌঁছায় জাহাজটি। আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে সদরঘাট জেটিতে তাদের বরণ করবেন স্বজনরা। 

এমভি আবদুল্লাহর ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা উপকূল থেকে ৫-৬ নটিক্যাল মাইল দূরে আছি। সাড়ে চারটার দিকে আমরা কুতুবদিয়া পৌঁছেছি। কিছুক্ষণ পর জাহাজ নোঙর করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ৩২ দিন জিম্মি থাকার পর মুক্তিপণ নিয়ে ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় তারা। এরপর আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে জাহাজটি আরেকটি বন্দরে নতুন পণ্য বোঝাই করে। সেখান থেকে রওনা দেয়ার পর গত শনিবার জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় আসে। এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে নাবিকসহ ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।

কুতুবদিয়া   এমভি আবদুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন