বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্সপার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে তারা দেশ ও মানবতার শত্রু।
৭ জানুয়ারী ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে জনগন বিএনপি-জামায়াত ও
তাদের দোসরদের এ অগ্নি সন্ত্রাস এবং দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের
সমূচিত জবাব দেবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব উন্নয়নের
ধারা অব্যাহত রাখতে ও ২০২৬ সালে উন্নয়শীল এবং ৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ
গড়তে ভোটাররা নৌকাকেই বেছে নেবেন।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে উজিরপুর উপজেলার সাতলা মাধ্যমিক
বিদ্যালয় মাঠে নৌকার সমর্থনে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উঠান বৈঠকে প্রধান
অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জনগনের সমর্থণ নিয়ে নির্বাচিত হতে পারলে
উজিরপুর ও বানারীপাড়াকে উন্নত- আধুনিক স্মার্ট উপজেলায় রূপান্তর করবেন বলেও
প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় বরিশাল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ
সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস মুঠোফোনে বক্তৃতা করে শান্তি ও উন্নয়নের
প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করতে সবার প্রতি আহবান জানান।
উপজেলার সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান
খায়রুল বাশার লিটনের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে বিশেষ অতিথির
বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য্যনির্বাহী সদস্য আনিসুর
রহমান, বরিশালের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার
মিরা,উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জামাল হোসেন, সহ-সভাপতি ও উপজেলা
চেয়ারম্যান আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু, সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর
রহমান ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গিয়াস উদ্দিন বেপারী,আওয়ামী লীগের
উপ-কমিটির সদস্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম শাহিন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক
সম্পাদক আবিদ আল হাসান, উজিরপুর উপজেলা ওয়ার্কার্সপার্টির সভাপতি ও নারী ভাইস
চেয়ারম্যান সীমা রাণী শীল প্রমুখ।
এসময় সাতলা ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। এর আগে ওইদিন রাশেদ খান মেনন এমপি বানারীপাড়ায় জুমার নামাজ আদায় করেন এবং বানারীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম ফারুকের পিতা আলহাজ্ব ডাক্তার মোঃ মোতাহার উদ্দিনের কুলখানিতে অংশ নিয়ে বক্তৃতায় সবার কাছে দোয়া চান।
বরিশাল মেনন নির্বাচন জাতীয় সংসদ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।
বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের ভিতর অবিশ্বাস-কোন্দল প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছে। যার ফলে দলটি এখন নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর মতো অবস্থায় নেই। অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বের সংকটে আছে। তাদের কর্মী সমর্থক নেই। কাজেই রাজনীতিতে তারা সরকারের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রভাব বিস্তারের সুযোগই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনের আগে মনে করা হয়েছিল সরকার বড় ধরনের সংকটে পড়বে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের আগে যেভাবে সরকারকে সতর্ক করেছিল, হুঁশিয়ারি দিয়েছিল; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে নিষেধাজ্ঞার মত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দিয়েছিল- নির্বাচনের পর সেই অবস্থা পাল্টে গেছে।
বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলা সত্ত্বেও নতুন সরকারের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়টিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্যই বেশি চেষ্টা করছে। অন্যান্য দেশগুলো যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য; তারাও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমানে নির্বাচনের বিষয় তারা তেমন সামনে আনতে রাজি নন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে সরকারের জন্য একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় থাকার কথা।
কিন্তু বাস্তবতা হল সরকার স্বস্তিতে নেই। বরং আস্তে আস্তে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। আর সরকারের এই চাপের প্রধান কারণ হল অর্থনীতি। বিগত মেয়াদেই অর্থনীতিতে বিবর্ণ চেহারাটা সামনে উঠেছিল। এটি আস্তে আস্তে ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে এবং সরকারের জন্য অর্থনৈতিক সংকটগুলো মোকাবেলা করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ছে বলেই অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার বেশ কিছু দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করছে। কিন্তু সেই উদ্যোগগুলো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেমন অর্থনৈতিক সংকটের একটি প্রধান বিষয় হল মুদ্রাস্ফীতি। মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে, মুদ্রাস্ফীতি কমানোর জন্য সরকার যত ব্যবস্থাই নেক, সেই ব্যবস্থাগুলো এখন পর্যন্ত ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়নি।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল, ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম-বিশৃঙ্খলতা। আর এটি দূর করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কয়েকটি ব্যাংক একীভূত হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কৌশল এখন ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকিং সেক্টরে বিশৃঙ্খল অবস্থারও একটা উন্নতি হয়নি।
ব্যাংকিং সেক্টরের বিশৃঙ্খলার হওয়ার প্রধান কারণ হল খেলাপি ঋণ এবং অর্থপাচার। ঋণ খেলাপিদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর অবস্থান গ্রহণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে বটে। কিন্তু বাস্তবে এই পরিকল্পনাগুলো কতটুকু বাস্তবায়িত হবে সে নিয়েও বিভিন্ন মহলের সন্দেহ রয়েছে। কারণ অতীতেও দেখা যে, ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর হতে পারছে না।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সঙ্কট বাড়ছে, বিশেষ করে এখন বাংলাদেশকে ঋণের দায় মেটাতে হচ্ছে। ঋণের দায় মেটানোর চাপ সামলাতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় টান পড়ছে। আর বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান যে উৎস প্রবাসী আয় এবং রপ্তানী আয়- সে দুটোতেও কোনওরকম ইতিবাচক ব্যবস্থা নেই। সামনে বাজেট, আর এই বাজেটে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একটি মহাপরিকল্পনা সরকারকে করতেই হবে। অর্থনৈতিক সংকট যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে সরকারের জন্য সামনের দিনগুলো আরও কঠিন, চ্যালেঞ্জিং এবং সংকটাপন্ন হবে বলেই মনে করে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতি হাসান মাহমুদ আলী আয়শা খান আওয়ামী লীগ সরকার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। রাজনৈতিকভাবে যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল, নির্বাচন প্রতিহত করতে বলেছিল তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনের পর তারা সঙ্কুচিত, কোণঠাসা এবং হতাশাগ্রস্ত। আওয়ামী লীগের সামনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নেই বললেই চলে। না সংসদে, না রাজপথে।