চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বাঁশখালীর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হারুন মোল্লা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গত রোববার (২৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এমপি মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব মো. আবদুছ সালাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে চট্টগ্রাম জেলা এবং বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মামলা দায়ের করতে বলা হয়।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং সাংবাদিকে মারধর ও নাজেহালের অপরাধে নির্বাচনী আচরণবিধি আইনের ৮(খ) ধারায় এমপি মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আদালত ফৌজদারী কার্যবিধি-২০০ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করে এবং অপরাধ আমলে নিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। একইসঙ্গে তাকে আগামী ৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
মামলা পরিচালনা করেন জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। তিনি বলেন, আদালত মামলাটি রেকর্ড করেছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। এর আগে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালেও তিনি এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন আচরণ মামলা আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। ১৫০টি উপজেলায় এখন জনগণ ভোটের অপেক্ষায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫৯টি উপজেলায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন গতকাল শেষ হয়েছে। সেখানেও এখন নির্বাচনী প্রচারণার ডামাডোল শুরু হয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে কি না, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে কি না এবং উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে কি না তা নিয়ে একদিকে যেমন জনগণের সংকট রয়েছে তেমনই নির্বাচন কমিশনও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত।
লক্ষ্মীপুর সদরের তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপরই হামলার শিকার হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নেপথ্যে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ। এঘটনায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী দুই প্রার্থীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ ৯১১ জনের বিরুদ্ধে দুইটি মামলাও দায়ের করেন। ফলে নির্বাচনের পর আনন্দের বদলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ওই ইউনিয়নে।