ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কারা হচ্ছেন?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১০ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

২০০৯ এর নির্বাচনের পর থেকেই সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ২০০৮ এর নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি যে সরকার গঠন করে সেখানে একটি শক্তিশালী উপদেষ্টামণ্ডলী গঠন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টারা মন্ত্রীর মর্যাদায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে মন্ত্রীদের চেয়ে তারা বেশি ক্ষমতাবান ছিলেন। সেই সময়ে এইচ টি ইমাম, আলাউদ্দিন আহম্মদ, সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, তৌফিক-ই-ইলাহীর মতো ব্যক্তিত্বরা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে সরকারের নীতিনির্ধারকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। অনেক সময় তারাই সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে ভূমিকা রাখতেন। 

এই উপদেষ্টামণ্ডলীর ২০১৪ সালে নির্বাচনের পরে অনেকটাই কমে যায়। সেসময় মন্ত্রিসভায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রাধান্য থাকার কারণে উপদেষ্টামণ্ডলীর ক্ষমতা খর্ব হয়ে যায়। তখন এইচ টি ইমাম জনপ্রশাসন উপদেষ্টা থেকে রাজনৈতিক উপদেষ্টায় আসেন। আলাউদ্দিন আহম্মদ এবং সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ড. মসিউর রহমান, গওহর রিজভী সহ যে উপদেষ্টারা ছিলেন তারা বেশ ম্রিয়মান ছিলেন।

২০১৮ সালে উপদেষ্টাদের সপ্রতিভ দেখা যায়নি। বরং সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকাররি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকর ছাড়া কেউই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেননি। ড. মসিউর রহমান এবং গওহর রিজভী পুরো পাঁচ বছর নিষ্ক্রিয় ছিলেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীকে মাঝে মাঝে সরব দেখা গেলেও অধিকাংশ সময় তিনি ছিলেন পাদপ্রদীপের আড়ালে। 

এবার উপদেষ্টামণ্ডলী নিয়ে নানা রকম আলাপ আলোচনা হচ্ছে। মন্ত্রিসভা গঠনের পাশাপাশি উপদেষ্টামণ্ডলীতে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ আসতে পারেন এমন আলোচনা শোনা যাচ্ছে। এই আলাপ আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে আজ কবির বিন আনোয়ারের আওয়ামী লীগে আনুষ্ঠানিক যোগদানের মধ্য দিয়েঅ তিনি এতদিন পিএলআরে ছিলেন। এই কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারেননি। তবে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আর এবার উপদেষ্টামণ্ডলীতে কবির বিন আনোয়ার অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হতে পারেন এমন আলাপ আলোচনার গুঞ্জন রয়েছে। অবশ্য একই পদে কাজী জাফরউল্লাহর কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বিভিন্ন সূত্র বলছে কাজী জাফরউল্লাহ যেহেতু নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন এজন্য তাকে উপদেষ্টা করা নাও হতে পারে। বরং তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসাবেই থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মণ্ডলীতে আরও দু একজন নতুন মুখ এবং চমক আসতে পারে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকী, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ দায়িত্ব অব্যাহত রাখবেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী আর থাকছেন না বলেই জানা গেছে। তার বদলে প্রধানমন্ত্রী অন্য কাউকে হয়তো পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা করতে পারেন। তবে সেটি কে হবেন তা নিয়ে নানামুখী আলোচনা থাকলে কোন নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। 

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের থাকা নিয়েও সংশয় এবং সন্দেহ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ড. মসিউর রহমান যদি উপদেষ্টা হিসাবে না থাকেন তাহলে তার স্থানে ড. ফরাসউদ্দিন কিংবা অর্থনীতিবিদ কাউকে অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী তার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে পারেন বলেও বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান থাকবেন কি না তা নিশ্চিত জানা যায়নি। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে, সালমান এফ রহমানের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে এমন গুঞ্জন রয়েছে। শেষ পর্যন্ত যদি তিনি মন্ত্রী হন তাহলে হয়তো তাকে আর উপদেষ্টামণ্ডলীতে নাও দেখা যেতে পারে।


প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা   মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডোনাল্ড লু’র সফর নিয়ে রাজনীতিতে নতুন আলোচনা

প্রকাশ: ০৮:০৯ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এদিন সকালে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো থেকে তার ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। কূটনৈতিক সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

জানা গেছে, সফরে ডোনাল্ড লু ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন। তবে মজার ব্যাপার হল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লুর সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। তবে লু’র সফরকে এবার পাত্তা দিচ্ছে না বিএনপি। দলটির মহাসচিব বলছেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। তবে আওয়ামী লীগ বলছে, দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে এ সফর গুরুত্বপূর্ণ।

গত বছর লু’র ঢাকা সফর ছিল আলোচনার শীর্ষে। তার এবং ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নানা পদক্ষেপ ও দৌড়াদৌড়ি ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই ডোনাল্ড লু যখন আবার ঢাকায় পা রাখতে যাচ্ছেন তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। তাঁর এই সফর নিয়ে রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মন্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

সরকারের সূত্রগুলো বলছে, নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর লু’র প্রথম সফর হবে এটা। তার আসার সেটাই উদ্দেশ্য। নির্বাচনের আগে যে চিত্র ছিল এখনকার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। স্থিতিশীল একটি সরকার। সরকার রেগুলার কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।সব দেশ এখন বাংলাদেশের সঙ্গে এনগেজড হচ্ছে।

জানা গেছে, ঢাকা সফরের প্রথম দিন রাতে ডোনাল্ড লু প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নৈশভোজে যোগ দেবেন। সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার (১৫ মে) তিনি পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন।

এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। ৩ দিনের এ সফরে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময়ের কথা রয়েছে তার।


ডোনাল্ড লু   সফর   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

পরীক্ষার ফলাফলে কেন ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে?

প্রকাশ: ০৮:০৩ এএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

একটি জাতির মেরুদণ্ড হল শিক্ষা। যা কিনা জাতি গঠনের প্রধান উপাদান। স্বমহিমায় নিজেদের উদ্ভাসিত করতে কেবল শিক্ষত জাতিই পারে। বিবেকবান মানুষ, সুনাগরিক, কর্তব্যপরায়ণ, দায়িত্ববান ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে শিক্ষার বিকল্প নেই। সে জন্য প্রয়োজন শিশুকাল থেকেই শিক্ষা অর্জন। স্কুল-কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য পারি দেন বিদেশে। শিক্ষার সূচনা পরিবারের থেকে হলেও জ্ঞান অর্জনের বাল্যকালের বিশষ ধাপ মনে করা হয় প্রাইমারি থেকে এসএসসি পর্যন্ত। আর এই এসএসসি পরিক্ষার ফলাফলে চলতি বছরে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাসের গড় হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪। যা গতবারের (২০২৩ সালে) চেয়ে পাসের হার বেড়েছে। গেল পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। কিন্তু এবারের এসএসসি তে মোট পাসের হারের মধ্যে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৪.৪৭ আর অন্যদিকে ছাত্রদের পাসের হার ৮১.৫৭ শতাংশ। এর নেপথ্যের কারণ কি? কেনইবা ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পাসের হার এগিয়ে?

রোববার (১২ মে) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এক সংবাদে সম্মেলনে পরিক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা কম দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কেন ছেলেরা পিছিয়ে তা জানতে শিক্ষা বোর্ড প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ অনুযায়ী এসএসসি ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা কেন এগিয়ে তার কিছু সুনির্দিষ্ট দিক থেকে শিক্ষার্থীদের বেড়ে উঠা, তাদের প্রতি পরিবারে দায়িত্ব ইত্যাদি নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি যে..

সাধারণত পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছেলেদের পিছিয়ে পড়ার পেছনে মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাত্রাতিরিক্ত সময় ব্যয় করা প্রধানত দায়ী হতে পারে। ছেলেরা বাইরে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি বাসায় ফিরে মোবাইল ফোনে ডুবে যাচ্ছে। স্কুলপড়ুয়ারা অতি মাত্রায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করায় পড়ালেখায় মনোযোগী হতে পারছে না। এমনকি  ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা মোবাইল ফোন ব্যবহারের বেশি সুযোগ পাচ্ছে। পাশাপাশি কিশোর অপরাধে জড়িয়ে পড়াও ছেলেদের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। ছাত্রীদের মধ্যে তারা পড়াশোনায় বেশি আগ্রহ দেখছেন। আর ছেলে সন্তানদের চেয়ে মেয়েরা পড়াশোনায় আগ্রহী হয়ে ওঠায় তাদের পড়াশোনায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বাবা-মাও। এমনকি মেয়েদের লেখাপড়ায় অভিভাবকরা বেশি ব্যয় করতেও দ্বিধা করছেন না।

সচেতন মহল মনে করছেন, স্কুলপড়ুয়া ছেলেটার হাতে বাবা-মা মোবাইল তুলে দিচ্ছে। কিন্তু মেয়েটার হাতে দিচ্ছে না। হয়তো অন্য কোনো চিন্তা থেকে দিচ্ছে না। তাতে মেয়েটা পড়াশোনায় মনোযোগ দিচ্ছে। আর ছেলেটা ফেসবুক, গেমিংয়ে সেটা ব্যবহার করছে। এভাবে ছেলেরা পড়ালেখায় ক্রমে চরম অমনোযোগী হয়ে পড়ছে।’ অতি মাত্রায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে।

মেয়েরা কেন এগিয়ে 

মেয়েরা পড়ালেখায় মনোযোগি হতে পারে কারণ তারা আগ্রহশীল, সাহায্যকারী, মনোযোগী, এবং সমর্থনশীল হতে পারেন। তাদের প্রকৃতি বিশেষভাবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে উত্সাহী এবং অনুশাসিত হয়। মেয়েদের পড়ালেখায় মনোযোগের আরও  কিছু কারণ হতে পারে, যেমন..

সামাজিক প্রতিফলন: সাধারণ সমাজে শিক্ষার প্রতিফলন মেয়েদের হাতেই। তাই তারা নিজেকে সমাজের মধ্যে সাবাস করার জন্য শিক্ষালোভী হতে চায়।

প্রতিযোগিতামূলক: মেয়েদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষার আগ্রহ অনেক। আর তাই তারা শিক্ষা অর্জন ও পড়াশোনার মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে।

সামর্থ্য ও উদারতা: মেয়েদের অনেকে সামর্থ্য ও উদারতা দেখানোর চাপে থাকে, যা তাদের পড়ালেখায় মনোযোগিতা বৃদ্ধি করে।

পরিবারের সমর্থন: পরিবারের সদস্যরা মেয়েদের উত্সাহ দিয়ে পড়ালেখায় মনোযোগিতা বৃদ্ধি করে। এতে করে মেয়েদের ফলাফল আসে সাফল্যের।

এছাড়াও সম্পূর্ণ সমাজে মেয়েদের উপলব্ধি ও প্রতিযোগিতামূলক স্বাধীনতা দেওয়া উচিত, যা তাদের পড়ালেখায় আরও মনোযোগিতা বৃদ্ধি করে। এই সমস্ত কিছু কারণে মেয়েদের পড়ালেখায় মনোযোগিতা বৃদ্ধি হয় তার তাই তারা পরিক্ষার ফলাফলে অর্জন করে সাফল্য।

সাধারণত আদর্শ ছাত্রের বৈশিষ্ট্য হিসেবে আমরা জানি: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত থাকা, নিয়মিত পড়াশোনা করা, সহপাঠদের (জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণী নির্বেশেষে) সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা, নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলা, মাদক থেকে দূরে থাকা, প্রলোভন থেকে বিরত থাকা, এমনকি সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকা।

যা করা উচিৎ

সম্প্রসারণ ও সমর্থন: পরিবারের সদস্যরা ছাত্রদের শিক্ষামূলক প্রক্রিয়ার সমর্থক করতে হবে এবং তাদের পক্ষ থেকে প্রশংসা ও সমর্থন প্রদান করতে হবে।

প্রোত্সাহন ও সমর্থন: পারিবারিক সদস্যরা ছাত্রদের এমন কার্যকলাপে উৎসাহিত করতে হবে যা ছাত্রদের শিক্ষামূলক ও ব্যক্তিগত উন্নতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ছাত্রদের প্রেরণা ও মনোনিবেশ: ছাত্র প্রোত্সাহন ও প্রেরণা প্রদানের মাধ্যমে তারা উচ্চ লক্ষ্য স্থাপন করতে পারে এবং নিজেদের উন্নতিতে মনোনিবেশ করতে পারে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ:

এছাড়া ছাত্র-ছাত্রী উভয়কেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন ক্যারিয়ার প্লানিং, দারিদ্র্য সহায়তা, নৈতিক শিক্ষা, ব্যক্তিগত উন্নতি ইত্যাদির জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। কেননা পারিবারিক শিক্ষাব্যবস্থা সামাজিক, মানসিক ও ব্যাক্তিগত উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি ছাত্র-ছাত্রীদের সুস্থ ও সমৃদ্ধ রেখে তাদের পড়ালেখা করতে উৎসাহিত করে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরে মেধা বৃদ্ধি হতে পড়াশোনায় মনোযোগি হবে। এবংকি পরিক্ষার ফলাফল অগ্রগতি হবে। জাতি হবে শিক্ষিত। প্রজন্ম গড়বে শিক্ষিত মেধাযুক্ত।


পরীক্ষা   ছেলে   মেয়ে  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

রাফসানের বাবা-মায়ের নামে আড়াই কোটি টাকা ঋণের মামলা

প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি বিলাসবহুল এক গাড়ি উপহার দিয়ে বাবা-মাকে চমকে দিয়েছেন রাফসান দ্য ছোটভাই খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসান। এবার রাফসানের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের টাকা ঋণ পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে।

রাফসানের (রাফসান দ্য ছোট ভাই) বাবা মো. জাকারিয়া এবং তার মা কাজী নুরুন্নেছা সেহেলি ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়। পরে তারা জামিন নিলেও সম্পত্তি নিলামের আদেশ হয়। কিন্তু সেই আদেশ হাইকোর্টে রিট করে আটকে দিয়েছেন বলে জানা যায়।

বিপুল অর্থের ঋণ পরিশোধ না করার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন সাইয়েদ আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি।

পোস্টের কমেন্টে তিনি রাফসানের বাবা ও মায়ের ঋণ নেয়ার, সম্পত্তি নিলাম হওয়ার এবং রিট পিটিশনের ডকুমেন্টও সংযুক্ত করেছেন তিনি।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর   ইফতেখার রাফসান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

অসুস্থ হয়ে আদালতের বেঞ্চে শুয়ে পড়লেন বাবুল

প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামে মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় তিনি আদালতের বেঞ্চে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। এদিকে সাক্ষী না আসায় সোমবার কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। পরে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়। 

চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম চলছে। 

আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহমেদ জানান, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বাবুল আক্তারকে সকাল ১০টার দিকে ফেনী কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বেঞ্চে শুয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট করেন। সুস্থবোধ করলে তাকে কারাগারে ফেরত নেওয়া পাঠানো হয়। সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আগামী ১৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন করা হন মাহমুদা খানম মিতু। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পিবিআই সাতজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এখনও পর্যন্ত এ মামলায় ৪৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার   মিতু হত্যা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রকাশ্যে ভোট দেয়ায় এমপি মল্লিককে তলব করেছে ইসি

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ায় বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিককে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (১৩ মে) তাকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান।

গত ৮ মে অনুষ্ঠিত বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে নির্বাচনি অপরাধ করেছেন তিনি। এ জন্য আগামী বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় তাকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হতে বলেছে ইসি।

চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন গত ৮ মে আপনি ৪৭নং মঙ্গলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন। যার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়) ছবিসহ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুসারে শাস্তিযোগ্য নির্বাচনি অপরাধ। ওই অপরাধ সংঘটনের কারণে আপনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও পদ্ধতিগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্পিকারের কাছে কেন পত্র দেয়া হবে না, সে বিষয়ে আগামী বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনাকে উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।

প্রকাশ্যে ভোট   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন