ইনসাইড বাংলাদেশ

মন্ত্রিসভার সাফল্য যাদের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করছে

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১২ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। মন্ত্রিসভা গঠনের পর দপ্তরও বণ্টন করা হয়েছে। দপ্তর বণ্টনে বেশ চমক ছিল। আর কিছু স্পর্শকাতর গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে এমন ব্যক্তিদেরকে দেওয়া হয়েছে যাদের ওপর নির্ভর করছে সরকারের সাফল্যের অনেক কিছুই। নতুন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছয়টি দপ্তর রেখেছেন। ধারণা করাই যাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী আস্তে আস্তে মন্ত্রিসভার পরিধি বাড়াবেন। তিনি সবগুলো মন্ত্রণালয় দেখভাল করেন এবং তার নির্দেশেই, তার চিন্তায় এবং পরিকল্পনায় রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে তার নির্দেশনাগুলো যারা বাস্তবায়ন করবেন সেক্ষেত্রে মন্ত্রীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রীরা যদি সঠিক এবং সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করেন তাহলে সরকারের সাফল্য আসবে। 

বিগত পাঁচ বছরে কিছু কিছু মন্ত্রীর দায়িত্বহীনতা, ব্যর্থতার কারণে সরকারের অনেক অর্জন ম্লান হয়ে গিয়েছিল। এ বার যেন সেরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তাতে পাঁচজন মন্ত্রীর ভূমিকা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পাঁচজনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এ বার অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার অন্তর্ভুক্ত একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সাধারণত অর্থ মন্ত্রণালয় অর্থনীতিবিদ বা অর্থনীতি বিষয়ের বিশেষজ্ঞ এমন ব্যক্তিদেরকেই রাখা হয়। শাহ কিবরিয়া বা আবুল আল মুহিত, এমনকী লোটাস কামাল একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলেন। এর আগে বিএনপির আমলেও সাইফুর রহমান অর্থনীতি থেকেই রাজনীতির রাজনীতির জগতে এসেছিলেন। কিন্তু এ বার আবুল হাসান মাহমুদ আলী একজন পেশাদার কূটনীতিক। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো স্পর্শকাতর মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন। এমন এক সময় এই দায়িত্ব নিয়েছেন যখন অর্থনৈতিক ঢুকছে। তবে একজন সৎ এবং বিচক্ষণ এবং কূটনীতিক হিসেবে তার অনেক সুনাম রয়েছে। তিনি এই মন্ত্রণালয়ে কী ভাবে সামাল দেন, তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। তাকে অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা যেমন ফিরিয়ে আনতে হবে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, অর্থ পাচার বন্ধ, খেলাপি ঋণের ঊর্ধ্বগতি কমাতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনি কতটুকু সাফল্য অর্জন করেন তার ওপর নির্ভর করছে সরকারের  সাফল্যের অনেকখানি। 

এবারের মন্ত্রিসভার আরেকটি বড় চমক ছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কোন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে নির্বাচিত আহসানুল ইসলাম টিটু। এই মন্ত্রণালয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাজারে সিন্ডিকেটের এক ভয়াবহ অবস্থা বিগত পাঁচ বছর ধরে জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে মানুষের অন্তহীন অভিযোগ। এরকম বাস্তবতায় টিটু বাণিজ্যমন্ত্রী কতটুকু সামাল দিতে পারবেন সেটি দেখার বিষয়। এখানে কোন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী দেওয়া হয় কিনা সেটির অপেক্ষাও করছেন অনেকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের  সাফল্যের ওপর সরকারের সাফল্য অনেকখানি নির্ভর করছে। 

একইভাবে পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আব্দুস সালামকে। তিনিও নতুন মন্ত্রী এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একটি টেকনিক্যাল মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সফলভাবে পালনের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের অর্থনীতির অনেক কিছুই। দেখার বিষয় যে তিনি কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

এবারের মন্ত্রিসভায় যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আশাবাদ তৈরি হয়েছে তিনি হলেন ড. হাছান মাহমুদ। তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছিল সরকারের বড় অস্তস্তির কারণ। বেফাঁস বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুরো জাতির জন্য একটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানে হাছান মাহমুদের মতো একজন পরিচ্ছন্ন এবং কূটনীতিতে দক্ষ ব্যক্তিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি নির্বাচন পরবর্তী বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশকে কীভাবে উপস্থাপন করেন তার ওপর সরকারের সাফল্য অনেকখানি নির্ভর করছে। 

মূলত এই কয়েকজন মন্ত্রী কীভাবে মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেন তার ওপর সরকারের সাফল্য অনেক খানি নির্ভরশীল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

মন্ত্রিসভা   আবুল হাসান মাহমুদ আলী   ড. হাছান মাহমুদ   পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়   আহসানুল ইসলাম টিটু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চেয়ারম্যান প্রার্থীর মুক্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১২:৫১ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে ও বিপুল পরিমাণ টাকাসহ র‌্যাবের হাতে আটক পাবনার সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনসহ আটক ১১ জনের মুক্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে নেতাকর্মী সমর্থকরা।

 

মঙ্গলবার (৭ মে) ভোররাত থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সুজানগর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। তার আগে মধ্যরাতে আটকের পর থেকে সুজানগর পৌর সদরের প্রধান সড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে তারা।


আরও পড়ুন: ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণকালে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আটক ১১

 

এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনকে দ্রুত মুক্তি না দেওয়া হলে রাজপথ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তার নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।

 

এদিকে শাহীনুজ্জামান শাহীনকে মুক্তির দাবিতে সুজানগর পৌরসভার সব রাস্তাঘাট কাঠের গুড়ি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দোকানপাট হোটেল রেস্তোরাঁও বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

 

সুজানগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদাউস আলম ফিরোজ বলেন, সম্পুর্ন বেআইনিভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়টি সুজানগরবাসী কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। একটি মহল নিজেদের পরাজয় জেনে এমন ষড়যন্ত্র করছে। তবে ষড়যন্ত্র করেও বিজয় ঠেকাতে পারবেনা। এজন্য উপজেলা সর্বস্তরের মানুষজন রাজপথে নেমে আসছে।

 

উপজেলা চেয়ারম্যানকে মুক্তি না করে আমরা ঘরে ফিরব না। অতি দ্রুত তাকে মুক্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান। 

 

সুজানগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামানের ভাই সরদার রাজু আহমেদ বলেন, প্রতিপক্ষ তাদের ফাঁসাতে এই নীল নকশা করেছে। অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।মুক্তি না দেয়া হলে সুজানগর উপজেলাকে অচল করে দেওয়া হবে। রাজপথ থেকে নেতাকর্মী সরবেনা বলেও জানান তিনি।

 

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। কয়েক’শ মানুষ থানার সামনের রাস্তায় শুয়ে আছেন, বিক্ষোভ ও অবরোধ করছেন। তাদের শান্ত করে বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করছি। আইনশৃঙ্খলা ঠিক রয়েছে।'

 

এর আগে সোমবার (৬ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সুজানগরের চর ভবানীপুরের নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রায় ২৩ লাখ টাকাসহ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনসহ ১১ জনকে আটক করে র‌্যাব। পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনের ব্যবহৃত একটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে।

 

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে আগামীকাল বুধবার (৮ মে) সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওহাব (মোটরসাইকেল মার্কা) এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন প্রতিদ্বন্দ্বীতা (আনারস মার্কা) করছেন। 

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, পদ্মা নদীর বালুমহাল দখলসহ নানা বিষয় নিয়ে দু'জনের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুজনের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হুমকির অভিযোগ তুলছেন। গত ২৩ এপ্রিল ও গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত সাতজন আহত হন।


উপজেলা নির্বাচন   চেয়ারম্যান প্রার্থী   প্রভাব বিস্তার   বিক্ষোভ   সড়ক অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ ৫ মে ঢাকায় এসেছেন। 

জানা গেছে, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে এ সফর শুরু হচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন।

২০২৩ সালের ১ অক্টোবর আইওএম মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান অ্যামি পোপ। সংস্থাটির ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী মহাপরিচালক হন তিনি। অ্যামি আইওএমে যোগ দেওয়ার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন। এর আগে তি‌নি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ডেপুটি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

এর আগে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তৎকালীন মহাপরিচালক উইলিয়াম ল্যাসি সুইং বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।


প্রধানমন্ত্রী   আইওএম   শেখ হাসিনা   অ্যামি পোপ   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জে বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১২:৩৬ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের পৃথক বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়া ইউনিয়নের পাথরগ্রাম ও কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলীতে বজ্রপাতে ওই ২ জন মৃত্যুবরণ করেন। 

 

নিহতরা হলেন ধান কাটা শ্রমিক সুকান্ত (৫২) ও কৃষক আলমগীর শেখ (৫৫) ।

 

কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান দেবদুলাল বিশ্বাস, জানান তার ইউনিয়নের পাথর গ্রামে সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টিপাতের সময় ধান কাটা শ্রমিক সুকান্ত বজ্রপাতে মারা যান। সুকান্তের বাড়ি খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা এলাকায় বলে ওই ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। তিনি কয়েকদিন আগে ধান কাটতে বঠিয়াঘাটা থেকে পাথর গ্রামে আসেন।


গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী গ্রামে বজ্রপাত আলমগীর শেখ নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের কাশেম আলী শেখের ছেলে। কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউপি চেয়ারম্যান রাফেজা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।


বজ্রপাত   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে: সিইসি

প্রকাশ: ১২:০২ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচনের ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে সেটাই বড় কথা। কোনো দল এলো কি এলো না, সেটা বড় কথা নয়। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভোটে কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে ব্যাপারে ইসির অবস্থান স্পষ্ট। প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। উৎসাহ-উদ্দীপনা থেকে ভোটের মাঠে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা রয়েছে কমিশনের।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথভাবে মোতায়েন করা সম্ভব হবে। প্রার্থী ও প্রার্থীদের কর্মীদের নির্বাচনে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়াও, গণমাধ্যমের মাধ্যমেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের চিত্র দেখা গেলে কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান সিইসি।


সংসদ নির্বাচন   উপজেলা   ভোট   সিইসি   আগারগাঁও  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক, ৫ প্রিসাইডিং অফিসার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি রিসোর্টে এক প্রার্থীর পক্ষে অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে এক শিক্ষক ও পাঁচ প্রিসাইডিং অফিসারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

 

সোমবার (৬ মে) রাত সাড়ে ৯টায় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। 


আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপিকে দাওয়াত করা হবে: কাদের

 

গ্রেপ্তাররা হলেন, যমুনা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও রাশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সিরাজুল ইসলাম, এসবি রেলওয়ে কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ওমর আলী কওমি মহিলা মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক ও এসবি রেলওয়ে কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মোঃ আবুসামা, বাহুকা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও বনবাড়িয়া পাইকপাড়া মডেল স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংক পিএলসির এরিয়া অফিসের প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা ও হরিণা বাগবাটি স্কুল কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ইয়াসিন আরাফাত। 

 

এছাড়া, এই গোপন বৈঠকের মূল আয়োজক, শিয়ালকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমিতির সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আমিনুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়।


আরও পড়ুন: উপজেলাতেও আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ

 

এ সময় জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আসে যে, কতিপয় প্রিসাইডিং অফিসার একজন লোকের সাথে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে গোপন বৈঠক করছে। শোনার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ রিটানিং কর্মকর্তাসহ অভিযান পরিচালনা করে। তবে তারা বুঝতে পেরে আগেই পালিয়ে যায়।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে রিটানিং অফিসার সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপার প্রযুক্তির মাধ্যমে সেখানে কারা ছিলেন তা চিহ্নিত করেন। এরপর পাঁচজন প্রিসাইডিং অফিসার ও এই বৈঠকের মূল আয়োজককে গ্রেপ্তার করেন।'


আরও পড়ুন: চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে যা জানালেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী

 

সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, ‘আমরা সেখান থেকে ডিজিটাল ফুট প্রিন্ট সংগ্রহ করে নিশ্চিত হই সেখানে কারা কারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই মামলায় আমরা ৫ জন প্রিসাইডিং অফিসারসহ বৈঠকের আয়োজনকারীকে গ্রেপ্তার করি।’ 

 

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছি সেখানে আরও কে কে উপস্থিত ছিলেন এবং এর সাথে আর কে কে জড়িত। তারপর সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রিসোর্টটিতে অভিযান পরিচালনা করে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদে এর সত্যতা পাই। পরে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করি এবং তাদের সাথে পরামর্শ করেই মামলা দায়ের করি। এখানে আমাদের যে ১০ জন প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, ইতোমধ্যে আমরা তাদের পরিবর্তন করেছি এবং অন্যদের দায়িত্ব দিয়েছি।’ 

 

তিনি আরও জানান, ‘প্রার্থীকে আমরা শোকজ করেছি এবং তার উত্তর তিনি দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেই আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

কোন প্রার্থীর পক্ষে বৈঠক চলছিল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, ‘আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আশা করছি নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের পরে আমরা জানতে পারব তারা কোন প্রার্থীর জন্য একত্রিত হয়ে বৈঠক করছিলেন। যার নাম আসবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


উপজেলা নির্বাচন   প্রিজাইডিং অফিসার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন