ফুলের প্রেমে পরেনি পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। ফুলই প্রতিটি মানুষের জীবনের প্রথম ভালোবাসা। ফুল দিয়েই ঘুচে আমাদের চারপাশের মানুষের সাথে দূরত্ব। ফুল দেখেলে ছোট বড় যেকোনো বয়সের মানুষের মাঝে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে। তাই ফুলই হয়ে উঠেছে ভালোবাসার প্রতীক।
ফুল প্রিয় মানুষের জন্য
ফুলবাড়িয়া উপজেলার কাহাল গাঁও গ্রামে গড়ে উঠেছে ২৫ একর জায়গা জুড়ে উঠেছে
বিশাল এক ফুলের বাগান। তবে সেখানে চাষ হয় না গোলাপের মত আমাদের পরিচিত কোন ফুল। সেখানে
হচ্ছে বিদেশি অর্কিড ফুল। রঙ্গিন অর্কিড ফুল দেখলে যেকোনো মানুষ প্রেমে না পেরে
থাকতে পারবে না। ২০/২২ প্রকারের ফুল সব সময় বাগানে ফুটে থাকে।
ফুল বাগানেটি প্রতিষ্ঠা
করেছেন ডার্ড গ্রুপের চেয়ারম্যান ইতেমাত উদ দৌলাহ। এটিই দেশের প্রথম বানিজ্যিক
অর্কিড ফুলের বাগান। বাংলাদেশে ২৫ একর জায়গায় জুড়ে এসব ফুলের আবাদ মোটেও ছোট কিছু
না। বাগানটিতে রয়েছে ১০০ প্রজাতির বিভিন্ন অর্কিড ফুল গাছ। এছাড়া বাগানটিতে রয়েছে
শোভাবর্ধনকারী ৫০০ গাছ। এর মধ্যে বহুবর্ষজীবী গাছ রয়েছে ১০০ টি। বাগানটিতে কাস্টল
জাতীয় গাছ রয়েছে প্রায় ৩০০০ এবং লতানো গাছ রয়েছে প্রায় ৫০০।
অর্কিড একটি বহু
বর্ষজীবী পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ। ল্যাটিন ভাষা থেকে এ নামের উৎপত্তি। সারা
বিশ্বে প্রায় ৪৮ হাজারের বেশি অর্কিডের প্রজাতি রয়েছে।
ফুলের বাগানটি দেখতে
প্রতিনিয়ত ভীড় জমায় সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ। কিছু নিয়মের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের
অনুমতির মাধ্যমে মানুষ ফুল বাগানের বিতরে যেতে পারে। বাগানটি কর্মসংস্থান করেছে
২০/২৫ টি মানুষের। তারা সেখানে ফুল গাছ পরিচর্যা করা, ফুল কাটা সর্বোপুরি বাগানে নিরাপত্তায়
নিয়োজিত থাকে। ফুলের বাগানটি যে শুধু সৌন্দর্য ছড়িয়ে থেমে থাকেনি। এখন থেকে
প্রতিনিয়ত দেশের অর্কিড ফুলের এবং গাছের চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায়
রেখে চলেছে।
দীপ্ত অর্কিডের
ম্যানেজার মহিউদ্দিন জানান, আমাদের এই বাগান থেকেই দেশের বেশির ভাগ অর্কিড ও
অর্কিড কাট ফ্লাওয়ারের চাহিদা মেটায়। আমরা সপ্তাহে দুইদিন ঢাকায় গাড়ি পাঠাই।
গাড়িতে অর্ডারকৃত ফুল গাছ এবং ফুল যায়। কেউ চাইলে কথা বলে আমাদের বাগানে এসেও ফুল
সংগ্রহ করতে পারে। সরকার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করলে এটির দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে।
সুযোগ সুবিধার অভাবে বাংলাদেশে অর্কিডের পরিচয় করানো টাফ হয়ে যাচ্ছে।
বাগানটিতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত তাইজুল ইসলাম বলেন, এত বড় ফুলের বাগান থাকতে পেরে অনেক ভালো লাগে। এখানে কোন কোলাহল নেই একদম শান্ত পরিবেশ। আগে গাজিপুর ছিলাম অনেক শব্দ এবং একটা ব্যস্ত পরিবেশ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।
আজ রোববার (১২ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে উপজেলার সানন্দবাড়ী এলাকার পাটাধোয়া পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ শামিম হোসেনকে (১৫) আটক করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মুজাহিদ তার বাবা-মায়ের অগোচরে ঘর থেকে ৫০০ টাকার একটি নোট নিয়ে পাশের এক দোকানে যায়। এসময় শামীম টাকার লোভে শিশু মুজাহিদের পিছু নেয় এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য বেড়ানোর কথা বলে তাকে বাড়ির নিকটবর্তী ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মুজাহিদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা নিতে না পেরে শামীম জোরপূর্বক ৫শ’ টাকা কেড়ে নিয়ে তাকে সানন্দবাড়ি ব্রহ্মপুত্র নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে শামিম গা ঢাকা দেয়। পরে নিখোঁজ মুজাহিদের স্বজনরা শামিমকে সন্দেহ করে পুলিশকে জানালে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে তাকে আটক করা হয়।
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, শামিমকে দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মুজাহিদকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। ছোট ছেলে মুজাহিদ, সাঁতার জানে না। ধারণা করা হচ্ছে, মুজাহিদের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে আদালতে প্রেরণ করা হয় শামিমকে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ৫শ’টাকার লোভ শিশু কিশোর
মন্তব্য করুন
ভারতের হাইকমিশনার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে পাঁচ বছর বয়সী শিশু মুজাহিদ পাঁচশ’ টাকার একটি নোট নিয়ে বাড়ির পাশে এক দোকানে কিছু কিনতে যাচ্ছিল। এসময় তার কাছ থেকে টাকা কেড়ে নিতে কৌশলে এক কিশোর ব্রহ্মপুত্রের কাছে টাকা কেড়ে নিয়ে শিশুটিকে নদে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজ শিশু মুজাহিদ। দুইদিনেও তার খোঁজ মেলেনি।