নওগাঁর সাপাহারে জবই বিল মৎস্যচাষ উন্নয়ন প্রকল্পের ২৩ তম মৎস্য
আহরণ শুরু হয়েছে। প্রায় ৬মাস পর মৎস্যজীবীরা মাছ শিকার করতে পেরে উচ্ছসিত। জালে
বিভিন্ন বড় বড় মাছধরা পড়ছে । প্রতি বছরের ডিসেম্বর মাসে মাছ শিকারের জন্য বিল
উন্মুক্ত করে মৎস্য বিভাগ। জালভেদে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে টিকিট নিয়ে মাছ শিকার
করতে পারেন মৎস্যজীবীরা।প্রায় ৩২ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করেছে মৎস্য বিভাগ।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়- জালভেদে ফাঁস জাল ৩ হাজার ১৮০
টাকা, করজাল ১৫ হাজার ৮৭০ টাকা, বড়জাল ৬ হাজার ১৫০ টাকা, জগৎবেড় ৪০ হাজার
১৬০ টাকা এবং কাঠা প্রতি ১৫ হাজার ৩৯০ টাকা ফি। এ বছর ফাঁস জাল ৩৪০ টি, করজাল
৮৪টি, বড়জাল ৮টি, জগৎবেড় ৩টি এবং কাঠা ৩৬ টি জন্য টিকিট কিনেছে মৎস্যজীবীরা।
জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা সাপাহার। এখানকার ‘জবই বিল’ দেশের
উত্তরাঞ্চলের একটি বৃহৎ বিল। যার আয়তন প্রায় ৯৯৯ একর। তবে বর্ষা মৌসুমে এর আয়তন
হয়ে যায় প্রায় তিন গুণ। প্রাকৃতিক ভাবে এ জলাশয়ে মাছ বেড়ে উঠে। বিলুপ্ত প্রজাতির
শোল, বোয়াল, চিতল, আইড়, পাবদা, টেংরা, খলিশা, চাপিলা, রুই, কাতলা সহ প্রভৃতি মাছে
ভরপুর থাকে এ জলাশয়।
বর্ষা মৌসুমে এ জলাশয়ে মাছ শিকার বন্ধ থাকে। মূলত ডিসেম্বর মাস
থেকে মে মাস পর্যন্ত মাছ শিকার করা হয়। প্রতি বছরের ডিসেম্বর মাসের ২১ তারিখের মাছ
শিকারের জন্য বিল উন্মুক্ত করে মৎস্য বিভাগ। চলে মে মাস পর্যন্ত। জালভেদে
নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে টিকিট নিয়ে মাছ শিকার করতে পারেন মৎস্যজীবীরা। উৎসব মুখর
পরিবেশে মৎসজীবীরা শিকার করছে।
বিলের মৎস্য প্রকল্পের আওতায় ৭৯৯ মৎস্যজীবী রয়েছেন। এই
মৎস্যজীবীদের উপর তাদের পরিবারে প্রায় ৪ হাজার সদস্য জীবিকা নির্বাহ করে।
মৎস্যজীবী জাল ভেদে ৩ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা ফি দিয়ে মাছ শিকার করছেন। মাছ
শিকারের জন্য মৎস্যজীবীরা নৌকা ও মাছ ধরার সরঞ্জাম নিয়ে কোমর বেধে বিলে নেমেছে।
জালে মিলছে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার, বোয়াল এবং দেশীয় সহ বিভিন্ন মাছ। মাছ পেয়ে
উচ্ছসিত তারা।
মাছ শিকার দেখতে এবং কিনতে বিল পাড়ে এসেছেন শত শত মানুষ। এ বিলের
মাছের স্বাদ অতুলনীয় হওয়ায় চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। মৎস্যজীবী ছাড়াও বিল পাড়ের সৌখিন
শিকারিরা মাছ শিকার করছে। মাছ কিনতে বিল পাড়ে বসেছে অস্থায়ী মাছের আড়ৎ।
বাগডাঙ্গা গ্রামের বয়জেষ্ঠ্য রইচ উদ্দিন বলেন, জবই একটি ঐতিহ্যবাহী
বিল। বিলের আয়ন বিশাল। এ বিলের মাছের স্বাদ অতুলনীয় হওয়ায় মানুষের কাছে চাহিদা
রয়েছে ব্যাপক। মৎস্যজীবী ছাড়াও বিল পাড়ের সৌখিন শিকারিরা মাছ শিকার করে।
মৎস্যজীবী মানিক বলেন, দুই নৌকায় ৬জন মিলে ১৫ হাজার টাকা ফি দিয়ে
টিকিট কিনেছি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৯মন মাছ ধরেছি। যার বাজার মুল্য ৮০-৯০
হাজার টাকা। আশা করা যায় একদিনে লক্ষাধিক টাকার মাছ ধরতে পারবো। এছাড়া বাঁকী
দিনগুলোতে কম পরিমান মাছ ধরা পড়বে।
বাগডাঙ্গা বিল পাড়ে খুচরা মাছ বিক্রেতা শাহ জামান বলেন- প্রতিকেজি
ওজনের কাতলা ২০০ টাকা, সিলভার কাপ ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৭-৮ কেজি ওজনের বড়
সিলভার ৮০০ টাকা, আইড় ১২০০ টাকা কেজি ও ছোট খরি ২০০-৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি মাছ ব্যবসায়ি ফারুক হোসেন বলেন-স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব
মাছ ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়। এ বিলের মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ৪-৫ টি
মাছের আড়ৎ বসেছে। জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে। একদিনে প্রায় ৫০-৬০ লাখ টাকার মাছ
বেচাকেনার আশা।
সাপাহার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা: রুজিনা পারভীন বলেন- মৎস্যজীবীর
সংখ্যা ৭৯৯ জন। এরমধ্যে টিকিট সংগ্রহ করেছে ৪৭১ জন। টিকিট বিক্রি
হয়েছে ৩১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। যার মধ্যে ১৬ লাখ ১৬০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা
হবে।আর বাঁকী টাকা মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, পাহাদারের বেতন ও অবৈধভাবে বিলে মাছ
শিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় খরচ হবে। বিলের পানি শুকিয়ে গেলে মাছ শিকার
বন্ধ করে দেয়া হয়। ৪টি মৎস্য অভয়ারণ্য রয়েছে যেখানে মা মাছ অবস্থান নেয়।
তিনি বলেন- গত বছর ৫২৭ মেট্রিক টন মাছ শিকার করে মৎস্যজীবীরা। যার টাকার অঙ্কে দাঁড়ায় ২৩ কোটি ৭২ লাখ। এবছর ২০ লাখ পিস বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্লেটন মিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার ডি হাসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ডেভিড স্লেটন মিল। আর নতুন এই রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ মনোনয়নকে আমরা স্বাগত জানাই। মাস দেড়েক আগে এ বিষয়টা আমাদের জানানো হয়েছে। এখন তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। আশা করছি— নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে মানবাধিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো। বিশ্বের কোনো দেশেই মানবাধিকার আদর্শ অবস্থানে নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ যেভাবে দমন করছে, সেটি আমরা টিভির পর্দায় দেখছি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নাগরিক আন্দোলনকে কীভাবে পুলিশ দমন করছে, সেটিও আমরা দেখছি।
তিনি বলেন, সব দেশের উচিত মানবাধিকার উন্নয়নে একযোগে কাজ করা। আমরাও আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মানবাধিকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জুলাই থেকে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন কূটনীতিক মিল। মিনিস্টার কাউন্সেলর হিসেবে ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটনের ফরেইন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড মিল।
ডেভিড মিল বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
মন্তব্য করুন
মন্ত্রী-এমপি ফেসবুক আইডি ভেরিফায়েড আইডি
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে পিটার ডি হাসের অধ্যায়। বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এখন এটি সিনেটের অনুমোদন হলে ডেভিড মিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে আবির্ভূত হবেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিচ্ছেন পিটার ডি হাস। অর্থাৎ এটি সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে মার্কিন নীতি অনুসরণ করছিল সেই নীতিতে পরিবর্তন আসছে। নিশ্চয়ই ডেভিড মিল একটি নতুন মিশন নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। আর এ কারণেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে নেওয়া হল পিটার ডি হাসকে।
প্রশ্ন উঠেছে যে, নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে মার্কিন নীতির কী পরিবর্তন করবেন, তার নীতি কী ধরনের হবে? একজন রাষ্ট্রদূতকে যখন মনোনয়ন দেওয়া হয় তখন প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওই দেশে তাদের পররাষ্ট্রনীতির কৌশলপত্র চূড়ান্ত করে। আর ওই কৌশল বাস্তবায়নের জন্য যাকে যোগ্য মনে করা হয় তাকে মনোনয়ন দেয়।
পিটার ডি হাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি, বাংলাদেশের র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি সুস্পষ্ট চাপ দিচ্ছিল। এই চাপকে আরও বাড়ানোর জন্যই পিটার ডি হাস বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার দায়িত্ব পালনকালে সুস্পষ্টভাবে তিনি তার অবস্থান প্রকাশ করেছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব দেখানোর লক্ষ্যেই নির্বাচন নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিটার ডি হাস মিশন ব্যর্থ হয়েছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তাও দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পিটার ডি হাসের সরে যাওয়াটা ছিল অবধারিত। অবশেষে সেটাই ঘটল।
এখন ডেভিড মিল বাংলাদেশে কী করবেন? প্রথমত, ডেভিড মিলের কূটনৈতিক ক্যারিয়ার যদি আমরা পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখব যে, তার কূটনৈতিক ক্যারিয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দেয়। একই সাথে বাংলাদেশে চীনকে মোকাবেলা করার জন্য মার্কিন কৌশলেরও একটি ইঙ্গিত বহন করে। ডেভিড মিল বাংলাদেশে উপ-রাষ্ট্রদূত হিসাবে বা ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কাজেই বাংলাদেশ তার পরিচিত। বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের মানুষের মন মানসিকতা এবং বাংলাদেশে কীভাবে কাজ আদায় করতে হয় ইত্যাদি কলাকৌশল সম্পর্কে তাকে নতুন করে শিখতে হবে না। এটি ডেভিড মিলের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এটি বিবেচনা করেই সম্ভবত ডেভিড মিলকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, ডেভিড মিল এখন এই মুহূর্তে চীনের বেজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মার্কিন-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, ডেভিড মিল চীনের রাজনীতি এবং চীনের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে অনেক পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ ধারণা রাখেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়গুলোতে অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ চীনের উপর অর্থনৈতিকভাবে অনেকখানি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আর এর প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছেন যিনি চীনের রাজনীতির অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্বের একটি বড় বিষয় হল, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশি মাখামাখির সম্পর্ক। আর এ কারণেই চীনের কূটনীতিতে অভিজ্ঞ এবং চীনের কূটনীতি অলিগলি চেনা ডেভিড মিলকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
ডেভিড মিলের নিয়োগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি বার্তা সুস্পষ্ট হয়েছে। তা হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক, বিশেষ করে অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং বাংলাদেশে কাজ করা একজন ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে। তৃতীয়ত বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের লাগাম টেনে ধরতে পারে এজন্য চীনের কূটনীতি সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে এমন একজন কূটনৈতিককে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এখন দেখা যাক, ডেভিড মিলের বাংলাদেশ মিশন কতটুকু সফল হয়।
ডেভিড মিল বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি
মন্তব্য করুন
ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার বন্ধে মন্ত্রী-এমপিদের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার জন্য পাঠালে আমরা ফেরিফাই করে দেবো। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।
শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে পিটার ডি হাসের অধ্যায়। বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এখন এটি সিনেটের অনুমোদন হলে ডেভিড মিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে আবির্ভূত হবেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিচ্ছেন পিটার ডি হাস। অর্থাৎ এটি সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে মার্কিন নীতি অনুসরণ করছিল সেই নীতিতে পরিবর্তন আসছে। নিশ্চয়ই ডেভিড মিল একটি নতুন মিশন নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। আর এ কারণেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে নেওয়া হল পিটার ডি হাসকে।