ইনসাইড বাংলাদেশ

কক্সবাজারের চার এমপির গত পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুন


Thumbnail

কক্সবাজারে চার এমপির গত পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ । এবার কক্সবাজার-১ আসনের জাফর আলম ব্যতিত বাকি তিনটি আসনে বর্তমান সংসদ সদস্যরা দলের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন জাফর আলম। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা পর্যালোচনায় দেখা গেছে পাঁচ বছরে এমপিদের সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে বহুগুণ। বেড়েছে তাদের স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণও। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের হলফনামায় প্রদত্ত সম্পদ বিবরণী আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রদত্ত হলফনামা থেকে এ সম্পদের পার্থক্য বুঝা যায়।

 

তবে সম্পদের তথ্য গোপন করে হলফনামা জমা দিয়েছেন কক্সবাজার-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম।

 

একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে জাফর আলমের বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ ছিলো ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৬ টাকা। সে সময় তার নগদ টাকা ও ব্যাংক জমাসহ অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিলো ৫৬ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ টাকা। কৃষি ও অকৃষি জমিসহ তার স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিলো ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৫০ টাকা। এছাড়াও তার চিংড়ী খামারের ২০ একর জমি ছিলো যার বাৎসরিক খাজনা ৪০ হাজার টাকা। সে হিসেবে নিট সম্পদের মূল্যমান ছিল এক কোটি ৫৮ লাখ ৯০ হাজার ৯৫২ টাকা। তার স্ত্রীর স্বণার্লংকার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিলো ৩১ লাখ ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং স্থাবর সম্পদ ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকার। স্ত্রীর নিট সম্পদের মূল্যমান ৬১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা।

 

এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেখা যায়, তার বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬ হাজার ৪৭৬ টাকা। বর্তমানে তার নগদ টাকা ও ব্যাংক জমা সহ অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার ২৪৮ টাকা। কৃষি ও অকৃষি জমিসহ তার বর্তমান স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৮৭ টাকা। সব মিলিয়ে তার এবারের সম্পদের পরিমাণ তিনকোটি ৩০ লাখ ৮৬ হাজার ১১১ টাকা। এতে গত পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে এক কোটি ৭১ লাখ ৯৫ হাজার ১৫৯ টাকা।

 

তার স্ত্রীর বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১৭ লাখ ১৩ হাজার ১৩৩ টাকা। স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৭৮ লাখ ৯৫ হাজার ৫০১ টাকা ও স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭৫৩ টাকা। গত পাঁচ বছরে স্ত্রীর নিট সম্পদ দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬৪ লাখ ৪৪ হাজার ৩৮৭ টাকা। পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ২ কোটি ২লাখ ৯৩ হাজার ৮৮৭ টাকা। এছাড়াও এবারের হলফনামায় যৌথ মালিকানাধীন সম্পদ দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার।

 

হলফনামায় নামেমাত্র সম্পদের হিসেব উল্লেখ করলেও জাফর আলম ও তার স্ত্রীর আরো শতকোটি টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করেছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের সম্পদ বাড়ার পরিমাণ অসামঞ্জস্য। পাশাপাশি স্বামীর চেয়ে স্কুল শিক্ষক স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ বাড়তি হওয়ায় জেলা জুড়ে গুঞ্জন চলছে। ইতোপূর্বে তাদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কক্সবাজার কার্যালয়।

 

দুদক কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন, এমপি জাফর আলম ও তার স্ত্রীসহ সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে করা অনুসন্ধানে ২০০শতাধিক দলিলের বেশিরভাই সত্যতা পেয়েছে দুদক। তবে এসব দলিলের সিংহভাগই ‘পাওয়ার অব এ্যাটর্নি’ মূলে এমপি জাফরের মালিকানা বলে জানান দুদক।

 

কিন্তু অনুসন্ধান শেষ না হওয়ায় এখনো এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা যাবেনা বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন।

জানতে চাইলে হলফ নামায় সম্পদের তথ্য গোপনের বিষয়ে এমপি জাফর আলম বলেন, আমি জায়গা জমির ব্যবসা করি, অনেক জমি কিনে সেটা আবার বিক্রি করে দিয়েছি। তাই যে সকল জমি বিক্রি করেছি সেটা হলফনামায় তুলে ধরিনি। তবে, আমার সম্পদের পরিমাণ আয়কর বিবরণীর সাথে সামঞ্জস্য রয়েছে।

 

হলফনামায় সম্পদ ও নগদ অর্থ বৃদ্ধির বিষয়ে জাফর আলম বলেন, জমি-জমার দামও বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে আমার আয়ও বেড়েছে।

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে আশেক উল্লাহ রফিকের বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ ছিলো ৬ লাখ ২১ হাজার ২৭৮ টাকা। সে সময় তার নগদ টাকাসহ অস্থাবর সম্পদের মূল্যমান ধরা হয় ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫০৪ টাকা। গাড়ী বাড়ি ও কৃষিজমির মূল্য ও ৩ দশমিক ১৯ একর অকৃষি জমিসহ তার স্থাবর সম্পদের মূল্যমান ছিলো ২৮ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬০ টাকা। সে হিসেবে তার নিট সম্পদের মূল্যমান ৩ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪২ টাকা। তার স্ত্রীর ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার দেখানো হয়েছিল।

 

আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা’র তথ্য মতে তার বাৎসরিক আয় দেখানো হয় ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৩২ টাকা। বর্তমানে তার নগদ টাকা ও মূলধনসহ অস্থাবর সম্পদের মূল্যমান দেখানো হয় ৫ কোটি ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৪৩৫ টাকা। গাড়ী-বাডি এবং কৃষি ও অকৃষি জমিসহ তার স্থাবর সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ১১ লাখ ৪৯ হাজার ২৬২ টাকা। ৬ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ১৯ টাকা। এতে গত পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ২ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৭ টাকার। গতবারের মতোই তার স্ত্রীর ৩০ ভরি স্বণার্লংকার দেখানো হয়েছে।

 

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাইমুম সরওয়ার কমলের বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ ছিলো ৪১ লাখ ৯২ হাজার ৪ শত ৬৩ টাকা। সে সময় তার নগদ টাকাসহ অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিলো ৭৪ লাখ ৫ হাজার টাকা। গাড়ী-বাডিসহ তার স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিলো ৯৪ লাখ ৭৬ হাজার ৫৬০ টাকা। এ হিসেবে তার নিট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ১০ লাখ ৭৪ হাজার ২৩ টাকা। স্ত্রীর আয় ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিলো ১ কোটি ৮৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৩ টাকা।

 

আর দ্বাদশ জাতীয় নিবার্চনের হলফনামা’র তথ্য মতে, তার বাৎসরিক আয় দেখানো হয় ৫১ লাখ ১৫ হাজার ২৮৮ টাকা। বর্তমান অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয় ২ কোটি ১৪ লাখ ২১ হাজার ২৮০ টাকা। গাডী-বাডিসহ স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৬৮ লাখ ২ হাজার ৯৬০ টাকা। এ হিসেবে নিট সম্পদের মূল্যমান দাঁড়ায় ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫২৮ টাকা। পাঁচ বছরে তার আয় বেড়েছে ২ কোটি ২২ লাখ ৬৫ হাজার ৫০৫ টাকা।

 

এবারে স্ত্রী’র আয় দেখানো হয়েছে ২১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৬৫ টাকা। বর্তমানে তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩ কোটি ৭৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯১৯ টাকা এবং স্থাবর সম্পদের মূল্যমান দেখানো হয়েছে ৩০ লাখ ৭৫০ টাকা। এ হিসেবে স্ত্রীর নিট সম্পদ ৪ কোটি ২৭ লাখ ২৬ হাজার ১৩৪ টাকা। যা গত পাঁচ বছরের তুলনায় ২ কোটি ৪২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫১ টাকা।

 

কক্সবাজার-৪ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাহীন আক্তারের বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ ছিলো ৪ লাখ ৭১ হাজার ৮০৫ টাকা। সেসময় তার নগদ টাকাসহ অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিলো ৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। কৃষি জমি ও দালান বাড়িসহ তার স্থাবর সম্পদের আর্থিক মূল্য ছিলো ১২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। নিট সম্পদের পরিমাণ ২৩ লাখ ১২ হাজার ৮০৫ টাকা।

 

এদিকে, তাঁর স্বামী আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির অস্থাবর সম্পদের মূল্যমান দেখানো হয়েছিলো ২ কোটি ৫৯ লাখ ৩৪ হাজার ৬১২ টাকা আর স্থাবর সম্পদের মূল্যমান দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার ৬১৪ টাকা। নিট সম্পদ ৭ কোটি ১৬ লাখ ২৬ হাজার ২২৬ টাকা।

 

আর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের হলফনামার তথ্যমতে, শাহীন আকতারের বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৬৯৭ টাকা। নগদ টাকা ও স্বণার্লংকারসহ তার বর্তমান অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ৩৬ লাখ ৬১ হাজার ৯৩২ টাকা। কৃষি ও অকৃষিজমিসহ তার স্থাবর সম্পদের মূল্যমান দেখানো হয়েছে ২৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এতে নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় এক কোটি ৬৯ লাখ ২৮ হাজার ৬২৯ টাকা। গত পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে এক কোটি ৪৬ লাখ ১৫ হাজার ৮২৪ টাকা।

 

এছাড়াও এবারে তার স্বামী আব্দুর রহমান বদির স্থাবর ও অস্থাবর মিলে মোট সম্পদের মূল্যমান দেখানো হয় ৯ কোটি ৭৮ লাখ ৯৭ হাজার ১৭৩ টাকা। যা গতবারের তুলনায় ২ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৯৪৭ টাকা।


কক্সবাজার   এমপি   সম্পদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত বহু

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

 


বিস্তারিত আসছে...

 


দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশ: ১০:১৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। 

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বরিশালের গৌরনদীতে উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ তিনজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন, গৌরনদী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমানের সমর্থক দেলোয়ার হোসেন দিলু, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরীর সমর্থক ও মাহিলারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার মোটরসাইকেলের চালক পলাশ হাওলাদার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বাটাজোর ইউনিয়নের আ.লীগ নেতা আলতাফ হোসেন মারা গেছেন। রাতে তার জানাজায় অংশ নিতে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে আসেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়া ও ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু। পরে সেখানে প্রতিপক্ষ হারিছুর রহমানের সমর্থকরাও আসেন। তখন দুইপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

আহত ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ বলেন, আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর হারিছুর রহমানের ক্যাডাররা পিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ঘেরাও করে। তখন প্রধান গেট আটকে তাকে রক্ষা করা হয়।

তিনি বলেন, হামলাকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। তারা হাসপাতাল কম্পাউন্ডে থাকা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন সরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী ও পুলিশ সদস্যরা এসে আহতদের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, কুপিয়ে জখম হওয়া পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স খবর দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে। তারা অ্যাম্বুলেন্সসহ সব যানবাহন আটকে দেয়। পরে পিকলুকে বরিশাল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর ভাই বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব হাওলাদার বলেন, আমি অসুস্থ। কী ঘটেছে আমি জানি না। শুনেছি নির্বাচনি প্রচারে হামলা হয়েছে। এতে দিলু গুলিবিদ্ধ হয়েছে ও পিকলুকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে শুনেছি।

আহত দেলোয়ার হোসেন দিলুর দাবি, ইউপি চেয়ারম্যান পিকুল তাকে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা এসে প্রতিরোধ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন বলেন, তিনজন জখম অবস্থায় এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনজনকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।


সংঘর্ষ   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আটকে গেল মামুনুল হকের মুক্তি

প্রকাশ: ০৯:০৯ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে কারা ফটকে ভিড় করেন তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে তিনি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন, এমন খবরে তারা কারা ফটকে ভিড় জমান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আইনি জটিলতায় বৃহস্পতিবার তিনি ছাড়া পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, মাওলানা মামুনুল হক কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দি হিসেবে আছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়। অনেক মামলা থাকায় তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে মামুনুল হক আজ মুক্তি পেতে পারেন কিনা বা কখন মুক্তি পাবেন তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে কারাগারের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বৃহস্পতিবার ছাড়া পাচ্ছেন না মামুনুল হক।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক। এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।


কাশিমপুর কারাগার   মামুনুল হক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: গজারিয়ায় দুই প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশ: ০৮:২৫ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় আগামী ৮ মে ১ম ধাপে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই লক্ষে কাজ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুর ১২টার সময় উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস) এবং খাদিজা আক্তার আঁখি(পদ্মফুল) এই দুই প্রার্থী একই সঙ্গে প্রাচারণা চলাকালে মুখোমুখি হয়ে যায়। পরে দুই প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকরা তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে যায় পরিস্থিতি গোলাটে হওয়ার মুহূর্তে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

এই ঘটনায় জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ বশির আহমেদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রচারণা কালে প্রচারণা কাজে বাঁধা প্রদান করেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায় যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ১৮ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন। এক্ষণে, আপনার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার ব্যাখ্যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

শোকজের বিষয়ে জানতে মেহেরুন নেছা উত্তরা (কলস)কে মুটোফোনে কল দিলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া আরেক প্রার্থী খাদিজা আক্তার আঁখি (পদ্মফুল)কে কল দেওয়া হলে রিসিভ করা হয়নি।


উপজেলা নির্বাচন   শোকজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন