ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে শোকজের জবাব দিলেন মমিন ও লতিফ বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৪:৪১ পিএম, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সিরাজগঞ্জ-৫ (চৌহালী-বেলকুচি) আসনের আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী শিল্পপতি আব্দুল মমিন মন্ডল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ১১ ডিসেম্বর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহজাদপুর চৌকি আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তারা পৃথক ভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত জবাব দিয়েছেন। শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো: সোহেল রানা লিখিত জবাব আমলে নিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার মো: আমিরুল মোমেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শোকজ প্রাপ্ত নৌকার প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস নির্ধারিত সময়ের আগেই আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত জবাব দিয়েছেন। সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো: সোহেল রানা তাদের লিখিত জবাব আমলে নিয়েছেন। তাদের জবাব যাচাই বাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 

উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে গত ৬ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে নির্বাচন অসুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো: সোহেল রানা স্বাক্ষরিত দুটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশে নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ লঙ্ঘন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ১১ ডিসেম্বর সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর চৌকি আদালতে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন।

 

নোটিশে আব্দুল মমিন মন্ডলকে হয়, আপনি সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও আপনার পক্ষে ও আপনি নিজে উপস্থিত হয়ে গত ২৮/১১/২০২৩ ও তৎপরবর্তী সময়ে বেলকুচি উপজেলা চত্তরসহ বেলকুচি বাজার সংলগ্ন রাস্তায় আপনার দলীয় নেতা কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন সহকারে আপনার উপস্থিতিতে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেন যা নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধি ২০০৮ এর ১২ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। উক্ত সমাবেশে আপনার পক্ষে আপনার নেতৃত্বে শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার আহব্বান জানানো হয়।

 

উক্ত সমাবেশের ফলে জনগণের চলাচলের চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। যাহা স্থানীয় পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। “সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৬(ঘ) নং বিধি অনুযায়ী কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনিত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাঁহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি জনগণের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি করিতে পারে এমন কোন সড়কে জনসভা কিংবা পথসভা করতে পারবেনা। তাছাড়া উক্ত বিধিমালার ১২ নং বিধি মতে কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনিত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের ৩ সপ্তাহ সময়ের পূর্বে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। উপরোক্ত মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৬(ঘ) ও ১২ নং বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। এমতাবস্থায় ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৬(ঘ) ও ১২ নং বিধি লঙ্ঘনের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন নির্বাচন কমিশনে ১৮ বিধি মোতাবেক শান্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না তৎমর্মে ১১/১২/২০২৩ খ্রি. তারিখ মোমবার বেলা ১২:০০ ঘটিকার মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর স্থায়ী কার্যালয়ে (সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এর কার্যালয় শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ) সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

 

অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে বলা হয়, আপনি সিরাজগঞ্জ-৫(বেলকুচি-চৌহালী') আসন থেকে স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করছেন। দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় আপনি এবং দলীয় নেতাকর্মী বেলকুচি-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে গত ২৮/১১/২০২৩ ও তৎপরবর্তী সময়ে বেলকুচি উপজেলা চত্তরসহ বেলকুচি বাজার সংলগ্ন রাস্তায় ব্যানার, ফেস্টুন সহকারে আপনার উপস্থিতিতে বিক্ষোভ মিছিল ও শোভাযাত্রা করেন। যা নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধি ২০০৮ এর ১২ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। উক্ত সমাবেশের ফলে জনগণের চলাচলে চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় যাহা স্থানীয় পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পায়।

 

সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৬ (ঘ) নং বিধি অনুযায়ী কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনিত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাঁহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করিতে পারে এমন কোন সড়কে জনসভা কিংবা পথসভা করতে পারবেনা। তাছাড়া উক্ত বিধিমালার ১২ নং বিধি মতে কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনিত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের ৩ সপ্তাহ সময়ের পূর্বে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। উপরোক্ত মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৬(ঘ) ও ১২ নং বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। এমতাবস্থায় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৬(ঘ) ও ১২ নং বিধি লঙ্ঘনের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন নির্বাচন কমিশনে ১৮ বিধি মোতাবেক শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না তৎমর্মে ১১/১২/২০২৩ খ্রি. তারিখ সোমবার বেলা ১:০০ ঘটিকায় নিম্ন স্বাক্ষরকারীর স্থায়ী কার্যালয়ে (সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এর কার্যালয়, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ) সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা প্রদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।' 


সিরাজগঞ্জ   তলব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ


Thumbnail

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে দিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে নারীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সেই গুলিতে সীমান্ত নিকটবর্তী এক বাড়ির রান্নাঘরের চাল ফুটো হয়ে গেছে।  

 

রোববার (১২ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলারকুটি সীমান্তের ৯৩১ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশে ঘটনাটি ঘটে।

 

এ বিষয়ে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।   

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেটে নেওয়া ধান গাছের অবশিষ্ট খড় সংগ্রহের জন্য রোববার (১২ মে) বিকালে কয়েকজন সীমান্তের পাশে বসবাস করা নারী ভারতীয় নোম্যান্সল্যান্ডে যান। এ সময় ভারতীয় নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের টহলরত এক বিএসএফ সদস্য তাদের ধাওয়া করে। খড় সংগ্রহে যাওয়া নারীরা দৌড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে ওই বিএসএফ সদস্যরাও তাদের পিছু নিয়ে প্রায় ৩০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা রাইফেল উঁচিয়ে ওই নারীদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে দ্রুত ভারতের ভেতর চলে যায়।

 

সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সীমান্ত ঘেষা নুর আলম বাচ্চুর বাড়ির রান্নাঘরের চাল ফুটো হয়ে বুলেট মেঝেতে পড়ে। নুর আলম বাচ্চুর পুত্রবধূ শাকিলা আক্তার ইতি রান্নাঘরের মেঝে থেকে এক রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করেন।

 

পরে খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী গোরকমন্ডল ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত গুলি জব্দ করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। 

 

নুর আলম বাচ্চু বলেন, ‘ওই সময় আমার পুত্রবধূ রান্না ঘরেই ছিল। ভাগ্যিস গুলিটা তার লাগেনি। মাঝে মধ্যেই ভারতীয় বিএসএফ এভাবে বাংলাদেশে ঢুকে গ্রামবাসীর ওপর অত্যাচার চালায়। আমরা সব সময় বিএসএফের আতঙ্কে থাকি। এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া উচিত।’

 

এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আসিফ বলেন, ‘এ ঘটনায় সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় ওই সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সীমান্তে বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণের কারণ জানতে চেয়ে বিজিবি কড়া প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ সীমান্তের সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা পূর্বক মঙ্গলবার (১৪ মে) আবারও পতাকা বৈঠকের কথা জানিয়েছে।

বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন শিমুলবাড়ী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নরেশ চন্দ্র এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৯০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নারায়ণগঞ্জ কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর রমন সিং।


বিএসএফ   গুলিবর্ষণ   সীমান্ত   পতাকা বৈঠক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলে বিয়ে না দেয়ায় তরুণের আত্মহত্যা!

প্রকাশ: ০৩:১২ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ধুবড়িয়া ইউনিয়নে বিয়ে না দেওয়ায় অভিমান করে এক তরুণ ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

 

সোমবার (১৩ মে) সকালে ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড পাকার মাথা এলাকায় গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে নাগরপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

 

নিহত তরুণ মোঃ শিপন (২১) ধুবড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ মালেক এর ছেলে।

 

মা ওমেলা বেগম বলেন, ‘ছেলের মানসিক সমস্যা ছিলো। আত্মহত্যা নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।’

 

তবে বিয়ে না দেওয়ায় ছেলে আত্মহত্যা করেছে এলাকাবাসী এমন কথা প্রচার করছে।

 

ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান খান শাকিল মুঠোফোনে জানায়, ‘প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। পরিবারের দাবি ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিলো। পুলিশ লাশ হস্তান্তর করলে আমরা সামাজিক ভাবে দাফন কার্য সম্পন্ন করবো।’ 

এ ঘটনায় নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এলাকাবাসী সূত্রে আত্মহত্যা বলা হচ্ছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মর্গে প্রেরণ করেছি। পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। লাশ ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে লাশ হস্তান্তর সহ প্রয়োজনীয় আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


বিয়ে   আত্মহত্যা   তরুণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শুক্রবারেও মেট্রোরেল চালানোর প্রস্তুতি

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের প্রথম বিদ্যুৎ চালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল। বর্তমানে শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৬ দিন নিরবচ্ছিনভাবে সেবা এই দিয়ে যাচ্ছে এটি। তবে যাত্রীদের চাহিদার কারনে শুক্রবারও এটি চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।

ডিএমটিসিএলের সূত্রে জানা যায়, ‘আগামী জুলাই মাস থেকে শুক্রবারেও মেট্রোরেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া জুন মাসের মধ্যে পিক আওয়ারের হেডওয়ে (দুই ট্রেনের মধ্যবর্তী অপেক্ষমাণ সময়) মিনিট থেকে কমিয়ে মিনিট করা হতে পারে।’

এনিয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আব্দর রউফ বলেন, ‘এবিষয়ে আমার কোন ধারণা নেই। হয়তো কয়েকদিন পরে আমাদের এমডি এম.এ.এন. ছিদ্দিক স্যার সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন, যদি এরকম কোন সিদ্ধান্ত হয়।’

বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী, দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনে উদ্দেশ্যে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এছাড়া দিনের শেষ ট্রেন রাত ৮টায় উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।


মেট্রোরেল   শুক্রবার   ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঘর না পেয়ে এলাকা ছাড়ল শিশুশিল্পীর পরিবার


Thumbnail তীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া শিশুশিল্পী ফারজিনা আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের দুর্গম এক গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের শিশু কন্যা ফারজিনা আক্তার () তাদের জমি নেই, নেই ঘর। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার পর ফারজিনা স্বপ্ন দেখে পুরস্কারের টাকায় হাওরপাড়ে একটি নতুন ঘর তৈরীর। ওই শিশুকন্যার স্বপ্নপূরণে সরকারের পক্ষ্য থেকে কয়েক শতক জমিও বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই জমিতে ঘর তৈরীর জন্য অর্থও বরাদ্দ হয়। কিন্তু ছয় মাস হতে চললেও মাথা গোঁজার জন্য ঘর তৈরী  হয়নি। ঘরের জন্য সংশ্লিষ্টদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে ঘুরতে অতিষ্ঠ ফারজিনার বাবা মোঃ সায়েম। ক্ষোভ-অভিমানে শেষ পর্যন্ত পুরো পরিবার নিয়ে সোমবার  (১৩ মে) সকালে নিজের এলাকা ছাড়লেন তিনি।

সোমবার (১৩ মে) সকালে নিজ এলাকা ছাড়ার পূর্বে মোঃ সায়েম নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সায়েম বলেন, ‘আমরা কৃতজ্ঞ, তিনি অনেক কিছু করেছেন আমাদের পরিবারের জন্য। কিন্তু ঘরই যদি না থাকে তাহলে কই থাকমু? একটি ঘরের জন্য ঘুরতে ঘুরতে আমি হয়রান হয়ে গেছি, আর কত ঘুরব, শেষ অবধি কোন উপায় না পেয়ে এলাকা ছাড়তে হল পুরো পরিবার নিয়ে।

ফারজিনা তাহিরপুরের  টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ে ছিলানী তাহিরপুর গ্রামে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করত।
২০২২ সালে মুক্তি পাওয়াকুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়াসিনেমায় অভিনয় করে শিশু শিল্পী শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে আলোচনায় আসে ফারজিনা। ২০২৩ সালের  ১৪ নভেম্বর ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ফারজিনা পুরস্কার গ্রহণ করে।

শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ফারজিনার বাবা সায়েম হতদরিদ্র মানুষ। তাঁদের থাকার একমাত্র বসত বাড়িটি অভাবের কারণে বিক্রি করে দিতে হয়েছিল। পুরস্কারের টাকা দিয়ে গ্রামে একটি নতুন বাড়ি করার স্বপ্ন ছিল শিশু কন্যা ফারজিনার।

পুরস্কার নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পর সুনামগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সঙ্গে ফারজিনাসহ তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করেন। জেলা প্রশাসক পরিবারের আর্থিক অবস্থার খোঁজ নেন। ফারজিনার লেখাপড়ার জন্য ২০ হাজার টাকা দেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের জায়গা সহ একটি নতুন ঘর তৈরী করে দেওয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। সেই সঙ্গে সব সময় তার পরিবারের খোঁজখবর রাখার জন্য তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।

ফারজিনার বাবা সায়েম এরপর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ঘরের জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২০২৩ সালের  ডিসেম্বর মাসে আশ্রয়ণ প্রকল্প--এর মাধ্যমে ফারজিনার পরিবারকে একটি জায়গা সহ ঘর দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সময়ে ফারজিনার বাবা মায়ের নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় ১০ লাখ টাকার একটি পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরবর্তী সময়ে তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়ছড়া মৌজায় ফারজিনার পরিবারকে ১৭ শতক জমি দেওয়া হয়।

ওই জমিতে একটি ঘর করে দেওয়ার জন্য সমাজসেবা কার্যালয়ের অনুকূলে লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সমাজসেবা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ঘর তৈরীর ব্যাপারে কোন সুরাহা হয়নি।  মাস পার হয়ে গেলেও ঘর আর হয়নি। ফলে জমিটিও বেদখল অবস্থায় আছে।

জন্য উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক  বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন সায়েম। কিন্তু কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি।

অবশেষে নিরুপায় হয়ে তল্পি-তল্পা নিয়ে সোমবার (১৩ মে) সকালে এলাকা ছেড়ে গেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া শিশুশিল্পী ফারজিনা তার পরিবারের সদস্যরা।

বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুচিত্রা সরকার বলেন, ‘আমরা উপজেলা কমিটির কাছে টাকা দিয়ে দিয়েছি। তিন দিন আগেও তাদের তাগাদা দিয়েছি দ্রুত ঘরটি করে দেওয়া জন্য।

সোমবার রাতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশে ইকবাল চৌধুরীর নিকট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। তাহিরপুর উপেজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)’ মাধ্যমে তাদের ঘর তৈরীর করে দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’


আশ্রয়ন প্রকল্প   ঘর   শিশু শিল্পী   জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কুষ্টিয়ায় সামাজিক দ্বন্দ্ব থেকে হামলা, নিহত ১

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে স্বজনদের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। 

নিহতের নাম- বকুল বিশ্বাস, বয়স ৫৫। তিনি হাতিয়া গ্রামের মৃত আফতাব বিশ্বাসের ছেলে। এ আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সোমবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বকুলের মৃত্যু হয়।

নিহত বকুলের চাচাতো ভাই হামলায় আহত নিয়াজি খান জানান, গত বৃহস্পতিবার তার চাচি জাহানার খাতুন মারা যান। শনিবার কুলখানির আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের রান্না ও দাওয়াত দেয়াকে কেন্দ্র করে আরেক চাচাতো ভাই শিপন বিশ্বাসের সাথে আমাদের বিরোধ বাধে। এরই জের ধরে সোমবার সন্ধ্যার পর নিহত বকুলসহ আমরা কয়েকজন নিজ বাড়ির সামনে বসে থাকা অবস্থায় শিপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ৩০/৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় বকুলসহ ৬জন আহত হলে তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকুল মারা যায়। 

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদি হাসান বকুল হত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সামাজিক দ্বন্দ্বে স্বজনদের হামলায় বকুল নিহত হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।


কুষ্টিয়া   হামলা   নিহত   আহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন