ইনসাইড বাংলাদেশ

বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত চিঠির ব্যাখ্যা দিল বিজিএমইএ

প্রকাশ: ০৯:৫৪ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় নতুন শ্রমনীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই শ্রমনীতি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে বাংলাদেশ থেকে কোনো পণ্য না নেওয়া কিংবা অর্থ পরিশোধ না করার শর্ত যুক্ত করে তৈরি পোশাকের ঋণপত্র দিয়েছে একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো ঋণপত্রের সাধারণ শর্তের মধ্যে বলেছে, বাংলাদেশ কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে তারা পণ্য নেবে না। যদি পণ্য জাহাজীকরণের পরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলেও অর্থ দেবে না ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। তবে শর্ত দেওয়া ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের নাম জানাননি তিনি।

বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠনটির পাঠানো চিঠির একটি শর্ত নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে যা নিয়ে বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নিশেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার অবসান করতে চিঠির ব্যাখ্যা দিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে বিজিএমইএ। বিবৃতিটিতে বিষয়টি সম্বন্ধে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ব বাণিজ্যের দৃশ্যপট দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে; মানবাধিকার এবং পরিবেশগত ডিউ ডিলিজেন্স ক্রমবর্ধমানভাবে অগ্রাধিকার পাচ্ছে, অন্যদিকে ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোও বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে। যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাণিজ্যের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল, তাই বাণিজ্য নীতি সংক্রান্ত  যে কোনো নতুন বিষয় আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। তাই, বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট করার জন্য আমি এই বিবৃত্তি দেওয়ার তাগিদ অনুভব করছি।

বিবৃতিতে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, সম্প্রতি বিজিএমইএ এর এক সদস্যকে বিদেশী ক্রেতার পাঠানো একটি লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) এর অনুলিপি আমাদের নজরে এসেছে। এলসি’তে নিম্নলিখিত বিষয়টি রয়েছে -

“আমরা জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, যুক্তরাজ্য কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা আরোপিত কোনো দেশ, অঞ্চল বা দলের সাথে লেনদেন প্রক্রিয়া করবো না। নিষেধাজ্ঞার কারণগুলোর জন্য আমরা কোনও বিলম্ব, নন-পারফরমেন্স বা/ তথ্য প্রকাশের জন্য দায়ী নই।”

তিনি বলেন, এই ধারাটির ব্যাখ্যায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যা সঠিক নয়। এটি উল্লেখ্য যে এলসি’টি একটি নির্দিষ্ট ক্রেতার কাছ থেকে এসেছে এবং এটি কোনও দেশের দ্বারা সংবিধিবদ্ধ আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি নয়। সুতরাং এটিকে বাংলাদেশের উপর বাণিজ্য ব্যবস্থা প্রয়োগ বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বার্তা হিসাবে ভুল ব্যাখ্যা করা উচিত হবে না।

এটিকে আরও স্পষ্ট করে বলছি যে, স্বতন্ত্র ক্রেতা/প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ নীতি এবং প্রোটোকল থাকতে পারে, তবে একটি এলসি কপি বা একটি ব্যক্তিগত বাণিজ্যিক ইনস্ট্রুমেন্ট কোন অফিসিয়াল ঘোষণা নয়। তাছাড়া, বিজিএমইএ আমাদের কূটনৈতিক মিশন থেকে বা কোনও অফিসিয়াল সোর্স থেকে বানিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা বাণিজ্য ব্যবস্থা আরোপের কোনও তথ্য পায়নি।

বিজিএমইএর বিৃবতিতে বলা হয়, শ্রমিকদের অধিকার এবং কল্যাণকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। বাংলাদেশ সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে একটি শ্রম রোডম্যাপ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ২০১৩, ২০১৮ এবং ২০২৩ সালে শ্রম আইনের সংশোধনসহ এটি বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শ্রম বিধিগুলো ২০১৫ সালে জারি করা হয়েছিলো এবং ২০২২ সালে সংশোধন করা হয়েছিলো। বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ সালে পাস করা হয় এবং ২০২২ সালে ইপিজেড শ্রম বিধি জারি করা হয়।

একটি কারখানার ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য ৩০% শ্রমিকদের অংশগ্রহণের পূর্ববর্তী শর্ত (থ্রেশহোল্ড) শিথিল করে ২০% করা হয়েছিলো, যা কিনা বাংলাদেশের শ্রম আইনের (বিএলএ) সাম্প্রতিক সংশোধনীতে আরও হ্রাস করে ৩০০০ এরও বেশি শ্রমিক নিয়োগকারী কারখানাগুলোর জন্য ১৫% করা হয়েছে। গ্রুপ অব কোম্পানিজ এর জন্য থ্রেশহোল্ড ৩০% থেকে হ্রাস করে ২০% করা হয়েছে। শ্রমিকদের কল্যানের জন্য কেন্দ্রিয় তহবিলে অবদান রাখা আইনত বিধান করা হয়েছে; ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই তহবিলে শিল্প প্রায় ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অবদান রয়েছে। জিআইজেড এবং আইএলও এর সহযোগিতায় এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম (ইআইএস) এখন পোশাক শিল্পে পাইলটিং করা হচ্ছে, যা নজির বাংলাদেশে আর কোথাও নেই। নির্বাচিত শ্রমিকদের অংশগ্রহণ কমিটি এবং নিরাপত্তা কমিটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বিশ্বের সেরা পারফর্মিং বেটার ওয়ার্ক কারখানাগুলোর মধ্যে কয়েকটি বাংলাদেশে রয়েছে। আইএলও এর সাথে আমরা “প্রমোটিং সোশ্যাল ডায়ালগ অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিয়াল রিলেশন ইন দি বাংলাদেশ আরএমজি সেক্টর (এসডিআইআর) শীর্ষক একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা/প্রকল্প সম্পন্ন করেছি। কারখানায় বিদ্যমান কমিটিগুলোকে শক্তিশালী করতে, বিশেষ করে অংশগ্রহণ কমিটি, নিরাপত্তা কমিটি এবং হয়রানি বিরোধী কমিটি শক্তিশালী করার জন্য বিজিএমইএ জিআইজেড এর সহযোগিতায় পাইলটিং ভিত্তিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি কারখানাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ব্র্যান্ড, রিটেইলার, উন্নয়ন অংশীদার এবং কারখানাগুলো কর্তৃক শিল্প সম্পর্ক জোরদার করার জন্য বিজিএমইএ ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় হার প্রকল্প , মাদারস ওয়ার্ক প্রকল্পের মাধ্যমে মাতৃত্ব সুরক্ষা, মনের বন্ধুর মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং সুস্থতা পরিষেবা সহ আরও অনেক কর্মসূচি চালু রয়েছে। উৎপাদন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, দায়িত্বশীল করার জন্য আরও অনেক উদ্যোগ বিবেচনাধীন রয়েছে। এই সমস্ত উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে শ্রমিকদের অধিকারগুলো সমুন্নত রাখা এবং শ্রমিকদের কল্যান আরও বৃদ্ধি করা।

২০১৩ সালে মর্মান্তিক ভবন ধসের দুর্ঘটনার পর, শিল্পটি জাতীয় উদ্যোগের নেতৃত্বে একটি বড় নিরাপত্তা সংস্কারের মধ্য দিয়ে গেছে এবং ক্রেতাদের চালিত প্রোগ্রাম, অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ, অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি দ্বারা উল্লেখযোগ্যভাবে সংস্কার হয়েছে। নিরাপত্তা সংস্কার পরিকল্পনা সম্পূর্ণ করতে একটি কারখানা গড়ে প্রায় ৫০০,০০০ মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে, যা কারখানাটি রিট্রোফিট অথবা স্থানান্তর করার তুলনায় ৪-৬ গুণ বেশি ছিলো। এই উদ্যোগগুলোর দ্বারা গৃহীত অগ্রগতিগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং জাতীয় পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠার জন্য আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল (আরএসসি) জুন ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ঐকমত্য-ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পখাতের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাগুলোকে একটি ছত্রছায়ায় নিয়ে আসে।

শ্রমিকদের আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে ২০১০ সাল থেকে ন্যূনতম মজুরি ছয় গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে; মজুরির ৫% হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট এবং ২টি উৎসব ভাতা (প্রতিটি এক মাসের মূল মজুরির সমতুল্য) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে; শ্রমিকদের চিকিৎসা ছুটি এখন অর্ধেক মজুরির পরিবর্তে ১৪ দিনের জন্য পূর্ণ মজুরিতে দেওয়া হচ্ছে; বার্ষিক ছুটির বিধান সংশোধন করা হয়েছে। এটি প্রতি ১৮ দিনের কাজের জন্য ১ করা হয়েছে, যা আগে প্রতি ২২ দিনের জন্য ১ দিন করা ছিলো; শ্রমিকরা আইন অনুসারে তাদের মোট বার্ষিক ছুটির ৫০% নগদায়ন করতে পারে, যা আগে আইনে ছিল না।

সবুজ রূপান্তরের ক্ষেত্রেও আমরা এগিয়ে আছি। বাংলাদেশ এখন ২০৪টি লীড প্রত্যয়িত পরিবেশবান্ধব কারখানার আবাসস্থল, যার মধ্যে ৭৪টি প্ল্যাটিনাম রেটেড এবং ১১৬টি গোল্ড রেটেড । আরও ৫০০ কারখানা সার্টিফিকেশনের জন্য প্রক্রিয়াধীনে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ মানের লীড পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৫৪টি বাংলাদেশে রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ২০টি লীড প্রত্যয়িত কারখানার মধ্যে ১৮টি বাংলাদেশে রয়েছে। এবং এটি সত্যিই গর্বের বিষয় যে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্কোরিং কারখানাটি ১০৪ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশে রয়েছে।

আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের অনেক রপ্তানি বাজারের জন্য মানবাধিকার এবং পরিবেশগত পরিবেশগত ডিউ ডিলিজেন্স ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার আমাদের বাণিজ্য অংশীদারদের সাথে যুক্ত রয়েছে। ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ইউএস প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরান্ডাম ‘কর্মীর ক্ষমতায়ন, অধিকার এবং বিশ্বব্যাপী চলমান লেবার ক্যাম্পেইনের সঙ্গে উচ্চ শ্রমমান জুড়ে দিয়ে স্বাক্ষর করেছে, যা এনগেজমেন্ট এবং প্রয়োগের দিক থেকে বেশ স্বতন্ত্র বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে। আমরা এর তাৎপর্যকে সম্মান করি এবং এর মূল নীতিগুলোর সাথে একাত্মতা খুঁজে পাই। যদিও স্মারকলিপিতে 'কূটনৈতিক ও সহায়তার সম্পূর্ণ ব্যবস্থা এবং যথাযথ আর্থিক নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য জরিমানা, ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য পদক্ষেপ' সহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, তবে এটি বাংলাদেশের জন্য গৃহীত নয়, বরং এটি শ্রমিক অধিকার ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা অবস্থান।

আমরা অতীতেও একই ধরনের উদাহরণ দেখেছি; এক ক্রেতার কাছ থেকে আসা একটি এলসি ক্লজ উদ্ধৃত করে এটিকে বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা হিসাবে সাধারণীকরণ করা হয়েছে এবং আমরা এ ধরনের ভুল তথ্য উপস্থাপনের বিরুদ্ধে সব সময়ই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। তবে, আমরা বাণিজ্যিক কাগজপত্র ও উপকরণে এই ধরনের ধারা অন্তর্ভুক্ত করাকে সমর্থন করি না, যদি এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনুশীলন করা হয়। বিজিএমইএ তার সদস্যদের, যারা উপরে উল্লিখিত এই জাতীয় ধারাসহ এলসি গ্রহন করে, তাদেরকে সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ড(গুলো) এর সাথে যোগাযোগ করে এর একটি স্পষ্টীকরণ চাওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছে। যদি ধারাটি কেবলমাত্র বাংলাদেশী সরবরাহকারীদের অনুকুলে জারি করা এলসিগুলোতে থাকে, তবে এটি নৈতিকতা লঙ্ঘন করে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, আমরা আমাদের সদস্য কারখানাগুলোকে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার জন্য এবং প্রয়োজনে এই ধরনের ক্রেতাদের সাথে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা/পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করবো।


বাণিজ্য   নিষেধাজ্ঞা   চিঠি   বিজিএমইএ   ঋণপত্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সোমবার রাতেই দেশে ফিরছে এমভি আব্দুল্লাহ

প্রকাশ: ০৭:৪৭ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সোমালি জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছেছে। সোমবার এটি বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করবে।

রোববার (১২ মে) জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, রোববার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে জাহাজটি কুতুবদিয়া থেকে প্রায় ৩৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জাহাজটি যে গতিতে চলছে তাতে আগামীকাল সন্ধ্যা বা রাতের মধ্যে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, জাহাজটি এখন দেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সবাই বাড়িতে পৌঁছে আত্মীয়স্বজনদের সাথে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

কুতুবদিয়ায় আসার পর নাবিক ও ক্রু সদস্যদের একটি নতুন ব্যাচ জাহাজটিতে পাঠানো হবে। বর্তমানে জাহাজে যে ২৩ জন ক্রু আছেন তাদের মঙ্গলবার একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হবে এবং সেখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়িতে যাবেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এমভি আব্দুল্লাহ আমদানি করা ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর নিয়ে এসেছে। কার্গোর কিছু অংশ কুতুবদিয়ায় খালাস করা হবে এবং বাকি পণ্য খালাসের জন্য জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসবে।

উল্লেখ্য, সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহরণের দীর্ঘ ১ মাস পর গত ১৩ এপ্রিল সোমালিয়ার সময় রাত ১২টা এবং বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ ২৩ নাবিক। এর আগে জলদস্যুদের মুক্তিপণের টাকা পৌঁছানো হয় একটি বিশেষ এয়ারক্রাফটের মাধ্যমে। এই এয়ারক্রাফট থেকে দস্যুদের নির্ধারিত স্থানে তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার পৌঁছানো হয়।

মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি।

এমভি আব্দুল্লাহ   বঙ্গোপসাগর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

৫শ’ টাকার লোভে শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর


Thumbnail

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।

আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।

এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।


ব্রহ্মপুত্র নদ   ৫শ’টাকার লোভ   শিশু   কিশোর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতের হাইকমিশনারের সাথে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৬:১০ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রোববার (১২ মে)  দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে এ সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।

সৌজন্য সাক্ষাতকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অভিন্ন ইস্যু রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এসকল ইস্যু খুঁজে বের করে একসাথে কাজ করতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে প্রযুক্তি হস্তান্তর, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, প্রশিক্ষণ, গবেষণাসহ এ সংক্রান্ত অভিন্ন ইস্যুতে একসাথে কাজ করলে দু’দেশই লাভবান হবে বলে এসময় আলোচনা করা হয়। 

ভারতের হাইকমিশনার   মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হাসপাতালের লিফটে আটকা ৪৫ মিনিট, রোগীর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৬:১৪ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে পড়ে এক নারী রোগীর মৃত্যু হয়েছে। 

রোববার (১২ মে) সকালে হাসপাতালের ৩ নম্বর লিফটে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা সাংবাদিকদের কাছে লিফট অপারেটরদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করেছেন। 

মৃত মমতাজ বেগম (৫০) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিন বিএসসি'র স্ত্রী। 

মৃতের ভাগ্নে খন্দকার শাহদত হোসেন সেলিম বলেন, আমার মামি মমতাজ বেগম শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ নিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ওই হাসপাতালের ১১ তলার মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা তাকে একই ভবনের ৪র্থ তলায় থাকা কার্ডিওলজি বিভাগে ট্রান্সফার করেন। মামি হাঁটাচলা করতে পারলেও দ্রুত হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার জন্য ট্রলিতে ওঠানো হয়। পরে মামি, তার ছেলে আব্দুল মান্নান, মেয়ে শারমিন ও আমি হাসপাতালের ৩নং লিফটে উঠি। ৯ম ও ১০ তলার মাঝমাঝি থাকা অবস্থায় লিফটি হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে থেমে যায়। তখন আমি লিফটে থাকা মোবাইল নম্বরে একাধিক ব্যক্তিকে বার বার ফোন করলেও তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। উল্টো আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।

এমতাবস্থায় রোগী ছটফট করতে থাকলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। প্রায় ৪৫ মিনিট পর এক পর্যায়ে কয়েকজন অপারেটর দরজা কিছুটা ফাঁক করে আবার বন্ধ করে চলে যায়। এসময় অনেক কষ্টে আমরা তিনজন বেরিয়ে আসতে পারলেও মামীকে বের করা সম্ভব হয়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরের কলের মাধ্যমে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা  ঘটনাস্থল যান। কিন্তু ততক্ষণে লিফটের ভেতরেই আমার মামি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

পরে জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা দরজা খুলে মমতাজ বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। যদি সঠিক সময়ে তাকে উদ্ধার করা হতো তাহলে হয়তো বাঁচানো যেত।

এর আগে গত ৪ মে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১২ তলার ভেতরের দেয়াল ও মেঝের মধ্যে থাকা ফাঁকা স্থান দিয়ে এক রোগী ১০ তলায় পড়ে গিয়ে মারা যান। এসব অবহেলায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন রোগীর স্বজনরা।

লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যুর খবরের সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে রোগী মমতাজ বেগম ও তার কয়েকজন স্বজনসহ লিফটে আটকা পড়েন। লিফটের অপারেটর ও জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনার ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে মমতাজের লাশ ও তার স্বজনদের উদ্ধার করে।

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় কারো গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


হাসপাতাল   লিফট   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি উন্নয়নকে মলিন করে দিচ্ছে: সাঈদ খোকন

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা শহরে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা মলিন করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। 

রোববার (১২ মে) দুপুর ১২টায় পুরান ঢাকার নর্থ-সাউথ রোডের সুরিটোলা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তিন হাজার পরিবারকে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের’ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই খাদ্যসামগ্রী ঢাকা-৬ আসনে বরাদ্দ দিয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করার চেষ্টা করছি। এই উন্নয়ন, পরিশ্রম ও বদলে যাওয়া বাংলাদেশ কিছু আচরণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এখন পুরান ঢাকার রাস্তার মোড়ে মোড়ে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি চলছে। হাতে লাঠি আর মুখে বাঁশি বাজিয়ে রিকশা, ভ্যান, ট্রাক, বাস থামিয়ে টাকা নিচ্ছে। এই চাঁদাবাজিতে জনগণ আতঙ্কিত। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রিকশায় স্কুলে যাতায়াতের সময় হাতে লাঠি নিয়ে কেউ আসলে ভয় পেয়ে যায়, তাদের সঙ্গে থাকা মায়েরাও ভয় পেয়ে যায়। এই কাজ নেত্রীর উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে মলিন করে দিচ্ছে।’

টোলের নামে যারা চাঁদাবাজি করে তারা সরকারের ভালো চায় না জানিয়ে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘চাঁদাবাজরা দল এবং নেত্রীর ভালো চায় না। তারা নেত্রীর ভালো চাইলে এসব কাজ থেকে বিরত থাকত এবং জনগণের সেবায় কাজ করত। আমি আশা করব অনতিবিলম্বে এই ধরণের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে নেত্রীর নির্দেশে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করুন, জনগণের কাতারে আসুন।’

সাঈদ খোকন আরও বলেন, ‘সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বিষয়টি সম্প্রতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উপস্থাপন করেছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে বলেছি আমার নেত্রীর অর্জন মলিন হয়ে যাচ্ছে। আপনি অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন। তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।’

খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই ধরণের অরাজকতা এবং চাঁদাবাজি অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে জনগণের পাশে আছি, পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ। আপনারা (পুলিশ) এবং আমরা জনগণ হাতে হাত রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ‘ভারতের চেয়েও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এই সরকারের আমলে প্রায় একশোর ওপরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি চলমান রয়েছে। যার মাধ্যমে গরীব-দুঃখী মানুষ খেতে পারে, চলতে পারে। ইউনিয়ন লেভেলে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। কোটি মানুষকে বিনামূল্যে-স্বল্পমূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা শহরের প্রতি ওয়ার্ডে হাজারো গরীব-দুঃখী মানুষকে চাল, ডাল, তেল, লবণ দেওয়া হচ্ছে।’

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন