ইনসাইড বাংলাদেশ

কুড়িগ্রাম-১ আসনে গণসংযোগে ২, ৩ জনকে চেনে না ভোটাররা

প্রকাশ: ০১:২৬ পিএম, ০৪ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম-১ আসনটিতে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে দু'জন প্রার্থী পথসভাসহ প্রচার প্রচারণার মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অপর দু'জন প্রার্থী চালাচ্ছেন দায়সারা প্রচার প্রচারণা। একজন প্রার্থী এখনো প্রচার প্রচারণা শুরুই করেননি। তিনজন প্রার্থীকে অধিকাংশ ভোটার চেনেনও না।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নাগেশ্বরী উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মোট ভোটার ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪২৯ জন। ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মোট ভোটার ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭৩৪ জন। সংসদ সদস্য হতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী একেএম মোস্তাাফিজুর রহমান মোস্তাক (লাঙ্গল), জাকের পার্টির আব্দুল হাই মাস্টার (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের কাজী লতিফুল কবির রাসেল (ফুলের মালা) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নুর মোহাম্মদ (আম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মনিরুজ্জামান খান ভাসানী (এক তারা) এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ এই আসনে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছে। জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী পথসভা করা সহ ব্যাপক হারে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলেও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী এখনো নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারেন নি। বিএনপির ভোট বর্জন এবং আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেওয়ায় প্রচার প্রচারণায় জাতীয় পার্টি এ আসনে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা এক হয়ে জাপার প্রার্থীর পক্ষে পথসভাসহ নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিতে এবং জাপা প্রার্থীকে জয়ী করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

জাকের পার্টি প্রার্থী আব্দুল হাই নেতা-কর্মীদের নিয়ে তার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই দুই প্রার্থী ছাড়া বাকি প্রার্থীদের নির্বাচনী গণসংযোগ দেখা যাচ্ছেনা। কোনো কোনো প্রার্থী এখনো পোস্টার লাগায় নি।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলার স্থানীয়রা বলেন, জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীরা আমাদের এলাকায় কখনো আসেন নি। তাদেরকে আমরা চিনিও না। নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ, কচাকাটা ও রামখানা ইউনিয়নের স্থানীয়রা বলেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থীকে আমরা দেখিনি।

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী নুর মোহাম্মদ বলেন, আমরা নতুন তাই ভোটাররা আমাদের সেভাবে চেনেন না। পরিচিত হতেই নির্বাচনে এসেছি। জনসভা বা পথসভা করা হয় নি। দুই উপজেলাতে পোস্টার লাগানো হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী মনিরুজ্জামান খান ভাসানী বলেন, ছয়টি সমমনা দল এক হয়ে জোটবদ্ধ ভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। জোটের সিদ্ধান্ত না পাওয়ার কারণে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারিনি। সোমবার ১ জানুয়ারি থেকে পোস্টারিং ও মাইকিং শুরু হবে।

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী কাজী লতিফুল কবির রাসেলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।

জাকের পার্টি প্রার্থী আব্দুল হাই বলেন, জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। ভোটাররা আমাকেই ভোট দেবেন। নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে একাধিক জায়গায় বাঁধার সম্মুখীন হয়েছি। নাগেশ্বরীর হাছনাবাদ ইউনিয়নে আমার নির্বাচনী জনসভায় প্রতিপক্ষ হামলা করেছে।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য একেএম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারীর জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে ৪ বার জাতীয় সংসদে পাঠিয়েছেন। এবারেও তারা আমাকে নির্বাচিত করবেন, ইনশাআল্লাহ।

ভূরুঙ্গামারীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার গোলাম ফেরদৌস বলেন, কুড়িগ্রাম-১ আসনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব রকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম   দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় চান আমলারা

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে চান আমলারা। একই সঙ্গে দেশে অবস্থিত সরকারি এবং এমপিওভুক্ত কলেজে ব্যাপকভাবে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুকরণ বন্ধ করে বিদ্যমান অনার্স ও মাস্টার্স লেভেলে প্রতি বছর নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণ নিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাবও দিয়েছেন তারা।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিবসে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের মুক্ত আলোচনায় এই প্রস্তাব দেন কর্মকর্তারা। এ সময় জনপ্রশাসন মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব এবং সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তাবনায় বলা হয়, সিভিল সার্ভিস অফিসারদের জন্য মাস্টার্স এবং উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণ এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা সিভিল সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত, আহত ২

প্রকাশ: ০৩:৫৫ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে একটি চালকলে ধান সিদ্ধ করার সময় বয়লার বিস্ফোরণে এক শ্রমিকে মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই শ্রমিক। শুক্রবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মেসার্স আজাহার চালকলে এ ঘটনা ঘটে। 

 

নিহত ফজল আলী (২৬) উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার রবিয়াল হোসেনের ছেলে।

 

আহত শ্রমিকরা হলেন, উপজেলার জামতৈল পশ্চিম পাড়ার মৃত পলান শেখের ছেলে জহুরুল শেখ (২৬) এবং কর্ণসূতি পশ্চিম পাড়ার মৃত সুরুত মন্ডলের ছেলে জিন্নাহ মন্ডল (৩০) ।

 

আহত শ্রমিক জহুরুল শেখ জানান, ‘ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে আমি সহ ফজল ও জিন্নাহ আহত হই। আমি আর জিন্নাহ হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে চলে এসেছি আর ফজলের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।’ 

 

জহুরুল আরও জানান, ‘আমি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই চালকলে কাজ করছি। এর মধ্যে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হলেও বয়লার পরিবর্তন করা হয়নি।'

 

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নিহত ফজলের ভাই আসলাম হোসেন জানান, ‘মেসার্স আজাহার চালকলে ধান সিদ্ধ করার এক পর্যায়ে বয়লার বিস্ফোরণে ফজল গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।'

 

মেসার্স আজাহার চালকলের স্বত্বাধিকারী আজাহার আলী রাজা দাবি করেন, ‘গত ছয় মাস আগে বয়লার ও কয়েক দিন আগে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হয়েছে। বয়লার কেন বিস্ফোরণ হলো বুঝতে পারছি না।’ 

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুমনুল হক জানান, ‘বয়লার বিস্ফোরণে আহত তিন জন শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দুই জনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়ে। এদের মধ্যে ফজল নামে একজন শ্রমিকের মুখের অনেকাংশ থেঁতলে গেছে।’

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা জানান, ‘মেসার্স আজাহার চালকলে বয়লার বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।'


বয়লার বিষ্ফোরন   চালকল   শ্রমিক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: স্টেশন মাস্টারসহ বরখাস্ত ৩, তদন্তে ২ কমিটি

প্রকাশ: ০৩:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় স্টেশন মাস্টারসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ মে) গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত বহু

আরও পড়ুন: দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: উদ্ধারে যোগ দিয়েছে বিজিবি

এদিকে ঘটনার পর থেকে জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে অন্তত ৬টি ট্রেন।

জয়দেবপুরের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী মিয়া বলেন, ‘আজ পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল কমিউটার ও তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। রেললাইনের পয়েন্টের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তেলবাহী ট্রেনের পাঁচটি এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। কমিউটার ট্রেনটিতে যাত্রী কম থাকায় হতাহতের সংখ্যা কম। কমিউটার ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ’।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আপঘুন্টি স্টেশন মাস্টার হাশেম ও পয়েন্টসম্যান সাদ্দাম হোসেনসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বগি উদ্ধারের জন্য ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুস সামাদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এরই মধ্যে রেলের সব বগি তল্লাশি করা হয়েছে। তবে ভেতরে কেউ আটকা নেই। ট্রেনের চালক ও সহকারী চালকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, জয়দেবপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিগন্যাল ভুল, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন যাত্রা বিরতি করা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

এরআগে, শুক্রবার (০৩ মে) বেলা ১১টার দিকে জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে যাত্রীবাহী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের সঙ্গে একটি তেলবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, রেল দুর্ঘটনায় দুই ট্রেনের চালক ও সহকারীরা আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া রেল দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে কমলাপুর রেলস্টেশনে আটকা পড়েছেন ৪-৫টি ট্রেনের যাত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে এসে গাজীপুর হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনের আউটার সিগনালে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তবে টাঙ্গাইল কমিউটারে খুব বেশি যাত্রী ছিল না।

একজন উদ্ধারকর্মী জানান, শুক্রবার টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন ট্রেনটি জয়দেবপুর স্টেশনে থামে। আজ বন্ধ থাকায় এটির থ্রোপাস করার কথা। আর অপরদিকে ঢাকা থেকে আসা তেলবাহী ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়ানো ছিল। এখানে আপলাইন ও ডাউনলাইন আছে, কিন্তু কী কারণে ট্রেন দুটি মুখোমুখি হল সে বিষয়ে তদন্তের পর জানা যাবে।

আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

এর আগে, গতকাল রাজবাড়ীতে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ৩ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রেনটি সকালে ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হয়। তখন এ রুটে সব রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। উদ্ধারকারী রিজার্ভ ট্রেন সাড়ে ১০টার দিকে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করে। বর্তমানে রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।

এর আগে সকাল সাড়ে ৭টায় ২ নম্বর রেলগেট এলাকার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন ডিপোতে ঢোকার সময় মালবাহী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে মেইন লাইন ব্লক হয়ে যাওয়ায় রাজবাড়ীর সঙ্গে ঢাকা, রাজবাড়ী-দৌলতদিয়া ও রাজবাড়ী-খুলনা রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে তিন ঘণ্টা পর ট্রেনটি উদ্ধার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রাজবাড়ীর সঙ্গে স্বাভাবিক হয়েছে ট্রেন চলাচল।


দুই ট্রেন সংঘর্ষ   স্টেশন মাস্টার   তদন্তে কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: উদ্ধারে যোগ দিয়েছে বিজিবি

প্রকাশ: ০২:৪৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ পরবর্তী উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে দুই প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঢাকা-জয়দেবপুর রেল সড়কের গাজীপুরের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় মালবাহী ও যাত্রীবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উদ্ধার কাজের সহায়তায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন।

তিনি আরও জানান, টাঙ্গাইল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি আজ (শুক্রবার) বেলা ১১টায় জয়দেবপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি শেষে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে আউটার সিগন্যালে পৌঁছানোর পর লাইন ক্রসিং করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা জয়দেবপুর আউটার সিগন্যালের কাজীবাড়ি ছোট দেওড়া এলাকায় একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

এ ঘটনায় যাত্রীবাহী ট্রেনের চালকসহ আহত ৪জনকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরও আহত থাকতে পারে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।


ট্রেন সংঘর্ষ   বিজিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০১:২১ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাধারণ রোগীদের মতো ১০ টাকার টিকিট কেটে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিজের চোখ পরীক্ষা করিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী ওই হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। তারপর লাইনে দাঁড়িয়ে নিজেই টিকিট সংগ্রহ করেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সাধারণ রোগীদের মতোই নিজের চোখ পরীক্ষা করান। সরকারি হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ঘটনা দেখে উপস্থিত অনেকেই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন