আওয়ামী
লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা বলেছেন, ‘৭৫ এর পর
থেকে যত নির্বাচন আমরা
দেখেছি, তার মধ্যে সবচেয়ে
সুশৃঙ্খল এবং অবাধ, নিরপেক্ষ,
সুষ্ঠু, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ৭
জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার
(৭ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন
তিনি।
শেখ
হাসিনা বলেন, বিএনপি এবার নির্বাচন হতেই
দেবে না। তাদের লক্ষ্য
ছিল নির্বাচন হতে দেবে না।
তাদের কিছু মুরুব্বি আছে
তারাও সেই পরামর্শ দেয়।
এমন অবস্থা সৃষ্টি করবে যাতে নির্বাচন
না হয় কিন্তু বাংলাদেশের
মানুষকে তারা চিনে নাই।
’৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির
পিতা বলেছিলেন, কেউ দাবায় রাখতে
পারবা না। ৭ জানুয়ারির
নির্বাচনে এ দেশের মানুষ
এটাই প্রমাণ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে
ধ্বংস করা হয়। স্বাধীনতায়
লাখো শহীদের যে অবদান, সেটাই
ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা
হয়। ইতিহাস বিকৃতি করা হয়। এটাই
হচ্ছে জাতির সবচেয়ে দুর্ভাগ্য।
তিনি
বলেন, ’৭৫ এর পর
নির্বাচন মানে কি আমি
দেখেছি, নির্বাচন নামেই নির্বাচন। ভোট চুরি, ভোট
ডাকাতি, ভোটার লিস্টে মিথ্যা নাম দেওয়া, সংবিধান
লঙ্ঘন করে, সেনা আইন
লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতায়
ছিল তাদের পকেট থেকে রাজনৈতিক
দল বের হতো, এই
দল মাটি মানুষের কথা
বলে না। ক্ষমতার উচ্চ
আসনে বসে গঠিত রাজনৈতিক
দল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই দল
না। আওয়ামী লীগ হচ্ছে মানুষের
অধিকারের কথা বলার জন্য,
যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল
না তখনই আওয়ামী লীগের
সৃষ্টি। জনগণের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে, জনগণের অধিকার রক্ষায় আওয়ামী লীগের সৃষ্টি। সৃষ্টির শুরু থেকে আওয়ামী
লীগ জনগণের স্বার্থে কাজ করে গেছে।
দেশের
জনগণকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,
মুষ্টিমেয় খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের
দল ছাড়া এ দেশে সব
মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। সুষ্ঠু
নির্বাচন হয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এত দলের মধ্যে
দুই-চারটা দল অংশগ্রহণ না
করলে কিছু আসে যায়
না। জনগণ অংশগ্রহণ করছে
কি না, সেটাই সবচেয়ে
বড় কথা। এ নির্বাচনের
স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণ অংশগ্রহণ করেছে।
নির্বাচন
কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, অত্যন্ত
কঠোরভাবে শৃঙ্খলা রক্ষা করে তারা নির্বাচন
করেছেন। সুশৃঙ্খল নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য আমাদের
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যারা জড়িত সবাইকে
আমার আন্তরিক অভিনন্দন। এ ধরনের চমৎকার
নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য সবাইকে অভিনন্দন
জানাই। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা
থাকবে।
নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী গণভবন সাক্ষাৎ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
হেফাজতে ইসলাম মাওলানা মামুনুল হক
মন্তব্য করুন
উন্মুক্ত কারাগার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগনে। ছোট ভাই শাহদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগনে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।