ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন মন্ত্রিসভার পাঁচ অগ্রাধিকার

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১১ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হল। নতুন মন্ত্রিসভায় রাজনৈতিক একটি চরিত্র আছে। বেশ কয়েকজন পোড়খাওয়া ত্যাগী রাজনৈতিক নেতা এই মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তবে যথারীতি ব্যবসায়ীদের প্রধান্য আছে। কোনো কোনো মন্ত্রীকে অনেকেই ভাগ্যবান মনে করছেন। উপমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রী হওয়া হয়েছেন মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন ফরহাদ হোসেন এবং ধর্মমন্ত্রী ফরিদ উদ্দিন খান। কিন্তু এ সমস্ত কিছু ছাপিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা দেশকে কীভাবে পরিচালনা করবে? দেশের বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা কীভাবে সমাধান করবে এটি হল সবচেয়ে বড় দেখার বিষয়। 

নতুন মন্ত্রিসভা দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রিসভার সামনে পাঁচটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা না করতে পারলে এই মন্ত্রিসভাও বিগত মন্ত্রীসভার মতো সমালোচিত হবে। যে পাঁচটি অগ্রাধিকার নতুন মন্ত্রিসভার সামনে রয়েছে তার মধ্যে

১. দ্রব্যমূল্য: রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা। বিগত পাঁচ বছরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতিতে অসহনীয় পর্যায়ে নিয়ে গেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা বা করোনা মহামারী পরবর্তী পরিস্থিতির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু দেশের উৎপাদিত পণ্যগুলো যখন সিন্ডিকেটের কারসাজিতে লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির দিকে ধাবিত হয়, তখন তাকে কোনভাবেই আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে সংঘটিত বলে মনে করার কারণ নেই। কাজেই বর্তমান সরকারের প্রথম চ্যালেঞ্জ হল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা হয়। এই মন্ত্রিসভা গঠনে দুই মাসের মধ্যে রোজা শুরু হচ্ছে। রোজায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি একটা স্বাভাবিক সংস্কৃতি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ে জনগণকে স্বস্তি দিতে হবে নতুন সরকারকে। 

২. অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা: গত পাঁচ বছরে অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খল অবস্থা একটা জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে যে স্বস্তি ছিল সেই স্বস্তি এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। অর্থপাচার একটা ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া ঋণ খেলাপির সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এরকম অবস্থায় নতুন সরকারের জন্য আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, অর্থনীতিতে একটি সুস্থ এবং সঠিক ধারা নিয়ে আসতে হবে। এটি সদ্য দায়িত্ব গ্রহণ করা অর্থমন্ত্রীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন অর্থমন্ত্রী কীভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেন সেটি দেখার বিষয়। 

৩. আন্তর্জাতিক কূটনীতি: এই নির্বাচনকে এখন পর্যন্ত মেনে নেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য। যদিও যেমনটা আশঙ্কা করা হয়েছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের পর নানা রকম বিধিনিষেধ প্রয়োগ করবে। কিন্তু বাস্তবে সে ধরনের কোন নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করেনি। বরং নতুন যে সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করলো তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম কাজ হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং তাদের সাথে সম্পর্ক অব্যাহত রাখার চেষ্টা করা।

৪. দুর্নীতি প্রতিরোধ: গত পাঁচ বছরে ব্যাপক আলোচনার বিষয় ছিল দুর্নীতি প্রতিরোধ। বিশেষ করে দুর্নীতি একটি মহামারির আকার ধারণ করেছিল। আর এই দুর্নীতি প্রতিরোধের অঙ্গীকার করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে নতুন সরকার কীভাবে যুদ্ধ করে এবং সেই যুদ্ধে তাদের সত্যিকারের অবস্থান কী হয় সেটি দেখার বিষয়। সরকারের চারপাশে অনেক দুর্নীতিবাজের আনা গোনা আছে বলে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন রয়েছে। সরকারকে এই দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে দূরত্ব রাখতে হবে। পাশাপাশি একটি জবাবদিহিতার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। এটি বর্তমান সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

৫. বিরোধী রাজনীতি মোকাবিলা: নির্বাচনের পর সরকার কী করবে? বিএনপি সহ বিরোধী দল যারা নির্বাচন বর্জন করেছিল তাদের সাথে সরকার কী একটি রাজনৈতিক সমঝোতা করবে? জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা করবে নাকি বিরোধী দলের বিরুদ্ধে যে অভিযান তা অব্যাহত রাখবে। এই প্রশ্নের উত্তরের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যতের গতিপ্রবাহের অনেক কিছুই। এখন দেখার বিষয় পাঁচ অগ্রাধিকার মোকাবিলায় সরকার কী কৌশল গ্রহণ করে।

নতুন মন্ত্রিসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবানে সেনা অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত

প্রকাশ: ০৭:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা সীমান্তে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিন সদস্য নিহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্র, কার্তুজ, সামরিক পোশাক ও অন্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রুমা উপজেলায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডেবাছড়ার গভীর অরণ্যে কেএনএফ আস্তানা গেড়েছে- এমন খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘণ্টা ব্যাপী গুলি বিনিময়ের পর সেখান থেকে কেএনএফের দু’জন সদস্যের লাশ ও একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তিনিও মারা যান। নিহতদের এখনো কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রুমা উপজেলার রনিন পাড়ার কাছে ডেবাছড়া এলাকায় কেএনএফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনজন নিহত হয়েছে। ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ সেখানে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানজুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

বান্দরবান   কেএনএফ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নিয়ে মতবিনিময় সভা

প্রকাশ: ০৭:৩৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস। 

 

মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।


ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য   মতবিনিময়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।

 
রোববার (১৯ মে) মোটরসাইলে প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

 
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা ও মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে প্রচার কাজ চালিয়েছেন। যা নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঙ্ঘন।

 

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’

পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   আচরণ বিধি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে, মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ ও সাবেক সংসদ সদস্য  মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদাভাই) এর ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

রোববার (১৯ মে) মাদারীপুর জেলার শিবচরের দত্তপাড়ায় তার নিজ বাড়িতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তার বড় পুত্র জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও কনিষ্ঠ পুত্র ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনসহ তার পরিবার মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। 

মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিপ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শাহজাহান খান, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মাদারীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, ফরিদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেনসহ পরিবারে সদস্যগণ ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাই জনপ্রিয় দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন। তিনি আরামবাগ ক্রীড়া চক্রের সভাপতি ও খুলনা আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সভাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন সফল ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এবং খুলনা অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। দাদাভাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। 

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীকে ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তিনি তৎকালীন জাতীয় সংসদে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রস্তাবকারী। 

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ১৯৩৪ সালের ১৫ আগস্ট মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দাদাভাইয়ের শিক্ষাজীবন শুরু হয় দত্তপাড়ার টিএন একাডেমি থেকে, মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাস করেন। বাবা নুরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং মা ফাতেমা বেগম। ফাতেমা বেগম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় বোন। 

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের ১৯ মে ৫ম জাতীয় সংসদের সদস্য থাকাকালীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এই মহান নেতা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী   মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুনামগঞ্জে বিদেশি মদের চালান সহ গ্রেপ্তার ১


Thumbnail

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বিদেশি মদের চালান সহ আমির হোসেন নামে এক পেশাদার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে ওই মদের চালান মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, ‘থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার্স সহ পুলিশের একটি টিম নিয়ে উপজেলার লাউড়গড় গ্রামের আমির হোসেনের বসত ঘরের শয়ন কক্ষ থেকে বস্তা ভর্তি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২২ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করেন।

সময় মাদক কারবারে জড়িত থাকায় বসতবাড়ির মালিক পেশাদার মাদক কারবারি আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে এঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


মদের চালান   মাদক কারবারি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন