নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৮ মার্চ, ২০১৮
বিএনপিতে সিদ্ধান্ত নেয় কে?-এটাই এখন দলটির নেতা-কর্মীদের বড় প্রশ্ন। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। কারাগার থেকে তাঁর দল চালানোর সুযোগ নেই। ৮ ফেব্রুয়ারি কারান্তরীণ হওয়ার পর মাত্র একবার নেতাদের সাক্ষাৎ পেয়েছেন। কাজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাঁর কোনো ভূমিকা নেই। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া লন্ডনে পলাতক। তাঁর মা গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রথম ক’দিন দলের সঙ্গে ভালোই যোগাযোগ রাখছিলেন। কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে, ততই তাঁর যোগাযোগ শিথিল হয়ে গেছে।
বিএনপি নেতারাই বলেন, এগারো বছরে যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলে গেছে, এটাই তারেক বুঝতে চান না। একজন নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে গত এক দশকে পরিবর্তনগুলোর কারণে, তারেকের অধিকাংশ সিদ্ধান্ত বাস্তবতা বিবর্জিত।’ এ কারণেই সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা এখন গৌণ। বেগম জিয়ার আত্মীয় স্বজন, বিশেষ করে তাঁর ছোট ভাই এবং বোন এক সময় বিএনপিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব বিস্তার করতো। তবে, বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁদের কার্যক্রম এখন মুক্তি কেন্দ্রীক। শামীম ইস্কান্দার সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা এবং দেন-দরবার করছেন। এই দেন-দরবার কেবলই বেগম জিয়ার মুক্তি কেন্দ্রিক। পরিবারের বাইরে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা দলের স্থায়ী কমিটি। স্থায়ী কমিটির দুজন সদস্য অসুস্থ, মৃতদের শূন্যপদ পূরণ করা হয়নি। ২০১৬’র কাউন্সিল থেকেই দুটি পদ খালি। প্রায় অর্ধেক এই স্থায়ী কমিটিরও প্রথম দিকে তৎপরতা থাকলেও ক্রমশ: সিনিয়র নেতারা ঝিমিয়ে পড়ছেন। বৈঠক, কর্মসূচি নির্ধারণে তাঁদের আগ্রহ নেই বললেই চলে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির দুটি বৈঠক ডেকেও তা বাতিল করা হয়েছে। বৈঠক বাতিলের প্রধান কারণ সিনিয়র নেতাদের অনাগ্রহ। স্থায়ী কমিটির বাইরে রয়েছে দলের কার্যনির্বাহী কমিটি। বেগম জিয়া গ্রেপ্তার হবার আগে ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারারুদ্ধ করা হলে আবার স্থায়ী কমিটি বসবে। কিন্তু তেমন বৈঠকের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে, বিএনপি চালানোর সব দায়িত্ব এসে বর্তেছে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপর। কিন্তু যাঁরা বিএনপি মহাসচিবকে দীর্ঘদিন চেনেন, তাঁরা জানেন, একলা এত বড় দল চালানোর মত নেতা তিনি নন। মির্জা ফখরুলও বিভিন্ন নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে কর্মসূচি নির্ধারণ করছেন। কিন্তু দলের একাধিক সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরামর্শের চেয়ে মির্জা ফখরুল বরং মতামত নিচ্ছেন। যেমন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদকে সম্প্রতি তিনি ফোন করে বলেন, ‘আমাদের তো ২২ মার্চ সমাবেশ করতে দিলো না, আমি আবার ২৯ মার্চ তারিখ দিচ্ছি, কি বলেন?’ বিএনপির একজন নেতা বলেন,‘ফখরুল বললেন না যে ২২ মার্চ তো সমাবেশ করতে দিলো না, এখন কি করি?’ উদাহরণ আরও আছে, ২৬ মার্চ রাতে বিএনপির মহাসচিব ফোন করলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে। বললেন,‘ আমাদের তো জনসভা করতে পুলিশ অনুমতি দিলো না। ভাই কাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা দরকার। আপনি যান সঙ্গে হাফিজ সাহেব আর আলতাফ সাহেবকে দেই।’ নজরুল ইসলাম খান মনে করেছিলেন, এই সিদ্ধান্তটা বোধ হয় লন্ডন থেকে এসেছে। তাই তিনি কোন প্রশ্ন না করেই রাজি হয়ে যান। পরে জানলেন, এটা মির্জা ফখরুলের একক সিদ্ধান্ত। কিন্তু নজরুল ইসলাম খান সচিবালয়ে গিয়ে দেখলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রস্তুত। তাহলে বৈঠকের অ্যাপয়নমেন্ট ঠিক করল কে ?’ যেমন ২০ দলের বৈঠক ডাকা হলো, বৈঠকে মির্জা ফখরুল বললেন,‘ আমি ব্যস্ত তাই নজরুল ভাই এখন সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।’ সবাই অবাক হলেও মেনে নিলো। কিন্তু তাতে ২০ দলের গুরুত্ব কমে গেল। সবাই ধারণা করেছিল সিদ্ধান্ত বোধহয় তারেক দিয়েছে। কিন্তু তারেক জিয়াই ফোন করে দুই নেতার কাছে ‘সমন্বয়ক’ পরিবর্তনের কারণ জানতে চান।
বিএনপিতেই তাই প্রশ্ন উঠেছে, এই সিদ্ধান্তগুলো কে নিচ্ছে। কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন মির্জা ফখরুল?’ অনেকেরই ধারণা, সরকারই চালাচ্ছে মির্জা ফখরুলকে। সরকার যে কর্মসূচি দিতে বলছে সেটাই তিনি ঘোষণা করছেন। এ পর্যন্ত তাঁর সিদ্ধান্তের যাঁরা বিরোধিতা করেছে,তারা নাটকীয় ভাবে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাই এনিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতেও রাজি নয়।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য জয়পুরহাট সদর ও পাঁচবিবি উপজেলায় ১১ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৩০ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে এই দুই উপজেলায় প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হলো।
তফসিল অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এসময় বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নুরে আলম (বিপিএম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপুল কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।
জানা যায়, সদর উপজেলায় ৫ চেয়ারম্যান, ৭ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং পাঁচবিবি উপজেলায় ৬ চেয়ারম্যান, ৪ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত প্রতীক বুঝে নেন।
জয়পুরহাট সদরে কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে এ ইএম মাসুদ রেজা (আনারস), খাজা শামসুল আল আমিন (দোয়াত কলম), আনোয়ার হোসেন (ঘোড়া), আমিনুল ইসলাম মাসুদ (কাপ পিরিচ), হাসানুজ্জামান মিঠু (মটরসাইকেল) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অশোক কুমার ঠাকুর (টিউবয়েল প্রতীক), উজ্জ্বল মিনজি (টিয়া পাখি), জাকারিয়া মন্ডল (বৈদ্যুতিক বাল্ব), মুনছুর রহমান (মাইক), শামীম আহম্মেদ (উড়োজাহাজ), সিএম আফরাঈম কাবীর (তালা প্রতীক), আলী আকবর মোঃ ইজাহারুল ইসলাম ডাবলু (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারহানা রহমান বিথী (ফুটবল), আছমা বিবি (হাঁস), নাছিমা আক্তার (বৈদ্যুতিক পাখা), রুমানা পারভীন (কলস) প্রতীক পেয়েছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কে কোন প্রতীক:
চেয়ারম্যান পদে আবু বক্কর সিদ্দিক (আনারস), জাহিদুল আলম (কৈ মাছ), মনিরুল শহীদ মন্ডল (মটর সাইকেল), সোহরাব হোসেন (দোয়াত কলম), সাঈদ জাফর চৌধুরী (টেলিফোন), সাবেকুন নাহার (ঘোড়া) প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (চশমা), আকরাম হোসেন তালুকদার (তালা), খালেকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), ফরহাদ আলম (উড়োজাহাজ) প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তামান্না বেগম (প্রজাপতি), রাজিনারা টুনি (বৈদ্যুতিক পাখা), রেবেকা সুলতানা (ফুটবল), মৌসুমী আক্তার (ফুলের টব) প্রতীক পেয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে, আর ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।
উপজেলা নির্বাচন মনোনয়ন চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতীক বরাদ্দ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
খোঁজ
নিয়ে
জানা
গেছে,
গত
মঙ্গলবার (৩০
মে)
দিবাগত
রাতের
পর
কোনো
এক
সময়
আবুল
কালাম
আজাদ
তার
ফেসবুক
একাউন্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ
করে স্ট্যাটাস দেন।
পরদিন
বুধবার
(০১
মে)
সকালে
তার
লেখাটি
সবার
নজড়ে
আসার
পর
ভাইরাল
হয়ে
যায়।
এতে সমালোচনার ঝড়
ওঠে
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে।
সমালোচনার মুখে
বাধ্য
হয়ে
এক
পর্যায়ে পোস্টটি তার
ফেসবুক
থেকে
ডিলিট
করে
দেন
ওই
নেতা।
বিষয়টি উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নজড়ে এনে তার শাস্তির দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বুধবার (১ মে) রাতে এক চিঠিতে সরদার আবুল কালাম আজাদকে তার প্রস্তাবিত পদ থেকে অব্যহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন বেগম জিয়া?
জেলা
আওয়ামী লীগের দপ্তর
সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান
সুইট
স্বাক্ষরিত ওই
চিঠিতে
বলা
হয়,
'কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে পাবনা
জেলা
আওয়ামী লীগের জরুরী
সভার
সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা
সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন
ও
কুরুচপিূর্ন মন্তব্য করায়
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের
কারণে
ভাঙ্গুড়া উপজেলা
আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার
আবুল
কালাম
আজাদকে
তার
সকল পদ
থেকে
অব্যহতি প্রদান
করা
হলো।
সেই সঙ্গে কেন
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা
হবে
না
তা
পত্র
প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে
জবাব
দিতে
নির্দেশ প্রদান
করা
হলো।
যদি
তিনি
সাত দিনের মধ্যে
জবাব
না
দেন
তাহলে
তাকে
স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে
সুপারিশ করা
হবে।'
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সরদার আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার এমন স্ট্যাটাস খুবই ন্যাক্কারজনক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে কথা বলে তাকে সকল পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।’
অব্যহতি আওয়ামী লীগ নেতা স্যাটাস কুরুচীপূর্ণ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
মন্তব্য করুন
সহকারী সচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘নির্বাচনী আইন যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনী ব্যবস্থা নেবে। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে কোনোরেকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে তাদেরও ছাড় দেওয়া না। তিনি এমপি মন্ত্রী যেই হোক। নির্বাচন কমিশন কিন্তু এতো দুর্বল নয়।’
বৃহস্পতিবার (০২ মে) দুপুরে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন নিয়ে পাবনা জেলার সকল উপজেলার প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাশেদা সুলতানা।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সাধারন মানুষের কাছে হেনস্তা করবে, নির্বাচনকে কলুষিত করবে, দেশের ভাবমূর্তি যে নষ্ট করে তার বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের কোনো কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। দিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
রাশেদা সুলতানা বলেন, 'দেশের নিদারুণ বাস্তবতা হলো ভোটারদের সাথে প্রার্থীদের সম্পর্ক ভাল নেই। ভোটার ছাড়া ভোট হয়ে যাবে ওইদিন চলে গেছে। তাই প্রার্থী যারা আছেন তারা ভোটারদের কাছে যান, তাদের সাথে সম্পর্ক ভাল করেন। তাদের কাছে টেনে নেন। তাদের ভোটেরই আপনাকে নির্বাচিত হতে হবে। নির্বাচনী আইন মেনে প্রচারণা করেন। নির্বাচন কমিশন যেকোনো মুল্যে ভাল ভোট করবে।'
রাজশাহী বিভাগীয় স্থানীয় সরকারের পরিচালক পারভেজ রায়হানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবির সিইও গোলাম কিবরিয়া, জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।
পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত মতবনিমিয় সভায় পাবনা জেলার নয়টি উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু অভিযোগ করেন, '২ জন শিক্ষককে বিশেষ লোকের নাম বলে দু'টি মোটরসাইকেল পাঠিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একজন প্রার্থীর সভায় যেতে বাধ্য করা হয়েছে। নির্বাচন শুরুর আগেই তো প্রভাবশালীদের প্রভাব বিস্তার চলছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই।'
নির্বাচন প্রভাব বিস্তার নির্বাচন কমিশন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ন স্ট্যাটাস দেওয়ায় পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবুল কালাম আজাদকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তা ৭ দিনের মধ্যে জানাতে ওই নেতাকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।