ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচন নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: কখন, কীভাবে প্রয়োগ হয়?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি। নির্বাচন নিয়ে ভোট উৎসব যেমন হচ্ছে, নির্বাচনে উত্তেজনা যেমন রয়েছে, তেমনই আছে নানা শঙ্কা এবং উদ্বেগ। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কীভাবে দেখে, তারা কীভাবে এই নির্বাচনকে বিচার-বিশ্লেষণ মূল্যায়ন করে তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণ হয় এবং পর্যবেক্ষণের পরে তারা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুস্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি দেশে নির্বাচন নিয়ে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে। এ সমস্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে কম্বোডিয়া, নাইজেরিয়া, গুয়েতেমালা সহ আরও কয়েকটি দেশ। আর এই সমস্ত নিষেধাজ্ঞাগুলো সবগুলো প্রয়োগ করা হয়েছে নির্বাচনের পরে। উল্লেখ্য যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন কেন্দ্রীক নিষেধাজ্ঞা কখনোই নির্বাচনের আগে প্রয়োগ করে না। কাজেই বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী, ভূমিকা কী হবে বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনকে কী চোখে দেখছে তা স্পষ্ট হবে ৭ জানুয়ারির পর। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে গত দু বছর ধরেই কথা বলছে। দু বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য তাদের আগ্রহের কথা বাংলাদেশ সরকার এবং অংশীজনকে বলে আসছে। এরকম একটি বাস্তবতায় আগামী ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেই নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি কী- এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের যে অবস্থান তা হল তারা সবসময় অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। এটি বাংলাদেশের জনগণও চায়। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে একজন কূটনীতিক বিশ্লেষক বলছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সার্বিক নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর নজর রাখছে এবং এই নজর রাখার প্রেক্ষাপটে আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পরে তাদের অবস্থান তারা ব্যাখ্যা করতে করবে। কম্বোডিয়ার নির্বাচনের ঘটনাটিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করেছিল। সেখানে প্রধান বিরোধী দলকে নির্বাচনের আগে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল এবং তাদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েকজন ব্যক্তি, কম্বোডিয়ার নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অবশ্য কম্বোডিয়ার ওপর আগে থেকেই অর্থনৈতিক বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ছিলো। এখন দেখার বিষয় যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কি? 

বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। কাজেই কম্বোডিয়া যেভাবে বিরোধী দলকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা হয়েছে আইন করে, বাংলাদেশের ঘটনাটি তেমন নয়। বরং বাংলাদেশের বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ এবং প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে কম্বোডিয়ার ঘটনা এবং বাংলাদেশের ঘটনা এক রকম নয় বলে মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। অবশ্য এ ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু প্রশ্ন রয়েছে। যেমন- বিএনপি এবং তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা এবং বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের বিরুদ্ধে দণ্ড কার্যকর করা ইত্যাদি তাদেরকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার চেষ্টা কি না সেই প্রশ্নটি আসতে পারে। মার্কিন নীতি নির্ধারক মহল বা থিঙ্ক ট্যাঙ্করা সেই বিষয় নিয়ে গবেষণা করে তাদের সিদ্ধান্ত জানতে পারেন আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদনে। 

দ্বিতীয়ত, কম্বোডিয়া যে ঘটনাটি দেখা গেছে তা হল নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নির্বাচন পরবর্তী মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলেছে, নির্বাচন কমিশন কম্বোডিয়া সরকারের অনুগত হিসাবে নির্বাচনে কাজ করেছে। যার ফলে তাদের ওই নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। আর এই পুরো কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য কম্বোডিয়ার ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান এবং ওই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। 

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে বলেই দৃশ্যমান হয়। বিশেষ করে বিভিন্ন সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন তার অবস্থান আরও সুস্পষ্ট করেছে। এরকম অবস্থায় বাংলাদেশ যে কম্বোডিয়ার ঘরে পড়বে না সেটা অনেকেই মনে করেন। এছাড়াও যে দেশটির ওপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, সেটি হলো নাইজেরিয়া। নাইজেরিয়াতেও নির্বাচনে কারচুপি শঙ্কায় আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল কিছু ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ওপর। নির্বাচন পরে আরও কিছু নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মূলত এই নিষেধাজ্ঞাগুলি ছিল ভিসা নিষেধাজ্ঞা।  

অনুসন্ধান করে দেখা যায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানেও অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করেছিল। ক্ষমতাসীন দল জোর করে নির্বাচনে জয়ী হতে চায় এমন অভিযোগও আনা হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এবং নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে বিরোধী দলকে দমন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছিল। বাংলাদেশের নির্বাচনে সে রকম পরিস্থিতি নেই। এই নির্বাচনে কারো মধ্যে এতটুকু সন্দেহ নেই যে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে যাচ্ছে। এই জন্য তাদের কারচুপি করতে হবে না। কিন্তু নির্বাচন যে অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না, বিএনপি অংশগ্রহণ করছে না ইত্যাদি বিষয়গুলোর দায় দায়িত্ব দেখি এবং ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি কেউ করে কিনা সে সমস্ত বিষয় দেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে কিনা সেটা তাদের কূটনীতিক সিন্ধান্তের বিষয়। এছাড়াও অন্যান্য দেশগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করেছিল সেগুলো সবই নির্বাচনের পরে। কাজেই বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি করবে তা বোঝা যাবে ৭ জানুয়ারির পর।

নির্বাচন   মার্কিন নিষেধাজ্ঞা   ভিসা নীতি   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ ঘোষণা করবে সরকার

প্রকাশ: ১০:৪৯ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। ভবিষ্যতে তাপপ্রবাহ হলে তা মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

মো. মহিববুর রহমান বলেন, তাপপ্রবাহের মাত্রা দিন দিন আরও বাড়তে পারে। আমরা এটা অ্যাডজাস্ট করতে চাই। ভবিষ্যতে তাপপ্রবাহ হলে তা মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের সব প্রস্তুত আছে।

তিনি বলেন, আমাদের যে পরিবেশ-পরিস্থিতি তাতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠলে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত মাসে তাপপ্রবাহের সময় আমরা প্রোগ্রাম রেডি করে ফেলেছিলাম। সারা দেশে পানি, স্যালাইন, ছাতা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। পরে আবহাওয়া অধিদফতর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলো, বৃষ্টিও হলো

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাপপ্রবাহ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে দুটি ক্যাম্প করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেটি স্পিকারের উদ্বোধন করার কথা ছিল। এ দুই স্থান থেকে পানি, স্যালাইন, ছাতাসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল। মানুষ এখানে আশ্রয় নিতে পারত। সব রেডি ছিল কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় তা আর হয়নি।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমার নির্বাচনী এলাকায়ও আমি তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে নানান উদ্যোগ নিয়েছিলাম, যোগ করেন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী।

তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে

প্রকাশ: ১০:১০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে শুক্রবার (১০ মে) থেকে পবিত্র জিলকদ মাস গণনা করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পাওয়া গেছে।

জিলকদ মাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর জয়: কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ইমান আলীর বিজয় উপলক্ষে ভোটারদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

বৃহষ্পতিবার (৯ মে) ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরীর ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমান আলীকে নির্বাচিত করায় ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

উল্লেখ,  এবারের স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিক দেয়া থেকে বিরত রয়েছে আওয়ামী লীগে।

যদিও ফরিদপুরের স্থানীয় অনেকে প্রশ্ন করছেন আওয়ামী লীগ যেখানে দলীয় প্রতিক দেয়নি সেখানে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কিভাবে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সমর্থন দিল।

ফরিদপুর   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিদ্যুৎ সংকটের এই সময়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চলমান দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গেল কিছুদিন তীব্র গরমে কিছুটা লোডশেডিং হয়েছে। আমরা তা স্বীকার করি। আমি নির্দেশ দিয়েছি লোডশেডিং গ্রামে নয়, এখন থেকে বিদ্যুৎ সংকটে লোডশেডিং হবে গুলশান-বনানীতে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায়ও লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দিয়েছি।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ আইন নিয়ে সমালোচনা কেন? পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই, যারা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। কিন্তু প্রতিদিন এটা নিয়ে চিল্লাচিল্লি শুনি। ওই আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেয়া হয়নি। 
  
সামিটের বিলম্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জরিমানা আদায় হয়েছে বলেও জানান এই সংসদ নেতা। তিনি বলেন, বিশেষ আইন নিয়ে যারা কথা বলছেন, সমালোচনা করছেন তারা অর্বাচীন।
 
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সমালোচনা হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অথচ সেটাই সবচেয়ে ক্লিন বিদ্যুতের সোর্স। রূপপুরে আরও একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী   লোডশেডিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদের সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীরও এটি প্রথম বাজেট।

তাকে সহায়তা করবেন দেশের প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। এদিন উত্থাপিত হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ জুন। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার। যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকারের এবারের বাজেট হবে ব্যয় সংকোচনমূলক। এটি তৈরি হচ্ছে অত্যন্ত সুকৌশলে। প্রতি বছর বাজেটের প্রবৃদ্ধি সংকোচনমূলক ধরেই এবারের হিসাব প্রাক্কলন করা হয়েছে। ফলে বাজেটের আকার এবার খুব বেশি বাড়ছে না।


নতুন সরকার   বাজেট ঘোষণা   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন