কুড়িগ্রামে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩ প্রার্থীকে বহিষ্কার ও ১১ জন প্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দীন
সরকার। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি
নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপে শুক্রবার
সকাল ১০টায় রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সকল জেলাগুলোতে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।
ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে এবং চুক্তিভিত্তিক পরীক্ষাকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ (হল
কন্ট্রাক্ট) নিয়ে অসদুপায় অবলম্বনের আশঙ্কা করেন অনেক চাকরিপ্রত্যাশী। তবে জেলা
প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ অত্যন্ত সতর্কতার সাথে স্বচ্ছভাবে এ পরীক্ষা
নেয়ার আয়োজন করে।
কিন্তু জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে শুক্রবার অসদুপায় অবলম্বনের
দায়ে ৩ প্রার্থীকে বহিষ্কার ও আরো ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় জেলার ৯ উপজেলায় সহকারী শিক্ষক
পদে প্রায় ৪০০টির বেশি শূন্য পদের বিপরীতে ২৬ হাজার ৮০৫ জন চাকরিপ্রত্যাশী আবেদন
করেন। কুড়িগ্রামে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে মোট ৪৫টি কেন্দ্রে ওই নিয়োগ পরীক্ষার
এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত পরীক্ষা চলাকালে ডিভাইসের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র
ফাঁস করে তা সমাধানের চেষ্টা ও পরীক্ষাগৃহে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে কিংবা আপত্তিকর
ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগে ৩ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে ৪ জন, সরকারি
টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ১ জন, রাজারহাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ জন, পুলিশ
লাইন্স স্কুলে ২ জন, নাগেশ্বরী মহিলা কলেজে ১ জন। এছাড়াও বহিষ্কার করা হয়েছে
রাজারহাট মীর ইসমাইল হোসেন কলেজে ১ জন, নাগেশ্বরী মহিলা কলেজে ১ জন ও পলিটেকনিক
ইন্সটিটিউটে ১ জনসহ ৩ জন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, এত স্বচ্ছতার সাথে পরীক্ষা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও ১৪ জন পরীক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বন করেছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এসব অপরাধীদের বহিষ্কার ও গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য আজ (২০ মে) থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা ২ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে এই নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় সমুদ্রযাত্রার প্রবেশপথগুলোতে মনিটরিং জোরদার করা হবে এবং মৎস্য নৌযানের সমুদ্রযাত্রা শতভাগ বন্ধ রাখা হবে। সামুদ্রিক মৎস্য পরিবহন বন্ধের লক্ষ্যে সমুদ্র তীরবর্তী বরফকলসমূহ সীমিত পর্যায়ে চালু রাখা হবে ও সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী নৌযান নোঙ্গরস্থলে আবদ্ধ রাখা হবে।
মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের আপদকালীন বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে দুই কিস্তিতে ৬৫ দিনের জন্য ৮৬ কেজি হারে ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২ জেলে পরিবারকে ভিজিএফ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
সামুদ্রিক জলসীমা মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, দেশে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন
ও সেবা প্রদানের পাশাপাশি শিল্পায়ন ও দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ
গ্রহণ করেছে।
সোমবার (২০ মে) ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক
বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে
আজকের পরিমাপ’।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবার সব ক্ষেত্রে
ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করতে সরকার গতানুগতিক পদ্ধতির ডিজিটাল
রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ‘ওজন ও পরিমাপ মানদণ্ড আইন, ২০১৮’ ও ‘পণ্য
মোড়কজাতকরণ বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে।
পণ্য ও সেবার মান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সব ক্ষেত্রে
সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানে জাতীয় মান সংস্থা
হিসেবে বিএসটিআইকে আরও দক্ষ, জবাবদিহিমূলক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান
রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ ও পরিমাপ
বিজ্ঞানের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ব্যক্তি কিংবা জাতীয় জীবনে সঠিক পরিমাপ ব্যতীত
টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। পরিমিতি জ্ঞান ও পরিমাপ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ‘বিশ্ব মেট্রোলজি
দিবস’ পালন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
রাষ্ট্রপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথ পরিক্রমায় দেশকে আগামী ২০৪১ সালের
মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত
থাকবে এমন প্রত্যাশা করেন।
বাণীতে মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং
ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মেট্রোলজি
দিবস-২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং দিবসটি উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির
সাফল্য কামনা করেন।
তিনি বলেন, সঠিক পরিমাপের আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে শিল্প, কলকারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণসহ আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি সহজতর হচ্ছে; যা দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করছে।
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সঠিক
ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করতে বিএসটিআই বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে নিরলস কাজ
করে যাচ্ছে।
সোমবার (২০ মে) ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’
উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন
(বিএসটিআই) প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’ উদযাপন করছে জেনে
আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আজকের পরিমাপ’
যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ
বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে বিএসটিআই
আন্তর্জাতিক মান সংস্থা (আইএসও) এবং ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিয়াস
কমিশনের সদস্যপদ লাভ করে ন্যাশনাল কোডেক্স কন্টাক্ট পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে চলেছে। পরে
প্রতিষ্ঠানটি ওজন ও পরিমাপের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের সংস্থার পূর্ণ সদস্য এবং আইন
বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগী সদস্যপদ লাভ করে।
তিনি বলেন, বিএসটিআই ২০১০ সালে ওজন
ও পরিমাপের সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অব ওয়েট অ্যান্ড মেজারের
অ্যাসোসিয়েট সদস্য এবং ২০২১ সালে ওজন পরিমাপ ও মান বিষয়ক ইসলামিক দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক
সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। সদস্যপদ অর্জন করার পর আন্তর্জাতিক মান ও পরিমাপে প্রণীতমান
অনুযায়ী বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার
ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সামগ্রী ও যন্ত্রপাতির মান নির্ধারণ।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার ২০১০
সালে জাতীয় মেট্রোলজি ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করে যা ওজন ও পরিমাপের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের
সর্বোচ্চ ল্যাবরেটরি হিসেবে কাজ করছে। এই ল্যাব সারা দেশের শিল্প ও বৈজ্ঞানিক কাজে
ব্যবহৃত ওজন ও পরিমাপক যন্ত্রপাতির সক্ষমতা নিশ্চিত করে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য
ও শিক্ষার টেকসই উন্নয়ন করছে।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, শিল্পোদোক্তা,
ব্যবসায়ী ও বিএসটিআইসহ সংশ্লিষ্ট সবাই ওজন ও পরিমাপের সঠিকতা নিশ্চিত করে দেশীয় শিল্পের
বিকাশ, দেশে মানসম্পন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের
অবস্থান সুসংহত করে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি টেকসই উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে
অবদান রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস-২০২৪’
উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য আজ (২০ মে) থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা ৩ এর উপধারা ২ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে এই নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।