টানা অষ্টমবারের মতো ভোটে জিতে নির্বাচিত হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসলে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি। গোপালগঞ্জ-৩ আসনে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এক হাজার ভোটও পাননি। এই আসনে শেখ আবুল কালাম নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পেয়েছেন ৪৬৯ ভোট। সবগুলো কেন্দ্রের ফলাফলে টানা অষ্টমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা।
জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আওয়ামী
লীগের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে রোল মডেলে
পরিচিত করার কুশলীও তিনি। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র খেতাব উড়িয়ে দিয়ে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে আগামী
২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ তৈরির কারিগর এই নেত্রী।
১৯৭৫ সালের
১৫ আগস্ট গোটা পরিবার হত্যাকান্ডের শিকার হলেও শেখ হাসিনার কখনো দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা
কমেনি। এরপর দীর্ঘ সময় পার করে দেশের আওয়ামী লীগের রাজনীতির হাল ধরেন তিনি। ২০০৭ সালে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলা-গ্রেপ্তারও হন শেখ হাসিনা। কিন্তু, থেমে থাকেননি।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পর জয়ের মাধ্যমে শুরু হয় মহা উন্নয়নযজ্ঞ। এরপর টানা ক্ষমতায়
থেকে দেশের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে সরকার, যার কৃতিত্ব শেখ
হাসিনার।
দেশীয় উৎপাদন
বৃদ্ধি, অবকাঠামোর উন্নয়ন, রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ ও পাকাকরণ, শিক্ষা, চিকিৎসায় আমূল
পরিবর্তন এসেছে, উন্নতি হয়েছে। অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে রেমিটেন্সে প্রণোদনা, পোশাকখাতে
উন্নয়ন, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় কঠোর হস্তে কাজ করে চলেছেন শেখ হাসিনা। যুদ্ধাপরাধীদের
বিচার, জঙ্গীবাদ দমন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কারণে এসব নেতিবাচক প্রভাব
গত দেড় দশকেও চাড়া দিতে পারেনি। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রেরণ, নারীর ক্ষমতায়ন,
সরকারি সেবা ডিজিটালাইজেশন, গ্রামীন পরিবেশেও শহুরে সেবা নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ
তথা শেখ হাসিনা। সভাপতি হিসেবে নেতৃত্বে থাকায় আওয়ামী লীগের পুরো অংশই শেখ হাসিনার
ওপর নির্ভরশীল।
মুক্তিযুদ্ধের
পক্ষে থাকা দল আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পর্যন্ত নিজের
তত্ত্বাবধানে দেখভাল করেন শেখ হাসিনা নিজেই। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অনেক বড় বড়
নেতাকেও অপসারণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে যে সংগঠন চলে সেখানে দেশ তথা দেশের মানুষের
সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিতেও বদ্ধপরিকর আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা।
গত তিনবার ক্ষমতায়
থেকে শেখ হাসিনা পৃথিবীর বুকে নতুন করে বাংলাদেশকে চিনিয়েছেন। মেগাসিটি ঢাকায় মেট্রোরেল,
চট্টগ্রামে কর্ণফুলি টানেল, রূপপরে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (চলমান) তার হাতেই গড়ে
উঠেছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এর প্রক্রিয়াও চলমান।
প্রমত্তা পদ্মার
বুকে ৬ কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের পদ্মাসেতু তৈরি ছিল স্বপ্ন। কিন্তু, সকল অপবাদ উড়িয়ে
দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরির সাহস একমাত্র শেখ হাসিনাকে দিয়েই সম্ভব হয়েছে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে সহিংসতার পরিমান শূণ্যের কোটায়
নামিয়ে এনেছেন শেখ হাসিনা। তার দার্শনিক নেতৃত্বেই দেশের ভবিষ্যত উজ্জ্বল; এ কথা বিজ্ঞজনেরাও
স্বীকার করেন।
বিচ্ছিন্ন কিছু
বিষয় বা ঘটনা ছাড়া গত তিনবার ক্ষমতায় থাকা দলটি দেশের আমূল পরিবর্তন করে উন্নয়নের মহাসড়কে
ধাবমান। এবার ক্ষমতায় গেলে শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ কিছু দায়িত্ব পূর্ণ করতে হবে।
এর প্রথমটিই হচ্ছে, দুর্নীতি বন্ধ করা। ব্যাংকিং কিংবা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন
করা। একচেটিয়া ব্যবসা বা সিন্ডিকেট বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা। বাজার ব্যবস্থাপনা
সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। প্রান্তিক পর্যায়ের প্রতিটি কৃষক এবং ভোক্তার যোগসাজস নিশ্চিত
করা। চাঁদাবাজ, দালাল-ফরিয়া কিংবা মধ্যসত্বভোগীদের উৎপাত বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ
করা ইত্যাদি। সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণে এগুলোই এখন প্রধান বাধা। চতুর্থবার ক্ষমতায়
আসীন হয়ে উক্ত বিষয়গুলো বঙ্গবন্ধু কন্যা অধিক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন বলেই দেশবাসী
বিশ্বাস করে। কারণ, শেখ হাসিনা অপরাজেয়, অপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং অপ্রতিরোধ্য।
মন্তব্য করুন
নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড স্লেটন মিল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার ডি হাসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ডেভিড স্লেটন মিল। আর নতুন এই রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ মনোনয়নকে আমরা স্বাগত জানাই। মাস দেড়েক আগে এ বিষয়টা আমাদের জানানো হয়েছে। এখন তারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। আশা করছি— নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশে মানবাধিকার অনেক দেশের চেয়ে ভালো। বিশ্বের কোনো দেশেই মানবাধিকার আদর্শ অবস্থানে নেই।
হাছান মাহমুদ বলেন, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যুক্তরাষ্ট্র পুলিশ যেভাবে দমন করছে, সেটি আমরা টিভির পর্দায় দেখছি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নাগরিক আন্দোলনকে কীভাবে পুলিশ দমন করছে, সেটিও আমরা দেখছি।
তিনি বলেন, সব দেশের উচিত মানবাধিকার উন্নয়নে একযোগে কাজ করা। আমরাও আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মানবাধিকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জুলাই থেকে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন কূটনীতিক মিল। মিনিস্টার কাউন্সেলর হিসেবে ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটনের ফরেইন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড মিল।
ডেভিড মিল বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
মন্তব্য করুন
মন্ত্রী-এমপি ফেসবুক আইডি ভেরিফায়েড আইডি
মন্তব্য করুন
শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে পিটার ডি হাসের অধ্যায়। বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এখন এটি সিনেটের অনুমোদন হলে ডেভিড মিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে আবির্ভূত হবেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিচ্ছেন পিটার ডি হাস। অর্থাৎ এটি সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে মার্কিন নীতি অনুসরণ করছিল সেই নীতিতে পরিবর্তন আসছে। নিশ্চয়ই ডেভিড মিল একটি নতুন মিশন নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। আর এ কারণেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে নেওয়া হল পিটার ডি হাসকে।
প্রশ্ন উঠেছে যে, নতুন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে মার্কিন নীতির কী পরিবর্তন করবেন, তার নীতি কী ধরনের হবে? একজন রাষ্ট্রদূতকে যখন মনোনয়ন দেওয়া হয় তখন প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওই দেশে তাদের পররাষ্ট্রনীতির কৌশলপত্র চূড়ান্ত করে। আর ওই কৌশল বাস্তবায়নের জন্য যাকে যোগ্য মনে করা হয় তাকে মনোনয়ন দেয়।
পিটার ডি হাসকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি, বাংলাদেশের র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি সুস্পষ্ট চাপ দিচ্ছিল। এই চাপকে আরও বাড়ানোর জন্যই পিটার ডি হাস বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার দায়িত্ব পালনকালে সুস্পষ্টভাবে তিনি তার অবস্থান প্রকাশ করেছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব দেখানোর লক্ষ্যেই নির্বাচন নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের দৌড়ঝাঁপ করেছিলেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় প্রকাশ্য অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিটার ডি হাস মিশন ব্যর্থ হয়েছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বার্তাও দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পিটার ডি হাসের সরে যাওয়াটা ছিল অবধারিত। অবশেষে সেটাই ঘটল।
এখন ডেভিড মিল বাংলাদেশে কী করবেন? প্রথমত, ডেভিড মিলের কূটনৈতিক ক্যারিয়ার যদি আমরা পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখব যে, তার কূটনৈতিক ক্যারিয়ার বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দেয়। একই সাথে বাংলাদেশে চীনকে মোকাবেলা করার জন্য মার্কিন কৌশলেরও একটি ইঙ্গিত বহন করে। ডেভিড মিল বাংলাদেশে উপ-রাষ্ট্রদূত হিসাবে বা ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কাজেই বাংলাদেশ তার পরিচিত। বাংলাদেশের রাজনীতি, বাংলাদেশের মানুষের মন মানসিকতা এবং বাংলাদেশে কীভাবে কাজ আদায় করতে হয় ইত্যাদি কলাকৌশল সম্পর্কে তাকে নতুন করে শিখতে হবে না। এটি ডেভিড মিলের জন্য একটি ইতিবাচক দিক। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এটি বিবেচনা করেই সম্ভবত ডেভিড মিলকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, ডেভিড মিল এখন এই মুহূর্তে চীনের বেজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মার্কিন-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার জন্য কাজ করেছেন। শুধু তাই নয়, ডেভিড মিল চীনের রাজনীতি এবং চীনের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে অনেক পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ ধারণা রাখেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়গুলোতে অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ চীনের উপর অর্থনৈতিকভাবে অনেকখানি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। আর এর প্রেক্ষিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছেন যিনি চীনের রাজনীতির অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্বের একটি বড় বিষয় হল, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশি মাখামাখির সম্পর্ক। আর এ কারণেই চীনের কূটনীতিতে অভিজ্ঞ এবং চীনের কূটনীতি অলিগলি চেনা ডেভিড মিলকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
ডেভিড মিলের নিয়োগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি বার্তা সুস্পষ্ট হয়েছে। তা হল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক, বিশেষ করে অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও প্রসারিত করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য বাংলাদেশ সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং বাংলাদেশে কাজ করা একজন ব্যক্তিকে পাঠানো হয়েছে। তৃতীয়ত বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের লাগাম টেনে ধরতে পারে এজন্য চীনের কূটনীতি সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে এমন একজন কূটনৈতিককে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। এখন দেখা যাক, ডেভিড মিলের বাংলাদেশ মিশন কতটুকু সফল হয়।
ডেভিড মিল বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতি
মন্তব্য করুন
ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার বন্ধে মন্ত্রী-এমপিদের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার জন্য পাঠালে আমরা ফেরিফাই করে দেবো। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।
শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে পিটার ডি হাসের অধ্যায়। বাংলাদেশে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলের নাম মনোনয়ন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এখন এটি সিনেটের অনুমোদন হলে ডেভিড মিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে আবির্ভূত হবেন। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিচ্ছেন পিটার ডি হাস। অর্থাৎ এটি সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে যে মার্কিন নীতি অনুসরণ করছিল সেই নীতিতে পরিবর্তন আসছে। নিশ্চয়ই ডেভিড মিল একটি নতুন মিশন নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। আর এ কারণেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরিয়ে নেওয়া হল পিটার ডি হাসকে।