আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২(বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত ১৪ দলীয় জোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ৭১’র রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি বানারীপাড়ায় ব্যাপক গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেছেন। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে তিনি বানারীপাড়া পৌর শহরের বন্দর বাজার ও উত্তরপাড় বাজার এবং দুপুরে বাইশারী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠি খেয়াঘাট ও বাইশারী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে দলীয় নেতা-কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা এবং কুশল বিনিময় করে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশজুড়ে চলমাণ উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থণা করেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান
ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ গোলাম ফারুক,সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাওলাদ
হোসেন সানা,সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মকবুল হোসেন মল্লিক,ওয়ার্কার্স
পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য অধ্যাপক নজরুল হক নীলু,উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি
অধ্যাপক মন্টু লাল কুন্ডু,উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চাখারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান
খিজির সরদার,সহ-সভাপতি ও সলিয়াবাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার সিদ্দিকুর রহমান,দপ্তর
সম্পাদক অধ্যাপক এমাম হোসেন।
এছাড়াও স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ওসমান গণি,পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম,বানারীপাড়া বন্দর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান আশরাফী,রাশেদ খান মেনন এমপির ব্যক্তিগত সহকারি এটিএম নাসির মিয়া.যুবমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন,বরিশাল বিএম কলেজ শাখা ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি শামিল শাহরুখ তমাল,সাবেক পৌর কাউন্সিলর আনিসুর রহমান,যুবলীগ নেতা রুম্মন,কামাল মোল্লা,মাসুম বিল্লাহ্,মো.রাসেল,খাইরুল ইসলাম,বানারীপাড়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শফিক শাহিন,সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহম্মেদ শাওন প্রমুখ।
এদিকে ওইদিন বিকালে উপজেলার মলুহার ওয়াজেদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে ইলুহার ও উদয়কাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যৌথ উঠান বৈঠকে বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ খান মেনন এমপি প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। উঠান বৈঠকে উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে বরিশাল-২ আসনে নৌকার প্রার্থী, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, ভোট গ্রহণের দিন যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠে উৎসাহ-উদ্দীপনা,স্বতঃস্ফুর্ততা ও উত্তাপ তত বাড়ছে। দেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। বিশেষ করে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার সুফলভোগী আপামর মানুষ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক নৌকাকেই বেছে নেবে।
বরিশাল মেনন নির্বাচনী প্রচারণা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।
বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের ভিতর অবিশ্বাস-কোন্দল প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছে। যার ফলে দলটি এখন নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো অবস্থায় নেই। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বের সংকটে আছে। তাদের কর্মী সমর্থক নেই। কাজেই রাজনীতিতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রভাব বিস্তারের সুযোগই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনের আগে মনে করা হয়েছিল সরকার বড় ধরনের সংকটে পড়বে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের আগে যেভাবে সরকারকে সতর্ক করেছিল, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে নিষেধাজ্ঞার মত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছিল- নির্বাচনের পর সেই অবস্থা পাল্টে গেছে।
বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলা সত্ত্বেও নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্যই বেশি চেষ্টা করছে। অন্যান্য দেশগুলো যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য; তারাও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচনের বিষয় তারা তেমন সামনে আনতে রাজি নন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে সরকারের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থাকার কথা।
কিন্তু বাস্তবতা হল সরকার স্বস্তিতে নেই। বরং আস্তে আস্তে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। আর সরকারের এই চাপের প্রধান কারণ হল অর্থনীতি। বিগত মেয়াদেই অর্থনীতিতে বিবর্ণ চেহারাটা সামনে উঠেছিল। এটি আস্তে আস্তে ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে এবং সরকারের জন্য অর্থনৈতিক সংকটগুলো মোকাবেলা করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ছে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার বেশ কিছু দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু সেই উদ্যোগগুলো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেমন অর্থনৈতিক সংকটের একটি প্রধান বিষয় হল মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে, মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য সরকার যত ব্যবস্থাই নেক, সেই ব্যবস্থাগুলো এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়নি।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল, ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-বিশৃঙ্খলতা। আর এটি দূর করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কৌশল এখন ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে বিশৃঙ্খল অবস্থারও একটা উন্নতি হয়নি।
ব্যাংকিং সেক্টরের বিশৃঙ্খলার হওয়ার প্রধান কারণ হল খেলাপি ঋণ এবং অর্থপাচার। ঋণ খেলাপিদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর অবস্থান গ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে বটে। কিন্তু বাস্তবে এই পরিকল্পনাগুলো কতটুকু বাস্তবায়িত হবে সে নিয়েও বিভিন্ন মহলের সন্দেহ রয়েছে। কারণ অতীতেও দেখা যে, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হতে পারছে না।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্কট বাড়ছে, বিশেষ করে এখন বাংলাদেশকে ঋণের দায় মেটাতে হচ্ছে। ঋণের দায় মেটানোর চাপ সামলাতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়ছে। আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান যে উৎস প্রবাসী আয় এবং রপ্তানী আয়- সে দুটোতেও কোনওরকম ইতিবাচক ব্যবস্থা নেই। সামনে বাজেট, আর এই বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একটি মহাপরিকল্পনা সরকারকে করতেই হবে। অর্থনৈতিক সংকট যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে সরকারের জন্য সামনের দিনগুলো আরও কঠিন, চ্যালেঞ্জিং এবং সংকটাপন্ন হবে বলেই মনে করে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতি হাসান মাহমুদ আলী আয়শা খান আওয়ামী লীগ সরকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।