ইনসাইড বাংলাদেশ

ভোটের প্রচারণা চালাতে মানতে হবে যে নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৮:৩২ এএম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হবে আজ (১৮ ডিসেম্বর)। এদিনই প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা।

গতকাল রোববার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ভোটের মাঠে পুরোদমে প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। মিছিল করতে পারবেন, শ্লোগান দিতে পারবেন। তবে সব প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।

ইসির ওয়েবসাইটে সংসদ নির্বাচন আইনের ১০ নম্বর ক্রমিকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনী বিধিনিষেধ সম্পর্কে বলা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা দলের মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য ব্যক্তিকে বিধি ৬ হতে বিধি ১৪ এর বিধানাবলি অনুসরণ করতে হবে। এই বিধিগুলোতে যেসব বিষয়ে বলা হয়েছে তার কয়েকটি নিচে তুলে ধরা হলো—

১. সভা-সমিতি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ:

(ক) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা দলের মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি প্রচারের ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাইবে। তবে প্রতিপক্ষের সভা, শোভাযাত্রা এবং অন্যান্য প্রচারাভিযান পণ্ড বা তাতে বাধা প্রদান করতে পারবে না;

(খ) সভার দিন, সময় ও স্থান সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে লিখিত অনুমতি গ্রহণ করবে। তবে এরূপ অনুমতি লিখিত আবেদন প্রাপ্তির সময়ের ক্রমানুসারে প্রদান করতে হবে।

(গ) সভা করতে চাইলে প্রস্তাবিত সভার কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে তার স্থান এবং সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে, যাহাতে ওই স্থানে চলাচল ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে;

(ঘ) জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করিতে পারে এমন কোনো সড়কে জনসভা কিংবা পথসভা করতে পারবে না এবং তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তিও অনুরূপভাবে জনসভা বা পথসভা ইত্যাদি করতে পারবে না;

(ঙ) কোনো সভা অনুষ্ঠানে বাধাদানকারী বা অন্য কোনোভাবে গোলোযোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সভার আয়োজকরা পুলিশের শরণাপন্ন হবেন এবং এ ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তারা নিজেরা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন না।

২. পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ:

কোনো প্রার্থী কিংবা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নিম্নে উল্লিখিত স্থান বা যানবাহনে কোনো প্রকার পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাইতে পারবেন না। যথা⎯ সিটি করপোরেশন এবং পৌর এলাকায় অবস্থিত দালান, দেয়াল, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোনো দণ্ডায়মান বস্তুতে; সমগ্র দেশে অবস্থিত সরকারি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের স্থাপনাসমূহে; এবং বাস, ট্রাক, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ, রিকশা কিংবা অন্য কোনো প্রকার যানবাহনে : তবে শর্ত থাকে যে, দেশের যে কোনো স্থানে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ঝুলাইতে বা টাঙ্গাতে পারবে।

এ ছাড়া কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদির ওপর অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি লাগানো যাবে না এবং ওই পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ইত্যাদির কোনো প্রকার ক্ষতিসাধন তথা বিকৃতি বা বিনষ্ট করা যাবে না।

কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃতব্য পোস্টার সাদা-কালো রঙের হতে হবে এবং তার আয়তন ২৩″ / ১৮″ এর অধিক হতে পারবে না এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পোস্টারে তার প্রতীক ও নিজের ছবি ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক ছাপাইতে পারবে না। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীত হলে সেক্ষেত্রে তিনি কেবল তার বর্তমান দলীয়প্রধানের ছবি পোস্টারে ছাপাইতে পারবে।

৩. যানবাহন ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ:

(ক) কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন সহকারে মিছিল কিংবা মশাল মিছিল বের করতে পারবে না কিংবা কোনোরূপ শোডাউন করতে পারবে না;

(গ) নির্বাচনী প্রচারকার্যে হেলিকপ্টার বা অন্য কোনো আকাশযান ব্যবহার করা যাবে না। তবে দলীয়প্রধানের যাতায়াতের জন্য তা ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু যাতায়াতের সময় হেলিকপ্টার হতে লিফলেট, ব্যানার বা অন্য কোনো প্রচার সামগ্রী প্রদর্শন বা বিতরণ করতে পারবে না;

৪. দেয়াল লিখন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ:

(ক) কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি দেয়ালে লিখিয়া কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার চালাইতে পারবেন না; এবং

(খ) কালি বা রং দ্বারা বা অন্য কোনোভাবে দেয়াল ছাড়াও কোনো দালান, থাম, বাড়ি বা ঘরের ছাদ, সেতু, সড়ক দ্বীপ, রোড ডিভাইডার, যানবাহন বা অন্য কোনো স্থাপনায় প্রচারমূলক কোনো লিখন বা অঙ্কন করতে পারবেন না।

৫. গেট বা তোরণ নির্মাণ, প্যান্ডেল বা ক্যাম্প স্থাপন ও আলোকসজ্জাকরণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ:

(ক) কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারে কোনো গেট বা তোরণ নির্মাণ করতে পারবেন না কিংবা চলাচলের পথে কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবেন না;

(খ) নির্বাচনী প্রচারের জন্য ৪০০ (চারশ) বর্গফুট এর অধিক স্থান লইয়া কোনো প্যান্ডেল তৈরি করতে পারবেন না;

(গ) নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে বিদ্যুতের সাহায্যে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করতে পারবেন না;

(ঘ) কোনো সড়ক কিংবা জনগণের চলাচল ও সাধারণ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন না; একজন প্রার্থী দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় নির্বিশেষে প্রতিটি ইউনিয়নে সর্বোচ্চ একটি এবং প্রতিটি পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে একটির অধিক নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন না;

(ঙ) নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রার্থীর ছবি বা প্রার্থীর পক্ষে প্রচারমূলক কোনো বক্তব্য বা কোনো শার্ট, জ্যাকেট, ফতুয়া ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন না; এবং

(চ) নির্বাচনী ক্যাম্পে ভোটারগণকে কোনোরূপ কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা কোনোরূপ উপঢৌকন প্রদান করতে পারবেন না।

৬. উসকানিমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ এবং বিস্ফোরক বহন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ:

(ক) কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে বক্তব্য প্রদান বা কোনো ধরনের তিক্ত বা উসকানিমূলক কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোনো বক্তব্য প্রদান করতে পারবেন না;

(খ) মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না;

(গ) নির্বাচন উপলক্ষে কোনো নাগরিকের জমি, ভবন বা অন্য কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির কোনোরূপ ক্ষতিসাধন করা যাইবে না এবং অনভিপ্রেত গোলোযোগ ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ দ্বারা কারও শান্তি ভঙ্গ করতে পারবেন না;

৭. মাইক ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ:

কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাইক বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্রের ব্যবহার দুপুর ২ ঘটিকা হতে রাত ৮ ঘটিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন।

৮. সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ:

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী এলাকায়, সংশ্লিষ্ট জেলায় বা অন্য কোথাও কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচার যন্ত্রের ব্যবহার, সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে ব্যবহার বা সরকারি যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ বা ব্যবহার করতে পারবেন না।

এ ছাড়া আরেক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানিয়েছে, অর্থ, অস্ত্র, পেশিশক্তি , স্থানীয় প্রভাব বা সরকারি ক্ষমতার দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাবে না। নির্বাচনী জনসভা বা মিছিলের দিন, সময় ও স্থান সম্পর্কে পূর্বেই স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে কোনো সড়কে পুলিশ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে জনসভা করা যাবে না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিলের ওপর অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ইত্যাদি লাগানো যাবে না। সরকারি ডাকবাংলো, রেস্ট হাউস, সার্কিট হাউস বা কোনো সরকারি কার্যালয়কে কোনো প্রকার প্রচারের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচার ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।


নির্বাচন   ভোট   প্রচারণা   প্রতীক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নরসিংদী ও টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:০৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বজ্রপাতে নরসিংদীর আলোকবালী ও হাজীপুরে মা ছেলেসহ তিনজন এবং টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে দুই কৃষকসহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে ও দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, এদিন সকাল ৮টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।

এছাড়া, একই দিনে দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদীর আলোকবালী ও হাজীপুরে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হন আরও দুইজন।  

নরসিংদী সদর থানা পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, সকালে নিহত কামাল শরিফা ও ইয়াকুবসহ বেশ কয়েকজন খেতে ধান কাটছিল। সাড়ে ১২ টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হয়। ওই সময় নিহত শরিফা ইয়াকুব ও কামালসহ পাঁচ জন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে ইয়াকুব, শরিফা ও কামাল মারা যায়। আহত দুইজনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।  

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানায়, বজ্রপাতে ৩ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও আহত দুইজনকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে টাঙ্গাইলে নিহত হন, আফজাল হোসেন এবং মো. আমির হোসেন। তাদের বাড়ি দিনাজপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে। তারা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন। তিনি জানান, শনিবার সকালে কয়েকজন শ্রমিক হযরত আলীর খেতে ধান কাটতে যান। এসময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি সঙ্গে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও চারজন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।


নরসিংদী   টাঙ্গাইল   বজ্রপাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি হয়েছিল’

প্রকাশ: ০২:৫১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে বলে মন্তব্য করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, ‘জাতির পিতার মৃত্যুর পরে দেশে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু সহ আওয়ামী লীগের নাম নেয়া নিষিদ্ধ হয়েছিল। পাঠ্যপুস্তকে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে দেয়া হয়েছিল। এমন সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর দলীয় ঐক্য বজায় রাখা চ্যালেঞ্জ ছিল।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার যুদ্ধ কাছ থেকে দেখেছি। তিনি ভোগবিলাস পায়ে ঠেলে মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই করেছেন। সাধারণ জীবনই উনার বড় বৈশিষ্ট্য। নেতাকর্মীরা সেখান থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি। ৬ দফা সহ বঙ্গবন্ধুর সময়কালের অনেক আন্দোলন দেখেছি।

নাসিম বলেন, ‘বর্তমানে নেতৃত্বের গুনে সৎ হতে হবে রাজনীতিবিদদের। রাজনীতির ধরন পাল্টাতে হবে। কর্মীদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবীরা রাজনীতি থেকে পিছিয়ে পড়ছে।’

নাসিম চৌধুরী আরও বলেন, “আগামী সপ্তাহ থেকে ফুলগাজী-পরশুরামে প্রতিটা গ্রামে ঘুরবো। উঠান বৈঠক করবো। চা-বিস্কুট খাওয়াবো। গুণ্ডাপাণ্ডা, হোন্ডা লাগবে এটাতে বিশ্বাস করিনা। দরজা বন্ধ করে জনগণকে ভোট বঞ্চিত করে এমপি হবার ইচ্ছা নাই। জনগণের মন বুঝে আগামীতে নির্বাচন করবো। কারো উল্টাপাল্টা কাজের দায়িত্ব নিবোনা। দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভালো।”

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ সভাপতি বলেন, “নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করো। কারো ভবিষ্যৎ কেউ গড়ে দেবেনা। মা-বাবার সেবা করো। প্রভাবশালী নেতা হওয়ার চেষ্টা করবেনা। জনপ্রিয় নেতা হতে হবে। প্রভাবশালী রাজনীতিক বলতে অভিধানে নেই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। অতীতে কী হয়েছে সেটা জানিনা, সামনের দিকে চলতে চাই।”

সভায় পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এম. মোস্তফার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার মজুমদার তপন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মিজানুর রহমান মজুমদার, ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বুলবুল, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার, অ্যাডভোকেট এএসএম শহিদ উল্যাহ, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক জাফর উল্যাহ মজুমদার, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার আহাম্মদ ভুঁইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন পাটোয়ারী ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মুন্সি মোর্শেদ আলম প্রমূখ।


ফেনী   সংসদ সদস্য   আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম   স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নরসিংদীতে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার আলোকবালী উত্তরপাড়া এবং শহরতলীর হাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২) ঘটনায় কামাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়। নিহত এবং আহত সকলেই আলোকবালী উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। তারা মাঠে ধান কাটছিল।

এছাড়া সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় মোছলেহউদ্দিন (৫০) নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি তানভীর আহমেদ জানান, নিহতরা সকলেই ধান কাটার জন্য কৃষি জমিতে ছিলেন। সময় বজ্রপাতে শরিফা বেগম এবং তার ছেলে ইকবাল ঘটনাস্থলেই মারা যায়। গুরুতর আহত আবস্থায় সদর হাসপাতালে আনার পথে মারা যায় কাইয়ুম নামের অপরজন। এতে কামাল হোসেন নামে আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া হাজীপুরে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।


নরসিংদী   বজ্রপাত   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০১:৪৭ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে ২৮৮ বোতল ফেন্সিডিল সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি')। গত শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্ত্বর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

 

শনিবার (১৮ মে) সকালে জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জুলহাজ উদ্দীন প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো মানিকগঞ্জ জেলার দেড়গ্রাম ইউপি-জাগির এলাকার মোঃ বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ ছানোয়ার হোসেন সানি (৩৭) ও একই জেলার দক্ষিন বিল ডাউলি গ্রামের মোঃ মন্টু মিয়ার ছেলে মোঃ হৃদয় মিয়া (১৯) ।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান ও চেকপোস্ট বসিয়ে একটি হাইচ এ্যাম্বুলেন্সে তল্লাশী চালিয়ে ২৮৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় হাইচ এ্যাম্বুলেন্সটিকে জব্দ করা হয়।

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ রয়েছে, মোঃ ছানোয়ার হোসেন সানি এর বিরুদ্ধে ১টি মাদক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।'


ফেনসিডিলসহ আটক   মাদক নিমূল অভিযান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১০

প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাতক্ষীরার তালায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক খাদে পড়ে দুই শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন।

শনিবার (১৮ মে) ভোরে সাতক্ষীরার তালা-পাইকগাছা সড়কের হরিশচন্দ্রকাটি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, খুলনার কয়রা উপজেলার বগা গ্রামের তালেব গাজীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩৮) একই উপজেলার মাদারবাড়ীয়া গ্রামের তোফাজ্জল সরদারের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩০)

তালা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  

আহত শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম জানান, তারা গোপালগঞ্জে ধান কাটতে গিয়েছিলেন। কাজ শেষে পারিশ্রমিক হিসেবে পাওয়া ধান নিয়ে ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে হরিশ্চন্দ্রকাটি এলাকায় পৌঁছে ট্রাকটি উল্টে যায়। এতে ধানের বস্তায় চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। এছাড়া অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।


সড়ক দুর্ঘটনা   ট্রাক উল্টে   শ্রমিক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন