ইনসাইড বাংলাদেশ

মেহেরপুরের গাংনীতে মজুরীর টাকা না পেয়ে দুর্বিষহ জীবন কাটছে ইজিপিপির শ্রমিকদের

প্রকাশ: ০৭:৩২ পিএম, ০৫ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় অতিদরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ শেষ হলেও মজুরির টাকা পাচ্ছেন না দুই হাজার ৬৩১ জন শ্রমিক। এতে তাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। মজুরি বাবদ চার কোটি ২০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা প্রাপ্য রয়েছে শ্রমিকদের।

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের ৩৩৫ জন, তেতুঁলবাড়িয়া ২৮৬ জন, বামন্দী ২৫২ জন, মটমুড়া ৪০৭ জন, ষোলটাকা ২৩৪ জন, কাথুলী ২৪৩ জন , ধানখোলা ৪৪৬ জন, রাইপুর ২০২ জন, সাহারবাটি ২২৬ জনসহ মোট ২৬৩১ জন তালিকাভুক্ত শ্রমিক রয়েছেন। গত ১১ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারী পর্যন্ত ৪০০ টাকা দিনহাজিরা চুক্তিতে কাজ করেছেন তারা। বিধিমোতাবেক তালিকাভুক্ত এসব শ্রমিকের মজুরির টাকা প্রতি সপ্তাহে তাদের মুঠোফোনে আসার কথা। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পরেও, কাজেরএকদিনেরও মজুরি পাননি শ্রমিকরা।

 

ষোলটাকা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের শ্রমিক আইয়ুব আলী জানান, তার মজুরীর টাকায় সংসার চলে। সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে গরু কেনা হয়েছে। সাপ্তাহিক কিস্তি দিতে হয়। কিন্তু এ টাকা না পাওয়ায় নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। একই কথা জানালেন শিমুলতলার শ্রমিক হাফিজুল ইসলাম ও কালাম। তারা একদিনেরও মজুরী পান নি। নারী শ্রমিক হালেজান নেছা জানান, তিনি বিধবা। এ কাজের টাকা দিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি প্রতিবন্ধী মেয়ের চিকিৎসা করান তিনি। কিন্তু টাকা না পাওয়ার তার দুর্দিন।

 

এ ঘটনায় চেয়ারম্যানরা বলেন, কাজ শেষ হওয়ার পরও মজুরির টাকা না পাওয়ায় প্রতিদিন শ্রমিকদের কষ্টের কথা শুনতে হচ্ছে। হতদরিদ্র শ্রমিকেরা তাঁদের মজুরির টাকার ওপর নির্ভর করে সংসার চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কিস্তির টাকা দিয়ে থাকে। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পরও মজুরির টাকা না পেয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছেন তারা। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পিআইও কে জানানোর পরও কোন সুরাহা হয়নি।

 

জানতে চাইলে পিআইও অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আলীমুল রেজা জানান, শ্রমিকদের মজুরির টাকা পাচ্ছেন না এটা বেশ কষ্টকর। ৪০ দিনের কাজের মধ্যে ২০ দিনের বিল করে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আজো আসেনি। বারবার তাগিদ দেয়ার পরও কিছু হচ্ছে না। অথচ শ্রমিক মেম্বর ও চেয়ারম্যানগণ নানাভাবে প্রেসার দিচ্ছেন।

গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জণ চক্রবর্তী বলেন, শ্রমিকদের বিল সাবমিট করে পাঠানো হয়েছে দুই সপ্তাহ আগে। সারা বাংলাদেশে একই অবস্থা।


মেহেরপুর   গাংনি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য’

প্রকাশ: ১০:২২ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, তারাই হবে জাতির কর্ণধার ও দেশগড়ার কারিগর। সাইবার বুলিং, সাইবার হ্যারেজমেন্ট, আনইথিক্যাল কন্টেন্ট, হ্যাকিং, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, র‍্যানসমওয়্যার ইত্যাদি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আজকের ছাত্র-ছাত্রীরাই আগামীতে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘স্টুডেন্টস এনগেজমেন্ট টু কমব্যাট সাইবারক্রাইম’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯১ জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ৫৩ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ জন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ জন ও গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনসহ মোট ২৪৭ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপস বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (পদোন্নতিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি) তৌহিদুল ইসলাম, ডিজিটাল ফরেনসিক বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল ফরেনসিক বিভাগের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল হক, প্রশ্নোত্তর পর্বে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন আইএনটিআই ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার সহযোগী অধ্যাপক ড. খান সরফরাজ আলী। সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন ও ফরেনসিক) তানভীর হায়দার চৌধুরী সভাপতি হিসেবে সমাপনী বক্তব্য দেন।

তরুণ প্রজন্ম তথা শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে সাইবার অপরাধ নিবারণে সক্রিয় হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সিআইডির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

সেমিনারের প্রশ্নোত্তর ও উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে তরুণ শিক্ষার্থীরা প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা সাইবার অপরাধ সম্পর্কে নিজেদের সমৃদ্ধ করেন ও তাদের মতামত প্রকাশ করেন। সেমিনার শেষে প্রধান অতিথি অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীরা সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবগুলো পরিদর্শন করেন।

সেমিনারে সোশ্যাল মিডিয়াসহ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে নানা ধরনের জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ, সাইবার অপরাধ, সাইবার চাঁদাবাজি, মাদক পাচার, অর্থ পাচার, নানা ধরনের প্রতারণার ফাঁদ ও হ্যাকিং নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সিআইডির পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, তথ্য শেয়ারিং ও নিজ নিজ জায়গা থেকে চেঞ্জ মেকার হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।


সিআইডি   অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রতিদ্বন্দ্বীর এজেন্টদের হুমকি, আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকলে হাত-দাঁত ও চাপার হাড্ডি ভেঙে যমুনা নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দাতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাইদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে দুজন কর্মী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি উস্কানিমূলক ও হুমকিস্বরূপ। যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে হুমকিদাতা দুজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার দুপুরে পুলিশ সাইদুল হাসান সাইদ ও খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়কে গ্রেফতার করে।


এজেন্ট   হুমকি   আওয়ামী লীগ   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত

প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। যেসব দেশে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে, সেসব দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলঙ্কা। তবে কোন দেশে কী পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির ভোক্তা, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের বছর তুলনায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দেশটিতে খরিপ ও রবিশস্যের উৎপাদন কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ কিছু দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে ভারতের সরকার নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  

দেশটির এই সংবাদমাধ্যম বলছে, রপ্তানির জন্য দেশীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা হবে। ভারতের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদন ও রপ্তানির প্রধান সরবরাহকারী মহারাষ্ট্র প্রদেশ। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ভারতেও পেঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

এর আগে, গত ১ মার্চ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করার কথা জানানো হয়।

ওই সময় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তরের (ডিজিএফটি) (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোক্তা বিষয়কবিভাগের সাথে পরামর্শ করে পেঁয়াজ রপ্তানির রূপরেখা তৈরি করবে এনসিইএল।

বিশ্ব বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত। গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটি।

রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে দেশটির সরকার প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। ওই সময় দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘‘দেশের বাজারে সরবরাহ বৃৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।’’

তারপরও আশানুরূপ ফল না মেলায় পেঁয়াজের রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে ভারত। সেসময় বলা হয়, পেঁয়াজ রপ্তানির এই নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। দেশটির সরকার গত বছরের অক্টোবরে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে খুচরা বাজারে ভর্তুকি দিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ রূপিতে বিক্রির লক্ষ্যে মজুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারতের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পে*য়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। সেই সময় নতুন এই মূল্যসীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।

গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৪ আগস্টের মাঝে দেশটি থেকে ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়। বিশ্বে ভারতের পেঁয়াজের শীর্ষ তিন রপ্তানি গন্তব্য বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।


বাংলাদেশ   পেঁয়াজ রপ্তানি   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কিশোর গ্যাং নেতাকে হত্যা করল আরেক গ্যাংয়ের সদস্যরা

প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের পটিয়ায় রাজু হোসেন নামে এক কিশোর গ্যাং নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে আরেক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় উপজেলার সুচক্রদন্ডী পল্লী মঙ্গল সমিতির কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোর গ্যাং নেতা রাজু হোসেন রাসেল পটিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দীন

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং নেতা জুয়েল চৌধুরী জুলু ও তার সঙ্গীরা ডেকে নিয়ে অপর কিশোর গ্যাং নেতা রাজুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে।

ওসি জসীম উদ্দীন বলেন, হত্যাকারী জুয়েল চৌধুরী জুলুর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। আর নিহত রাজু এর আগে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়। সেই থেকে তাকে গুলি রাজু বলেই সবাই চিনে।

পৌরসভার কাউন্সিলর প্রকৌশলী রূপক সেন বলেন, এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতের বিষয়ে আমি স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুয়েকটি অভিযান হলেও তাদের দাপট কমেনি। ফলে এলাকার মানুষ নিরাপত্তাহীন ছিল।


কিশোর গ্যাং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মৌলভীবাজারে কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে বিধ্বস্ত বাড়িঘর

প্রকাশ: ০৮:২০ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে গেছে, বিভিন্ন স্থানে ভেঙেছে বিদ্যুতের খুঁটি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে এই ঝড় বয়ে যায়। এতে উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে দেখা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ-বাঁশ ঘরের ওপরে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এ ছাড়া উপজেলার অপর ইউনিয়নেও বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

পতনঊষার ইউনিয়নের ময়নুল মিয়া, কুশবা বেগম, লিপি বেগম, রহমান মিয়া, সুফিয়ান মিয়া, কালাম মিয়া, আনু মিয়া, ফখরুল মিয়াসহ উপজেলার অর্ধশতাধিক ব্যক্তির ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, রাত ৩টার দিকে কালবৈশাখীর সঙ্গে প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হয়। মুহূর্তের মধ্যে বিভিন্ন ঘর একেবারে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

পতনঊষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, ‘রাতে কালবৈশাখীতে আমার ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।’

শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ের বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে দেওয়ার জন্য। দ্রুত সময়ে তাদের সহযোগিতা করা হবে।’

মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক গোলাম ফারুক মীর বলেন, ‘ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি খুঁটি ভেঙে গেছে এবং তার ছিঁড়ে গেছে। বিদ্যুতের সরবরাহ আংশিক চালু রাখা হয়েছে। পুরোপুরি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।’


কালবৈশাখী   শিলাবৃষ্টি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন