ইনসাইড বাংলাদেশ

ড. ইউনূস ইস্যু কি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০২ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের ঠিক আগে আগে শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূসকে দণ্ডিত করা হয়েছে। একটি শ্রম আদালত গতকাল ড. ইউনূসকে ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য এক মাসের মধ্যে আপিল করার শর্তে তিনি জামিন পেয়েছেন। স্পষ্টতই ড. ইউনূসকে কারান্তরীণ করা হয়নি। তবে এটি তার জন্য একটি বড় ধরনের অপমান বলেই মনে করা হচ্ছে। ড. ইউনূস অবশ্য এই মামলাকে তার বিরুদ্ধে হয়রানি হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, যে অপরাধের সঙ্গে আমি জড়িত নই, সেই অপরাধেই শাস্তি পেলাম। এটি আমার সবচেয়ে বড় দুঃখ।

অন্যদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলার রায়ের দিন গিয়েছিলেন সুশীল সমাজে কয়েকজন প্রতিনিধি। তারা মামলার দ্রুত বিচার এবং তাড়াহুড়ো করার অভিযোগ এনেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে যদিও বলা হয়েছে, মামলায় মোটেও তাড়াহুড়া করা হয়নি। আইন তার নিজস্ব ধারায় নিজস্ব গতিতে চলেছে। তবে নিরপেক্ষ আইন বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, সাধারণত শ্রম আইনের মামলা যে গতিতে চালানো হয় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলার গতি ছিল তার চেয়ে কিছুটা বেশি। এর একটি কারণ হতে পারে যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। যে কোন সময় যে কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেন৷ এই কারণেই তার মামলার শুনানি সরকার অগ্রাধিকার হিসাবে বিবেচিত করেছে। তবে যে বিবেচনায়ই করা হোক না কেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই রায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে এবং জাতীয়-আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। 

বিশেষ করে বাংলাদেশে ড. ইউনূসের রায় এমন একটি সময় দেওয়া হলো যখন দেশটি একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে এবং এই নির্বাচনে দেশের প্রধান বিরোধী দল অংশগ্রহণ করছে না। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এক ধরনের অস্বস্তি রয়েছে। সেই রকম প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূস ইস্যু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কি ধরনের প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে বিভিন্ন রকম আলোচনা চলছে। 

যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, এটি দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ড. ইউনূস ইস্যুটি বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্ম্পকের টানাপোড়েনকে আরও প্রলম্বিত করবে। এটি সর্ম্পকের অস্বস্তিকে আরও বাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একাধিক কারণে ড. ইউনূস ইস্যুটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। প্রথমত, ড. ইউনূস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত ঘনিষ্ট। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ খেতাব পাওয়া ব্যক্তি এবং তার মামলার ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করা হয়েছে তা কতটা যথাযথ হয়েছে, এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট সন্দেহ এবং সংশয় রয়েছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ মামলার রায়ের পর এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোন রকম বিবৃতি দেয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই বিবৃতি না দেওয়াকেও অনেকে সম্পর্কের অবনতির একটি সূত্র বলে মনে করছেন। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে একসাথে তার অবস্থান ব্যক্ত করতে পারেন, এরকম প্রেক্ষিতে ড. ইউনূসকে নিয়ে তারা কোন রকম কথা বলেননি বলেও অনেকে মনে করছেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইস্যুটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে দেখে সেটি নিয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা চলছে। কেউ কেউ মনে করছেন, এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন ইস্যু এবং সরকার যে বিচার ব্যবস্থাকে তাদের মতো করে ব্যবহার করে, তার আরেকটি উদাহরণ হিসেবে ড. ইউনূসের ইস্যুটিকে দেখতে চাইছে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন, নতুন শ্রম আইনসহ বিভিন্ন বিষয়গুলোর দিকে যে ভূমিকা রাখছে তার বিরুদ্ধে পাল্টা চাপ হিসেবে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বলে অনেকেই করছেন। কারণ ড. ইউনূস যে কোন বিচারেই মার্কিন সরকারের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ট। আর এ কারণেই ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকার একটা বিষয় প্রমাণ করতে চায় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ বা হুমকিতে সরকার ভীত নয়। তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইস্যুটি এই সময়ে অপ্রয়োজনীয় ছিল বলে কেউ কেউ মনে করেন। তবে অনেকের মতে ড. ইউনূসের ইস্যুটি একটি বিচ্ছিন্ন ইস্যু, নির্বাচনের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   শ্রম আইন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক,৫ প্রিসাইডিং অফিসার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি রিসোর্টে এক প্রার্থীর পক্ষে অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে এক শিক্ষক ও পাঁচ প্রিসাইডিং অফিসারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

 

সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৯টায় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। 


আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে: কাদের

 

গ্রেপ্তাররা হলেন, যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও রাশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সিরাজুল ইসলাম, এসবি রেলওয়ে কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ওমর আলী কওমি মহিলা মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ও এসবি রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোঃ আবুসামা, বাহুকা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও বনবাড়িয়া পাইকপাড়া মডেল স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক পিএলসির এরিয়া অফিসের প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা ও হরিণা বাগবাটি স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ইয়াসিন আরাফাত। 

 

এছাড়া, এই গোপন বৈঠকের মূল আয়োজক, শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমিতির সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও পড়ুন: উপজেলাতেও আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ

 

এ সময় জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আসে যে, কতিপয় প্রিসাইডিং অফিসার একজন লোকের সাথে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গোপন বৈঠক করছে। শোনার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ রিটানিং কর্মকর্তাসহ অভিযান পরিচালনা করে। তবে তারা বুঝতে পেরে আগেই পালিয়ে যায়।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে রিটানিং অফিসার সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপার প্রযুক্তির মাধ্যমে সেখানে কারা ছিলেন তা চিহ্নিত করেন। এরপর পাঁচজন প্রিসাইডিং অফিসার ও এই বৈঠকের মূল আয়োজককে গ্রেপ্তার করেন।'


আরও পড়ুন: চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী

 

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, ‘আমরা সেখান থেকে ডিজিটাল ফুট প্রিন্ট সংগ্রহ করে নিশ্চিত হই সেখানে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই মামলায় আমরা ৫ জন প্রিসাইডিং অফিসারসহ বৈঠকের আয়োজনকারীকে গ্রেপ্তার করি।’ 

 

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছি সেখানে আরও কে কে উপস্থিত ছিলেন এবং এর সাথে আর কে কে জড়িত। তারপর সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রিসোর্টটিতে অভিযান পরিচালনা করে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদে এর সত্যতা পাই। পরে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করি এবং তাদের সাথে পরামর্শ করেই মামলা দায়ের করি। এখানে আমাদের যে ১০ জন প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, ইতোমধ্যে আমরা তাদের পরিবর্তন করেছি এবং অন্যদের দায়িত্ব দিয়েছি।’ 

 

তিনি আরও জানান, ‘প্রার্থীকে আমরা শোকজ করেছি এবং তার উত্তর তিনি দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেই আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

কোন প্রার্থীর পক্ষে বৈঠক চলছিল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, ‘আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আশা করছি নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের পরে আমরা জানতে পারব তারা কোন প্রার্থীর জন্য একত্রিত হয়ে বৈঠক করছিলেন। যার নাম আসবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


উপজেলা নির্বাচন   প্রিজাইডিং অফিসার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত

প্রকাশ: ১০:১৩ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আদালতের আদেশের কারণে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (৬ মে) কমিশন এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান। 

প্রথম ধাপের ৮ মে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাত্র একদিন আগে এ উপজেলায় সব পদের নির্বাচন স্থগিত করল নির্বাচন কমিশন। সোমবার (৬ মে) রাতে ইসি সচিব আতিয়ার রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৮ মে নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ছালেহা বেগম তার মনোনয়ন পত্রটি বৈধ করার জন্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। পরে হাইকোর্ট তার মনোনয়ন পত্রটি বৈধ ঘোষণা করে ২৫ এপ্রিল তাকে প্রতীক বরাদ্দের জন্য নির্দেশ দেন। মহামান্য হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে ইসি। আপিলে তার মনোনয়ন পত্রটির বিষয়ে সোমবার (৬ মে) নো অর্ডার প্রদান করেন আপিল বিভাগ। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই আদেশের নিমিত্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো। 

জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান গণমাধ্যমে বলেন, নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাচন স্থগিত হওয়ার চিঠি মেইলে পাওয়া গেছে। পরে রাত ১১টার দিকে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও মেঘনা উপজেলায় ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে। নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হলেও বাকি উপজেলার নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।


নাঙ্গলকোট   উপজেলা নির্বাচন   স্থগিত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণকালে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আটক ১১

প্রকাশ: ১০:০০ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগে প্রায় ২৩ লাখ টাকা পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপ্রার্থী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুজ্জামান শাহীনকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তার ১১ জন সহযোগীকেও আটক করা হয়।

পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহীনের ব্যবহৃত একটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার (৬ মে)  দিবাগত রাত ১২টার দিকে সুজানগরের নির্বাচনী এলাকা থেকে তাকে আটক করেন র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা।

তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের সবার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে, আটকদের মধ্যে সুজানগর পৌরসভার ৪ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরও রয়েছেন।

শাহিনুজ্জামান শাহীন এবারের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তিনি সুজানগর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। এছাড়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান বলেন, আগামী ৮ মে সুজানগর উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষ্যে আমাদের নিয়মিত টহল দল চর ভবানীপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনকে দুই ব্যাগ ভর্তি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা ও ১০ সহযোগীসহ আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে জানা গেছে, ভোটারদের নানাভাবে প্রভাবিত করার জন্য টাকাগুলো বিতরণের জন্য রাখা হয়েছিল। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, তিনি এসে ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি জানান, আটকদের র‌্যাবের পাবনা অফিসে নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।


উপজেলা চেয়ারম্যান   নির্বাচন   র‌্যাব   পাবনা   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশ: ০৯:৩৪ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

আগামী ৮ মে ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে In Aid to the Civil Power এর আওতায় ৬ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃংখলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।


উপজেলা   নির্বাচন   আইনশৃঙ্খলা   ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে ভারতে লফার্ম নিয়োগ বাংলাদেশের

প্রকাশ: ১০:০৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

টাঙ্গাইলের শাড়ির জিআই স্বত্ব রক্ষার জন্য আইনি লড়াই করতে ভারতীয় আইনজীবী ফার্ম নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ‘মাসন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’কে ভারতের আদালতে মামলা পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে লিখিতভাবে এ তথ্য জানায় শিল্প মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শতাধিক জিআই পণ্যের তালিকা করে আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা।

সারোওয়াত সিরাজ শুল্কা বলেন, ‘বাংলাদেশের মেধাসত্ত্বের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। বাংলাদেশের জিআই পণ্যের অধিকার রক্ষার জন্য সরকার আইনজীবী ফার্ম ভারতে নিয়োগ করেছে। ‘মাসন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’ নামে একটি ভারতীয় ল ফার্ম বাংলাদেশের টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে ভারতের মাটিতে লড়াই করবে। তারা রেকটিফিশনের জন্য, বাতিল করার জন্য আবেদন করবেন বলে জানতে পেরেছি। এটি আমাদের জন্য একটি বিরাট বিজয়।’

উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সকল জিআই পণ্যের তালিকা করতে সরকারকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ১৯ মার্চের মধ্যে এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।

১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সব জিআই পণ্যের তালিকা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন টাঙ্গাইলের মেয়ে ব্যারিস্টার সারোওয়াত সিরাজ শুক্লা।

এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি ‘টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নয়, দাবি ভারতের’ এমন শিরোনামে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে সরকারের। এ নিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের বলে জানান। পরবর্তীতে ৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়।


টাঙ্গাইল শাড়ি   জিআই পণ্য  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন